আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

২৬. অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা

হাদীস নং: ৫৬১০
অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
পরিচ্ছেদঃ জাহান্নামের জিঞ্জির ইত্যাদির বর্ণনা
৫৬১০. হযরত আব্দুল্লাহ্ ইব্‌ন আমর (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ভূ-মণ্ডলের প্রতিটি স্তর থেকে তার পরবর্তী স্তর পর্যন্ত পাঁচশ' বছরের দূরত্ব। তন্মধ্যে সর্বোচ্চ স্তর একটি মাছের পিঠের উপর প্রতিষ্ঠিত, যার দু'টি দিক একটি আকাশের সাথে মিশেছে। মাছটি একটি পাথরের উপর এবং পাথরটি একজন ফিরিশতার হাতের উপর রয়েছে। দ্বিতীয় স্তর বায়ু আবদ্ধ রাখার স্থান। যখন আল্লাহ্ তা'আলা 'আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করার ইচ্ছা করলেন, তখন বায়ুর তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত ফিরিশতাকে নির্দেশ দিলেন, তাদের উপর এমন বায়ু প্রেরণ করার জন্য, যা আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়। তিনি আরয কররেন, প্রভু! তাদের উপর ষাঁড়ের শ্বাস পরিমাণ বায়ু প্রেরণ করব? পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বললেন, তবে তো পৃথিবী ও পৃথিবীবাসীকে উল্টিয়ে দেবে। বরং একটি আংটি পরিমাণ বাতাস তাদের উপর প্রেরণ কর। এটাই আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কিতাবে বলেছেন,
(مَا تَذَرُ مِنْ شَيْءٍ أتَتْ عَلَيْهِ إِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِيْمِ) যে জিনিসের উপর দিয়েই প্রবাহিত হত, তাকে চূর্ণবিচূর্ণ করা ব্যতিরেকে ছাড়ত না" (৫১৪৪২)। তৃতীয় স্তরে রয়েছে জাহান্নামের পাথর, চতুর্থ স্তরে রয়েছে জাহান্নামের বারুদ। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। জাহান্নামের কি আবার বারুদ রয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ, জাহান্নামে অনেক বারুদের উপত্যকা রয়েছে। যদি তাতে বড় বড় পর্বতমালা ছেড়ে দেয়া হয় তবে সেগুলো গলে যাবে। পঞ্চম স্তরে রয়েছে, জাহান্নামের সর্পরাজি, সেগুলোর মুখ উপত্যকার মত। এসব সর্প কাফিরকে এভাবে দংশন করবে যে, তার হাঁড়ের উপর গোশত থাকবে না।
ষষ্ঠ স্তরে রয়েছে জাহান্নামের বিচ্ছু রাজি। জাহান্নামের সবচেয়ে ক্ষুদ্র বিচ্ছু বড় দুধেল খচ্চরের মত। কাফিরকে এভাবে দংশন করবে যে, তার দংশন জাহান্নামীকে জাহান্নামের তাপের কথা ভুলিয়ে দেবে।
সপ্তম স্তর হচ্ছে 'সাকার'। সেখানে লোহার শিকলে ইবলীস বাঁধা রয়েছে। একটি হাত তার সামনে, আরেকটি হাত তার পেছনে। যখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর কোন বান্দার জন্য তাকে ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে ছেড়ে দেন।
(হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করে বলেন, আবু সামহ এককভাবে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম ইয়াহয়া ইবনে মুঈনের ভাষায় তাঁর আদালত উল্লিখিত হয়েছে। হাদীসটি সহীহ। তবে বুখারী ও মুসলিম এ হাদীস বর্ণনা করেন নি।
[হাফিয (র) বলেন], আবূ সামহ তিনি দাররাজ। আব্দুল্লাহ ইবনে আয়্যাশ কাতবানী তাঁকে গ্রহণ করেছেন। উভয়ের ব্যাপারে পরে আলোচনা আসবে। হাদীসটির বক্তব্যে 'নাকারাত' রয়েছে।)
كتاب صفة الجنة والنار
فصل فِي سلاسلها وَغير ذَلِك
5610- وَعَن عبد الله بن عَمْرو رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِن الْأَرْضين بَين كل أَرض إِلَى الَّتِي تَلِيهَا مسيرَة خَمْسمِائَة سنة فالعليا مِنْهَا على ظهر حوت قد التقى طرفاه فِي سَمَاء والحوت على صَخْرَة والصخرة بيد ملك وَالثَّانيَِة مسجن الرّيح فَلَمَّا أَرَادَ الله أَن يهْلك عادا أَمر خَازِن الرّيح أَن يُرْسل عَلَيْهِم ريحًا تهْلك عادا قَالَ يَا رب أرسل عَلَيْهِم من الرّيح قدر منخر الثور قَالَ لَهُ الْجَبَّار تبَارك وَتَعَالَى إِذا تكفأ الأَرْض وَمن عَلَيْهَا وَلَكِن أرسل عَلَيْهِم بِقدر خَاتم فَهِيَ الَّتِي قَالَ الله فِي كِتَابه مَا تذر من شَيْء أَتَت عَلَيْهِ إِلَّا جعلته كالرميم الذاريات 24 وَالثَّالِثَة فِيهَا حجار جَهَنَّم وَالرَّابِعَة فِيهَا كبريت جَهَنَّم قَالُوا يَا رَسُول الله أللنار كبريت قَالَ نعم وَالَّذِي نَفسِي بِيَدِهِ إِن فِيهَا لأودية من كبريت لَو أرسل فِيهَا الْجبَال الرواسِي لماعت وَالْخَامِسَة فِيهَا حيات جَهَنَّم إِن أفواهها كالأودية تلسع الْكَافِر اللسعة فَلَا يبْقى مِنْهُ لحم على وَضم وَالسَّادِسَة فِيهَا عقارب جَهَنَّم إِن
أدنى عقرب مِنْهَا كالبغا تضرب الْكَافِر ضَرْبَة تنسيه ضربتها حر جَهَنَّم وَالسَّابِعَة سقر فِيهَا إِبْلِيس مصفد بالحديد يَد أَمَامه وَيَد خَلفه فَإِذا أَرَادَ الله أَن يُطلقهُ لما يَشَاء من عباده أطلقهُ

رَوَاهُ الْحَاكِم وَقَالَ تفرد بِهِ أَبُو السَّمْح وَقد ذكرت عَدَالَته بِنَصّ الإِمَام يحيى بن معِين والْحَدِيث صَحِيح وَلم يخرجَاهُ
قَالَ الْحَافِظ أَبُو السَّمْح هُوَ دراج وَقَبله عبد الله بن عَيَّاش الْقِتْبَانِي وَيَأْتِي الْكَلَام عَلَيْهِمَا وَفِي مَتنه نَكَارَة وَالله أعلم
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব - হাদীস নং ৫৬১০ | মুসলিম বাংলা