মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪১
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪১। হযরত উসমান (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর ওফাতের পর কিছুসংখ্যক সাহাবী ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়লেন, এমনকি কারো মনে খটকা জাগতে লাগল। আমিও তাদের একজন। এমনি অবস্থায় আমি এক স্থানে বসে ছিলাম। হযরত উমর (রাযিঃ) আমার নিকট দিয়ে গেলেন এবং আমাকে সালামও করলেন, অথচ আমি তা টের পেলাম না। অতঃপর হযরত উমর (রাযিঃ) আমার বিরুদ্ধে হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর নিকট অভিযোগ করেন। পরে তারা উভয়ে এসে আমাকে সালাম দিলেন এবং হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, হে উসমান! তোমার কি হয়েছিল যে, তুমি তোমার ভাই উমর (রাযিঃ)-এর সালামের জবাব দিলে না। আমি বললাম, না, আমি তো এরূপ কিছুই করি নি। তখন হযরত উমর (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম! আপনি নিশ্চয় এরূপ করেছেন। হযরত উসমান (রাযিঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি টেরও পাই নি যে, আপনি আমার নিকট দিয়ে গেছেন এবং আমাকে সালাম করেছেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তখন বললেন, ওসমান সত্যই বলেছেন। নিশ্চয় কোন বিরাট দুশ্চিন্তা আপনাকে এ বেখেয়াল করে রেখেছিল। আমি বললাম, জ্বি হ্যাঁ। আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, তবে তা কি? আমি বললাম, আল্লাহ পাক তাঁর নবী করীম (ﷺ)-কে উঠিয়ে নিয়ে গেলেন, অথচ আমাদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার উপায় জিজ্ঞেস করে নিতে পারলাম না। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করেছি। তখন আমি তাঁর নিকট গেলাম এবং বললাম, আমার মা-বাপ আপনার উপর কোরবান হোক, আপনিই এর হকদার বটে। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমি বলছিলাম, হে আল্লাহর রাসূল। এ ব্যাপারে মানুষের নাজাতের উপায় কি? তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যে ব্যক্তি আমার তরফ থেকে সে কালেমা গ্রহণ করবে, যা আমি আমার চাচাকে পেশ করেছিলাম এবং তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, তা-ই তার নাজাতের উপায়। (আহমদ)
الفصل الثالث
عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: إِنَّ رِجَالًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَزِنُوا عَلَيْهِ حَتَّى كَادَ بَعْضُهُمْ يُوَسْوِسُ قَالَ عُثْمَان وَكنت مِنْهُم فَبينا أَنا جَالس فِي ظلّ أَطَم من الْآطَام مر عَليّ عمر رَضِي الله عَنهُ فَسلم عَليّ فَلم أشعر أَنه مر وَلَا سلم فَانْطَلق عمر حَتَّى دخل على أبي بكر رَضِي الله عَنهُ فَقَالَ لَهُ مَا يُعْجِبك أَنِّي مَرَرْت على عُثْمَان فَسلمت عَلَيْهِ فَلم يرد عَليّ السَّلَام وَأَقْبل هُوَ وَأَبُو بكر فِي وِلَايَةَ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ حَتَّى سلما عَليّ جَمِيعًا ثمَّ قَالَ أَبُو بكر جَاءَنِي أَخُوك عمر فَذكر أَنه مر عَلَيْك فَسلم فَلم ترد عَلَيْهِ السَّلَام فَمَا الَّذِي حملك على ذَلِك قَالَ قُلْتُ مَا فَعَلْتُ فَقَالَ عُمَرُ بَلَى وَاللَّهِ لقد فعلت وَلكنهَا عبيتكم يَا بني أُميَّة قَالَ قُلْتُ وَاللَّهِ مَا شَعَرْتُ أَنَّكَ مَرَرْتَ وَلَا سَلَّمْتَ قَالَ أَبُو بَكْرٍ صَدَقَ عُثْمَانُ وَقد شَغَلَكَ عَنْ ذَلِكَ أَمْرٌ فَقُلْتُ أَجْلَ قَالَ مَا هُوَ فَقَالَ عُثْمَان رَضِي الله عَنهُ توفى الله عز وَجل نَبِيَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَبْلَ أَنْ نَسْأَلَهُ عَنْ نَجَاةِ هَذَا الْأَمْرِ قَالَ أَبُو بكر قد سَأَلته عَن ذَلِك قَالَ فَقُمْت إِلَيْهِ فَقلت لَهُ بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي أَنْتَ أَحَقُّ بِهَا قَالَ أَبُو بَكْرٍ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا نَجَاةُ هَذَا الْأَمْرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَبِلَ مِنِّي الْكَلِمَةَ الَّتِي عَرَضْتُ عَلَى عَمِّي فَرَدَّهَا فَهِيَ لَهُ نجاة. رَوَاهُ أَحْمد
