আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
২৬. অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
হাদীস নং: ৫৬৪২
অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ আযাবের ক্ষেত্রে জাহান্নামীদের ব্যবধান ও তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম আযাবপ্রাপ্ত ব্যক্তির বর্ণনা
৫৬৪২. হযরত সামুরা ইবন জুনদুব (রা) সূত্রে নবী (ﷺ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাদের (জাহান্নামীদের) মধ্যে কেউ আগুন তার দু'পায়ের গিট পর্যন্ত ধরবে, কাউকে আগুন তার দু'হাঁটু পর্যন্ত ধরবে, কাউকে আগুন তার কোমার পর্যন্ত ধরবে, কাউকে আগুন তার ঘাড় পর্যন্ত গ্রাস করবে এবং কাউকে আগুন তার ঘাড়ের উপরি ভাগ পর্যন্ত গ্রাস করে ফেলবে।
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তাদের কাউকে আগুন তার দু'পায়ের গিঁট পর্যন্ত ধরবে, কাউকে তার কোমার পর্যন্ত ধরবে এবং কাউকে তার ঘাড় পর্যন্ত গ্রাস করে নেবে।)
(মুসলিম (র) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। মুসলিমের অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তাদের কাউকে আগুন তার দু'পায়ের গিঁট পর্যন্ত ধরবে, কাউকে তার কোমার পর্যন্ত ধরবে এবং কাউকে তার ঘাড় পর্যন্ত গ্রাস করে নেবে।)
كتاب صفة الجنة والنار
فصل فِي تفاوتهم فِي الْعَذَاب وَذكر أهونهم عذَابا
5642- وَعَن سَمُرَة بن جُنْدُب رَضِي الله عَنهُ عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ مِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى كعبيه وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى رُكْبَتَيْهِ وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى حجزته وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى عُنُقه وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى ترقوته
رَوَاهُ مُسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ مِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى كعبيه وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ إِلَى حجزته وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ إِلَى عُنُقه
رَوَاهُ مُسلم
وَفِي رِوَايَة لَهُ مِنْهُم من تَأْخُذهُ النَّار إِلَى كعبيه وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ إِلَى حجزته وَمِنْهُم من تَأْخُذهُ إِلَى عُنُقه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে পাপের পরিমাণ অনুপাতে জাহান্নামীদের শাস্তির তারতম্য বর্ণনা করা হয়েছে। এ শাস্তি হবে কাফেরদের। বোঝা যাচ্ছে, তাদের প্রধান শাস্তি হবে আগুনে পোড়ানো। বিভিন্ন হাদীছে জানানো হয়েছে, যার শাস্তি সর্বাপেক্ষা কম হবে তার পায়ের তলদেশে জ্বলন্ত কয়লা রেখে দেওয়া হবে। তাতেই তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে। তাহলে যার টাখনু পর্যন্ত পুরো পা আগুনে জ্বলবে, তার শাস্তি কতটা তীব্র হবে? এমনিভাবে পর্যায়ক্রমে বাড়তে বাড়তে যার কণ্ঠনালী পর্যন্ত আগুনে ডুবে যাবে, তার কী অবস্থা হবে? তবে আগুনে পোড়ার শাস্তি যে মাত্রারই হোক না কেন তা দুর্বিষহ। আমাদের জন্য কোনওটিকেই হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সে শাস্তি থেকে হেফাজত করুন। আমাদেরকে ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুদান করুন। আমীন।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
জাহান্নামে কাফেরদের কুফরের মাত্রাভেদ অনুযায়ী শান্তিরও মাত্রাভেদ হবে। সে শাস্তি যে মাত্রারই হোক না কেন, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত আমাদেরকে ঈমান ও আমলের মেহনত চালিয়ে যেতে হবে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
জাহান্নামে কাফেরদের কুফরের মাত্রাভেদ অনুযায়ী শান্তিরও মাত্রাভেদ হবে। সে শাস্তি যে মাত্রারই হোক না কেন, তা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত আমাদেরকে ঈমান ও আমলের মেহনত চালিয়ে যেতে হবে।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)