মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৮
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮। হযরত জাবের (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, দু'টি ব্যাপার (অপর দু'টি ব্যাপারকে) অবধারিত করে দেয়। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সে অবধারিত ব্যাপার দু'টি কি? তিনি বললেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করে মৃত্যুবরণ করে, সে নিশ্চিতরূপে জাহান্নামে যাবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কাউকে অংশীদার না বানিয়ে মৃত্যুবরণ করবে, সে নিশ্চিতরূপে জান্নাতে যাবে। (মুসলিম)
الفصل الثالث
وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ثِنْتَانِ مُوجِبَتَانِ. قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا الْمُوجِبَتَانِ؟ قَالَ: (مَنْ مَاتَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ النَّارَ وَمَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئا دخل الْجنَّة)
(رَوَاهُ مُسلم)
(رَوَاهُ مُسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কোনওকিছুকে শরীক করবে না অর্থাৎ তাঁকে তাঁর সত্তা ও গুণাবলীতে এক জানবে এবং একমাত্র তাঁকেই ইবাদতের উপযুক্ত বলে বিশ্বাস করবে, তাঁর সত্তা ও গুণাবলীতে কাউকে শরীক করবে না এবং তাঁকে ছাড়া অন্য কারও বা তাঁর সঙ্গে অন্য কারও ইবাদতও করবে না আর এ অবস্থায় মারা যাবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। যদি সে কবীরা গুনাহ না করে থাকে, তবে তো শুরুতেই জান্নাতে যাবে। আর যদি কবীরা গুনাহ করে থাকে, তবে তার বিষয়টি আল্লাহ তা'আলার ইচ্ছাধীন থাকবে। আল্লাহ তা'আলা চাইলে নিজ অনুগ্রহে তাকে ক্ষমা করবেন। ফলে শুরুতেই সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। আর চাইলে আল্লাহ তা'আলা তাকে তার গুনাহ পরিমাণ শাস্তিও দান করতে পারেন। সে শাস্তিভোগের পর জান্নাত লাভ করবে।
জাহান্নাম অবধারিতকারী বিষয় সম্পর্কে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে কোনও কিছুকে শরীক করা অবস্থায় মারা
যায়, সে অনন্তকাল জাহান্নামবাস করবে। সে কখনওই জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবে না। এরূপ ব্যক্তি কিতাবী হোক বা মূর্তিপূজারী কিংবা অন্য কোনও কাফের
সম্প্রদায়ের লোক হোক, সবার ক্ষেত্রেই একই বিধান যে, তাকে স্থায়ীভাবে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আরেক শিরক হচ্ছে খফী বা গুপ্ত শিরক। ইবাদত-বন্দেগীতে যদি মানুষকে দেখানোর নিয়ত থাকে, তবে সেটাই গুপ্ত শিরক। পরিভাষায় একে রিয়া বলে। রিয়াকার ব্যক্তি গুনাহগার মুমিন। কাজেই তার জাহান্নামের শাস্তিভোগ স্থায়ী হবে না। একসময় সে ঈমানের বদৌলতে অবশ্যই মুক্তি পাবে।
যে ব্যক্তি মুনাফিক, অন্তরে ঈমান নেই অথচ মানুষকে দেখানোর জন্য ইবাদত-বন্দেগী করে, প্রকৃতপক্ষে সে কাফের। দুনিয়ার বিচারে তাকে মুসলিম গণ্য করা হলেও আখিরাতে সে স্থায়ীভাবে জাহান্নামেই থাকবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছ দ্বারা শিরক না করার গুরুত্ব ও শিরকে লিপ্ত হওয়ার ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে জানা গেল। সুতরাং জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতলাভের আশায় আমরা অবশ্যই মৃত্যু পর্যন্ত সর্বপ্রকার শিরক পরিহার করে চলব। আল্লাহ তা'আলা তাওফীক দান করুন।
জাহান্নাম অবধারিতকারী বিষয় সম্পর্কে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলার সঙ্গে কোনও কিছুকে শরীক করা অবস্থায় মারা
যায়, সে অনন্তকাল জাহান্নামবাস করবে। সে কখনওই জাহান্নাম থেকে বের হতে পারবে না। এরূপ ব্যক্তি কিতাবী হোক বা মূর্তিপূজারী কিংবা অন্য কোনও কাফের
সম্প্রদায়ের লোক হোক, সবার ক্ষেত্রেই একই বিধান যে, তাকে স্থায়ীভাবে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
আরেক শিরক হচ্ছে খফী বা গুপ্ত শিরক। ইবাদত-বন্দেগীতে যদি মানুষকে দেখানোর নিয়ত থাকে, তবে সেটাই গুপ্ত শিরক। পরিভাষায় একে রিয়া বলে। রিয়াকার ব্যক্তি গুনাহগার মুমিন। কাজেই তার জাহান্নামের শাস্তিভোগ স্থায়ী হবে না। একসময় সে ঈমানের বদৌলতে অবশ্যই মুক্তি পাবে।
যে ব্যক্তি মুনাফিক, অন্তরে ঈমান নেই অথচ মানুষকে দেখানোর জন্য ইবাদত-বন্দেগী করে, প্রকৃতপক্ষে সে কাফের। দুনিয়ার বিচারে তাকে মুসলিম গণ্য করা হলেও আখিরাতে সে স্থায়ীভাবে জাহান্নামেই থাকবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
এ হাদীছ দ্বারা শিরক না করার গুরুত্ব ও শিরকে লিপ্ত হওয়ার ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে জানা গেল। সুতরাং জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতলাভের আশায় আমরা অবশ্যই মৃত্যু পর্যন্ত সর্বপ্রকার শিরক পরিহার করে চলব। আল্লাহ তা'আলা তাওফীক দান করুন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
