মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৫
বিশ্ব-সৃষ্টি প্রসংগ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : আল্লাহর বাণী "স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
(৯৫) মুসলিম ইবন ইয়াসার আল-জুহানী (রা) থেকে বর্ণিত, 'উমারকে (রা)
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي أَدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِّيَّاتِهِمْ
"স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যখন তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা যখন আদমকে (আ) সৃষ্টি করেন, তখন ডান হাত দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর পিঠ মাসহ (বুলিয়ে দেওয়া) করেন এবং সেখান থেকে তাঁর নির্দিষ্ট সংখ্যক সন্তানদেরকে বের করে নিয়ে আসেন এবং বলেন এদেরকে সৃষ্টি করেছি জান্নাতের জন্য, জান্নাতবাসীদের আমলই (কর্ম) তারা করবে। এরপর (দ্বিতীয় দফা) আবার আদমের (আ) পিঠে মাসহ করলেন এবং নির্দিষ্টসংখ্যক সন্তানাদি বের করে আনলেন এবং বললেন, এদেরকে সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য, জাহান্নামবাসীদের আমলই (কর্ম) তারা করবে। তখন জনৈক ব্যক্তি বললো, তাহলে 'আমল' (কর্ম) কিসের জন্য? রাসূল (ﷺ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা যখন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাকে জান্নাতবাসীদের আমলে অভ্যস্ত করে নেন ফলে সে জান্নাতবাসীদের আমল করতে থাকে, এইভাবে সে মৃত্যুবরণ করে তখন তিনি তাকে সেই আমলের সাহায্যে জান্নাতে প্রবেশ করান। (অপরদিকে) আল্লাহ্ যখন কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাকে জাহান্নামবাসীদের আমলে অভ্যস্ত করে নেন এবং সে জাহান্নামবাসীদের আমল করতে করতে মৃত্যুবরণ করে তখন তিনি তাকে এর মাধ্যমে জাহান্নামে প্রবেশ করান।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِنْ بَنِي أَدَمَ مِنْ ظُهُوْرِهِمْ ذُرِّيَّاتِهِمْ
"স্মরণ কর যখন তোমার প্রভু আদম সন্তানের পৃষ্ঠদেশ হতে তার বংশধরকে বের করেন।” (আ'রাফ: ১৭২)
আয়াত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, যখন তাঁকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা যখন আদমকে (আ) সৃষ্টি করেন, তখন ডান হাত দিয়ে আল্লাহ্ তাঁর পিঠ মাসহ (বুলিয়ে দেওয়া) করেন এবং সেখান থেকে তাঁর নির্দিষ্ট সংখ্যক সন্তানদেরকে বের করে নিয়ে আসেন এবং বলেন এদেরকে সৃষ্টি করেছি জান্নাতের জন্য, জান্নাতবাসীদের আমলই (কর্ম) তারা করবে। এরপর (দ্বিতীয় দফা) আবার আদমের (আ) পিঠে মাসহ করলেন এবং নির্দিষ্টসংখ্যক সন্তানাদি বের করে আনলেন এবং বললেন, এদেরকে সৃষ্টি করেছি জাহান্নামের জন্য, জাহান্নামবাসীদের আমলই (কর্ম) তারা করবে। তখন জনৈক ব্যক্তি বললো, তাহলে 'আমল' (কর্ম) কিসের জন্য? রাসূল (ﷺ) বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা যখন বান্দাকে জান্নাতের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাকে জান্নাতবাসীদের আমলে অভ্যস্ত করে নেন ফলে সে জান্নাতবাসীদের আমল করতে থাকে, এইভাবে সে মৃত্যুবরণ করে তখন তিনি তাকে সেই আমলের সাহায্যে জান্নাতে প্রবেশ করান। (অপরদিকে) আল্লাহ্ যখন কোন বান্দাকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেন, তখন তাকে জাহান্নামবাসীদের আমলে অভ্যস্ত করে নেন এবং সে জাহান্নামবাসীদের আমল করতে করতে মৃত্যুবরণ করে তখন তিনি তাকে এর মাধ্যমে জাহান্নামে প্রবেশ করান।
(এই হাদীসের উদ্ধৃতি ১৮শ খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে।)
كتاب خلق العالم
باب قول الله عز وجل وإذا خذر ربك من بنى آدم من ظهورهم ذرياتهم
عن مسلم ابن يسار الجنى (4) ان عمر بن الخطاب رضى الله عنه سئل عن هذه الآية (وإذ أخذ ربك من بني آدم من ظهورهم ذرياتهم الآية) فقال عمر رضى الله عنه سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عنها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله خلق آدم ثم مسح ظهره بيمينه واستخرج منه ذرية فقال خلقت هؤلاء للجنة وبعمل أهل الجنة يعملون: ثم مسح ظهره فاستخرج منه ذرية فقال خلقت هؤلاء النار وبعمل أهل النار يعملون، فقال رجل يا رسول الله فقيم العمل؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله عز وجل اذا خلق العبد للجنة استعمله بعمل أهل الجنة حتى يموت على عمل من أعمال أهل الجنة فيدخله به الجنة، وإذا خلق العبد للنار استعمله بعمل أهل النار حتى يموت على عمل من أعمال أهل النار فيدخله به النار