কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ
৫. নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৬
আবাসে আসরের নামাযের রাকআত সংখ্যা
৪৭৭। সুওয়ায়দ ইবনে নসর (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহরের নামাযে দাঁড়াতেন এবং প্রত্যেক রাক’আতে ত্রিশ আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন এবং আসরের প্রথম দুই রাক’আতে পনের আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করতেন।
باب عدد صلاة العصر في الحضر
أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ زَاذَانَ، عَنِ الْوَلِيدِ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُومُ فِي الظُّهْرِ فَيَقْرَأُ قَدْرَ ثَلاَثِينَ آيَةً فِي كُلِّ رَكْعَةٍ ثُمَّ يَقُومُ فِي الْعَصْرِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ قَدْرَ خَمْسَ عَشْرَةَ آيَةً .
হাদীসের ব্যাখ্যা:
রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।


বর্ণনাকারী: