আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৬- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩১৭১
১৯৬৯. মহিলাদের পক্ষ থেকে কাউকে নিরাপত্তা ও আশ্রয় প্রদান
২৯৪৭। আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (রাহঃ) .... উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের বছর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে গেলাম। তখন তাঁকে এ অবস্থায় পেলাম যে, তিনি গোসল করছিলেন এবং তাঁর কন্যা ফাতিমা (রাযিঃ) তাঁকে পর্দা করছিলেন। আমি তাঁকে সালাম করলাম। তিনি বললেন, ইনি কে? আমি বললাম, আমি উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব। তখন তিনি বললেন, মারহাবা হে উম্মে হানী! যখন তিনি গোসল থেকে ফারেগ হলেন, একখানি কাপড় শরীরে জড়িয়ে আট রাক'আত নামায দাঁড়িয়ে আদায় করলেন। তারপর আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সহোদর ভাই আলী (রাযিঃ) হুবাইরার অমুক পুত্রকে হত্যা করার সংকল্পে করছে, আর আমি তাকে আশ্রয় দিয়েছি। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে উম্মে হানী! তুমি যাকে আশ্রয় দিয়েছ, আমিও তাকে আশ্রয় দিয়েছি। উম্মে হানী (রাযিঃ) বলেন, তা চাশতের সময় ছিল।
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মক্কাবিজয়ের দিন হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন অমুসলিম এক বা দুই ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উপলক্ষ্যে। তিনি এসে দেখেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করছেন এবং হযরত ফাতিমা রাযি. একটি কাপড় দিয়ে তাঁকে আড়াল করে রেখেছেন। এটা গোসলের আদব। প্রকাশ্যে লোকচক্ষুর সামনে গোসল না করে আড়ালে করা শ্রেয়। যদি সতর খোলার কোনও ব্যাপার থাকে, তবে তো আড়াল করা ফরয। অন্যের সামনে সতর খোলা জায়েয নয়।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলেন। তিনি গোসলরত ছিলেন। এরূপ ব্যস্ততার অবস্থায় সালাম না দেওয়াই আদব। তবে বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ভিন্ন কথা। এখানে বিশেষ প্রয়োজন ছিল।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাহরাম নন। তা সত্ত্বেও হযরত উম্মু হানী রাযি. সালাম দিয়েছেন। ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে গায়রে মাহরামকেও সালাম দেওয়া যায়। এখানে কোনও আশঙ্কা ছিল না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. গোসলরত ব্যক্তিকে প্রয়োজনে সালাম দেওয়া যেতে পারে।
খ. লোকচক্ষুর আড়ালে গোসল করা উত্তম। অবশ্য সতর খোলার কোনও ব্যাপার থাকলে আড়ালেই গোসল করা জরুরি।
গ. ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে নারী গায়রে মাহরাম পুরুষকে সালাম দিতে পারে।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সালাম দিলেন। তিনি গোসলরত ছিলেন। এরূপ ব্যস্ততার অবস্থায় সালাম না দেওয়াই আদব। তবে বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ভিন্ন কথা। এখানে বিশেষ প্রয়োজন ছিল।
হযরত উম্মু হানী রাযি. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মাহরাম নন। তা সত্ত্বেও হযরত উম্মু হানী রাযি. সালাম দিয়েছেন। ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে গায়রে মাহরামকেও সালাম দেওয়া যায়। এখানে কোনও আশঙ্কা ছিল না।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. গোসলরত ব্যক্তিকে প্রয়োজনে সালাম দেওয়া যেতে পারে।
খ. লোকচক্ষুর আড়ালে গোসল করা উত্তম। অবশ্য সতর খোলার কোনও ব্যাপার থাকলে আড়ালেই গোসল করা জরুরি।
গ. ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে নারী গায়রে মাহরাম পুরুষকে সালাম দিতে পারে।


বর্ণনাকারী: