মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২- ঈমানের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৭
প্রথম অনুচ্ছেদ
১৭। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আব্দুল কায়েস* গোত্রের প্রতিনিধি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন্ গোত্র অথবা কোন্ প্রতিনিধি দল? তারা বলল, রাবি'আ গোত্র। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন, ধন্যবাদ, গোত্র বা প্রতিনিধির জন্য। নয় কোন লাঞ্ছনা ও নয় কোন লজ্জা। তারা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা হারাম** মাস ছাড়া আপনার নিকট আসতে পারি না। কারণ আমাদের ও আপনার মধ্যে কাফের মুদার গোত্র বাস করে। অতএব আমাদের সুস্পষ্ট কথা বলে দিন যা আমরা আমাদের পিছনের লোকদের বলে দিব এবং তা দ্বারা আমরা বেহেশতবাসী হব। এছাড়া তারা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে পানীয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চারটি বিষয়ের হুকুম দিলেন আর চারটি বিষয়ে নিষেধ করলেন। তাদের এক আল্লাহর উপর ঈমান আনার হুকুম দিলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি জান এক আল্লাহর উপর ঈমান কি? তারা বলল, আল্লাহ ও তার রাসূল ভাল জানেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেনঃ এ সাক্ষী দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা'বুদ নেই এবং নিশ্চয় মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহর রাসূল। নামায কায়েম করা ও যাকাত আদায় করা, রমযানে রোযা রাখা । যুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদের এক-পঞ্চমাংশ আদায় করা এবং চারটি পানপাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। মাটির সবুজ কলসী, কদুর খোল, খেজুর কাণ্ডের পাত্র ও প্রলেপ দেয়া পাতিল। তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, “এসব কথা তোমরা সংরক্ষণ করবে এবং তোমাদের পিছনের লোকদের জানিয়ে দিবে। (বোখারী-মুসলিম) এর শব্দ বোখারীর।
* কাজী ইয়ায রাহঃ বলেন, আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী করীম (ﷺ)-এর মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরীতে আগমন করেন।
ইবনুল কাইয়ুম বলেন, তারা নবম হিজরীতে আগমন করেন।
ঐতিহাসিকদের মতে, তারা মোট দু’বার আগমন করেন প্রথমবার ৬ষ্ঠ হিজরীতে আর দ্বিতীয়বার ৮ম হিজরীতে। তাদের মোট সংখ্যার ক্ষেত্রে কেউ বলেছেন ১৪ জন, কেউ বলেছেন ৪০ জন।
** (খ) হারাম মাস বলা হয় যিলকদ, যিলহজ্জ, মুহাররম এবং রজব এই চার মাসকে। এই চার মাসে আরবের লোকেরা যুদ্ধ বিগ্রহ এবং চুরি-ডাকাতি প্রভৃতি অপকাজে লিপ্ত হত না।
(গ) হানতাম হল মৃত্তিকা নির্মিত সবুজ বর্ণের পাত্রবিশেষ। দুব্বা হল লাউয়ের খোল দ্বারা তৈরী পাত্র। নাকীর হল কাঠের তৈরী এক প্রকার পাত্রের নাম। আর মুযাফফাত হল এক প্রকার তৈলাক্ত পাত্র। এই পাত্রসমূহে তখন মদ তৈরী করা হত এবং তাতে তা রেখে দেয়া হত। হাদীসটির মূল লক্ষ্য মদ পানের নিষিদ্ধতা ঘোষণা করা।
* কাজী ইয়ায রাহঃ বলেন, আব্দুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী করীম (ﷺ)-এর মক্কা বিজয়ের পূর্বে অষ্টম হিজরীতে আগমন করেন।
ইবনুল কাইয়ুম বলেন, তারা নবম হিজরীতে আগমন করেন।
ঐতিহাসিকদের মতে, তারা মোট দু’বার আগমন করেন প্রথমবার ৬ষ্ঠ হিজরীতে আর দ্বিতীয়বার ৮ম হিজরীতে। তাদের মোট সংখ্যার ক্ষেত্রে কেউ বলেছেন ১৪ জন, কেউ বলেছেন ৪০ জন।
** (খ) হারাম মাস বলা হয় যিলকদ, যিলহজ্জ, মুহাররম এবং রজব এই চার মাসকে। এই চার মাসে আরবের লোকেরা যুদ্ধ বিগ্রহ এবং চুরি-ডাকাতি প্রভৃতি অপকাজে লিপ্ত হত না।
(গ) হানতাম হল মৃত্তিকা নির্মিত সবুজ বর্ণের পাত্রবিশেষ। দুব্বা হল লাউয়ের খোল দ্বারা তৈরী পাত্র। নাকীর হল কাঠের তৈরী এক প্রকার পাত্রের নাম। আর মুযাফফাত হল এক প্রকার তৈলাক্ত পাত্র। এই পাত্রসমূহে তখন মদ তৈরী করা হত এবং তাতে তা রেখে দেয়া হত। হাদীসটির মূল লক্ষ্য মদ পানের নিষিদ্ধতা ঘোষণা করা।
الفصل الاول
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: إِنَّ وَفْدَ عَبْدِ الْقَيْسِ لَمَّا أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ الْقَوْمُ؟ أَوْ: مَنِ الْوَفْدُ؟ قَالُوا: رَبِيعَةُ. قَالَ: مَرْحَبًا بِالْقَوْمِ أَوْ: بِالْوَفْدِ غَيْرَ خَزَايَا وَلَا نَدَامَى . قَالُوا: يَا رَسُول الله إِنَّا لَا نستطيع أَن نَأْتِيَكَ إِلَّا فِي الشَّهْرِ الْحَرَامِ وَبَيْنَنَا وَبَيْنَكَ هَذَا الْحَيُّ مِنْ كُفَّارِ مُضَرَ فَمُرْنَا بِأَمْرٍ فصل نخبر بِهِ مَنْ وَرَاءَنَا وَنَدْخُلُ بِهِ الْجَنَّةَ وَسَأَلُوهُ عَنِ الْأَشْرِبَةِ. فَأَمَرَهُمْ بِأَرْبَعٍ وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ: أَمَرَهُمْ بِالْإِيمَانِ بِاللَّهِ وَحْدَهُ قَالَ: «أَتَدْرُونَ مَا الْإِيمَانُ بِاللَّهِ وَحْدَهُ؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «شَهَادَةِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ وَإِقَامِ الصَّلَاةِ وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ وَصِيَامِ رَمَضَانَ وَأَنْ تُعْطُوا مِنَ الْمَغْنَمِ الْخُمُسَ»
وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ: عَنِ الْحَنْتَمِ وَالدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ وَقَالَ: «احْفَظُوهُنَّ وَأَخْبِرُوا بِهِنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ» وَلَفظه للْبُخَارِيّ
وَنَهَاهُمْ عَنْ أَرْبَعٍ: عَنِ الْحَنْتَمِ وَالدُّبَّاءِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ وَقَالَ: «احْفَظُوهُنَّ وَأَخْبِرُوا بِهِنَّ مَنْ وَرَاءَكُمْ» وَلَفظه للْبُخَارِيّ
