মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২- ঈমানের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪০
- ঈমানের অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪০। হযরত মুয়ায বিন জাবাল (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে বলেছেন, বেহেশতের চাবি হল “আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই "এ সাক্ষ্য দেয়া। (আহমদ)
كتاب الإيمان
الفصل الثالث
عَن مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ قَالَ: «قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَفَاتِيحُ الْجَنَّةِ شَهَادَةُ أَنْ لَا إِلَه إِلَّا الله» . رَوَاهُ أَحْمد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীসে শুধুমাত্র তাওহীদের শাহাদত দানের বিষয়টি উল্লিখিত হয়েছে। এর এক অর্থ হল ঈমানের দাওয়াত কবুল করা এবং ইসলামকে নিজের দীন হিসেবে গ্রহণ করা যেরূপ উর্দু ভাষায় 'কালেমা পড়া' কে ইসলাম কবুল করার অর্থে ব্যবহার করা হয় সেরূপ তাওহীদের শাহাদত প্রদানের অর্থ ইসলাম কবুল করা। যে পরিস্থিতি ও পরিবেশে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এসব ইরশাদ করেছেন তাতে মুসলমান এবং কাফের মশরিক ব্যক্তিও এ কথা বলেন যে তাওহীদ ও রেসালতের শাহাদত এবং লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর শাহাদাত প্রদানের অর্থ ঈমান গ্রহণ এবং ইসলাম কবুল করা।

বিঃদ্রঃ- কালেমার সাক্ষ্য দানের অর্থ মৌখিক সাক্ষ্য দান করাই নয়, কর্ম জীবনে বাস্তব সাক্ষ্য দান করা। তাওহীদ ও রিসালতের শাহাদতের মাধ্যমে বিশ্বাসী বান্দা নিজেকে ইসলামের কাছে পরিপূর্ণভাবে সোপর্দ করেছেন। তিনি যে স্বপ্ন দেখেন তা ইসলামের জন্যই দেখেন, তিনি যে চিন্তা করেন তা ইসলামের জন্যই করেন। তিনি যে কাজ করেন তা ইসলামের কল্যাণের জন্য করেন এবং যখন আল্লাহর হুকুমের পরিপন্থী কিছু দেখেন তখন তার মন ব্যথিত হয় এবং তা দূর করার জন্য সংগ্রাম শুরু করেন। বস্তুতঃ এ ধরনের বিশ্বাসী বান্দাদের জন্যই বেহেশতের সুসংবাদ দান করা হয়েছে। কালেমা পাঠ করার পরও যে ব্যক্তি বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীর মধ্যে কোন পার্থক্য লক্ষ্য করতে পারে না তাকে সারা দুনিয়ার মানুষ মুসলমান বললেও আল্লাহর দরবারে তার মর্যাদা কি হবে তা আল্লাহ রব্বুল আলামীনই ভাল জানেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান