মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ২৪৪
আখলাক অধ্যায়
আল্লাহর প্রতি নির্ভরশীলতা ও ভাগ্যলিপিতে সন্তুষ্টি
নবী-রাসূলদের মাধ্যমে যেসব বাস্তব সত্য আমরা জানতে পেরেছি, এগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য ও বাস্তবতা এও যে, এ অস্তিত্ব জগতে যা কিছু হয় এবং যে যা পায় ও পায় না, এ সব কিছুই সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাহ্যিক উপায়-উপকরণের ভূমিকা কেবল এতটুকুই যে, এগুলো হচ্ছে আমাদের কাছে ঐসব জিনিস পৌঁছার আল্লাহরই নির্ধারিত শুধু মাধ্যম ও পথ। যেমন, বাসা-বাড়ীতে যে পাইপ দিয়ে পানি আসে, এটা কেবল পানি সরবরাহের রাস্তা, পানি সরবরাহে এর নিজের কোন দখল ও ভূমিকা নেই। অনুরূপভাবে এ অস্তিত্ব জগতে কার্য পরিচালনা উপায়-উপকরণের হাতে নয়; বরং কর্ম পরিচালক ও ফলোৎপাদক কেবল মহান আল্লাহর সত্তা ও তাঁর নির্দেশ।
এ বাস্তবতার উপর অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করে নিজের সকল উদ্দেশ্য ও সকল কাজে কেবল আল্লাহর মহান সত্তার উপর আস্থা স্থাপন ও ভরসা করা, তাঁরই প্রতি ধ্যান রাখা, তাঁরই অনুগ্রহের উপর দৃষ্টি রাখা, তাঁরই কাছে আশা পোষণ করা, তাঁকেই ভয় করা এবং তাঁরই কাছে দু'আ করা-এ কর্মপদ্ধতিরই নাম দ্বীনের পরিভাষায় "তাওয়াক্কুল" ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা।
তাওয়াক্কুলের প্রকৃত স্বরূপ এটিই। বাহ্যিক উপায়-উপকরণ বর্জন করে দেওয়া তাওয়াক্কুলের জন্য জরুরী নয়। সকল নবী-রাসূলের বিশেষ করে সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর, তাঁর সাহাবীদের এবং প্রত্যেক যুগের খোদাপ্রেমিক ওলীদের তাওয়াক্কুল এটাই ছিল। এসব পুণ্যবান ব্যক্তিরা এ অস্তিত্ব জগতের উপায়-উপকরণের ধারাকে আল্লাহ্ তা'আলার হুকুম ও নির্দেশের অধীনে এবং তাঁরই হেকমতের দাবী মনে করে সাধারণ অবস্থায় এগুলো ব্যবহার ও প্রয়োগ করতেন, কিন্তু অন্তরের আস্থা এবং ভরসা কেবল আল্লাহর হুকুমের উপরই থাকত। তাঁরা উপায়-উপকরণকে পানির পাইপ লাইনের মত কেবল একটি মাধ্যম ও রাস্তাই মনে করতেন। এ জন্য তাঁরা এসব আসবাব-উপকরণ ব্যবহারের সময়ও আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি ও তাঁর বিধানের প্রতি পূর্ণ লক্ষ্য রাখতেন। তাছাড়া এ বিশ্বাসও রাখতেন যে, আল্লাহ্ তা'আলার কুদরত ও শক্তি এ আসবাব-উপকরণের অধীন নয়; বরং তিনি ইচ্ছা করলে এগুলো ছাড়াই সবকিছু করতে পারেন। আর তাঁরা কখনো কখনো আল্লাহ্ তা'আলার এ কুদরত প্রত্যক্ষও করতেন এবং এর অভিজ্ঞতাও লাভ করতেন।
সারকথা, উপায় উপকরণ বর্জন করা তাওয়াক্কুলের হাকীকতের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এর জন্য শর্তও নয়। হ্যাঁ, আল্লাহর কোন বিশ্বাসী বান্দা যদি অন্তরের অবস্থার কাছে পরাভূত হয়ে উপায়-উপকরণ বর্জন করে দেয়, তাহলে এটা আপত্তিকর বিষয়ও নয়; বরং তাদের বেলায় এটা গুণ ও পরাকাষ্ঠাই হবে। অনুরূপভাবে আসবাব উপকরণ থেকে অন্তরের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য এবং এগুলোর স্থলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা সৃষ্টি করার জন্য অথবা অন্যদেরকে এটা প্রত্যক্ষ করানোর জন্য কেউ যদি আসবাব-উপকরণ বর্জনের নীতি গ্রহণ করে, তাহলে এটাও সম্পূর্ণ সঠিক হবে। কিন্তু তাওয়াক্কুলের প্রকৃত স্বরূপ কেবল তাই, যা উপরে বলা হয়েছে এবং কুরআন-হাদীসে এরই প্রতি উৎসাহ প্রদান ও এরই প্রতি আহ্বান করা হয়েছে, আর এরই ধারকদের প্রশংসা করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এ তাওয়াক্কুল ঈমান ও তওহীদের পূর্ণতার অনিবার্য ফল। যার তাওয়াক্কুল নসীব হয়নি, নিঃসন্দেহে তার ঈমান ও তওহীদ পরিপূর্ণ নয়।
তারপর তওয়াক্কুলেরও উপরের স্তর হচ্ছে "রেজা বিল কাযা" বা ভাগ্যলিপির উপর সন্তুষ্টি। এর মর্ম এই যে, বান্দার উপর ভাল অথবা মন্দ যে কোন অবস্থাই আসুক, সে একথা বিশ্বাস করে তা অন্তর দিয়ে মেনে নেবে এবং এতে সন্তুষ্ট থাকবে যে, আমার মালিকই আমাকে এ অবস্থায় রেখেছেন। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিনগুলোর মত কষ্ট ও বিপদের মুহূর্তেও তার অন্তরের প্রতিধ্বনি এই হওয়া চাইঃ "বন্ধুর পক্ষ থেকে যাই আসে সেটাই ভাল।"
এ ভূমিকামূলক কয়েকটি লাইনের পর এবার তাওয়াক্কুল ও ভাগ্যলিখনে সন্তুষ্টি প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কয়েকটি হাদীস পাঠ করুন:
যে মন্ত্র-তন্ত্র ও কুলক্ষণের আশ্রয় নেয়নি, সে বেহেশতী
নবী-রাসূলদের মাধ্যমে যেসব বাস্তব সত্য আমরা জানতে পেরেছি, এগুলোর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সত্য ও বাস্তবতা এও যে, এ অস্তিত্ব জগতে যা কিছু হয় এবং যে যা পায় ও পায় না, এ সব কিছুই সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর সিদ্ধান্তে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বাহ্যিক উপায়-উপকরণের ভূমিকা কেবল এতটুকুই যে, এগুলো হচ্ছে আমাদের কাছে ঐসব জিনিস পৌঁছার আল্লাহরই নির্ধারিত শুধু মাধ্যম ও পথ। যেমন, বাসা-বাড়ীতে যে পাইপ দিয়ে পানি আসে, এটা কেবল পানি সরবরাহের রাস্তা, পানি সরবরাহে এর নিজের কোন দখল ও ভূমিকা নেই। অনুরূপভাবে এ অস্তিত্ব জগতে কার্য পরিচালনা উপায়-উপকরণের হাতে নয়; বরং কর্ম পরিচালক ও ফলোৎপাদক কেবল মহান আল্লাহর সত্তা ও তাঁর নির্দেশ।
এ বাস্তবতার উপর অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করে নিজের সকল উদ্দেশ্য ও সকল কাজে কেবল আল্লাহর মহান সত্তার উপর আস্থা স্থাপন ও ভরসা করা, তাঁরই প্রতি ধ্যান রাখা, তাঁরই অনুগ্রহের উপর দৃষ্টি রাখা, তাঁরই কাছে আশা পোষণ করা, তাঁকেই ভয় করা এবং তাঁরই কাছে দু'আ করা-এ কর্মপদ্ধতিরই নাম দ্বীনের পরিভাষায় "তাওয়াক্কুল" ও আল্লাহর প্রতি নির্ভরতা।
তাওয়াক্কুলের প্রকৃত স্বরূপ এটিই। বাহ্যিক উপায়-উপকরণ বর্জন করে দেওয়া তাওয়াক্কুলের জন্য জরুরী নয়। সকল নবী-রাসূলের বিশেষ করে সাইয়্যেদুল আম্বিয়া মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ﷺ এর, তাঁর সাহাবীদের এবং প্রত্যেক যুগের খোদাপ্রেমিক ওলীদের তাওয়াক্কুল এটাই ছিল। এসব পুণ্যবান ব্যক্তিরা এ অস্তিত্ব জগতের উপায়-উপকরণের ধারাকে আল্লাহ্ তা'আলার হুকুম ও নির্দেশের অধীনে এবং তাঁরই হেকমতের দাবী মনে করে সাধারণ অবস্থায় এগুলো ব্যবহার ও প্রয়োগ করতেন, কিন্তু অন্তরের আস্থা এবং ভরসা কেবল আল্লাহর হুকুমের উপরই থাকত। তাঁরা উপায়-উপকরণকে পানির পাইপ লাইনের মত কেবল একটি মাধ্যম ও রাস্তাই মনে করতেন। এ জন্য তাঁরা এসব আসবাব-উপকরণ ব্যবহারের সময়ও আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টি ও তাঁর বিধানের প্রতি পূর্ণ লক্ষ্য রাখতেন। তাছাড়া এ বিশ্বাসও রাখতেন যে, আল্লাহ্ তা'আলার কুদরত ও শক্তি এ আসবাব-উপকরণের অধীন নয়; বরং তিনি ইচ্ছা করলে এগুলো ছাড়াই সবকিছু করতে পারেন। আর তাঁরা কখনো কখনো আল্লাহ্ তা'আলার এ কুদরত প্রত্যক্ষও করতেন এবং এর অভিজ্ঞতাও লাভ করতেন।
সারকথা, উপায় উপকরণ বর্জন করা তাওয়াক্কুলের হাকীকতের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এর জন্য শর্তও নয়। হ্যাঁ, আল্লাহর কোন বিশ্বাসী বান্দা যদি অন্তরের অবস্থার কাছে পরাভূত হয়ে উপায়-উপকরণ বর্জন করে দেয়, তাহলে এটা আপত্তিকর বিষয়ও নয়; বরং তাদের বেলায় এটা গুণ ও পরাকাষ্ঠাই হবে। অনুরূপভাবে আসবাব উপকরণ থেকে অন্তরের সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য এবং এগুলোর স্থলে আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা সৃষ্টি করার জন্য অথবা অন্যদেরকে এটা প্রত্যক্ষ করানোর জন্য কেউ যদি আসবাব-উপকরণ বর্জনের নীতি গ্রহণ করে, তাহলে এটাও সম্পূর্ণ সঠিক হবে। কিন্তু তাওয়াক্কুলের প্রকৃত স্বরূপ কেবল তাই, যা উপরে বলা হয়েছে এবং কুরআন-হাদীসে এরই প্রতি উৎসাহ প্রদান ও এরই প্রতি আহ্বান করা হয়েছে, আর এরই ধারকদের প্রশংসা করা হয়েছে। নিঃসন্দেহে এ তাওয়াক্কুল ঈমান ও তওহীদের পূর্ণতার অনিবার্য ফল। যার তাওয়াক্কুল নসীব হয়নি, নিঃসন্দেহে তার ঈমান ও তওহীদ পরিপূর্ণ নয়।
তারপর তওয়াক্কুলেরও উপরের স্তর হচ্ছে "রেজা বিল কাযা" বা ভাগ্যলিপির উপর সন্তুষ্টি। এর মর্ম এই যে, বান্দার উপর ভাল অথবা মন্দ যে কোন অবস্থাই আসুক, সে একথা বিশ্বাস করে তা অন্তর দিয়ে মেনে নেবে এবং এতে সন্তুষ্ট থাকবে যে, আমার মালিকই আমাকে এ অবস্থায় রেখেছেন। সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিনগুলোর মত কষ্ট ও বিপদের মুহূর্তেও তার অন্তরের প্রতিধ্বনি এই হওয়া চাইঃ "বন্ধুর পক্ষ থেকে যাই আসে সেটাই ভাল।"
এ ভূমিকামূলক কয়েকটি লাইনের পর এবার তাওয়াক্কুল ও ভাগ্যলিখনে সন্তুষ্টি প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কয়েকটি হাদীস পাঠ করুন:
যে মন্ত্র-তন্ত্র ও কুলক্ষণের আশ্রয় নেয়নি, সে বেহেশতী
২৪৪. হযরত আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমার উম্মতের সত্তর হাজার ব্যক্তি যারা মন্ত্র-তন্ত্র এবং কুলক্ষণের আশ্রয় গ্রহণ করেনি এবং তাদের রব্বের উপর তাওয়াকুল করেছে, তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « يَدْخُلُ الجَنَّةَ مِنْ أُمَّتِي سَبْعُونَ أَلْفًا بِغَيْرِ حِسَابٍ ، هُمُ الَّذِينَ لاَ يَسْتَرْقُونَ ، وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ ، وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ » (رواه البخارى ومسلم)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মন্ত্র-তন্ত্র এবং বদফাল বা কুলক্ষণের আশ্রয় গ্রহণ করা খুব মন্দ অভ্যাস। এটা ঈমানী দুর্বলতা থেকে সৃষ্ট। এটা ঈমানের পরিপন্থি। যে বান্দা আল্লাহ ও আখিরাতের উপর বিশ্বাস করে, সে বালা-মুসীবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য বা তা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য জাহিলী যামানার মন্ত্র-তন্ত্রের আশ্রয় গ্রহণ করে না বা কোন কাজ তার জন্য মঙ্গলজনক হবে কিনা তা জানবার জন্য ফাল (শুভাশুভ জানার লটারী বিশেষ)-এর আশ্রয় গ্রহণ করে না। মন্ত্র-তন্ত্র নিষিদ্ধ হওয়ার দু'টো প্রধান কারণ হল, মানুষের ভাল বা মন্দ করার কোন শক্তি মন্ত্র-তন্ত্রের নেই। তাতে আল্লাহর উপর আস্থা বিনষ্ট হয়। অনুরূপভাবে 'বদফাল' নিষিদ্ধ হওয়ার কারণগুলোর দু'টো প্রধান কারণ হল, আল্লাহ মানুষকে ভাল-মন্দ বিচার-বিবেচনা করার শক্তি দিয়েছেন। মানুষ তার বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগ না করে 'ফাল'-এর মাধ্যমে কর্ম বা কর্মধারা নির্বাচন করলে সমাজের প্রগতি এবং বিকাশ ব্যাহত হবে। মন্ত্র-তন্ত্রের ন্যায় 'ফাল' বা ভাগ্য লটারী আল্লাহর উপর আস্থা বিনষ্ট করে। রিসালাতে মুহাম্মদীর পূর্বে আরব দেশে এ দু'টো রোগ খুব ব্যাপক ছিল। নবী করীম ﷺ এ মন্দ অভ্যাস থেকে উম্মতকে দূরে থাকার জন্য নসীহত করেছেন।
যারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল করেন, তারা বিনাহিসাবে বেহেশতে যাবেন। হিসাব দান করার ঝামেলা তাদের পোহাতে হবে না। আল্লাহ তাদের আমলনামার উপর রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন এবং তাদেরকে জান্নাতে দাখিল হওয়ার অনুমতি দিবেন।
মনে রাখতে হবে, রোগ দূর করার জন্য ওষুধের ব্যবহার বা কুরআনী আয়াতের দ্বারা ফু দান করা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের খেলাফ নয়। আলোচ্য হাদীসে শুধু মন্দ উপায়-উপকরণকে তাওয়াক্কুলের খেলাফ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
যারা আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ তাওয়াক্কুল করেন, তারা বিনাহিসাবে বেহেশতে যাবেন। হিসাব দান করার ঝামেলা তাদের পোহাতে হবে না। আল্লাহ তাদের আমলনামার উপর রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন এবং তাদেরকে জান্নাতে দাখিল হওয়ার অনুমতি দিবেন।
মনে রাখতে হবে, রোগ দূর করার জন্য ওষুধের ব্যবহার বা কুরআনী আয়াতের দ্বারা ফু দান করা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের খেলাফ নয়। আলোচ্য হাদীসে শুধু মন্দ উপায়-উপকরণকে তাওয়াক্কুলের খেলাফ আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)