মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৫৫
২৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দু’বার সালাত আদায় করা
১১৫৫। হযরত ইয়াযীদ ইবনে আমের (রাঃ) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট আসিলাম, তখন তিনি নামাযে ছিলেন। আমি বসিয়া রহিলাম এবং তাঁহাদের সহিত নামাযে শামিল হইলাম না। যখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) নামায শেষ করিয়া আমাদের দিকে ফিরিলেন, আমাকে বসা দেখিলেন এবং বলিলেনঃ হে ইয়াযীদ ! তুমি কি মুসলমান হও নাই ? আমি উত্তর করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি মুসলমান হইয়াছি। হুযুর বলিলেন, তাহা হইলে তুমি তাহাদের সহিত নামাযে শামিল হইলে না কেন ? আমি বলিলাম, হুযুর! আমি আমার আবাসে নামায পড়িয়া লইয়াছি। আমি মনে করিয়াছি আপনারা নামায পড়িয়া ফেলিয়াছেন। তখন হুযূর (ﷺ) বলিলেন, যখন তুমি কোন নামাযের স্থানে পৌঁছিবে আর লোকদিগকে নামাযে দেখিবে তখন তাহাদের সহিত নামাযে শামিল হইয়া যাইবে যদিও তুমি নামায পড়িয়া ফেলিয়াছ। তোমার এই নামায নফল হইবে এবং ঐ নামায ফরয হইবে। –আবু দাউদ
وَعَن يَزِيدَ بْنِ عَامِرٍ قَالَ: جِئْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ فَجَلَسْتُ وَلَمْ أَدْخُلْ مَعَهُمْ فِي الصَّلَاةِ فَلَمَّا انْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَآنِي جَالِسا فَقَالَ: «ألم تسلم يَا زيد؟» قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ أَسْلَمْتُ. قَالَ: «وَمَا مَنَعَكَ أَنْ تَدْخُلَ مَعَ النَّاسِ فِي صَلَاتِهِمْ؟» قَالَ: إِنِّي كُنْتُ قَدْ صَلَّيْتُ فِي مَنْزِلِي أَحْسَبُ أَنْ قَدْ صَلَّيْتُمْ. فَقَالَ: «إِذَا جِئْتَ الصَّلَاةَ فَوَجَدْتَ النَّاسَ فَصَلِّ مَعَهُمْ وَإِنْ كُنْتَ قَدْ صَلَّيْتَ تَكُنْ لَكَ نَافِلَةً وَهَذِه مَكْتُوبَة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

“এই (দ্বিতীয়) নামায নফল এবং ঐ (প্রথম) নামায ফরয হইবে" — হাদীসের শেষ আরবী বাক্যের এইরূপ অর্থ করা অপরাপর হাদীসের সহিত সঙ্গতিপূর্ণ এবং যুক্তিসঙ্গতও বটে। কেননা, প্রথম নামায ফরযের দায়িত্ব পুরা করিবার উদ্দেশ্যেই পড়া হইয়াছিল। কিন্তু “ঐ (প্রথম) নামায নফল এবং এই (দ্বিতীয়) নামায ফরয হইবে” – এইরূপ অর্থ করাই আরবী ব্যাকরণ অনুসারে অধিক সমীচীন। তখন ইহার তাৎপর্য এই হইবে যে, প্রথম নামায ঘরে একা পড়ার কারণে উহার কোন মূল্য নাই। কেননা, নামায জামাআতে পড়ারই বিধি। সুতরাং উহার দ্বারা ফরয আদায় হয় নাই। এই শেষ নামাযের দ্বারাই ফরয আদায় হইল। ইমাম মালেক, শাফেয়ী ও আমদ ইবনে হাম্বলের মতে ফরয নামায জামাআতে পড়াই ফরয। সুতরাং তাঁহাদের মতে এই হাদীসের ব্যাখ্যা এইরূপই।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ১১৫৫ | মুসলিম বাংলা