মা'আরিফুল হাদীস
আখলাক অধ্যায়
হাদীস নং: ১৮৫
আখলাক অধ্যায়
পরনিন্দা
যেসব বদভ্যাসের সম্পর্ক জিহ্বার সাথে হয়ে থাকে এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ যেগুলোকে মারাত্মক অপরাধ ও কবীরা গুনাহ্ বলে উল্লেখ করেছেন এবং যেগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সবিশেষ তাকীদ করেছেন, এগুলোর মধ্যে পরনিন্দা অন্যতম। কারো এমন কোন বক্তব্য অন্যের গোচরীভূত করা, যার দ্বারা পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয় এবং একজনের অপরজনের প্রতি কুধারণা সৃষ্টি হয়, এ মন্দ অভ্যাসের নাম হচ্ছে চোগলখোরী ও পরনিন্দা।
যেহেতু পারস্পরিক মধুর সম্পর্ক, সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও আন্তরিক ভালবাসা স্থাপন নববী শিক্ষার উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে অন্যতম, (এমনকি এক হাদীসে এটাকে কোন কোন দিক দিয়ে এবাদতের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে।) এ জন্য যে জিনিসটি পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট করে হিংসা-বিদ্বেষ, অবিশ্বাস ও ঘৃণা সৃষ্টি করে, সেটা অবশ্যই মারাত্মক পাপ হিসাবে গণ্য হবে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ পরনিন্দাকে কঠিন গুনাহ্ হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং আখেরাতে এর যে মন্দ পরিণতি ভোগ করতে হবে, সে সম্পর্কে উম্মতকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না
যেসব বদভ্যাসের সম্পর্ক জিহ্বার সাথে হয়ে থাকে এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ যেগুলোকে মারাত্মক অপরাধ ও কবীরা গুনাহ্ বলে উল্লেখ করেছেন এবং যেগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সবিশেষ তাকীদ করেছেন, এগুলোর মধ্যে পরনিন্দা অন্যতম। কারো এমন কোন বক্তব্য অন্যের গোচরীভূত করা, যার দ্বারা পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট হয় এবং একজনের অপরজনের প্রতি কুধারণা সৃষ্টি হয়, এ মন্দ অভ্যাসের নাম হচ্ছে চোগলখোরী ও পরনিন্দা।
যেহেতু পারস্পরিক মধুর সম্পর্ক, সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান ও আন্তরিক ভালবাসা স্থাপন নববী শিক্ষার উদ্দেশ্যসমূহের মধ্যে অন্যতম, (এমনকি এক হাদীসে এটাকে কোন কোন দিক দিয়ে এবাদতের চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ বলা হয়েছে।) এ জন্য যে জিনিসটি পারস্পরিক সম্পর্ক বিনষ্ট করে হিংসা-বিদ্বেষ, অবিশ্বাস ও ঘৃণা সৃষ্টি করে, সেটা অবশ্যই মারাত্মক পাপ হিসাবে গণ্য হবে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ ﷺ পরনিন্দাকে কঠিন গুনাহ্ হিসাবে উল্লেখ করেছেন এবং আখেরাতে এর যে মন্দ পরিণতি ভোগ করতে হবে, সে সম্পর্কে উম্মতকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না
১৮৫. হযরত হুযায়ফা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে, চোগলখোর ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (বুখারী ও মুসলিম)
کتاب الاخلاق
عَنْ حُذَيْفَةُ قَالَ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ : « لَا يَدْخُلُ الجَنَّةَ قَتَّاتٌ » (رواه البخارى وفى رواية مسلم نمام)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
অপরের নিন্দা করা বা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপর ব্যক্তির কাছে মিথ্যা কথা বলা খুবই নিন্দনীয় অভ্যাস। মিথ্যা প্রচার, নিন্দাবাদ, মিথ্যা দোষারোপ প্রভৃতি সমাজে শত্রুতা ও সংঘাতের সৃষ্টি করে। মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্ক মহব্বত ও ভালবাসার উপর প্রতিষ্ঠিত। বান্দার অন্তরে ঈমান ও অন্যের অমঙ্গল কামনা একত্র হতে পারে না। আল্লাহ নিন্দুক ব্যক্তিকে অপসন্দ করেন। নিন্দুক ব্যক্তি তার অপরাধের জন্য তওবা না করলে বেহেশতে যেতে পারবে না। নিন্দুক ব্যক্তির অন্তর অপরিষ্কার ও আবর্জনাপূর্ণ। অপরাধের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাকে পাক-সাফ করে জান্নাতে দাখিল করতে পারেন।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)