মা'আরিফুল হাদীস
সলাত অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৪৬
সলাত অধ্যায়
কবর সম্পর্কে (নবী কারীম ﷺ এর) পথ নির্দেশ
৩৪৬. হযরত আমর ইবনে হাযম (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ আমাকে একটি কবরের সাথে হেলান দিয়ে বসতে দেখে বললেন: কবরবাসীকে কষ্ট দিওনা অথবা তিনি বলেছেনঃ তাকে কষ্ট দিও না। (আহমাদ)
کتاب الصلوٰۃ
عَنْ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ ، قَالَ : رَآنِي النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكَأً عَلَى قَبْرٍ ، فَقَالَ : « لَا تُؤْذِ صَاحِبَ هَذَا الْقَبْرِ أَوْ لَا تُؤْذِهِ » (رواه احمد)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
প্রাক ইসলামী যুগে সাধারণ মুসলমানের মনে একত্ববাদ যতক্ষণে বদ্ধমূল হয়নি এবং কেবলমাত্র তারা শিরকের নিগড় থেকে মাত্র কিছুদিন পূর্বে বেরিয়ে এসেছে তাদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ কবরের কাছে যেতেও নিষেধ করেছেন। কারণ সদ্য শিরক বিমুখ লোকদের কবর পূজায় জড়িয়ে পড়ার তীব্র আশংকা ছিল। তার পর যখন উম্মাতের তাওহীদের চেতনা ও বুনিয়াদ মযবুত হয় এবং সর্বাবিধ শিরক সম্পর্কে অন্তরে ঘৃণা জন্মে এবং কবরের কাছে গেলে শিরকের পাপে জড়িয়ে পড়ার আশংকা অবশিষ্ট থাকল না, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ কবর যিয়ারত করার অনুমতি দেন। কারণ হিসেবে বলা হয়, এতে দুনিয়ার প্রতি নির্মোহভাব সৃষ্টি হবে এবং আখিরাতের চিন্তা অন্তরে স্থান পাবে। এই হাদীস থেকে শরী'আতের এই মৌলিক বিষয়ও জানা গেল যে, কোন কাজের মধ্যে যদি একদিকে বিশেষ কল্যাণ ও বরকত নিহিত থাকে, কিন্তু অন্যদিকে বিরাট ক্ষতির আশংক থাকে, তবে সে ক্ষতির দিকের প্রতি লক্ষ্য করে তা সম্পাদন করতে নিষেধ করা হয়। তবে কোন সময় যদি ক্ষতির আশংকা না থাকে, তবে পরে আবার তার অনুমতিও দেওয়া যেতে পারে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)