কিতাবুস সুনান - ইমাম আবু দাউদ রহঃ
৯. জিহাদের বিধানাবলী
হাদীস নং: ২৬৬৭
আন্তর্জাতিক নং: ২৬৭৬
১৭. যুদ্ধে প্রাপ্য মালে গনিমতের অর্ধাংশ বা পূর্ণাঙ্গ প্রাপ্তির শর্তে যদি কেউ তার ভারবাহী পশু ভাড়া দেয়।
২৬৬৭. ইসহাক ইবনে ইবরাহীম দিমাশকী আবু নযর (রাহঃ) .... ওয়াসিলা ইবনে আসকা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাবূক অভিযানে শরীক হওয়ার জন্য ঘোষণা দিলেন। তখন আমি আমার গৃহে গমন করি, (কিন্তু যুদ্ধে গমনের প্রস্তুতি কিছুই করতে পারিনি)। আমি সেখান থেকে ফিরে আসি (এবং দেখি যে) রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর প্রথম দল বেরিয়ে পড়েছে। তখন আমি মদীনাতে এ বলে চিৎকার দিতে থাকিঃ এমন কেউ আছ কি যে এক ব্যক্তিকে তার বাহন সওয়ার করাবে এবং তার গনিমতের মাল সে নিয়ে নেবে?
তখন আনসারদের মধ্য হতে জনৈক বৃদ্ধ বললঃ আমি তার গনিমতের মাল এভাবে হাসিল করব যে, আমি তাকে আমার সাথে বহণ করব এবং তাকে আমার খানাও খাওয়াব। আমি বললামঃ আমি এতে রাযী আছি। তিনি বললেনঃ তবে আস এবং আল্লাহর বরকতের উপর ভরসা করে রওয়ানা হও। রাবী বলেনঃ আমি অতি উত্তম সঙ্গীর সঙ্গে রওয়ানা হলাম, এমনকি আল্লাহ্ আমাকে মালে-গনিমত প্রদান করেন এবং কয়েকটি তেজী উট আমার ভাগে পড়ে। আমি সেগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হই।
তখন তিনি বেরিয়ে আসেন এবং তার উটের পালানোর শেষের দিকে আরোহণ করেন এবং বলেনঃ এ উটগুলোকে আমার দিকে পেঁছনে ফিরে হ্যাঁটাও। এরপর তিনি বলেনঃ এগুলোকে আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে হ্যাঁটাও, (যাতে উটের সামনের ও পেছনের দিক ভালভাবে দেখা যায়)। তখন তিনি বলেনঃ তোমার উটগুলো আমার কাছে উত্তম মনে হচ্ছে। রাবী বলেনঃ বরং এতো আপনারই মালে-গনিমত, যার ব্যাপারে আমি আপনার সঙ্গে শর্ত করেছিলাম। তিনি বললেনঃ হে আমার প্রিয় ভাতিজা! তোমার উটগুলো তুমি নিয়ে যাও, তোমার গনিমতের ভাগ নয়, বরং এর পরিবর্তে (আখিরাতের সাওয়াব-ই) আমার কাম্য।
তখন আনসারদের মধ্য হতে জনৈক বৃদ্ধ বললঃ আমি তার গনিমতের মাল এভাবে হাসিল করব যে, আমি তাকে আমার সাথে বহণ করব এবং তাকে আমার খানাও খাওয়াব। আমি বললামঃ আমি এতে রাযী আছি। তিনি বললেনঃ তবে আস এবং আল্লাহর বরকতের উপর ভরসা করে রওয়ানা হও। রাবী বলেনঃ আমি অতি উত্তম সঙ্গীর সঙ্গে রওয়ানা হলাম, এমনকি আল্লাহ্ আমাকে মালে-গনিমত প্রদান করেন এবং কয়েকটি তেজী উট আমার ভাগে পড়ে। আমি সেগুলোকে তাড়িয়ে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হই।
তখন তিনি বেরিয়ে আসেন এবং তার উটের পালানোর শেষের দিকে আরোহণ করেন এবং বলেনঃ এ উটগুলোকে আমার দিকে পেঁছনে ফিরে হ্যাঁটাও। এরপর তিনি বলেনঃ এগুলোকে আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে হ্যাঁটাও, (যাতে উটের সামনের ও পেছনের দিক ভালভাবে দেখা যায়)। তখন তিনি বলেনঃ তোমার উটগুলো আমার কাছে উত্তম মনে হচ্ছে। রাবী বলেনঃ বরং এতো আপনারই মালে-গনিমত, যার ব্যাপারে আমি আপনার সঙ্গে শর্ত করেছিলাম। তিনি বললেনঃ হে আমার প্রিয় ভাতিজা! তোমার উটগুলো তুমি নিয়ে যাও, তোমার গনিমতের ভাগ নয়, বরং এর পরিবর্তে (আখিরাতের সাওয়াব-ই) আমার কাম্য।
باب فِي الرَّجُلِ يُكْرِي دَابَّتَهُ عَلَى النِّصْفِ أَوِ السَّهْمِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شُعَيْبٍ، أَخْبَرَنِي أَبُو زُرْعَةَ، يَحْيَى بْنُ أَبِي عَمْرٍو السَّيْبَانِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنْ وَاثِلَةَ بْنِ الأَسْقَعِ، قَالَ نَادَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ فَخَرَجْتُ إِلَى أَهْلِي فَأَقْبَلْتُ وَقَدْ خَرَجَ أَوَّلُ صَحَابَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَطَفِقْتُ فِي الْمَدِينَةِ أُنَادِي أَلاَ مَنْ يَحْمِلُ رَجُلاً لَهُ سَهْمُهُ فَنَادَى شَيْخٌ مِنَ الأَنْصَارِ قَالَ لَنَا سَهْمُهُ عَلَى أَنْ نَحْمِلَهُ عَقَبَةً وَطَعَامُهُ مَعَنَا قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ فَسِرْ عَلَى بَرَكَةِ اللَّهِ تَعَالَى . قَالَ فَخَرَجْتُ مَعَ خَيْرِ صَاحِبٍ حَتَّى أَفَاءَ اللَّهُ عَلَيْنَا فَأَصَابَنِي قَلاَئِصُ فَسُقْتُهُنَّ حَتَّى أَتَيْتُهُ فَخَرَجَ فَقَعَدَ عَلَى حَقِيبَةٍ مِنْ حَقَائِبِ إِبِلِهِ ثُمَّ قَالَ سُقْهُنَّ مُدْبِرَاتٍ . ثُمَّ قَالَ سُقْهُنَّ مُقْبِلاَتٍ . فَقَالَ مَا أَرَى قَلاَئِصَكَ إِلاَّ كِرَامًا - قَالَ - إِنَّمَا هِيَ غَنِيمَتُكَ الَّتِي شَرَطْتُ لَكَ . قَالَ خُذْ قَلاَئِصَكَ يَا ابْنَ أَخِي فَغَيْرَ سَهْمِكَ أَرَدْنَا .


বর্ণনাকারী: