আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

২৬. অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৬১৮
অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ জান্নাতীদের জান্নাতে প্রবেশ ইত্যাদির বর্ণনা
৫৬১৮. হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَنِ وَفْدًا "যেদিন আমি মুত্তাকীদেরকে দয়ালু আল্লাহর কাছে মেহমান স্বরূপ সমবেত করব" (১৯ঃ ৮৫) প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। 'ওয়াদ' মানে কাফেলা নয় কি? নবী (ﷺ) বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, নিশ্চয় যখন তারা তাদের কবর থেকে বের হবে, তখন তাদেরকে এরূপ শুভ্র উটনীসমূহ দ্বারা খোশ-আমদেদ জানানো হবে, যাদের পাখা রয়েছে, এবং যাদের উপরে রয়েছে সোনার হাওদা। তাদের পাদুকার ফিতা হবে চকচকে নূরের তৈরী। উটনীগুলোর প্রতিটি পদক্ষেপ হবে দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্তে তারা জান্নাতের দরজায় পৌঁছবে এবং দেখবে, সোনার তৈরী দরজার পাটের উপর লাল চুনি পাথরের কড়া। আরও দেখবে যে, জান্নাতের দরজায় একটি বৃক্ষ রয়েছে, বৃক্ষটির গোড়া থেকে দু'টি বর্ণ উৎসারিত হচ্ছে। যখন তারা সে দু'টির একটি থেকে পানি পান করবে, তখন তাদের চেহারায় জান্নাতের উজ্জ্বল্য চমক মারবে। যখন তারা অপরটি থেকে উযু করবে, তখন থেকে তাদের চুল কখনও উসকু খুসকু হবে না। তখন তারা কড়াটি দ্বারা দরজার পাটে আঘাত করবে-হে আলী! যদি তুমি কড়ার শব্দ শুনতে। ফলে প্রত্যেক হুরের কাছে এ সংবাদ পৌঁছবে যে, তার স্বামী সুতরাং কখনও লাবণ্য হারা হব না। আমি চির সঙ্গিনী সুতরাং কখনও তোমাকে পরিত্যাগ করব না। তারপর সে এমন একটি ঘরে প্রবেশ করবে, যার ভিত্তি থেকে ছাদপর্যন্ত এক লাখ হাত গৃহটি মুক্তা ও চুনির প্রস্তর খণ্ডের উপর নির্মিত। ঘরটিকে কোন কোন পথ লোহিত বর্ণের কোন কোন পথ সবুজ আবার কোন কোন পথ হলুদ বর্ণের। একটি পথ অপর পথের সাথে সামঞ্জস্যশীল হবে না। সে সুসজ্জিত তখতের উপর পৌঁছে দেখবে যে, তার উপর একটি পালংক রয়েছে। পালংকটির উপর রয়েছে সত্তরটি শয্যা। প্রতিটি শয্যায় সত্তরজন করে স্ত্রী। প্রত্যেক স্ত্রীর গায়ে সত্তরটি করে পোষাক। পোষাকগুলোর ভেতর থেকে তার পায়ের গোছার মগজ দেখা যাবে। জান্নাতী ব্যক্তিটি রাতের সম পরিমাণ সময়ে তাদের সকলের সাথে সঙ্গম কার্যপূর্ণ করবে। তাদের নিচ দিয়ে বহু বহতা প্রবাহিত হবে। এমন পানির কিছু নদী থাকবে, যার পানি কখনো বিস্বাদ বা দুর্গন্দময় হবেনা- যা হবে স্বচ্ছ নির্মল। এমন পরিচ্ছন্ন মধুর বেশ কিছু নদী থাকবে, যা মৌমাছির পেট থেকে নির্গত হয়নি। এমন শরাবের অনেক নদী থাকবে, হয পানকারীদের জন্য হবে সুস্বাদু এবং যা লোকেরা তাদের পা দ্বারা মাড়িয়ে নিংড়ায় নি। এমন দুধের অনেক নদী থাকবে, যার স্বাদ কখনো বিকৃত হবে না এবং যা চতুস্পদ জন্তুর পেট থেকে নির্গত হয়নি। যখন তারা খাবারের জন্য আগ্রহ করবে তখন তাদের কাছে অনেক সাদা পাখি আসবে। এবং তারা তাদের ডানা তুলবে। জান্নাতীগণ পাখিগুলোর ডানার নিচ থেকে যে রকমের খাবার ইচ্ছা হবে নিয়ে খাবে। এরপর পাখিগুলো উড়ে চলে যাবে। সেখানে থাকবে ঝুলন্ত কাঁদি কাঁদি ফলরাশি যখন তারা ফল খেতে আগ্রহ করবে তখন ডাল তাদের দিকে ঝুঁকে যাবে। তখন তারা যে প্রকার ফল ইচ্ছা হবে খাবে। যদি চায় দাঁড়িয়ে খাবে, যদি চায় হেলান দিয়ে খাবে। এটাই আল্লাহ্ তা'আলা বলেছেন: وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ সে দু'টি উদ্যানের ফল নিকটবর্তী হবে" (৫৫: ৫৪)। এবং তাদের সামনে থাকবে মুক্তাসদৃশ ভৃত্যকূল।
(ইবন আবিদ-দুনিয়া সিফাতুল জান্নাহ' গ্রন্থে হারিস আ'ওয়ার সূত্রে হযরত আলী (রা) থেকে মারফু সনদে
এভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছন। পুনরায় ইবন আবিদ-দুনিয়া এবং বায়হাকী প্রমুখ আসিম ইবন জামরা সূত্রে আলী (রা)-এর উপর মাওকূফ রেখে হাদীসটি এরকমই বর্ণনা করেছেন। এটাই বিশুদ্ধতর ও প্রসিদ্ধতর। ইব্‌ন আবিদ-দুনিয়া বর্ণিত রিওয়ায়েতের ভাষায় তিনি বলেন, "যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করত তাদেরকে জান্নাতের দিকে দলবদ্ধভাবে নেওয়া হবে তারপর যখন তারা জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে কোন দরজায় গিয়ে পৌছবে, তখন তারা সেখানে একটি বৃক্ষ দেখতে পাবে। বৃক্ষটির কাজের তলদেশ থেকে দু'টি বহতা বর্ণা উৎসারিত হচ্ছে। তারপর তারা দু'টির মধ্যে একটি কাছে যাবে। যেন তাদেরকে সেখানে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা তা থেকে পানি পানি করবে। ফলে তাদের পেটের ময়লা আবর্জনা ও অসুবিধা দূর করে দেবে। এরপর তারা আরেকটির কাছে যাবে এবং তাতে তারা উযূ করবে। তখন তাদের চেহারায় জান্নাতের এমনি লাবণ্য খেলে যাবে। যে তাদের গায়ের চামড়া এরপর কখনও বিকৃতি বা কুঞ্জন দেখা দেবে না এবং তাদের চুল কখনো উসকু খুসকু হবে না। যেন তাদেরকে তেল মাখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তারা জান্নাতের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতাদের কাছে গিয়ে উপনীত হবে। তখন তারা বলবে, তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। তোমরা সুখে থাক এবং স্থায়ী আবাসের জন্য তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর" তিনি বলেন, "তারপর তার সাথে সাক্ষাৎ করবে কিশোররা। তারা জান্নাতীদের পাশে ঘুরবে, যেমন দুনিয়াবাসী কিশোররা কোন আপনজন প্রবাস থেকে আসলে তার আশেপাশে ঘোরাফেরা করে। তারপর তারা বলবে, তুমি সে সব সম্মানের সুসংবাদ গ্রহণ কর, যা আল্লাহ্ তা'আলা তোমার জন্য প্রস্তুত রেখেছেন। তিনি বলেন, তারপর সেসব কিশোরের মধ্য থেকে একজন কিশোর তার কোন এক আয়াতালোচনা হুর স্ত্রীর কাছে যাবে এবং দুনিয়াতে তাকে যে নামে ডাকা হত, সে নাম ধরে বলবে, অমুক এসেছে। ‍হুর জিজ্ঞেস করবে, তুমি কি তাকে দেখেছ? সে বলবে, আমি তাকে দেখেছি। সে আমার পেছনেই রয়েছে। ফলে হুরদের একজন আনন্দে নেচে উঠবে এবং জান্নাতের দরজার চৌকাঠের উপর দাঁড়াবে। যখন সে তার মঞ্জিলে পৌঁছবে, তখন সে তাকিয়ে দেখবে যে, তার প্রাসাদের ভিত্তি কিসের উপর। সে দেখবে মুক্তার এক বিরাট প্রস্তুর খন্ড। তার উপর রয়েছে সবুজ হলুদ, লাল ও রকমারি সুউচ্চ প্রাসাদ। এরপর সে তার মাথা তুলে প্রাসাদের ছাদের দিকে তাকিয়ে দেখবে, ছাদটি বিদ্যুতের মত। যদি আল্লাহ্ তা'আলা তার জন্য এটা নির্ধারিত না রাখতেন, তবে তার দৃষ্টি শক্তি চলে যাওয়ার উপক্রম হত। এরপর সে তার মাথা নিচু করে তার স্ত্রীদের দিকে তাকবে। সেখানে রয়েছে সংরক্ষিত পানপাত্র রাশি, সারি সারি তাকিয়া এবং বিস্তৃত বিছানো গালিচা। সে এসব নেয়ামতের দিকে তাকাবে। এরপর তারা হেলান দিয়ে বসে বলবে, الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلَا أَنْ هَدَانَا اللَّهُ "সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদেরকে এসব নেয়ামতের জন্য পথ নির্দেশনা করেছেন। আমরা হেদায়েত পাবার ছিলাম না, যদি না তিনি আমাদের পথ নির্দেশনা করতেন (৭: ৪৩)। এরপর একজন ঘোষক ঘোষণা দেবে, তোমরা জীবিত থাকবে, তোমরা এরপর কখনও মৃত্যু মুখে পতিত হবে না। তোমরা সর্বদা থাকবে, কখনও বিদায় হবে না। তোমরা সুস্থ থাকবে, (বর্ণনাকারী বলেন,) আমার ধারণা মতে, তিনি বলেছেন, কখনও পীড়িত হবে না।")
كتاب صفة الجنة والنار
فصل فِي صفة دُخُول أهل الْجنَّة الْجنَّة وَغير ذَلِك
5618- عَن عَليّ رَضِي الله عَنهُ أَنه سَأَلَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم عَن هَذِه الْآيَة يَوْم نحْشر الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَن وَفْدًا مَرْيَم 58 إِلَى

آخرهَا قَالَ قلت يَا رَسُول الله مَا الْوَفْد إِلَّا ركب قَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ إِنَّهُم إِذا خَرجُوا من قُبُورهم استقبلوا بِنُوق بيض لَهَا أَجْنِحَة عَلَيْهَا رحال الذَّهَب شرك نعَالهمْ نور يتلألأ كل خطْوَة مِنْهَا مثل مد الْبَصَر وينتهون إِلَى بَاب الْجنَّة فَإِذا حَلقَة من ياقوتة حَمْرَاء على صَفَائِح الذَّهَب وَإِذا شَجَرَة على بَاب الْجنَّة يَنْبع من أَصْلهَا عينان فَإِذا شربوا من أَحدهمَا جرت فِي وُجُوههم بنضرة النَّعيم وَإِذا توضؤوا من الْأُخْرَى لم تشعث أشعارهم أبدا فيضربون الْحلقَة بالصفيحة فَلَو سَمِعت طنين الْحلقَة يَا عَليّ فَيبلغ كل حوراء أَن زَوجهَا قد أقبل فتستخفها العجلة فتبعث قيمها فَيفتح لَهُ الْبَاب فلولا أَن الله عز وَجل عرفه نَفسه لخر لَهُ سَاجِدا مِمَّا يرى من النُّور والبهاء فَيَقُول أَنا قيمك الَّذِي وكلت بِأَمْرك فيتبعه فيقفو أَثَره فَيَأْتِي زَوجته فتستخفها العجلة فَتخرج من الْخَيْمَة فتعانقه وَتقول أَنْت حبي وَأَنا حبك وَأَنا الراضية فَلَا أَسخط أبدا وَأَنا الناعمة بِلَا أبأس أبدا وَأَنا الخالدة فَلَا أظعن أبدا فَيدْخل بَيْتا من أساسه إِلَى سقفه مائَة ألف ذِرَاع مَبْنِيّ على جندل اللُّؤْلُؤ والياقوت طرائق خضر وطرائق صفر مَا مِنْهَا طَريقَة تشاكل صاحبتها فَيَأْتِي الأريكة فَإِذا عَلَيْهَا سَرِير على السرير سَبْعُونَ فراشا على كل فرَاش سَبْعُونَ زَوْجَة على كل زَوْجَة سَبْعُونَ حلَّة يرى مخ سَاقهَا من بَاطِن الْحلَل يقْضِي جماعهن فِي مِقْدَار لَيْلَة تجْرِي من تَحْتهم أَنهَار مطردَة أَنهَار من مَاء غير آسن صَاف لَيْسَ فِيهِ كدر وأنهار من عسل مصفى لم يخرج من بطُون النَّحْل وأنهار من خمر لَذَّة للشاربين لم تعصره الرِّجَال بأقدامها وأنهار من لبن لم يتَغَيَّر طعمه لم يخرج من بطُون الْمَاشِيَة فَإِذا اشتهوا الطَّعَام جَاءَتْهُم طير بيض فَترفع أَجْنِحَتهَا فَيَأْكُلُونَ من جنوبها من أَي الألوان شاؤوا ثمَّ تطير فتذهب وفيهَا ثمار متدلية إِذا اشتهوها انْبَعَثَ الْغُصْن إِلَيْهِم فَيَأْكُلُونَ من أَي الثِّمَار شاؤوا إِن شَاءَ قَائِما وَإِن شَاءَ مُتكئا وَذَلِكَ قَوْله وجنى الجنتين دَان الرَّحْمَن 45 وَبَين أَيْديهم خدم كَاللُّؤْلُؤِ
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فِي كتاب صفة الْجنَّة عَن الْحَارِث وَهُوَ الْأَعْوَر عَن عَليّ مَرْفُوعا هَكَذَا وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا أَيْضا وَالْبَيْهَقِيّ وَغَيرهمَا عَن
عَاصِم بن ضَمرَة عَن عَليّ مَوْقُوفا عَلَيْهِ بِنَحْوِهِ وَهُوَ أصح وَأشهر
وَلَفظ ابْن أبي الدُّنْيَا قَالَ يساق الَّذين اتَّقوا رَبهم إِلَى الْجنَّة زمرا حَتَّى إِذا انْتَهوا إِلَى بَاب من أَبْوَابهَا وجدوا عِنْده شَجَرَة يخرج من تَحت سَاقهَا عينان تجريان فعمدوا إِلَى إِحْدَاهمَا كَأَنَّمَا أمروا بهَا فَشَرِبُوا مِنْهَا فأذهبت مَا فِي بطونهم من أَذَى أَو قذى أَو بَأْس ثمَّ عَمدُوا إِلَى الْأُخْرَى فتطهروا مِنْهَا فجرت عَلَيْهِم بنضرة النَّعيم فَلَنْ تَتَغَيَّر أبشارهم تغيرا بعْدهَا أبدا وَلنْ تشعث أشعارهم كَأَنَّمَا دهنوا بالدهان ثمَّ انْتَهوا إِلَى خَزَنَة الْجنَّة فَقَالُوا سَلام عَلَيْكُم طبتم فادخلوها خَالِدين الزمر 37 قَالَ ثمَّ تلقاهم أَو يلقاهم الْولدَان يطيفون بهم كَمَا يطِيف ولدان أهل الدُّنْيَا بالحميم يقدم من غيبته فَيَقُولُونَ أبشر بِمَا أعد الله لَك من الْكَرَامَة قَالَ ثمَّ ينْطَلق غُلَام من أُولَئِكَ الْولدَان إِلَى بعض أَزوَاجه من الْحور الْعين فَيَقُول قد جَاءَ فلَان باسمه الَّذِي يدعى بِهِ فِي الدُّنْيَا فَتَقول أَنْت رَأَيْته فَيَقُول أَنا رَأَيْته وَهُوَ ذَا بإثري فيستخف إِحْدَاهُنَّ الْفَرح حَتَّى تقوم على أُسْكُفَّة بَابهَا فَإِذا انْتهى إِلَى منزله نظر إِلَى أَي شَيْء أساس بُنْيَانه فَإِذا جندل اللُّؤْلُؤ فَوْقه صرح أَخْضَر وأصفر وأحمر وَمن كل لون ثمَّ رفع رَأسه فَنظر إِلَى سقفه فَإِذا مثل الْبَرْق لَوْلَا أَن الله قدر لَهُ الْأَلَم أَن يذهب ببصره ثمَّ طأطأ رَأسه فَنظر إِلَى أَزوَاجه وأكواب مَوْضُوعَة ونمارق مصفوفة وزرابي مبثوثة الغاشية 41 61 فنظروا إِلَى تِلْكَ النِّعْمَة ثمَّ اتكئوا وَقَالُوا الْحَمد لله الَّذِي هدَانَا لهَذَا وَمَا كُنَّا لنهتدي لَوْلَا أَن هدَانَا الله الْأَعْرَاف 34 الْآيَة ثمَّ يُنَادي مُنَاد تحيون فَلَا تموتون أبدا وتقيمون فَلَا تظعنون أبدا وتصحون أرَاهُ قَالَ فَلَا تمرضون أبدا
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ৫৬১৮ | মুসলিম বাংলা