মা'আরিফুল হাদীস
রিকাক অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৫
রিকাক অধ্যায়
যুহদ এবং এর ফলাফল ও বরকত: যাহিদ ব্যক্তির সান্নিধ্য লাভের উপদেশ
৫৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) ও আবু খাল্লাদ (রা) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, যখন তোমরা দেখবে কোন বান্দাকে 'যুহদ'-ফিদ-দুনিয়া বা আখিরাতের মহব্বতে দুনিয়ার আরাম-আয়েশ ত্যাগ করা ও সংক্ষিপ্ত কথন দান করা হয়েছে, তখন তার সান্নিধ্য লাভ কর। কেননা তাকে হিকমত দান করা হয়েছে। (বায়হাকী, শুয়াবুল ঈমান)
کتاب الرقاق
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَاَبِىْ خَلَّادٍ ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : " إِذَا رَأَيْتُمُ الْعَبْدَ يُعْطَى زُهْدًا فِي الدُّنْيَا وَقِلَّةَ مَنْطِقٍ ، فَاقْتَرِبُوا مِنْهُ ، فَإِنَّهُ يُلْقِي الْحِكْمَةَ " (رواه البيهقى فى شعب الايمان)
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হিকমত দান করার অর্থ হলো, আল্লাহ তা'আলা প্রদত্ত সঠিক জ্ঞান হিকমত লাভকারী ব্যক্তি প্রতিটি কাজ সঠিক মূল্যায়নের জ্ঞান লাভ করেন। তিনি সব সময় সঠিক ও কল্যাণকর কথা বলেন। হিকমত এমন এক বস্তু যার তুলনা দুনিয়ার অন্য কোন জিনিসের সাথে করা যায় না। হিকমত এমন এক প্রাচুর্যের নাম যার সমকক্ষ দুনিয়ার অন্য কোন প্রাচুর্য নেই। অন্তরে হিকমত দান সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন:
وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
-"যাকে হিকমত বা জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাকে অনেক মঙ্গল দান করা হয়েছে।"
আল্লাহ যাকে হিকমত দিয়েছেন তিনি কখনো লোকসানের সম্মুখীন হবেন না। তার ছোট বড় প্রত্যেক কাজে হিকমত প্রতিফলিত হবে। তিনি অবিবেচক ও অদূরদর্শীর ন্যায় কোন কাজ করবেন না। কাকে আল্লাহ হিকমত দান করেন তার পরিচয় হাদীসে দেয়া হয়েছে। যিনি যাহিদ এবং স্বল্পভাষী, তিনিই হিকমতের অধিকারী। যাহিদ ব্যক্তি আখিরাতের মহব্বতে দুনিয়ার আরাম-আয়েশ ত্যাগকারী।
তাই আল্লাহ তাকে মহব্বত করেন। আল্লাহ তাঁর মাহবুবকে দুনিয়া ও আখিরাতে তামাম অমঙ্গল থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ বলেন:
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
"আল্লাহ মু'মিনদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান।"
পবিত্র কুরআনে অন্যত্র বলা হয়েছেঃ
نَحْنُ أَوْلِيَاؤُكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ
-"আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের বন্ধু।"
হিকমতের অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন বা তাদের সান্নিধ্য লাভের অর্থ হল তাদের নিকট থেকে উপদেশ গ্রহণ করা এবং তারা যেভাবে যিন্দেগী যাপন করেন সেভাবে যিন্দেগী যাপন করা এবং তারা যেভাবে কামিয়াবী হাসিল করেছেন, সেভাবে কামিয়াবী হাসিল করা।
وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
-"যাকে হিকমত বা জ্ঞান দান করা হয়েছে, তাকে অনেক মঙ্গল দান করা হয়েছে।"
আল্লাহ যাকে হিকমত দিয়েছেন তিনি কখনো লোকসানের সম্মুখীন হবেন না। তার ছোট বড় প্রত্যেক কাজে হিকমত প্রতিফলিত হবে। তিনি অবিবেচক ও অদূরদর্শীর ন্যায় কোন কাজ করবেন না। কাকে আল্লাহ হিকমত দান করেন তার পরিচয় হাদীসে দেয়া হয়েছে। যিনি যাহিদ এবং স্বল্পভাষী, তিনিই হিকমতের অধিকারী। যাহিদ ব্যক্তি আখিরাতের মহব্বতে দুনিয়ার আরাম-আয়েশ ত্যাগকারী।
তাই আল্লাহ তাকে মহব্বত করেন। আল্লাহ তাঁর মাহবুবকে দুনিয়া ও আখিরাতে তামাম অমঙ্গল থেকে রক্ষা করেন। আল্লাহ বলেন:
اللَّهُ وَلِيُّ الَّذِينَ آمَنُوا يُخْرِجُهُمْ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ
"আল্লাহ মু'মিনদের বন্ধু, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে নিয়ে যান।"
পবিত্র কুরআনে অন্যত্র বলা হয়েছেঃ
نَحْنُ أَوْلِيَاؤُكُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ
-"আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে তোমাদের বন্ধু।"
হিকমতের অধিকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন বা তাদের সান্নিধ্য লাভের অর্থ হল তাদের নিকট থেকে উপদেশ গ্রহণ করা এবং তারা যেভাবে যিন্দেগী যাপন করেন সেভাবে যিন্দেগী যাপন করা এবং তারা যেভাবে কামিয়াবী হাসিল করেছেন, সেভাবে কামিয়াবী হাসিল করা।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ মা'আরিফুল হাদীস (মাওলানা মনযূর নোমানী রহ.)