আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২৪- রোযার অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৯৪
১১৮৪. রোযার ফযীলত
১৭৭৩। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) ......... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ রোযা ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তাঁর সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাঁকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি রোযা পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, অবশ্যই রোযা পালনকারীর মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুগন্ধির চেয়েও উৎকৃষ্ট, সে আমার জন্য আহার,পান ও কামাচার পরিত্যাগ করে। রোযা আমারই জন্য। তাই এর পুরষ্কার আমি নিজেই দান করব। আর প্রত্যেক নেককাজের বিনিময় দশ গুণ।

হাদীসের ব্যাখ্যা:

রোযার প্রতিদান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নিজেই দিবেন এবং বে-হিসাব দিবেনঃ

প্রত্যেক নেক আমলের নির্ধারিত সওয়াব ও প্রতিদান রয়েছে, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমলকারীকে পুরস্কৃত করবেন। কিন্তু রোযার বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা। হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

كُل عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ، الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَة ضِعْفٍ، قَالَ اللهُ عَز وَجَل: إِلَّا الصَّوْمَ، فَإِنَّه لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ، يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي.

মানুষের প্রত্যেক আমলের প্রতিদান বৃদ্ধি করা হয়। একটি নেকীর সওয়াব দশ গুণ থেকে সাতাশ গুণ পর্যন্ত। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, কিন্তু রোযা আলাদা। কেননা তা একমাত্র আমার জন্য এবং আমি নিজেই এর বিনিময় প্রদান করব। বান্দা একমাত্র আমার জন্য নিজের প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং পানাহার পরিত্যাগ করেছে। সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫১ (১৬৪); মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৯৭১৪; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৮৯৮৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ১৬৩৮
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন