মা'আরিফুল হাদীস
কিতাবুল আযকার ওয়াদ-দাওয়াত অধ্যায়
হাদীস নং: ৩০
কিতাবুল আযকার ওয়াদ-দাওয়াত অধ্যায়
কুরআন মজীদে উল্লেখিত আল্লাহর নিরানব্বইটি পবিত্র নাম
৩০. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, আল্লাহ তা'আলার এক কম একশ' অর্থাৎ নিরান্নব্বই নাম রয়েছে। যে ব্যক্তি তা মুখস্থ করলো এবং এগুলো খেয়াল রাখলো, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সে পবিত্র নামগুলোর বিবরণ নিম্নরূপ)
সেই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য বা ইবাদত লাভের যোগ্য পাত্র নেই। তিনি-
১. اَلرَّحْمٰنُ (আর রাহমান) পরম করুণাময়।
২. ُاَلرَّحِيْم (আর রাহীম) পরম দয়ালু।
৩. اَلْمَلِكُ (আল মালিকু) প্রকৃত বাদশাহ ও নিরঙ্কুশ শাসন ক্ষমতার অধিকারী।
৪. اَلْقُدُّوْسُ (আল কুদ্দুস) অত্যন্ত পবিত্র সত্তা।
৫. اَلسَّلَامُ (আস সালাম) যাঁর সত্তাগত গুণই হচ্ছে শান্তি।
৬. اَلْمُؤْمِنُ (আল মু'মিন) শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা।
৭. ُاَلْمُهَيْمِن (আল মুহাইমিন) পূর্ণ তত্ত্বাবধানকারী।
৮. اَلْعَزِيْزُ (আল আযীয) প্রবল প্রতাপের অধিকারী।
৯. اَلْجَبَّارُ (আল জাব্বার) দাপটের অধিকারী, গোটা সৃষ্টিকুল যাঁর অঙ্গুলি হেলনে চলে।
১০. اَلْمُتَكَبِّرُ (আল মুতাকাব্বির) অহংকারের প্রকৃত অধিকারী।
১১. اَلْخَالِقُ (আল খালিক) স্রষ্টা।
১২. ُاَلْبَارِئ (আল বারিউ) যথার্থভাবে সৃষ্টিকারী।
১৩. اَلْمُصَوِّرُ (আল মুসাব্বির) অবয়ব সৃষ্টিকারী কুশলী শিল্পী।
১৪. اَلْغَفَّارُ (আল গাফফার) পরম ক্ষমাশীল।
১৫. اَلْقَهَّارُ (আল কাহহার) সকলের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকারী, যাঁর সম্মুখে সকলেই অসহায় ও ক্ষমতাহীন।
১৬. اَلْوَهَّابُ (আল ওহ্হাব) প্রতিদান ব্যতিরেকেই প্রচুর পরিমাণে দানকারী।
১৭. اَلرَّزَّاقُ (আর রাজ্জাক) সকলকে জীবিকাদাতা।
১৮. اَلْفَتَّاحُ (আল ফাত্তাহ) সকলের জন্যে রহমত ও জীবিকার দরজা উন্মুক্তকারী।
১৯. اَلْعَلِیْمُ (আল আলীম) সবকিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
২০. اَلْقَابِضُ (আল কাবিয) সঙ্কীর্ণকারী।
২১. اَلْبَاسِطُ (আল বাসিত) প্রশস্তকারী অর্থাৎ তিনি তাঁর হিকমত ও ইচ্ছানুযায়ী কারো জন্যে কখনো সঙ্কীর্ণতা আবার কখনো প্রশস্ততা সৃষ্টি করেন।
২২. اَلْخَافِضُ (আল খাফিয) নীচুকারী।
২৩. اَلرَّافِعُ (আর রাফি) উঁচুকারী অর্থাৎ যাকে ইচ্ছা যখন ইচ্ছা উঁচু বা নীচু তিনিই করে থাকেন।
২৪. اَلْمُعِزُ (আল মুইয)- মর্যাদাদাতা।
২৫. اَلْمُذِلَّ (আল-মুযিল)- অমর্যাদাকারী, কাউকে সম্মানে ভূষিত করা বা অমর্যাদার অতলে ডুবিয়ে দেয়া তাঁরই ইচ্ছাধীন।
২৬. ُاَلسَّمِيْع (আস সামিউ) সম্যক শ্রোতা।
২৭. اَلْبَصِيْرُ (আল বাসিরু) সম্যক দ্রষ্টা।
২৮. اَلْحَكَمُ (আল হাকামু) প্রকৃত হাকিম।
২৯. اَلْعَدْلُ (আল আদল) সাক্ষাৎ আদল ও ইনসাফ।
৩০. اَللَّطِيْفُ (আল লতীফ) অনুগ্রহ ও দয়াদাক্ষিণ্য যাঁর সত্তাগত গুণ।
৩১. اَلْخَبِيْرُ (আল খাবীর) প্রতিটি ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিফহাল।
৩২. اَلْحَلِيْمُ (আল হালীম) পরম সহিষ্ণু।
৩৩. اَلْعَظِيْمُ (আল আযীম) অতি মাহাত্ম্যের অধিকারী মহামহিম।
৩৪. اَلْغَفُوْرُ (আল গাফুর) পরম ক্ষমাশীল।
৩৫. اَلشَّكُوْرُ (আশ শাকুর) সৎকার্যের কদরকারী ও উত্তম বিনিময়দাতা।
৩৬. اَلْعَلَيُّ (আল আলীয়্যু) সর্বোচ্চ সত্তা।
৩৭. اَلْكَبِيْرُ (আল কাবীরু) সব চাইতে বড় সত্তা।
৩৮. ُاَلْحَفِيْظ (আল হাফীযু) সকলের তত্ত্বাবধানকারী।
৩৯. اَلْمُقِيْتُ (আল মুকীতু) সকলকে জীবনোপকরণ সরবরাহকারী।
৪০. اَلْحَسِيْبُ (আল হাসীব) সবার জন্য যথেষ্ট সত্তা।
৪১. اَلْجَلَيْلُ (আল জলীল) মহা সম্মানী।
৪২. اَلْكَرِيْمُ (আল করীম) মহাবদান্যশীল।
৪৩. اَلرَّقِيْبُ (আর রাকীব) তত্ত্বাবধানকারী ও রক্ষক।
৪৪. اَلْمُجِيْبُ (আল মুজীব) কবুলকারী।
৪৫. اَلوَاسِعُ (আল ওয়াসিউ) বিপুল সত্তা, প্রশস্তকারী।
৪৬. اَلْحَكِيْمُ (আল হাকীম) মহাকুশলী।
৪৭. ُاَلْوَدُوْد (আল ওয়াদূদ) প্রেমময় সত্তা।
৪৮. اَلْمَجِيْدٌ (আল মজীদ) মহিমাময়।
৪৯. اَلْبَاعِثُ (আল বাইছু) পুনরুত্থানকারী- যিনি মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থান ঘটাবেন।
৫০. اَلشَّهِيْدُ (আশ শাহীদ) যিনি সবকিছু প্রত্যক্ষ করেন এবং শুনেন সেই পবিত্র সত্তা।
৫১. اَلْحَقُّ (আল হক) যাঁর সত্তা ও অস্তিত্ব হক।
৫২. اَلْوَكَيْلُ (আল ওয়াকীল) কর্ম বিধায়ক।
৫৩. اَلْقَوِيُّ (আল কাবিউ) মহা শক্তিমান।
৫৪. اَلْمَتِيْنُ (আল মাতীন) বলিষ্ঠ ও পরাক্রান্ত সত্তা।
৫৫. اَلْوَلِيُّ (আল ওয়ালী) পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী সত্তা।
৫৬. اَلْحَمِيْدُ (আল হামীদ) স্বনামধন্য ও প্রশংসিত সত্তা।
৫৭. اَلْمُحْصِيْ (আল মুহসী) সকল সৃষ্টি সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত ও সম্যক জ্ঞাত সত্তা।
৫৮. اَلْمُبْدِئُ (আল মুবদিউ) প্রথমবার অস্তিত্বদানকারী।
৫৯. اَلْمُعِيِدُ (আল মুইদু) পুনর্বার জীবনদাতা।
৬০. ْاَلْمُحْيِي (আল মুহঈ) জীবনদাতা।
৬১. اَلْمُمِيْتُ (আল মুমীত) মৃত্যুদাতা।
৬২. اَلْحَيُّ (আল হাইউ) চিরঞ্জীব।
৬৩. اَلْقَيُّوْمُ (আল কাইয়ূম) যিনি নিজে কায়েম থাকেন এবং সকল সৃষ্টিকে নিজ ইচ্ছা ও অভিরুচি মোতাবেক কায়েম রাখেন।
৬৪. اَلْوَاجِدُ (আল ওয়াজিদ) সবকিছুকে ধারণকারী।
৬৫. اَلْمَاجِدُ (আল মাজিদু) বুযুর্গী ও মাহাত্ম্যের অধিকারী।
৬৬. اَلْوَاحِدُ (আল ওয়াহিদু) একক সত্তা।
৬৭. اَلْاَحَدُ (আল আহাদু) নিজ গুণরাজীতে অনন্য।
৬৮. اَلصَّمَدُ (আস সামাদু) সেই মহান সত্তা, যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, অথচ সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
৬৯. اَلْقَدِيْرُ (আল কাদিরু) ক্ষমতাধর।
৭০. اَلْمُقْتَدِرُ (আল মুকতাদির) সকলের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতার অধিকারী।
৭১. اَلْمُقَدِّمُ (আল মুকাদ্দিমু) যাকে ইচ্ছা তিনি অগ্রসর করে দেন।
৭২. اَلْمُؤَخِّرُ (আল মুআখ্যিরু) যাকে ইচ্ছে পিছিয়ে দেন সেই সত্তা।
৭৩ اَلأَوَّلُ (আল আওয়ালু) অনাদি- অর্থাৎ যখন কেউ ছিল না তখনও তিনি ছিলেন আর
৭৪. اَلْآخِرُ (আল আখিরু) অনন্ত- যখন কেউ থাকবে না তখনও তিনি বিরাজমান থাকবেন।
৭৫. اَلظَّاهِرُ (আয যাহিরু) সম্পূর্ণ প্রকাশিত ও পূর্ণ বিকশিত সত্তা।
৭৬. اَلْبَاطَنُ (আল বাতিন) সম্পূর্ণ গোপন সত্তা।
৭৭. اَلْوَالِيْ (আল ওয়ালী) মালিক ও কর্মবিধায়ক।
৭৮. اَلْمُتَعَالِيْ (আল মুতা'আলী) সুউচ্চ মহান সত্তা।
৭৯. اَلْبَرُّ (আল বাররু) পরম এহসানকারী।
৮০. اَلتَّوَّابُ (আত তাওয়াবু) তাওবার তাওফীকদাতা ও তাওবা কবুলকারী।
৮১. اَلْمُنْتَقِمُ (আল মুনতাকিম) পাপীতাপীদের নিকট থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
৮২. اَلْعَفُوُّ (আল আফুউ) পরম ক্ষমাশীল ও মার্জনাকারী।
৮৩. اَلرَّؤُوْفُ (আর রাউফ) পরম সদয়।
৮৪. مَالِكُ الْمُلْكِ (মালিকুল মুলক) সারা জাহানের মালিক।
৮৫. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (যুল জালালি ওয়াল ইকরাম) প্রতিপত্তিশালী ও বদান্যশীল যার প্রতিপত্তির ভয় বান্দা পোষণ করে এবং বদান্যতার আশা রাখে।
৮৬. اَلْمُقْسِطُ (আল মুকসিতু) হকদারের হক আদায়কারী ন্যায়পরায়ণ সত্তা।
৮৭. اَلْجَامِعُ (আল জামিউ) সারা সৃষ্টি জগতকে কিয়ামতের দিন একত্রকারী।
৮৮. اَلْغَنِيُّ (আল গনী) নিজে অমুখাপেক্ষী।
৮৯. اَلْمُغْنِيْ (আল মুগনী) অন্যদেরকে যিনি অমুখাপেক্ষী করেছেন সেই সত্তা।
৯০. اَلْمَانِعُ (আল মানিউ) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী, যা রোধ করা উচিৎ।
৯১. اَلضَّارُّ (আদ দাররু) কারো ক্ষতিকারী
৯২. اَلنَّافِعُ (আন নাফিউ) কাউকে উপকারদাতা
৯৩. النُّوْرُ (আন নূর) জ্যোতি।
৯৪. ْاَلْهَادِي (আল হাদী) হিদায়াতকারী।
৯৫. اَلْبَدِيْعُ (আল বাদীউ) পূর্বের কোন নমুনা ব্যতিরেকেই অভূতপূর্ব সৃষ্টির স্রষ্টা।
৯৬. اَلْبَاقِيْ (আল বাকী) চিরন্তন সত্তা যিনি কোন দিন বিলীন হবেন না।
৯৭. اَلْوَارِثُ (আল ওয়ারিসু) সবকিছু ফানা হয়ে যাওয়ার পরও যিনি বিরাজমান থাকবেন সেই পবিত্র সত্তা।
৯৮. اَلرَّشِيْدُ (আর রশীদু) প্রজ্ঞাময় সত্তা, যাঁর প্রতিটি কাজই যথার্থ ও প্রজ্ঞাময়।
৯৯. اَلصَّبُوْرُ (আস সাবুরু) পরম ধৈর্যশীল, যিনি বান্দার চরম ঔদ্ধত্য ও না-ফরমানী স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেও সাথে সাথে শাস্তি দেন না বা পাকড়াও করেন না। (জামে তিরমিযী, বায়হাকীকৃত দাওয়াতে কাবীর)
সেই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য বা ইবাদত লাভের যোগ্য পাত্র নেই। তিনি-
১. اَلرَّحْمٰنُ (আর রাহমান) পরম করুণাময়।
২. ُاَلرَّحِيْم (আর রাহীম) পরম দয়ালু।
৩. اَلْمَلِكُ (আল মালিকু) প্রকৃত বাদশাহ ও নিরঙ্কুশ শাসন ক্ষমতার অধিকারী।
৪. اَلْقُدُّوْسُ (আল কুদ্দুস) অত্যন্ত পবিত্র সত্তা।
৫. اَلسَّلَامُ (আস সালাম) যাঁর সত্তাগত গুণই হচ্ছে শান্তি।
৬. اَلْمُؤْمِنُ (আল মু'মিন) শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা।
৭. ُاَلْمُهَيْمِن (আল মুহাইমিন) পূর্ণ তত্ত্বাবধানকারী।
৮. اَلْعَزِيْزُ (আল আযীয) প্রবল প্রতাপের অধিকারী।
৯. اَلْجَبَّارُ (আল জাব্বার) দাপটের অধিকারী, গোটা সৃষ্টিকুল যাঁর অঙ্গুলি হেলনে চলে।
১০. اَلْمُتَكَبِّرُ (আল মুতাকাব্বির) অহংকারের প্রকৃত অধিকারী।
১১. اَلْخَالِقُ (আল খালিক) স্রষ্টা।
১২. ُاَلْبَارِئ (আল বারিউ) যথার্থভাবে সৃষ্টিকারী।
১৩. اَلْمُصَوِّرُ (আল মুসাব্বির) অবয়ব সৃষ্টিকারী কুশলী শিল্পী।
১৪. اَلْغَفَّارُ (আল গাফফার) পরম ক্ষমাশীল।
১৫. اَلْقَهَّارُ (আল কাহহার) সকলের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকারী, যাঁর সম্মুখে সকলেই অসহায় ও ক্ষমতাহীন।
১৬. اَلْوَهَّابُ (আল ওহ্হাব) প্রতিদান ব্যতিরেকেই প্রচুর পরিমাণে দানকারী।
১৭. اَلرَّزَّاقُ (আর রাজ্জাক) সকলকে জীবিকাদাতা।
১৮. اَلْفَتَّاحُ (আল ফাত্তাহ) সকলের জন্যে রহমত ও জীবিকার দরজা উন্মুক্তকারী।
১৯. اَلْعَلِیْمُ (আল আলীম) সবকিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত।
২০. اَلْقَابِضُ (আল কাবিয) সঙ্কীর্ণকারী।
২১. اَلْبَاسِطُ (আল বাসিত) প্রশস্তকারী অর্থাৎ তিনি তাঁর হিকমত ও ইচ্ছানুযায়ী কারো জন্যে কখনো সঙ্কীর্ণতা আবার কখনো প্রশস্ততা সৃষ্টি করেন।
২২. اَلْخَافِضُ (আল খাফিয) নীচুকারী।
২৩. اَلرَّافِعُ (আর রাফি) উঁচুকারী অর্থাৎ যাকে ইচ্ছা যখন ইচ্ছা উঁচু বা নীচু তিনিই করে থাকেন।
২৪. اَلْمُعِزُ (আল মুইয)- মর্যাদাদাতা।
২৫. اَلْمُذِلَّ (আল-মুযিল)- অমর্যাদাকারী, কাউকে সম্মানে ভূষিত করা বা অমর্যাদার অতলে ডুবিয়ে দেয়া তাঁরই ইচ্ছাধীন।
২৬. ُاَلسَّمِيْع (আস সামিউ) সম্যক শ্রোতা।
২৭. اَلْبَصِيْرُ (আল বাসিরু) সম্যক দ্রষ্টা।
২৮. اَلْحَكَمُ (আল হাকামু) প্রকৃত হাকিম।
২৯. اَلْعَدْلُ (আল আদল) সাক্ষাৎ আদল ও ইনসাফ।
৩০. اَللَّطِيْفُ (আল লতীফ) অনুগ্রহ ও দয়াদাক্ষিণ্য যাঁর সত্তাগত গুণ।
৩১. اَلْخَبِيْرُ (আল খাবীর) প্রতিটি ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিফহাল।
৩২. اَلْحَلِيْمُ (আল হালীম) পরম সহিষ্ণু।
৩৩. اَلْعَظِيْمُ (আল আযীম) অতি মাহাত্ম্যের অধিকারী মহামহিম।
৩৪. اَلْغَفُوْرُ (আল গাফুর) পরম ক্ষমাশীল।
৩৫. اَلشَّكُوْرُ (আশ শাকুর) সৎকার্যের কদরকারী ও উত্তম বিনিময়দাতা।
৩৬. اَلْعَلَيُّ (আল আলীয়্যু) সর্বোচ্চ সত্তা।
৩৭. اَلْكَبِيْرُ (আল কাবীরু) সব চাইতে বড় সত্তা।
৩৮. ُاَلْحَفِيْظ (আল হাফীযু) সকলের তত্ত্বাবধানকারী।
৩৯. اَلْمُقِيْتُ (আল মুকীতু) সকলকে জীবনোপকরণ সরবরাহকারী।
৪০. اَلْحَسِيْبُ (আল হাসীব) সবার জন্য যথেষ্ট সত্তা।
৪১. اَلْجَلَيْلُ (আল জলীল) মহা সম্মানী।
৪২. اَلْكَرِيْمُ (আল করীম) মহাবদান্যশীল।
৪৩. اَلرَّقِيْبُ (আর রাকীব) তত্ত্বাবধানকারী ও রক্ষক।
৪৪. اَلْمُجِيْبُ (আল মুজীব) কবুলকারী।
৪৫. اَلوَاسِعُ (আল ওয়াসিউ) বিপুল সত্তা, প্রশস্তকারী।
৪৬. اَلْحَكِيْمُ (আল হাকীম) মহাকুশলী।
৪৭. ُاَلْوَدُوْد (আল ওয়াদূদ) প্রেমময় সত্তা।
৪৮. اَلْمَجِيْدٌ (আল মজীদ) মহিমাময়।
৪৯. اَلْبَاعِثُ (আল বাইছু) পুনরুত্থানকারী- যিনি মৃত্যুর পর মৃত ব্যক্তিদের পুনরুত্থান ঘটাবেন।
৫০. اَلشَّهِيْدُ (আশ শাহীদ) যিনি সবকিছু প্রত্যক্ষ করেন এবং শুনেন সেই পবিত্র সত্তা।
৫১. اَلْحَقُّ (আল হক) যাঁর সত্তা ও অস্তিত্ব হক।
৫২. اَلْوَكَيْلُ (আল ওয়াকীল) কর্ম বিধায়ক।
৫৩. اَلْقَوِيُّ (আল কাবিউ) মহা শক্তিমান।
৫৪. اَلْمَتِيْنُ (আল মাতীন) বলিষ্ঠ ও পরাক্রান্ত সত্তা।
৫৫. اَلْوَلِيُّ (আল ওয়ালী) পৃষ্ঠপোষক ও সাহায্যকারী সত্তা।
৫৬. اَلْحَمِيْدُ (আল হামীদ) স্বনামধন্য ও প্রশংসিত সত্তা।
৫৭. اَلْمُحْصِيْ (আল মুহসী) সকল সৃষ্টি সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত ও সম্যক জ্ঞাত সত্তা।
৫৮. اَلْمُبْدِئُ (আল মুবদিউ) প্রথমবার অস্তিত্বদানকারী।
৫৯. اَلْمُعِيِدُ (আল মুইদু) পুনর্বার জীবনদাতা।
৬০. ْاَلْمُحْيِي (আল মুহঈ) জীবনদাতা।
৬১. اَلْمُمِيْتُ (আল মুমীত) মৃত্যুদাতা।
৬২. اَلْحَيُّ (আল হাইউ) চিরঞ্জীব।
৬৩. اَلْقَيُّوْمُ (আল কাইয়ূম) যিনি নিজে কায়েম থাকেন এবং সকল সৃষ্টিকে নিজ ইচ্ছা ও অভিরুচি মোতাবেক কায়েম রাখেন।
৬৪. اَلْوَاجِدُ (আল ওয়াজিদ) সবকিছুকে ধারণকারী।
৬৫. اَلْمَاجِدُ (আল মাজিদু) বুযুর্গী ও মাহাত্ম্যের অধিকারী।
৬৬. اَلْوَاحِدُ (আল ওয়াহিদু) একক সত্তা।
৬৭. اَلْاَحَدُ (আল আহাদু) নিজ গুণরাজীতে অনন্য।
৬৮. اَلصَّمَدُ (আস সামাদু) সেই মহান সত্তা, যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন, অথচ সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
৬৯. اَلْقَدِيْرُ (আল কাদিরু) ক্ষমতাধর।
৭০. اَلْمُقْتَدِرُ (আল মুকতাদির) সকলের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতার অধিকারী।
৭১. اَلْمُقَدِّمُ (আল মুকাদ্দিমু) যাকে ইচ্ছা তিনি অগ্রসর করে দেন।
৭২. اَلْمُؤَخِّرُ (আল মুআখ্যিরু) যাকে ইচ্ছে পিছিয়ে দেন সেই সত্তা।
৭৩ اَلأَوَّلُ (আল আওয়ালু) অনাদি- অর্থাৎ যখন কেউ ছিল না তখনও তিনি ছিলেন আর
৭৪. اَلْآخِرُ (আল আখিরু) অনন্ত- যখন কেউ থাকবে না তখনও তিনি বিরাজমান থাকবেন।
৭৫. اَلظَّاهِرُ (আয যাহিরু) সম্পূর্ণ প্রকাশিত ও পূর্ণ বিকশিত সত্তা।
৭৬. اَلْبَاطَنُ (আল বাতিন) সম্পূর্ণ গোপন সত্তা।
৭৭. اَلْوَالِيْ (আল ওয়ালী) মালিক ও কর্মবিধায়ক।
৭৮. اَلْمُتَعَالِيْ (আল মুতা'আলী) সুউচ্চ মহান সত্তা।
৭৯. اَلْبَرُّ (আল বাররু) পরম এহসানকারী।
৮০. اَلتَّوَّابُ (আত তাওয়াবু) তাওবার তাওফীকদাতা ও তাওবা কবুলকারী।
৮১. اَلْمُنْتَقِمُ (আল মুনতাকিম) পাপীতাপীদের নিকট থেকে প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
৮২. اَلْعَفُوُّ (আল আফুউ) পরম ক্ষমাশীল ও মার্জনাকারী।
৮৩. اَلرَّؤُوْفُ (আর রাউফ) পরম সদয়।
৮৪. مَالِكُ الْمُلْكِ (মালিকুল মুলক) সারা জাহানের মালিক।
৮৫. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (যুল জালালি ওয়াল ইকরাম) প্রতিপত্তিশালী ও বদান্যশীল যার প্রতিপত্তির ভয় বান্দা পোষণ করে এবং বদান্যতার আশা রাখে।
৮৬. اَلْمُقْسِطُ (আল মুকসিতু) হকদারের হক আদায়কারী ন্যায়পরায়ণ সত্তা।
৮৭. اَلْجَامِعُ (আল জামিউ) সারা সৃষ্টি জগতকে কিয়ামতের দিন একত্রকারী।
৮৮. اَلْغَنِيُّ (আল গনী) নিজে অমুখাপেক্ষী।
৮৯. اَلْمُغْنِيْ (আল মুগনী) অন্যদেরকে যিনি অমুখাপেক্ষী করেছেন সেই সত্তা।
৯০. اَلْمَانِعُ (আল মানিউ) প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী, যা রোধ করা উচিৎ।
৯১. اَلضَّارُّ (আদ দাররু) কারো ক্ষতিকারী
৯২. اَلنَّافِعُ (আন নাফিউ) কাউকে উপকারদাতা
৯৩. النُّوْرُ (আন নূর) জ্যোতি।
৯৪. ْاَلْهَادِي (আল হাদী) হিদায়াতকারী।
৯৫. اَلْبَدِيْعُ (আল বাদীউ) পূর্বের কোন নমুনা ব্যতিরেকেই অভূতপূর্ব সৃষ্টির স্রষ্টা।
৯৬. اَلْبَاقِيْ (আল বাকী) চিরন্তন সত্তা যিনি কোন দিন বিলীন হবেন না।
৯৭. اَلْوَارِثُ (আল ওয়ারিসু) সবকিছু ফানা হয়ে যাওয়ার পরও যিনি বিরাজমান থাকবেন সেই পবিত্র সত্তা।
৯৮. اَلرَّشِيْدُ (আর রশীদু) প্রজ্ঞাময় সত্তা, যাঁর প্রতিটি কাজই যথার্থ ও প্রজ্ঞাময়।
৯৯. اَلصَّبُوْرُ (আস সাবুরু) পরম ধৈর্যশীল, যিনি বান্দার চরম ঔদ্ধত্য ও না-ফরমানী স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেও সাথে সাথে শাস্তি দেন না বা পাকড়াও করেন না। (জামে তিরমিযী, বায়হাকীকৃত দাওয়াতে কাবীর)
کتاب الاذکار والدعوات
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ لِلَّهِ تَعَالَى تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا، مِائَةً إِلَّا وَاحِدَةً مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ هُوَ اللَّهُ الَّذِي لا إِلَهَ إِلا هُوَ الرَّحْمَنُ، الرَّحِيمُ، الْمَلِكُ، الْقُدُّوسُ، السَّلامُ، الْمُؤْمِنُ، الْمُهَيْمِنُ، الْعَزِيزُ، الْجَبَّارُ، الْمُتَكَبِّرُ، الْخَالِقُ، الْبَارِئُ، الْمُصَوِّرُ، الْغَفَّارُ، الْقَهَّارُ، الْوَهَّابُ، الرَّزَّاقُ، الْفَتَّاحُ، الْعَلِيمُ، الْقَابِضُ، الْبَاسِطُ، الْخَافِضُ، الرَّافِعُ، الْمُعِزُّ، الْمُذِلُّ، السَّمِيعُ، الْبَصِيرُ، الْحَكَمُ، الْعَدْلُ، اللَّطِيفُ، الْخَبِيرُ، الْحَلِيمُ، الْعَظِيمُ، الْغَفُورُ، الشَّكُورُ، الْعَلِيُّ، الْكَبِيرُ، الْحَفِيظُ، الْمُقِيتُ، الْحَسِيبُ، الْجَلِيلُ، الْكَرِيمُ، الرَّقِيبُ، الْمُجِيبُ، الْوَاسِعُ، الْحَكِيمُ، الْوَدُودُ، الْمَجِيدُ، الْبَاعِثُ، الشَّهِيدُ، الْحَقُّ، الْوَكِيلُ، الْقَوِيُّ، الْمَتِينُ، الْوَلِيُّ، الْحَمِيدُ، الْمُحْصِي، الْمُبْدِئُ، الْمُعِيدُ، الْمُحْيِي، الْمُمِيتُ، الْحَيُّ، الْقَيُّومُ، الْوَاجِدُ، الْمَاجِدُ، الْوَاحِدُ، الصَّمَدُ، الْقَادِرُ، الْمُقْتَدِرُ، الْمُقَدِّمُ، الْمُؤَخِّرُ، الأَوَّلُ، الآخِرُ، الظَّاهِرُ، الْبَاطِنُ، الْوَالِي، الْمُتَعَالِي، الْبَرُّ، التَّوَّابُ، الْمُنْتَقِمُ، الْعَفُوُّ، الرَّءُوفُ، مَالِكُ الْمُلْكِ، ذُو الْجَلالِ وَالإِكْرَامِ، الْمُقْسِطُ، الْجَامِعُ، الْغَنِيُّ، الْمُغْنِي، الْمَانِعُ، الضَّارُّ، النَّافِعُ، النُّورُ، الْهَادِي، الْبَدِيعُ، الْبَاقِي، الْوَارِثُ، الرَّشِيدُ، الصَّبُورُ. (رواه الترمذى والبيهقى فى الدعوات الكبير)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) এর হাদীসের শুরুর অংশ হুবহু তাই, যা সহীহ্ বুখারী ও সহীহ্ মুসলিমের বরাতে একটু আগেই বর্ণিত হয়েছে। অবশ্য এ হাদীসে নিরানব্বইটি পূত নাম বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে- যা বুখারী মুসলিমের রিওয়ায়াতে নাই। এ জন্যে কোন কোন মুহাদ্দিস ও ভাষ্যকারের অভিমত হচ্ছে এই যে, মারফু' হাদীস যা রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর উক্তি শুধু ততটুকুই, যা সহীহ্ কিতাবদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে অর্থাৎ
إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةَ وَتِسْعِيْنَ إِسْمًا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ.
"আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি নাম এক কম এক শ'-যে ব্যক্তি তা কণ্ঠস্থ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" আর তিরমিযীর এ রিওয়ায়াতে এবং অনুরূপভাবে ইবনে মাজা ও হাকিম প্রমুখের রিওয়ায়াতে যে নিরান্নব্বই নাম বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে, তা মহানবীর বাণী নয়, বরং আবু হুরায়রা (রা)-এর কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শাগরিদ তা হাদীসের ব্যাখ্যা স্বরূপ কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত আল্লাহ তা'আলার পবিত্র নামগুলিও বর্ণনা করে দিয়েছেন। মুহাদ্দিসীনদের পরিভাষায় এ আসমাউল হুসনাগুলো মুদরাজ (مدرج), এরূপ মনে করার একটি সঙ্গত কারণ এই যে, তিরমিযী, ইবনে মাজা ও হাকিমের বর্ণনায় নিরানব্বইটি পবিত্র নামের যে বিবরণ বর্ণিত হয়েছে, তাতে যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যদি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ এ নামগুলো বলে দিতেন তাহলে তাতে এত ফারাক থাকাটা ছিল অসম্ভব ব্যাপার।
যাই হোক, এতো হলো হাদীস শাস্ত্র এবং এর রিওয়ায়াত 'সংক্রান্ত আলোচনা। কিন্তু এ ব্যাপারে সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেন যে, তিরমিযীর উপরোক্ত বর্ণনায় এবং অনুরূপ ইবনে মাজা প্রমুখের রিওয়ায়াতে বর্ণিত ৯৯টি পবিত্র নাম কুরআন মজীদ ও হাদীস থেকেই নেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ নিরানব্বইটি নাম মুখস্থ করার বিনিময়ে যে সুসংবাদ শুনিয়েছেন সে সুসংবাদের অবশ্যই তাঁরা যোগ্য বিবেচিত হবে যারা বিশুদ্ধ চিত্তে ভক্তি সহকারে আসমাউল হুসনা মুখস্থ করবেন এবং এগুলির মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করবেন। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ (র) তার কারণ ও রহস্য সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে লিখেন: আল্লাহ তা'আলার কামালিয়তের যে গুণাবলী তাঁর জন্যে সাব্যস্ত করা বা যে সমস্ত অপূর্ণতা থেকে তাঁর সত্তাকে মুক্ত প্রতিপন্ন করা চাই, উপরোক্ত আসমাউল হুসনায় তার সবকটিই এসে যায়। এ হিসাবে এ আসমাউল হুসনা আল্লাহ তা'আলার মা'রিফতের পরিপূর্ণ নিসাব বা কোর্স বিশেষ। আর এজন্যে সামগ্রিকভাবে এগুলোর মধ্যে অসাধারণ বরকত রয়েছে এবং ঊর্ধ্বজগতে এর বিরাট কবুলিয়ত রয়েছে। যখন কোন বান্দার আমলনামায় এ আসমাউল হুসনা লিপিবদ্ধ থাকে, তখন তা আল্লাহর রহমতের ফয়সালার হেতু হয়ে যাবে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
তিরমিযী শরীফের উক্ত রিওয়ায়াতে বর্ণিত ৯৯টি নামের দুই তৃতীয়াংশ কুরআন শরীফে এবং অবশিষ্ট নামগুলি বিভিন্ন হাদীসে উল্লিখিত হয়েছে।
হযরত জা'ফর সাদিক প্রমুখ বুযুর্গান যে দাবি করেছেন যে, আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি নাম কুরআন মজীদেই রয়েছে, সেগুলি একটু পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে এবং এগুলির ব্যাপারে 'হাফিয ইবনে হাজারের সর্বশেষ গবেষণার বরাতও দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু কুরআন শরীফ থেকেই ঐ নিরানব্বইটি পবিত্র নাম খুঁজে বের করেছেন। কুরআন শরীফে এসব নাম অবিকল এভাবেই মওজুদ রয়েছে।
সেই সব মুহাদ্দিসীন ও ভাষ্যকারগণের উপরোক্ত অভিমত যদি মেনে নেয়া হয় যে, উপরোক্ত রিওয়ায়াতে আসমাউল হুসনা রূপে যে পবিত্র নামগুলি বর্ণিত হয়েছে, তা হাদীসে মরফু (مرفوع)-এর অংশ নয়, বরং কোন রাবীর পক্ষ থেকে মুদরাজ বা পরিবর্ধিত অংশ বিশেষ অর্থাৎ হাদীছের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে কেউ এ বিশদ বিবরণটিও জুড়ে দিয়েছেন-যা কুরআন ও হাদীসে পাওয়া যায়, তা হলে হাফিয ইবনে হাজার কর্তৃক পেশকৃত ফিরিস্তিই অগ্রগণ্য হওয়া উচিত। কেননা, তাঁর উল্লেখ করা পবিত্র নামগুলো হুবহু কুরআন মজীদ থেকে নেয়া-নিজে এগুলোর মধ্যে তিনি কোনরূপ হস্তক্ষেপ করেননি। আমরা নিচে 'ফাৎহুল বারী' থেকে তাঁর প্রদত্ত সেই ফিরিস্তিটি উদ্ধৃত করছি। তিনি আল্লাহর আসল নাম আল্লাহকেও ঐ নিরানব্বই নামের মধ্যে গণনা করেছেন। বরং ঐ পবিত্র নাম দিয়েই তিনি তাঁর ফিরিস্তি শুরু করেছেন।
কুরআন মজীদে উল্লেখিত আল্লাহর নিরানব্বইটি পবিত্র নাম
১. اَللّٰهُ (আল্লাহ)
২. اَلرَّحْمٰنُ (আর রাহমান)
৩: ُاَلرَّحِيْم (আর রাহীম)
৪. اَلْمَلِكُ (আল মালিকু)
৫. اَلْقُدُّوْسُ (আল কুদ্দুস)
৬. اَلسَّلَامُ (আস সালাম)
৭. اَلْمُؤْمِنُ (আল মু'মিন)
৮. ُاَلْمُهَيْمِن (আল মুহাইমিন)
৯. اَلْعَزِيْزُ (আল আযীয)
১০. اَلْجَبَّارُ (আল জাব্বার)
১১. اَلْمُتَكَبِّرُ (আল মুতাকাব্বির)
১২. اَلْخَالِقُ (আল খালিক)
১৩. اَلْبَارِئُ (আল বারিউ)
১৪. اَلْمُصَوِّرُ (আল মুসাব্বির)
১৫. اَلْغَفَّارُ (আল গাফফার)
১৬. اَلْقَهَّارُ (আল কাহ্হার)
১৭. اَلتَّوَّابُ (আ-তাওয়াবু)
১৮. اَلْوَهَّابُ (আল-ওহ্হাবু)
১৯. اَلْفَتَّاحُ (আল খাল্লাকু)
২০. اَلْعَلَيْمُ (আল আলীম)
২১. اَلْقَابِضُ (আল কাবিয)
২২. اَلْبَاسِطُ (আল বাসিত)
২৩. اَلْخَافِضُ (আল খাফি)
২৪. الرَّافِعُ (আর রাফি)
২৫. اَلْمُعِزُّ (আল মুইয)
২৬. اَلْمُذِلَّ (আল-মুযিল)
২৭ ُاَلسَّمِيْع (আস সামিউ)
২৮. اَلْبَصِيْرُ (আল বাসিরু)
২৯. اَلْحَكَمُ (আল হাকামু)
৩০. اَلْعَدْلُ (আল আদল)
৩১. اَللَّطِيْفُ (আল লতীফ)
৩২. اَلْخَبِيْرُ (আল খাবীর)
৩৩. اَلْحَلِيْمُ (আল হালীম)
৩৪. اَلْعَظِيْمُ (আল আযীম)
৩৫. اَلْغَفُوْرُ (আল গাফুর)
৩৬. اَلشَّكُوْرُ (আশ শাকুর)
৩৭. اَلْعَلَيُّ (আল আলীয়্যূ)
৩৮. اَلْكَبِيْرُ (আল কাবীরু)
৩৯. اَلْحَفِيْظُ (আল হাফীযু)
৪০. اَلْمُقِيْتُ (আল মুকীতু)
৪১. اَلْحَسِيْبُ (আল হাসীব)
৪২ اَلْجَلِيْلُ (আল জালীল)
৪৩. اَلْكَرِيْمُ (আল কারীম)
৪৪. اَلرَّقِيْبُ (আর রাকীব)
৪৫ اَلْمُجِيْبُ (আল মুজীব)
৪৬. اَلْوَاسِعُ (আল ওয়াসিউ)
৪৭ اَلْحَكِيْمُ (আল হাকীম)
৪৮. اَلْوَدُوْدُ (আল ওদূদ)
৪৯. اَلْمَجِيْدٌ (আল মজীদ)
৫০. اَلْبَائِثُ (আল বাইসু)
৫১. اَلشَّهِيْدُ (আশ শাহীদ)
৫২. اَلْحَقُّ (আল হক)
৫৩. اَلْوَكِيْلُ (আল ওকীল)
৫৪. أَلْقَوِيُّ (আল কভী)
৫৫. اَلْمَتِيْنُ (আল মতীন)
৫৬. اَلْوَلِيُّ (আল ওলী)
৫৭. اَلْحَمِيْدُ (আল হামীদ)
৫৮. اَلْمُحْصَيْ (আল মুহসী)
৫৯. اَلْمُبْدِئُ (আল মুবদিউ)
৬০. اَلْمُعِيدُ (আল মুইদ)
৬১ اَلْمُحْيِى (আল মুহঈ)
৬২. اَلْمُمِيْتُ (আল মুমীত)
৬৩. اَلْحَيُّ (আল হাইউ)
৬৪. أَلْقَيُّوْمُ (আল কাইয়্যূম)
৬৫. اَلْوَاجِدُ (আল ওয়াজিদ)
৬৬ الْمَجِيْدُ (আল মাজিদু)
৬৭. اَلْوَاحِدُ (আল ওয়াহিদু)
৬৮. اَلْاَحَدُ (আল আহাদ)
৬৯. اَلصَّمَدُ (আস সামাদ)
৭০. اَلْقَدِيْرُ (আল কাদির)
৭১. اَلْمُقْتَدِرُ (আল মুকতাদির)
৭২. الْمُقَدِّمُ (আল মুকাদ্দিম)
৭৩. اَلْمُؤَخِّرُ (আল মুআখ্যির)
৭৪. اَلْاَوَّلُ (আল আওয়াল)
৭৫. اَلْآخِرُ (আল আখিরু)
৭৬. اَلظَّاهِرُ (আয যাহিরু)
৭৭. اَلْبَاطِنُ (আল বাতিন)
৭৮. اَلْوَالِيُ (আল ওয়ালী)
৭৯. اَلْمُتَعَالِى (আল মুতাআলী)
৮০. اَلْبَرُّ (আল বাররু)
৮১. اَلتَّوَّابُ (আত তাওয়াব)
৮২. الْمُنْتَقِمُ (আল মুনতাকিম)
৮৩. ُّاَلْعَفُو (আল আফুউ)
৮৪.. اَلرَّؤُوفُ (আর রাউফ)
৮৫. مَلِكُ الْمُلْكِ (মালিকুল মুলক)
৮৬. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (যুল জালালি ওয়াল ইকরাম)
৮৭. اَلْمُقْسِطُ (আল মুকসিত)
৮৮. اَلْجَامِعُ (আল জামিউ)
৮৯. اَلْغَنِيُّ (আল গনী)
৯০. اَلْمُغْنِي (আল মুগনী)
৯১. اَلْمَانِعُ (আল মানি)
৯২. اَلضَّارُّ (আদ দার)
৯৩ اَلنَّافِعُ (আন নাফিউ)
৯৪. اَلنُّوْرُ (আন নূর)
৯৫. أَلْهَادِي (আল হাদী)
৯৬. اَلْبَدِيعُ (আল বাদীউ)
৯৭. اَلْبَاقِي (আল বাকী)
৯৮. اَلْوَارِثُ (আল ওয়ারিসু)
৯৯. اَلرَّشِيْدُ (আর রশীদ)
১০০. الصَّبُوْرُ (আস সাবুর)
( فتح البارى جز ٢٦ : ٨٣)
(আস-সামাদ-আল্লাযী লাম য়ালিদ ওয়ালাম য়ূলাদ ওলাম য়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ) (ফতহুল বারী ২৬ পারা পৃষ্ঠা-৮৩)
তিরমিযীর রিওয়ায়াতে উল্লিখিত এবং কুরআন মজীদ থেকে হাফিয ইবনে হাজার কর্তৃক সংকলিত নিরানব্বই আসমাউল হুসনা বা পবিত্র নামের প্রত্যেকটিই মা'রিফাতে ইলাহীর এক একটি দরজা স্বরূপ। উলামায়ে কিরাম বিভিন্ন যুগে এ পবিত্র নাম সমূহের ব্যাখ্যা সম্বলিত কিতাবদি রচনা করেছেন। কঠিন কঠিন সমস্যার সময় এগুলোর মাধ্যমে দু'আ করা আল্লাহওয়ালা বুযুর্গগণের চিরাচরিত অভ্যাস। এটি দু'আ কবুলের একটি পরীক্ষিত পন্থা।
إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةَ وَتِسْعِيْنَ إِسْمًا مِائَةً إِلَّا وَاحِدًا مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ.
"আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি নাম এক কম এক শ'-যে ব্যক্তি তা কণ্ঠস্থ করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।" আর তিরমিযীর এ রিওয়ায়াতে এবং অনুরূপভাবে ইবনে মাজা ও হাকিম প্রমুখের রিওয়ায়াতে যে নিরান্নব্বই নাম বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে, তা মহানবীর বাণী নয়, বরং আবু হুরায়রা (রা)-এর কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শাগরিদ তা হাদীসের ব্যাখ্যা স্বরূপ কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত আল্লাহ তা'আলার পবিত্র নামগুলিও বর্ণনা করে দিয়েছেন। মুহাদ্দিসীনদের পরিভাষায় এ আসমাউল হুসনাগুলো মুদরাজ (مدرج), এরূপ মনে করার একটি সঙ্গত কারণ এই যে, তিরমিযী, ইবনে মাজা ও হাকিমের বর্ণনায় নিরানব্বইটি পবিত্র নামের যে বিবরণ বর্ণিত হয়েছে, তাতে যথেষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যদি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ ﷺ এ নামগুলো বলে দিতেন তাহলে তাতে এত ফারাক থাকাটা ছিল অসম্ভব ব্যাপার।
যাই হোক, এতো হলো হাদীস শাস্ত্র এবং এর রিওয়ায়াত 'সংক্রান্ত আলোচনা। কিন্তু এ ব্যাপারে সকলেই ঐকমত্য পোষণ করেন যে, তিরমিযীর উপরোক্ত বর্ণনায় এবং অনুরূপ ইবনে মাজা প্রমুখের রিওয়ায়াতে বর্ণিত ৯৯টি পবিত্র নাম কুরআন মজীদ ও হাদীস থেকেই নেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ নিরানব্বইটি নাম মুখস্থ করার বিনিময়ে যে সুসংবাদ শুনিয়েছেন সে সুসংবাদের অবশ্যই তাঁরা যোগ্য বিবেচিত হবে যারা বিশুদ্ধ চিত্তে ভক্তি সহকারে আসমাউল হুসনা মুখস্থ করবেন এবং এগুলির মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করবেন। হযরত শাহ ওয়ালীউল্লাহ (র) তার কারণ ও রহস্য সম্পর্কে আলোকপাত করতে গিয়ে লিখেন: আল্লাহ তা'আলার কামালিয়তের যে গুণাবলী তাঁর জন্যে সাব্যস্ত করা বা যে সমস্ত অপূর্ণতা থেকে তাঁর সত্তাকে মুক্ত প্রতিপন্ন করা চাই, উপরোক্ত আসমাউল হুসনায় তার সবকটিই এসে যায়। এ হিসাবে এ আসমাউল হুসনা আল্লাহ তা'আলার মা'রিফতের পরিপূর্ণ নিসাব বা কোর্স বিশেষ। আর এজন্যে সামগ্রিকভাবে এগুলোর মধ্যে অসাধারণ বরকত রয়েছে এবং ঊর্ধ্বজগতে এর বিরাট কবুলিয়ত রয়েছে। যখন কোন বান্দার আমলনামায় এ আসমাউল হুসনা লিপিবদ্ধ থাকে, তখন তা আল্লাহর রহমতের ফয়সালার হেতু হয়ে যাবে। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।
তিরমিযী শরীফের উক্ত রিওয়ায়াতে বর্ণিত ৯৯টি নামের দুই তৃতীয়াংশ কুরআন শরীফে এবং অবশিষ্ট নামগুলি বিভিন্ন হাদীসে উল্লিখিত হয়েছে।
হযরত জা'ফর সাদিক প্রমুখ বুযুর্গান যে দাবি করেছেন যে, আল্লাহ তা'আলার নিরানব্বইটি নাম কুরআন মজীদেই রয়েছে, সেগুলি একটু পূর্বেই উল্লিখিত হয়েছে এবং এগুলির ব্যাপারে 'হাফিয ইবনে হাজারের সর্বশেষ গবেষণার বরাতও দেওয়া হয়েছে। তিনি শুধু কুরআন শরীফ থেকেই ঐ নিরানব্বইটি পবিত্র নাম খুঁজে বের করেছেন। কুরআন শরীফে এসব নাম অবিকল এভাবেই মওজুদ রয়েছে।
সেই সব মুহাদ্দিসীন ও ভাষ্যকারগণের উপরোক্ত অভিমত যদি মেনে নেয়া হয় যে, উপরোক্ত রিওয়ায়াতে আসমাউল হুসনা রূপে যে পবিত্র নামগুলি বর্ণিত হয়েছে, তা হাদীসে মরফু (مرفوع)-এর অংশ নয়, বরং কোন রাবীর পক্ষ থেকে মুদরাজ বা পরিবর্ধিত অংশ বিশেষ অর্থাৎ হাদীছের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে কেউ এ বিশদ বিবরণটিও জুড়ে দিয়েছেন-যা কুরআন ও হাদীসে পাওয়া যায়, তা হলে হাফিয ইবনে হাজার কর্তৃক পেশকৃত ফিরিস্তিই অগ্রগণ্য হওয়া উচিত। কেননা, তাঁর উল্লেখ করা পবিত্র নামগুলো হুবহু কুরআন মজীদ থেকে নেয়া-নিজে এগুলোর মধ্যে তিনি কোনরূপ হস্তক্ষেপ করেননি। আমরা নিচে 'ফাৎহুল বারী' থেকে তাঁর প্রদত্ত সেই ফিরিস্তিটি উদ্ধৃত করছি। তিনি আল্লাহর আসল নাম আল্লাহকেও ঐ নিরানব্বই নামের মধ্যে গণনা করেছেন। বরং ঐ পবিত্র নাম দিয়েই তিনি তাঁর ফিরিস্তি শুরু করেছেন।
কুরআন মজীদে উল্লেখিত আল্লাহর নিরানব্বইটি পবিত্র নাম
১. اَللّٰهُ (আল্লাহ)
২. اَلرَّحْمٰنُ (আর রাহমান)
৩: ُاَلرَّحِيْم (আর রাহীম)
৪. اَلْمَلِكُ (আল মালিকু)
৫. اَلْقُدُّوْسُ (আল কুদ্দুস)
৬. اَلسَّلَامُ (আস সালাম)
৭. اَلْمُؤْمِنُ (আল মু'মিন)
৮. ُاَلْمُهَيْمِن (আল মুহাইমিন)
৯. اَلْعَزِيْزُ (আল আযীয)
১০. اَلْجَبَّارُ (আল জাব্বার)
১১. اَلْمُتَكَبِّرُ (আল মুতাকাব্বির)
১২. اَلْخَالِقُ (আল খালিক)
১৩. اَلْبَارِئُ (আল বারিউ)
১৪. اَلْمُصَوِّرُ (আল মুসাব্বির)
১৫. اَلْغَفَّارُ (আল গাফফার)
১৬. اَلْقَهَّارُ (আল কাহ্হার)
১৭. اَلتَّوَّابُ (আ-তাওয়াবু)
১৮. اَلْوَهَّابُ (আল-ওহ্হাবু)
১৯. اَلْفَتَّاحُ (আল খাল্লাকু)
২০. اَلْعَلَيْمُ (আল আলীম)
২১. اَلْقَابِضُ (আল কাবিয)
২২. اَلْبَاسِطُ (আল বাসিত)
২৩. اَلْخَافِضُ (আল খাফি)
২৪. الرَّافِعُ (আর রাফি)
২৫. اَلْمُعِزُّ (আল মুইয)
২৬. اَلْمُذِلَّ (আল-মুযিল)
২৭ ُاَلسَّمِيْع (আস সামিউ)
২৮. اَلْبَصِيْرُ (আল বাসিরু)
২৯. اَلْحَكَمُ (আল হাকামু)
৩০. اَلْعَدْلُ (আল আদল)
৩১. اَللَّطِيْفُ (আল লতীফ)
৩২. اَلْخَبِيْرُ (আল খাবীর)
৩৩. اَلْحَلِيْمُ (আল হালীম)
৩৪. اَلْعَظِيْمُ (আল আযীম)
৩৫. اَلْغَفُوْرُ (আল গাফুর)
৩৬. اَلشَّكُوْرُ (আশ শাকুর)
৩৭. اَلْعَلَيُّ (আল আলীয়্যূ)
৩৮. اَلْكَبِيْرُ (আল কাবীরু)
৩৯. اَلْحَفِيْظُ (আল হাফীযু)
৪০. اَلْمُقِيْتُ (আল মুকীতু)
৪১. اَلْحَسِيْبُ (আল হাসীব)
৪২ اَلْجَلِيْلُ (আল জালীল)
৪৩. اَلْكَرِيْمُ (আল কারীম)
৪৪. اَلرَّقِيْبُ (আর রাকীব)
৪৫ اَلْمُجِيْبُ (আল মুজীব)
৪৬. اَلْوَاسِعُ (আল ওয়াসিউ)
৪৭ اَلْحَكِيْمُ (আল হাকীম)
৪৮. اَلْوَدُوْدُ (আল ওদূদ)
৪৯. اَلْمَجِيْدٌ (আল মজীদ)
৫০. اَلْبَائِثُ (আল বাইসু)
৫১. اَلشَّهِيْدُ (আশ শাহীদ)
৫২. اَلْحَقُّ (আল হক)
৫৩. اَلْوَكِيْلُ (আল ওকীল)
৫৪. أَلْقَوِيُّ (আল কভী)
৫৫. اَلْمَتِيْنُ (আল মতীন)
৫৬. اَلْوَلِيُّ (আল ওলী)
৫৭. اَلْحَمِيْدُ (আল হামীদ)
৫৮. اَلْمُحْصَيْ (আল মুহসী)
৫৯. اَلْمُبْدِئُ (আল মুবদিউ)
৬০. اَلْمُعِيدُ (আল মুইদ)
৬১ اَلْمُحْيِى (আল মুহঈ)
৬২. اَلْمُمِيْتُ (আল মুমীত)
৬৩. اَلْحَيُّ (আল হাইউ)
৬৪. أَلْقَيُّوْمُ (আল কাইয়্যূম)
৬৫. اَلْوَاجِدُ (আল ওয়াজিদ)
৬৬ الْمَجِيْدُ (আল মাজিদু)
৬৭. اَلْوَاحِدُ (আল ওয়াহিদু)
৬৮. اَلْاَحَدُ (আল আহাদ)
৬৯. اَلصَّمَدُ (আস সামাদ)
৭০. اَلْقَدِيْرُ (আল কাদির)
৭১. اَلْمُقْتَدِرُ (আল মুকতাদির)
৭২. الْمُقَدِّمُ (আল মুকাদ্দিম)
৭৩. اَلْمُؤَخِّرُ (আল মুআখ্যির)
৭৪. اَلْاَوَّلُ (আল আওয়াল)
৭৫. اَلْآخِرُ (আল আখিরু)
৭৬. اَلظَّاهِرُ (আয যাহিরু)
৭৭. اَلْبَاطِنُ (আল বাতিন)
৭৮. اَلْوَالِيُ (আল ওয়ালী)
৭৯. اَلْمُتَعَالِى (আল মুতাআলী)
৮০. اَلْبَرُّ (আল বাররু)
৮১. اَلتَّوَّابُ (আত তাওয়াব)
৮২. الْمُنْتَقِمُ (আল মুনতাকিম)
৮৩. ُّاَلْعَفُو (আল আফুউ)
৮৪.. اَلرَّؤُوفُ (আর রাউফ)
৮৫. مَلِكُ الْمُلْكِ (মালিকুল মুলক)
৮৬. ذُو الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ (যুল জালালি ওয়াল ইকরাম)
৮৭. اَلْمُقْسِطُ (আল মুকসিত)
৮৮. اَلْجَامِعُ (আল জামিউ)
৮৯. اَلْغَنِيُّ (আল গনী)
৯০. اَلْمُغْنِي (আল মুগনী)
৯১. اَلْمَانِعُ (আল মানি)
৯২. اَلضَّارُّ (আদ দার)
৯৩ اَلنَّافِعُ (আন নাফিউ)
৯৪. اَلنُّوْرُ (আন নূর)
৯৫. أَلْهَادِي (আল হাদী)
৯৬. اَلْبَدِيعُ (আল বাদীউ)
৯৭. اَلْبَاقِي (আল বাকী)
৯৮. اَلْوَارِثُ (আল ওয়ারিসু)
৯৯. اَلرَّشِيْدُ (আর রশীদ)
১০০. الصَّبُوْرُ (আস সাবুর)
( فتح البارى جز ٢٦ : ٨٣)
(আস-সামাদ-আল্লাযী লাম য়ালিদ ওয়ালাম য়ূলাদ ওলাম য়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ) (ফতহুল বারী ২৬ পারা পৃষ্ঠা-৮৩)
তিরমিযীর রিওয়ায়াতে উল্লিখিত এবং কুরআন মজীদ থেকে হাফিয ইবনে হাজার কর্তৃক সংকলিত নিরানব্বই আসমাউল হুসনা বা পবিত্র নামের প্রত্যেকটিই মা'রিফাতে ইলাহীর এক একটি দরজা স্বরূপ। উলামায়ে কিরাম বিভিন্ন যুগে এ পবিত্র নাম সমূহের ব্যাখ্যা সম্বলিত কিতাবদি রচনা করেছেন। কঠিন কঠিন সমস্যার সময় এগুলোর মাধ্যমে দু'আ করা আল্লাহওয়ালা বুযুর্গগণের চিরাচরিত অভ্যাস। এটি দু'আ কবুলের একটি পরীক্ষিত পন্থা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)