আল-আদাবুল মুফরাদ- ইমাম বুখারী রহঃ

আল-আদাবুল মুফরাদের পরিচ্ছেদসমূহ

হাদীস নং: ১০১৮
৪৬৫- মজলিস থেকে বিদায়কালে সালাম প্রদানকারীর অধিকার।
১০১৮. হযরত আবু হুরায়রা (রাযিঃ) বলেন, যে ব্যক্তি তাহার অপর কোন ভাইয়ের সহিত সাক্ষাৎ করে তাহার উচিত তাহাকে সালাম দেওয়া। যদি তাহাদের মধ্যে কোন বৃক্ষ অথবা প্রাচীর অন্তরায় হইয়া দাঁড়ায় অতঃপর পুনরায় তাহাদের সাক্ষাৎ হয় তখন পুনরায় তাহাকে সালাম দেওয়া উচিত।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ‏:‏ مَنْ لَقِيَ أَخَاهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ، فَإِنْ حَالَتْ بَيْنَهُمَا شَجَرَةٌ أَوْ حَائِطٌ، ثُمَّ لَقِيَهُ فَلْيُسَلِّمْ عَلَيْهِ‏.‏

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীছটি দ্বারা সালামের ব্যাপক চর্চার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। যতবার দেখা হয়, সালাম দেবে ততোবার। সে দেখাটা যত অল্প সময়ের মধ্যেই হোক। একসঙ্গে কোথাও যাওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় দু'জনের মাঝখানে কোনও গাছ, প্রাচীর বা এরকম কিছু যারা ক্ষণিকের আড়াল সৃষ্টি হল। তারপর মুহূর্তের মধ্যেই আবার দেখা হয়ে গেল। এই যে ক্ষণিকের বিরতির পর সাক্ষাৎ, এ অবস্থায়ও সালাম দিতে বলা হয়েছে। সালাম আল্লাহ তা'আলার স্মরণ, তাঁর কাছে দু'আ, এটা নিরাপত্তার বাণী, এতে রয়েছে দশ থেকে ত্রিশ পর্যন্ত ছাওয়াব, এত বিপুল কল্যাণ যেই সহজ ও ছোট্ট একটি কাজের মধ্যে, তা তো বারবারই করা চাই। এর দ্বারা পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। যে কাজ দ্বারা পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়, তা বারবার করাই কাম্য। তাই সাহাবায়ে কেরাম বারবারই এ আমলটি করতেন। অতি অল্প সময়ের বিচ্ছিন্নতার পরও যখন দেখা হয়ে যেত, পুনরায় সালাম দিতেন।

হযরত আনাস ইবন মালিক রাযি. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে থাকতাম আর এ অবস্থায় আমাদের মাঝখানে কোনও গাছ পড়ত, তারপর আবার পরস্পরের মধ্যে সাক্ষাৎ হত, তখন আমরা একে অন্যকে সালাম দিতাম। (তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত : ৭৯৮৭; বুখারী, আল আদাবুল মুফরাদ : ১০১১)

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

ক. অতি অল্প সময়ের বিচ্ছিন্নতার পরও পুনরায় দেখা হলে পুনরায় সালাম দেওয়া চাই।

খ. নেকীর কাজ যত বেশি করা যায় ততোই কল্যাণ। তাই একে কখনও তাচ্ছিল্য করতে নেই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আল-আদাবুল মুফরাদ - হাদীস নং ১০১৮ | মুসলিম বাংলা