মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
হাদীস নং: ১৪
দারিদ্রতা ও ঐশ্বর্য সম্পর্কে অধ্যায়
পরিচ্ছেদ: দুর্বল মুহাজির ও গরীবদের মর্যাদা
১৪. আব্বাস ইবনে সালিম আল-লাখমী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, 'উমর ইবনে 'আবদুল 'আযীয (র) আমাকে আবু সালাম হাবশীর নিকট ডেকে পাঠান। আমি খচ্চরের পিঠে সওয়ার হয়ে হাওযে কাওছার সম্পর্কে প্রশ্ন করার জন্য তার নিকট গমন করি। এরপর তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর গোলাম ছাওবানকে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছেন, আমার হাওয 'এডেন থেকে আয়লা' পর্যন্ত বিস্তৃত হবে, এর পানি দুধের চেয়েও সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। এর পাত্র সংখ্যা হবে আকাশের তারকারাজির সমান। যে কেউ এ হাওয থেকে এক ঢোক পানি পান করবে, সে আর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না। দরিদ্র মুহাজিরগণ সর্বপ্রথম এর পানি পানের সৌভাগ্য লাভ করবে। তখন 'উমর ইবন খাত্তাব (রা) জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)। এরা কারা? তিনি বললেন, যাদের মাথার চুল এলোমেলো, পোশাক নোংরা, যারা ধনবান পরিবারের মেয়েদের বিবাহ করতে পারেনি, যাদের আপ্যায়নের জন্য ঘরের দরজাসমূহ খোলা হয়নি। এরপর 'উমর ইবনে 'আবদুল 'আযীয (র) বললেন, আমি তো ধনীর দুলালী বিবাহ করেছি, আমার জন্য সব দরজাই তো উন্মুক্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ্ আমার উপর দয়া করেছেন। আল্লাহর শপথ! এখন থেকে আমি আমার চুল এলোমেলো না হওয়া পর্যন্ত তেল দিব না এবং আমি আমার পরিধেয়ের বস্ত্র ময়লাযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ধৌত করবো না।
كتاب الفقر والغنى
باب ما جاء في فضل فقراء المهاجرين والمستضعفين
عن العباس بن سالم اللخمي قال بعث عمر بن عبد العزيز إلى أبي سلام الحبشي فحمل إليه على البريد ليسأله عن الحوض فقدم به عليه فسأله فقال سمعت ثوبان (3) يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول إن حوضى من عدن إلى عمان البلقاء ماؤه أشد بياضا من اللبن وأحلى من العسل وأكاويبه عدد النجوم من شرب منه شربة لم يظمأ بعدها أبدا أول الناس ورودا عليه فقراء المهاجرين فقال عمر بن الخطاب من هم يا رسول الله؟ قال هم الشعث (4) رءوساء الدنس ثيابا الذين لا ينكحون المتنعمات (5) ولا تفتح لهم أبواب السدد (6) فقال عمر بن عبد العزيز لقد نكحت المتنعمات وفتحت لي السدد (7) إلا ان يرحمني الله والله لا جرم أن لا أدهن رأسي حتى يشعث ولا أغسل ثوبي الذي يلي جسدي حتى يتسخ