আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

২৬. অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৬২২
অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামীদের খাবারের বর্ণনা
৫৬২২. হযরত আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন, জাহান্নামীদেরকে এমন ক্ষুধা দেওয়া হবে যে, তা তাদের অন্যান্য আযাবের সমান হবে। তখন তারা সাহায্য প্রার্থনা করবে। আর তাদেরকে এমন কন্টক বিশিষ্ট খাদ্য দেওয়া হবে, যা তাদেরকে স্বাস্থ্যবান করবে না এবং তাদের ক্ষুধার নিবৃত্ত করবে না। সুতরাং তারা (পুনরায়) আহার্য্য প্রার্থনা করবে। তখন তাদেরকে গলায় আটকে যাওয়া খাদ্য দেওয়া হবে। তখন তারা স্মরণ করবে যে, তারা দুনিয়াতে পানীয় স্থলে গলায় আটকে যাওয়া খাদ্য গলাধঃকরণ করত। তাই তারা পানীয় চাইবে। তখন তাদেরকে লোহার হুক দেওয়া হবে। যখন হুকগুলো তাদের নিকটবর্তী হবে, তখন তাদের চেহারা ঝলসিয়ে দেবে এবং যখন তাদের পেটে প্রবেশ করবে তখন তাদের পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি সবকিছু কেটে দেবে। তখন তারা বলবে, জাহান্নামের তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত ফিরিশতাদেরকে ডাক। قَالُوا أَوَلَمْ تَكُ تَأْتِيكُمْ رُسُلُكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بَلَى قَالُوا فَادْعُوا وَمَا دُعَاءُ الْكَافِرِينَ إِلَّا فِي ضَلَالٍ "তোমাদের রাসুলগণ কি তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট মু'জিয়া নিয়ে আসতেন না? তারা বলবে, হ্যাঁ। ফিরিশতাগণ বলবেন, তবে তোমরা দু'আ কর এবং কাফিরদের দু'আ কেবল ব্যর্থই হয়।" (৪০ঃ ৫০)। "তারা (জাহান্নামের প্রধান ফেরেশতাকে) ডেকে বলবে, হে মালেক! তোমার প্রতিপালক আমাদের জীবন সাঙ্গ করে দিন। সে বলবে, তোমাদেরকে এ অবস্থায়ই থাকতে হবে।"(৪৩ঃ ৭৭)।
আ'মাশ (র) বলেন, আমি জ্ঞাত হয়েছি যে, তাদের মালিককে আহবান করা ও মালিক কর্তৃক তাদের আহ্বানের উত্তর দেওয়ার মধ্যে এক হাজার বছরের ব্যবধান থাকবে। তিনি বলেন, তারা বলবে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে দু'আ কর, কেননা তোমাদের প্রতিপালকের চেয়ে উত্তম কেউ নেই। তখন তারা বলবে, رَبَّنَا غَلَبَتْ عَلَيْنَا شِقْوَتُنَا وَكُنَّا قَوْمًا ضَالِّينَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْهَا فَإِنْ عُدْنَا فَإِنَّا ظَالِمُونَ আমাদের প্রতিপালক দুর্ভাগ্য আমাদের উপর ছেয়ে গিয়েছিল এবং আমরা ছিলাম ভ্রষ্ট সম্প্রদায়। হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে এখান থেকে মুক্তি দিন। এরপর যদি আমরা (দীনধর্ম ও নবী রাসুলকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করা ও পাপাচারের পথে ফিরে যাই) তবে নিশ্চয় আমরা অপরাধী হব।" (২৩ঃ ১০৬, ১০৭)।
তিনি বলেন, তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাদেরকে জবাব দেবেন, اخْسَئُوا فِيهَا وَلَا تُكَلِّمُونِ তোমরা লাঞ্ছিত হয়ে পড়ে থাক, এবং তোমরা আমার সাথে কোন কথা বলো না। (২৩: ১০৮)। তিনি বলেন, তখন তারা সর্বপ্রকার কল্যাণ থেকে নিরাশ হয়ে যাবে। এবং তখন তারা আর্তনাদ, আক্ষেপ ও ধ্বংসের মধ্যে পড়ে থাকবে।
(তিরমিযী ও বায়হাকী উভয়ে কুতবা ইবন আব্দুল আযীয এর সূত্রে, তিনি আমাশ থেকে, তিনি শাহর ইব আতিয়্যা থেকে, তিনি শাহর ইবন হাওশাব থেকে, তিনি উম্মু দারদা থেকে, তিনি আবু দারদা (রা) থেকে এ হাদীস বর্ণণা করেছেন। তিরমিযী (র) বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন আব্দুর রহমান বলেছেন, মানুষ এ হাদীস মারফু' সনদে বর্ণনা করেন না। তিনি বলেন, এ হাদীসটি আ'মাশ থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি শাহর ইবন আতিয়্যা থেকে, তিনি শাহর ইবন হাওশাব থেকে, তিনি উম্মু দারদা থেকে, তিনি আবু দারদা (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। এটা মারফু হাদীস নয়। কুতবা ইবন আব্দুল আযীয হাদীস বিশারদদের কাছে নির্ভরযোগ্য।)
كتاب صفة الجنة والنار
فصل فِي طَعَام أهل النَّار
5622- وَعَن أبي الدَّرْدَاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يلقى على أهل النَّار الْجُوع فيعدل مَا هم فِيهِ من الْعَذَاب فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَام من ضَرِيع لَا يسمن وَلَا يُغني من جوع فَيَسْتَغِيثُونَ فَيُغَاثُونَ بِطَعَام ذِي غُصَّة فَيذكرُونَ أَنهم يجيزون الْغصَص فِي الدُّنْيَا بِالشرابِ فَيَسْتَغِيثُونَ بِالشرابِ فَيدْفَع إِلَيْهِم بِكَلَالِيب الْحَدِيد فَإِذا دنت من وُجُوههم شَوَتْ وُجُوههم فَإِذا دخلت بطونهم قطعت مَا فِي بطونهم فَيَقُولُونَ ادعوا خَزَنَة جَهَنَّم فَيَقُولُونَ ألم تَكُ تَأْتيكُمْ رسلكُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا بلَى قَالُوا فَادعوا وَمَا دُعَاء الْكَافرين إِلَّا فِي ضلال غَافِر 05 قَالَ فَيَقُولُونَ ادعوا مَالِكًا فَيَقُولُونَ يَا مَالك ليَقْضِ علينا رَبك الزخرف 77 قَالَ فَيُجِيبهُمْ إِنَّكُم مَاكِثُونَ الزخرف 77 قَالَ الْأَعْمَش نبئت أَن بَين دُعَائِهِمْ وَبَين إِجَابَة مَالك إيَّاهُم ألف عَام
قَالَ فَيَقُولُونَ ادعوا ربكُم فَلَا أحد خير من ربكُم فَيَقُولُونَ رَبنَا غلبت علينا شِقْوَتنَا وَكُنَّا قوما ضَالِّينَ رَبنَا أخرجنَا مِنْهَا فَإِن عدنا فَإنَّا ظَالِمُونَ الْمُؤْمِنُونَ 601 701 قَالَ فَيُجِيبهُمْ اخسؤوا فِيهَا وَلَا تكَلمُون الْمُؤْمِنُونَ 801 قَالَ فَعِنْدَ ذَلِك يئسوا من كل خير وَعند ذَلِك يَأْخُذُونَ فِي الزَّفِير وَالْحَسْرَة وَالْوَيْل

رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن قُطْبَة بن عبد الْعَزِيز عَن الْأَعْمَش عَن شمر بن عَطِيَّة عَن شهر بن حَوْشَب عَن أم الدَّرْدَاء عَنهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ قَالَ عبد الله بن عبد الرَّحْمَن وَالنَّاس لَا يرفعون هَذَا الحَدِيث قَالَ وَإِنَّمَا رُوِيَ هَذَا الحَدِيث عَن الْأَعْمَش عَن شمر بن عَطِيَّة عَن شهر بن حَوْشَب عَن أم الدَّرْدَاء عَن أبي الدَّرْدَاء
قَوْله وَلَيْسَ بمرفوع وَقُطْبَة بن عبد الْعَزِيز ثِقَة عِنْد أهل الحَدِيث انْتهى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ৫৬২২ | মুসলিম বাংলা