কিতাবুস সুনান- ইমাম ইবনে মাজা রহঃ
৩৫. যুহদ-দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির বর্ণনা
হাদীস নং: ৪১৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৪৬
মুহাম্মাদ এর পরিবার-পরিজনের জীবন-যাপন পদ্ধতি
৪১৪৬। নসর ইবন আলী (রাহঃ)........ নুমান ইবন বাশীর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি উমর ইবন খাত্তাব (রাযিঃ) কে বলতে শুনেছিঃ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দিনের বেলায় ক্ষুধার তাড়নায় পার্শ্ব পরিবর্তন করতে দেখেছি। তিনি এমন কোন নিকৃষ্ট খেজুরও পেতেন না যা দিয়ে তিনি তার পেট পুরা করতে পারেন।
بَاب مَعِيشَةِ آلِ مُحَمَّدٍ ﷺ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، يَقُولُ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَلْتَوِي فِي الْيَوْمِ مِنَ الْجُوعِ مَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ مَا يَمْلأُ بِهِ بَطْنَهُ .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছ দ্বারা রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনাহারে কী রকম কষ্ট করেছেন সে সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
উলামায়ে কেরাম তাঁর এতটা কষ্ট-ক্লেশ ভোগ করার তিনটি কারণ বর্ণনা করেছেন।
এক. দীন ও ঈমানে যে যত পরিপক্ক হয়, ইহজীবনে তাকে ততো বেশি কষ্ট-ক্লেশের সম্মুখীন করা হয়। দীন ও ঈমানে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের স্থান ছিল সর্বোচ্চে। তাই তাদের কষ্ট-ক্লেশও বেশি ভোগ করতে হয়েছে। এক হাদীছে ইরশাদ-
عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلا؟ قَالَ: الأَنْيَاءُ، ثُمَّ الأمثل فالأمثل، فيُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلى حَسَبِ دِينِهِ، فَإِنْ كَانَ دِينَهُ صَلْبًا اشتَدَّ بَلاؤُهُ، وَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ رِفةٌ ابْتُلِيَ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ.
হযরত সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাযি. বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কঠিন বালা-মসিবত ভোগ করে কারা? তিনি বললেন, নবীগণ। তারপর যারা তাদের অনুসরণে সর্বাপেক্ষা বেশি অগ্রগামী থাকে। তারপর এর পরবর্তী স্তরের লোকগণ। মানুষকে বালা-মসিবত দ্বারা পরীক্ষা করা হয় তার দীনদারীর মাত্রা অনুযায়ী। যার দীনদারী পাকাপোক্ত হয় তার পরীক্ষাও কঠিন হয়। যে ব্যক্তি দীনদারীতে দুর্বল হয়, তাকে তার দীনদারী অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়।
দুই. গরীব-দুঃখীগণ যাতে এই ভেবে স্বস্তিবোধ করে এবং তাদের কষ্ট হালকা হয়ে যায় যে, আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কত কষ্ট ভোগ করেছেন। বলা হয়ে থাকে, হজ্জের ইহরামে জামা-কাপড় পরতে নিষেধ করে দিয়ে খোলা চাদর পরতে বলার একটা কারণ এই যে, এটা গরীবদের পক্ষে সহজ এবং এতে করে ধনীদের পোশাক-আশাক দেখে গরীবদের মন ভাঙবে না।
তিন. অভাব-অনটনের সম্মুখীন হয়ে থাকাটা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের সত্যতার একটি দলীল। কেননা তিনি সত্যনবী না হলে, অন্যদের মত দুনিয়ার লোভ-লালসায় পড়তেন। তা না পড়ে যখন তিনি অভাব-অনটনে ধৈর্যধারণ করে গেছেন তখন প্রমাণিত হয় যে, তিনি একজন সত্য নবীই ছিলেন।। প্রকাশ থাকে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অভাব-অনটনের জীবন নিজ ইচ্ছায়ই বেছে নিয়েছিলেন। নয়তো বিপুল বিত্ত-সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার সুযোগ তাঁর ছিল। চাইলে তিনি বিলাসবহুল জীবনও কাটাতে পারতেন। আল্লাহ তা'আলা তো তাঁকে এই এখতিয়ার দিয়েই রেখেছিলেন যে, তিনি চাইলে 'বাদশা নবী' বনে যেতে পারেন অথবা চাইলে ‘বান্দা নবী' হয়েও থাকতে পারেন। তিনি বান্দা হয়ে থাকাকেই বেছে নিলেন। যেমন এক বর্ণনায় আছে, একবার হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম ও হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তাঁর কাছে আসলেন। হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে এই খবর দেওয়ার জন্য আপনার কাছে পাঠিয়েছেন যে, আপনি চাইলে বান্দা নবীরূপে থাকতে পারেন, আবার চাইলে আপনাকে বাদশা নবী বানিয়ে দেওয়া হবে। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইঙ্গিতে বললেন, তিনি যেন বিনয় অবলম্বন করেন। তখন তিনি বললেন, আমি বান্দা নবী হয়েই থাকতে চাই। এতটুকু বলার পর নবী কারীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
“আমি যদি বলতাম বাদশা নবী হতে চাই, তারপর চাইতাম পাহাড়-পর্বত সোনায় পরিণত হয়ে আমার সঙ্গে চলুক, তবে তাই হতো।
অপর এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
عرض عَلَيَّ رَبِّي عَزَّ وَجَل أَن يَجْعَل فِي بَطْحاء مكة ذهبًا، فَقُلْتُ: لَا يَا رَبِّ، ولكن الجوع يَوْمًا وأَشْبَعُ يَوْمًا، فإذا شبعت حمذلكَ وَشَكَرْتُكَ، وَإِذَا جُعْتُ تَضَرْفتُ
"মহান আল্লাহ আমার সামনে এ প্রস্তাব রাখলেন যে, মক্কার উপত্যকাকে আমার জন্য সোনায় পরিণত করে দেবেন। আমি বললাম, না হে আমার রব্ব। বরং আমি একদিন ক্ষুধার্ত থাকব, আরেকদিন আহার করব। যখন আহার করব, আপনার প্রশংসা করব ও শোকর আদায় করব। আর যখন ক্ষুধার্ত থাকব, আপনার কাছে কাতরতা প্রকাশ করব, আপনাকে ডাকব।
এ সবই তাঁর যুহদের পরিচায়ক। ভোগ-বিলাসিতার সবরকম সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি সর্বদা তা থেকে বিমুখ থেকেছেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে উম্মতের জন্য আদর্শ করে পাঠিয়েছেন। কাজেই উম্মতেরও কর্তব্য তাঁর অনুসরণে বিলাসিতাবিমুখ জীবনে অভ্যস্ত হওয়া।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছের মধ্যে গরীব-দুঃখীর জন্য সান্ত্বনার সবক রয়েছে। আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অনাহারের এতটা কষ্ট সহ্য করে গেছেন, তখন তাঁর উম্মত হয়ে কেন সামান্য অনাহারের কষ্টে দিশেহারা হয়ে যাব?
খ. এ হাদীছ আমাদেরকে কষ্টসহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। ক্ষুধার কষ্ট সবচে' বড় কষ্ট। তাতেও যখন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত কষ্ট করে গেছেন, তখন দুনিয়ার অন্যসব কষ্ট তো আমাদেরকে হাসিমুখেই মেনে নিতে হবে। অন্যথায় ঈমানের বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উলামায়ে কেরাম তাঁর এতটা কষ্ট-ক্লেশ ভোগ করার তিনটি কারণ বর্ণনা করেছেন।
এক. দীন ও ঈমানে যে যত পরিপক্ক হয়, ইহজীবনে তাকে ততো বেশি কষ্ট-ক্লেশের সম্মুখীন করা হয়। দীন ও ঈমানে আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের স্থান ছিল সর্বোচ্চে। তাই তাদের কষ্ট-ক্লেশও বেশি ভোগ করতে হয়েছে। এক হাদীছে ইরশাদ-
عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ، أَيُّ النَّاسِ أَشَدُّ بَلا؟ قَالَ: الأَنْيَاءُ، ثُمَّ الأمثل فالأمثل، فيُبْتَلَى الرَّجُلُ عَلى حَسَبِ دِينِهِ، فَإِنْ كَانَ دِينَهُ صَلْبًا اشتَدَّ بَلاؤُهُ، وَإِنْ كَانَ فِي دِينِهِ رِفةٌ ابْتُلِيَ عَلَى حَسَبِ دِينِهِ.
হযরত সা'দ ইবন আবী ওয়াক্কাস রাযি. বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কঠিন বালা-মসিবত ভোগ করে কারা? তিনি বললেন, নবীগণ। তারপর যারা তাদের অনুসরণে সর্বাপেক্ষা বেশি অগ্রগামী থাকে। তারপর এর পরবর্তী স্তরের লোকগণ। মানুষকে বালা-মসিবত দ্বারা পরীক্ষা করা হয় তার দীনদারীর মাত্রা অনুযায়ী। যার দীনদারী পাকাপোক্ত হয় তার পরীক্ষাও কঠিন হয়। যে ব্যক্তি দীনদারীতে দুর্বল হয়, তাকে তার দীনদারী অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়।
দুই. গরীব-দুঃখীগণ যাতে এই ভেবে স্বস্তিবোধ করে এবং তাদের কষ্ট হালকা হয়ে যায় যে, আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও কত কষ্ট ভোগ করেছেন। বলা হয়ে থাকে, হজ্জের ইহরামে জামা-কাপড় পরতে নিষেধ করে দিয়ে খোলা চাদর পরতে বলার একটা কারণ এই যে, এটা গরীবদের পক্ষে সহজ এবং এতে করে ধনীদের পোশাক-আশাক দেখে গরীবদের মন ভাঙবে না।
তিন. অভাব-অনটনের সম্মুখীন হয়ে থাকাটা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নবুওয়াতের সত্যতার একটি দলীল। কেননা তিনি সত্যনবী না হলে, অন্যদের মত দুনিয়ার লোভ-লালসায় পড়তেন। তা না পড়ে যখন তিনি অভাব-অনটনে ধৈর্যধারণ করে গেছেন তখন প্রমাণিত হয় যে, তিনি একজন সত্য নবীই ছিলেন।। প্রকাশ থাকে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অভাব-অনটনের জীবন নিজ ইচ্ছায়ই বেছে নিয়েছিলেন। নয়তো বিপুল বিত্ত-সম্পদের মালিক বনে যাওয়ার সুযোগ তাঁর ছিল। চাইলে তিনি বিলাসবহুল জীবনও কাটাতে পারতেন। আল্লাহ তা'আলা তো তাঁকে এই এখতিয়ার দিয়েই রেখেছিলেন যে, তিনি চাইলে 'বাদশা নবী' বনে যেতে পারেন অথবা চাইলে ‘বান্দা নবী' হয়েও থাকতে পারেন। তিনি বান্দা হয়ে থাকাকেই বেছে নিলেন। যেমন এক বর্ণনায় আছে, একবার হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম ও হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম তাঁর কাছে আসলেন। হযরত ইসরাফীল আলাইহিস সালাম তাঁকে লক্ষ্য করে বললেন, আল্লাহ তাআলা আমাকে এই খবর দেওয়ার জন্য আপনার কাছে পাঠিয়েছেন যে, আপনি চাইলে বান্দা নবীরূপে থাকতে পারেন, আবার চাইলে আপনাকে বাদশা নবী বানিয়ে দেওয়া হবে। হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সালাম নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইঙ্গিতে বললেন, তিনি যেন বিনয় অবলম্বন করেন। তখন তিনি বললেন, আমি বান্দা নবী হয়েই থাকতে চাই। এতটুকু বলার পর নবী কারীম সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
“আমি যদি বলতাম বাদশা নবী হতে চাই, তারপর চাইতাম পাহাড়-পর্বত সোনায় পরিণত হয়ে আমার সঙ্গে চলুক, তবে তাই হতো।
অপর এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
عرض عَلَيَّ رَبِّي عَزَّ وَجَل أَن يَجْعَل فِي بَطْحاء مكة ذهبًا، فَقُلْتُ: لَا يَا رَبِّ، ولكن الجوع يَوْمًا وأَشْبَعُ يَوْمًا، فإذا شبعت حمذلكَ وَشَكَرْتُكَ، وَإِذَا جُعْتُ تَضَرْفتُ
"মহান আল্লাহ আমার সামনে এ প্রস্তাব রাখলেন যে, মক্কার উপত্যকাকে আমার জন্য সোনায় পরিণত করে দেবেন। আমি বললাম, না হে আমার রব্ব। বরং আমি একদিন ক্ষুধার্ত থাকব, আরেকদিন আহার করব। যখন আহার করব, আপনার প্রশংসা করব ও শোকর আদায় করব। আর যখন ক্ষুধার্ত থাকব, আপনার কাছে কাতরতা প্রকাশ করব, আপনাকে ডাকব।
এ সবই তাঁর যুহদের পরিচায়ক। ভোগ-বিলাসিতার সবরকম সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি সর্বদা তা থেকে বিমুখ থেকেছেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁকে উম্মতের জন্য আদর্শ করে পাঠিয়েছেন। কাজেই উম্মতেরও কর্তব্য তাঁর অনুসরণে বিলাসিতাবিমুখ জীবনে অভ্যস্ত হওয়া।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. এ হাদীছের মধ্যে গরীব-দুঃখীর জন্য সান্ত্বনার সবক রয়েছে। আল্লাহর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন অনাহারের এতটা কষ্ট সহ্য করে গেছেন, তখন তাঁর উম্মত হয়ে কেন সামান্য অনাহারের কষ্টে দিশেহারা হয়ে যাব?
খ. এ হাদীছ আমাদেরকে কষ্টসহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। ক্ষুধার কষ্ট সবচে' বড় কষ্ট। তাতেও যখন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এত কষ্ট করে গেছেন, তখন দুনিয়ার অন্যসব কষ্ট তো আমাদেরকে হাসিমুখেই মেনে নিতে হবে। অন্যথায় ঈমানের বিভিন্ন পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
