মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৮৩
রিকাক অধ্যায়
অধিক আমলের মর্যাদা
৮৩. হযরত উবায়দ ইবন খালিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল ﷺ দুই ব্যক্তির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেছিলেন। তাদের এক ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় শাহাদাত বরণ করেন। অপর ব্যক্তি এক সপ্তাহ বা তার নিকটবর্তী সময়ে মৃত্যুবরণ করেন। সাহাবাগণ তার জানাযা পড়লেন। রাসুলুল্লাহ ﷺ তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন: তোমরা (তার সম্পর্কে) কি বল? তারা বললেন: আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি তাকে মাফ করার, দয়া প্রদর্শন এবং তার শহীদ সাথীর সাথে তাকে মিলিত করার জন্য। অতঃপর নবী ﷺ বললেনঃ শহীদ ব্যক্তির মৃত্যুর পর সে যে সালাত এবং আমল করেছে তা কোথায় গেল? বা তিনি বলেছিলেন। তার রোযার পর সে যে রোযা করল তা কোথায় গেল? তাদের উভয়ের মাঝের দূরত্ব আসমান যমীনের চেয়েও বেশি।
(আবূ দাউদ ও নাসাঈ)
(আবূ দাউদ ও নাসাঈ)
کتاب الرقاق
عَنْ عُبَيْدِ بْنِ خَالِدٍ اَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آخَى بَيْنَ رَجُلَيْنِ ، فَقُتِلَ أَحَدُهُمَا ، فِىْ سَبِيْلِ اللهِ ثُمَّ مَاتَ الْآخَرُ بَعْدَهُ بِجُمُعَةٍ ، أَوْ نَحْوِهَا ، فَصَلُّوْا عَلَيْهِ ، فَقَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « مَا قُلْتُمْ؟ » فَقُلْنَا : دَعَوْنَا الله ، اَنْ يَّغْفِرَ لَهُ وَيَرْحَمَهُ وَيَلْحِقَهُ بِصَاحِبِهِ ، فَقَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : « فَأَيْنَ صَلَاتُهُ وَعَمَلُهُ بَعْدَ عَمَلِهِ اَوْ قَالَ صِيَامُهُ بَعْدَ صِيَامِهِ لَمَا بَيْنَهُمَا اَبْعَدُ مِمَّا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ . (رواه ابو داؤد والنسائى)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
শহীদের মর্যাদা অত্যন্ত বেশি। শাহাদাতের মাধ্যমে এ সুমহান মর্যাদা লাভ করার জন্য সর্বদা প্রত্যেক মু'মিন ব্যক্তির আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত। শাহাদাতের কামনা মনে থাকা অবস্থায় কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে আশা করা যায় আল্লাহ তার নেক নিয়্যতের জন্য তাকে শাহাদাতের সওয়াব দান করবেন এবং সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেসব নেক কাজ করেছেন, সে সবের জন্য তাকে বর্ধিত সওয়াব দান করা হবে।
নবী করীম ﷺ সাহাবায়ে কিরামের নিকট থেকে যখন শুনতে পেলেন যে, তাঁরা শহীদ ব্যক্তির কাছে শেষে মৃত্যুবরণকারীকে পৌছানোর জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করেছেন, তখন তিনি তাদেরকে যা বলেছিলেন তার অর্থ হল, প্রথম ব্যক্তির শাহাদাতের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি এক সপ্তাহ বা অনুরূপ সময় দুনিয়াতে বেঁচেছিলেন। সে সময়ের মধ্যে নামায-রোযা এবং সৎকর্ম এমন আন্তরিকতার সাথে করেছিলেন যে, আল্লাহ তার উপর প্রীত ও সন্তুষ্ট হয়ে তাকে শহীদ ব্যক্তির চেয়েও বেশি মর্যাদা দান করেছেন। ফলে উভয়ের মর্যাদার মধ্যে আসমান যমীনের ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম ব্যক্তিকে শাহাদাতের সওয়াব দান করা হয়েছে, তাতে তাকে কোনরূপ কম দেয়া হয়নি। কিন্তু শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী যাহিদ ব্যক্তি তার বন্ধুর মৃত্যুর পর অল্প সময়ের মধ্যে আন্তরিকতা সহকারে যে নেক আমল করেছিলেন, সে নেক আমলের দরুন তিনি তার শহীদ বন্ধুর চেয়েও বেশি মর্যাদা লাভ করেছেন। কাজেই প্রত্যেক নেক কাজে ইখলাস থাকা উচিত এবং ইখলাসের সাথে সামান্য সময়ের মধ্যেও যে ইবাদত-বন্দেগী করা হয়, তার ফল এত বিরাট ও মহান যে, তা আমরা সহজে ধারণাও করতে পারি না।
নবী করীম ﷺ সাহাবায়ে কিরামের নিকট থেকে যখন শুনতে পেলেন যে, তাঁরা শহীদ ব্যক্তির কাছে শেষে মৃত্যুবরণকারীকে পৌছানোর জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করেছেন, তখন তিনি তাদেরকে যা বলেছিলেন তার অর্থ হল, প্রথম ব্যক্তির শাহাদাতের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি এক সপ্তাহ বা অনুরূপ সময় দুনিয়াতে বেঁচেছিলেন। সে সময়ের মধ্যে নামায-রোযা এবং সৎকর্ম এমন আন্তরিকতার সাথে করেছিলেন যে, আল্লাহ তার উপর প্রীত ও সন্তুষ্ট হয়ে তাকে শহীদ ব্যক্তির চেয়েও বেশি মর্যাদা দান করেছেন। ফলে উভয়ের মর্যাদার মধ্যে আসমান যমীনের ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। প্রথম ব্যক্তিকে শাহাদাতের সওয়াব দান করা হয়েছে, তাতে তাকে কোনরূপ কম দেয়া হয়নি। কিন্তু শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী যাহিদ ব্যক্তি তার বন্ধুর মৃত্যুর পর অল্প সময়ের মধ্যে আন্তরিকতা সহকারে যে নেক আমল করেছিলেন, সে নেক আমলের দরুন তিনি তার শহীদ বন্ধুর চেয়েও বেশি মর্যাদা লাভ করেছেন। কাজেই প্রত্যেক নেক কাজে ইখলাস থাকা উচিত এবং ইখলাসের সাথে সামান্য সময়ের মধ্যেও যে ইবাদত-বন্দেগী করা হয়, তার ফল এত বিরাট ও মহান যে, তা আমরা সহজে ধারণাও করতে পারি না।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)