কিতাবুস সুনান (আলমুজতাবা) - ইমাম নাসায়ী রহঃ

৫. নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৭৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪৭৫
আবাসে আসরের নামাযের রাকআত সংখ্যা
৪৭৬। ইয়াকুব ইবনে ইবরাহীম (রাহঃ) ......... আবু সাঈদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যোহর ও আসরের নামাযে কতক্ষণ কিয়াম করতেন (দাঁড়িয়ে থাকতেন) আমরা অনুমান করতাম। একবার আমরা যোহরের নামাযে তাঁর কিয়ামের অনুমান করলাম যে, তিনি প্রথম দুই রাক’আতে সূরায়ে সাজদার ত্রিশ আয়াত পরিমাণ এবং পরবর্তী দুই রাক’আতে এর অর্ধেক পরিমাণ পড়ার পরিমাণ কিয়াম করলেন। আসরের নামাযে কিয়ামের অনুমান করলাম যে, প্রথম দুই রাক’আতে যোহরের শেষ দুই রাক’আতের সময় পরিমাণ এবং শেষ দুই রাক’আতে এর অর্ধেক পরিমাণ সময় কিয়াম করলেন।
باب عدد صلاة العصر في الحضر
أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أَنْبَأَنَا مَنْصُورُ بْنُ زَاذَانَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ مُسْلِمٍ، عَنْ أَبِي الصِّدِّيقِ النَّاجِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ كُنَّا نَحْزُرُ قِيَامَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الظُّهْرِ قَدْرَ ثَلاَثِينَ آيَةً قَدْرَ سُورَةِ السَّجْدَةِ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ وَفِي الأُخْرَيَيْنِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى قَدْرِ الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الظُّهْرِ وَحَزَرْنَا قِيَامَهُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ مِنَ الْعَصْرِ عَلَى النِّصْفِ مِنْ ذَلِكَ .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রসূল স. যোহরের নামাযে আলিফ লাম মীম সিজদা বা ভিন্ন বর্ণনা অনুযায়ী ৩০ আয়াত বিশিষ্ট ছূরা তিলাওয়াত করেছেন। আর এটা তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল (হুজুরাত থেকে বুরুজ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ বা তার কাছাকাছি হয়। আর আসরের নামাযে তিনি যোহরের অর্ধেক পরিমাণ তিলাওয়াত করেছেন যা আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত)-এর সমপরিমাণ হয়। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, যোহরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো তিওয়ালে মুফাছ্‌ছাল। আর আসরের নামাযের উত্তম কিরাত হলো আওসাতে মুফাছ্‌ছাল। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৪৯২) এর বিপরীতে মুসলিম শরীফের ৯১৩ নং হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূলুলস্নাহ স. যোহরের নামাযে ছূরা আল-লাইল পড়তেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিনি যোহরের নামাযে আওসাতে মুফাছ্‌ছাল (ত্বরিক থেকে বায়্যিনাহ পর্যন্ত) পড়তেন। এটাও আমল করা যেতে পারে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
সুনানে নাসায়ী - হাদীস নং ৪৭৫ | মুসলিম বাংলা