মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

বিবাহ অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৯
বিবাহ অধ্যায়
পরিচ্ছেদ : কতবার দুধ পান করলে বিয়ে করা হারাম হবে। আর সাবালকের দুধ পান প্রসঙ্গ।
১১৯। উরওয়া ইবন যুবায়র (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি আয়েশা (রা) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবু হুযায়ফা (রা) জনৈকা আনসার মহিলার গোলাম সালিম (রা) কে পালক পুত্র বানালেন, যেরূপ নবী (ﷺ) যায়েদ (রা)-কে পালক পুত্র বানান। জাহিলিয়্যাতের যুগে যদি কেউ কাউকে পালক পুত্র বানাত তাহলে মানুষ তাকে তার পুত্র বলে ডাকত। আর সে তার উত্তরাধিকার হত অবশেষে যখন আল্লাহ তা'আলা আয়াত অবতীর্ণ করেন:
أَدْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِنْدَ اللهِ، فَإِنْ لَمْ تَعْلَمُوا آبَاءَهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيْكُمْ .
তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে অধিকতর ন্যায় সংগত। যদি তোমরা না জান তাদের পিতৃ পরিচয়, তবে তারা তো তোমাদের ধর্মের ভাই এবং তোমাদের বন্ধু। (সূরা আহযাব : ৫)
তখন তারা তাদেরকে তাদের পিতাদের পরিচয়ে পরিচিত করল। কারো পিতা কে, তা জানা না থাকলে সে বন্ধু এবং ধর্মীয় ভাই হত। অতঃপর সাহলা (রা) রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমরা সালিম (রা)-কে ছেলে মনে করতাম। সে আমার এবং আবূ হুযায়ফা (রা) এর সাথে অবস্থান করত। আর সে আমাকে আমার মাথা ও বুকের উপরিভাগ খোলা অবস্থায় দেখত। (অন্য এক বর্ণনায় আছে সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়েছে)। আর আল্লাহ তা'আলা তাদের সম্পর্কে যে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন আপনি তা অবগত আছেন। তিনি বললেন, তুমি তাকে পাঁচবার দুধ পান করাও। (অন্য এক বর্ণনায় আছে: তুমি তাকে দুধ পান করাও তাহলে তুমি তার পক্ষে হারাম হয়ে যাবে।) অতএব সে তার দুধ পুত্র রূপে গণ্য হল।
অন্য এক বর্ণনায় অতিরিক্ত আছে, তিনি তাকে পাঁচবার দুধ পান করান। আর সে তাঁর দুধ পুত্র রূপে গণ্য হল। আয়েশা (রা) যদি তাঁর কাছে কারো প্রবেশ পছন্দ করতেন, তাকে তাঁর বোনদেরকে এবং ভাগনীদেরকে পাঁচবার দুধ পান করাতে আদেশ করতেন, যদিও সে দু' বছরের থেকে বড় হয়। অতঃপর সে তাঁর নিকট প্রবেশ করত। উম্মু সালামা (রা) এবং নবী (ﷺ) -এর অন্যান্য স্ত্রীগণ (রা) কারও শৈশবে দুধ পান না করে বড় হয়ে যাওয়ার পর দুধ পান করার দ্বারা তাঁদের নিকট প্রবেশ করার বিষয়ে আপত্তি তুললেন। তাঁরা আয়েশা (রা) কে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা জানিনা, সম্ভবত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)র শুধুমাত্র সালিম (রা) এর জন্য এরূপ অনুমতি দিয়েছিলেন।
(বুখারী, মুসলিম, আবূ দাউদ, নাসাঈ, মালিক, শাফিয়ী)
كتاب النكاح
باب عد الرضعات المحرمة - وما جاء في رضاعة الكبير
عن عروة بن الزبير (5) عن عائشة رضى الله عنهما أن أبا حذيفة (6) تبنىَّ سالما وهو مولى لامرأة من الأنصار (7) كما تبنى النبي صلى الله عليه وسلم زيدا، وكان من تنبى رجلا في الجاهلية دعاه الناس ابنه وورث من ميراثه حتى أنزل الله عز وجل {ادعوهم لآبائهم هو أقسط عند الله، فان لم تعلموا آباءهم فإخوانكم في الدين ومواليكم} فردّوا (8) إلى آبائهم فمن لم يعلم له أب فمولى وأخ في الدين، فجاءت سهلة (9) فقالت يا رسول الله كنا نرى سالما ولدا يأوى معي ومع أبي حذيفة ويراني فضلا (1) (وفى لفظ وقد بلغ ما يبلغ الرجال) وقد أنزل الله عز وجل فيهم ما قد علمت (11)، فقال ارضعيه خمس رضعات (وفي لفظ أرضعيه تحرمي عليه) (1) فكان بمنزلة ولدها من الرضاع (زاد في رواية) فأرضعته خمس رضعات فكان بمنزلة ولدها من الرضاعة فبذلك كانت عائشة تأمر أخواتها (2) وبنات أخواتها أن يرضعن من أحبت عائشة أن يراها ويدخل عليها وان كان كبيرا خمس رضعات ثم يدخل عليها، وأبت أم سلمة وسائر أزواج النبي صلى الله عليه وسلم أن يدخلن عليهن بتلك الرضاعة أحدا من الناس حتى يرضع في المهد (3) وقلن لعائشة والله ما ندري لعلها كانت رخصة من رسول الله صلى الله عليه وسلم لسالم من دون الناس
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান