মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

আল-কুরআন এর ফযীলত, তাফসীর ও শানে নুযূল অধ্যায়

হাদীস নং: ১৫১
শানে নুযুল, ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সূরা ও আয়াতের ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে

পরিচ্ছেদ: সূরা ফাতিহা ও তার ফযীলতের বিবরণ।
১৫১। আবূ হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উবাঈ ইবন কা'ব (রা) এর নিকট গেলেন, তখন তিনি (রা) সালাত আদায় করছিলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ডাকলেন, হে উবাঈ। তিনি (রা) তাঁর দিকে তাকালেন, তবে কোন উত্তর দিলেন না। অতঃপর উবাঈ (রা) সালাত সংক্ষিপ্ত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর নিকট গিয়ে বললেন, আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ)। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, ওয়া আলাইকা, তারপর তিনি বললেন, হে উবাঈ আমি যখন তোমাকে ডাক দিলাম তখন উত্তর দিতে তোমাকে কে নিষেধ করেছে? তিনি (রা) উত্তর দিলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমি সালাত আদায় করছিলাম। তিনি বললেন, তুমি কি জান না আল্লাহ তায়ালা আমার ওপর যা কিছু ওহী নাজিল করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যদি তোমাদেরকে এমন কিছুর দিকে ডাকেন, যা তোমাদের জীবন দান করে তবে তোমরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিবে? বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (রা) বললেন, হ্যাঁ ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এমন আর করব না। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি কি পছন্দ কর যে আমি তোমাকে এমন একটি সূরা সম্পর্কে জানাবো যার মত কোন সূরা তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ও কুরআনের অবতীর্ণ করা হয়নি? বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) । তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি আশা করি তুমি এ বিষয়টি না শেখা পর্যন্ত এ ঘরের দরজা অতিক্রম করবে না। বর্ণনাকারী বলেন, তারপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমার সাথে অন্য বিষয়ে আলাপ করছিলেন তবে আমি ভীত সন্ত্রস্ত ছিলাম যদি তিনি আমাকে উক্ত বিষয়টি বর্ণনার পূর্বে দরজার নিকট পৌঁছে যান। অতঃপর যখন আমরা দরজার নিকট পৌছলাম, তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সে সূরা কোনটি যার নাম বলার ব্যাপারে আপনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি সালাতে কি তিলাওয়াত কর? বর্ণনাকারী বলেন, আমি উম্মুল কুরআন (অর্থাৎ সূরা ফাতিহা) তাঁকে পড়ে শুনালাম। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন সে সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার জীবন, আল্লাহ তা'আলা তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল ও ফুরকানে সূরা ফাতিহার অনুরূপ কোন সূরা নাজিল করেননি। নিঃসন্দেহে তা হচ্ছে পুনঃপুন পাঠ্য আয়াত বিশিষ্ট। (অপর এক বর্ণনায় বাড়িয়ে বলা হয়েছে) এটা পুনঃ পুনঃ পাঠ্য সাত আয়াত বিশিষ্ট এবং এটাই মহান কুরআন যা আমাকে দান করা হয়েছে।
( তিরমিযী, অন্যান্য গ্রন্থসূত্র।)
أبواب التفسير وأسباب النزول وفضائل السور والآيات مرتبا على ذلك على نظام السور

باب سورة الفاتحة وما ورد في فضلها
عن أبي هريرة قال خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم على أبي بن كعب وهو يصلي فقال يا أبي فالتفت فلم يجبه ثم صلى أبي فخفف ثم انصرف إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال السلام عليك أي (4) رسول الله قال وعليك قال ما منعك أي أبي إذ دعوتك ان تجيبني؟ قال أي رسول الله كنت في الصلاة قال أفلست تجد فيما أوحى الله إلى أن استجيبوا لله وللرسول اذا دعاكم لما يحييكم؟ (5) قال قال بلى أي رسول الله لا أعود قال أتحب أن أعلمك سورة لم تنزل في التوراة ولا في الزبور ولا في الانجيل ولا في الفرقان مثلها؟ قال قلت نعم أي رسول الله فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اني لأرجو أن لا تخرج من هذا الباب حتى تعلمها قال فأخذ رسول الله صلى الله عليه وسلم يحدثني وأنا اتبطأ مخافة أن يبلغ قبل أن يقضي الحديث فلما أن دنونا من الباب قلت أي رسول الله ما السورة التي وعدتني؟ قال فكيف تقرأ في الصلاة؟ قال فقرأت عليه أم القرآن (1) قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذي نفسي بيده ما أنزل الله في التوراة ولا في الانجيل ولا في الزبور ولا في الفرقان مثلها وإنها للسبع من (2) المثاني (زاد في رواية) بلفظ (إنها السبع المثاني والقرآن العظيم الذي أعطيت
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান