আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
২৬. অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
হাদীস নং: ৫৫৯৫
অধ্যায়ঃ জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা
পরিচ্ছেদ: জাহান্নামের প্রান্তর ও পর্বতমালার বর্ণনা
৫৫৯৫. হযরত আতা ইব্ন ইয়াসার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জাহান্নামে সত্তর হাজার উপত্যকা রয়েছে। প্রত্যেক উপত্যকায় সত্তর হাজার ঘাঁটি রয়েছে, প্রত্যেক ঘাঁটিতে সত্তর হাজার গর্ত রয়েছে এবং প্রতিটি গর্তে একটি করে সাপ রয়েছে, তারা জাহান্নামীদের মুখমণ্ডল খাবে।
(ইবন আবিদ দুনিয়া ইসমাঈল ইবন আয়্যাশের রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বুখারী তাঁর 'তারীখ'-এ ইসমাঈল ইব্ন আয়্যাশের সনদে সাঈদ ইবন ইউসুফের রিওয়ায়েতে যাহয়া ইব্ন আবু কাসীরের সূত্রে আবু সালামের মধ্যস্থতায় হাজ্জাজ ইবন আব্দুল্লাহ দুমালী-তিনি সাহাবী হওয়ার গৌরব লাভ করেছেন- থেকে বর্ণন্য করেছেন যে, নবী (ﷺ)-এর একজন প্রবীন সাহাবী নুফায়র ইবন মুজীব বলেছেন: "জাহান্নামে সত্তর হাজার উপত্যকা রয়েছে, প্রত্যেক উপত্যকায় সত্তর হাজার ঘাঁটি রয়েছে, প্রত্যেকটি ঘাঁটিতে সত্তর হাজার ঘর রয়েছে, প্রত্যেক ঘরে সত্তর হাজার কামরা রয়েছে, প্রত্যেক কামরায় সত্তর হাজার কূপ রয়েছে, প্রতিটি কূপে সত্তর হাজার অজগর রয়েছে, এর প্রতিটি অজগরের চোয়ালে সত্তর হাজার বিচ্ছু রয়েছে। কাফির অথবা মুনাফিক এর সবগুলোতে নিক্ষিপ্ত না হয়ে যাবে না।
[হাফিয (র) বলেনঃ], সাঈদ তাঁকে যাইফ সাব্যস্ত করেছেন। নাসাঈ বলেন, তিনি শক্তিশালী রাবী নন। ইবন আবু হাতিম বলেন, তিনি মশহুর রাবী নন এবং তাঁর হাদীস 'মুনকার' মনে করি না।" তারপর এ হাদীসটি তাঁর 'মুনকার' হওয়ার কথাটা সুস্পষ্ট করার উদ্দেশ্য তাঁর সামনে পেশ করা হয়। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।)
(ইবন আবিদ দুনিয়া ইসমাঈল ইবন আয়্যাশের রিওয়ায়েতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। বুখারী তাঁর 'তারীখ'-এ ইসমাঈল ইব্ন আয়্যাশের সনদে সাঈদ ইবন ইউসুফের রিওয়ায়েতে যাহয়া ইব্ন আবু কাসীরের সূত্রে আবু সালামের মধ্যস্থতায় হাজ্জাজ ইবন আব্দুল্লাহ দুমালী-তিনি সাহাবী হওয়ার গৌরব লাভ করেছেন- থেকে বর্ণন্য করেছেন যে, নবী (ﷺ)-এর একজন প্রবীন সাহাবী নুফায়র ইবন মুজীব বলেছেন: "জাহান্নামে সত্তর হাজার উপত্যকা রয়েছে, প্রত্যেক উপত্যকায় সত্তর হাজার ঘাঁটি রয়েছে, প্রত্যেকটি ঘাঁটিতে সত্তর হাজার ঘর রয়েছে, প্রত্যেক ঘরে সত্তর হাজার কামরা রয়েছে, প্রত্যেক কামরায় সত্তর হাজার কূপ রয়েছে, প্রতিটি কূপে সত্তর হাজার অজগর রয়েছে, এর প্রতিটি অজগরের চোয়ালে সত্তর হাজার বিচ্ছু রয়েছে। কাফির অথবা মুনাফিক এর সবগুলোতে নিক্ষিপ্ত না হয়ে যাবে না।
[হাফিয (র) বলেনঃ], সাঈদ তাঁকে যাইফ সাব্যস্ত করেছেন। নাসাঈ বলেন, তিনি শক্তিশালী রাবী নন। ইবন আবু হাতিম বলেন, তিনি মশহুর রাবী নন এবং তাঁর হাদীস 'মুনকার' মনে করি না।" তারপর এ হাদীসটি তাঁর 'মুনকার' হওয়ার কথাটা সুস্পষ্ট করার উদ্দেশ্য তাঁর সামনে পেশ করা হয়। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।)
كتاب صفة الجنة والنار
فصل فِي أَوديتهَا وجبالها
5595- وَعَن عَطاء بن يسَار رَضِي الله عَنهُ قَالَ إِن فِي النَّار سبعين ألف وَاد فِي كل وَاد سَبْعُونَ ألف شعب فِي كل شعب سَبْعُونَ ألف جُحر وَفِي كل جُحر حَيَّة تَأْكُل وُجُوه أهل النَّار
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا من رِوَايَة إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش وَرَوَاهُ البُخَارِيّ فِي تَارِيخه من طَرِيق إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش عَن سعيد بن يُوسُف عَن يحيى بن أبي كثير عَن أبي سَلام عَن الْحجَّاج بن عبد الله الثمالِي وَله صُحْبَة أَن نفير بن مُجيب وَكَانَ من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قدمائهم قَالَ إِن فِي جَهَنَّم سبعين ألف وَاد فِي كل وَاد سَبْعُونَ ألف شعب فِي كل شعب سَبْعُونَ ألف دَار فِي كل دَار سَبْعُونَ ألف بَيت فِي كل بَيت سَبْعُونَ ألف بِئْر فِي كل بِئْر سَبْعُونَ ألف ثعبان فِي شدق كل ثعبان سَبْعُونَ ألف عقرب لَا يَنْتَهِي الْكَافِر أَو الْمُنَافِق حَتَّى يواقع ذَلِك كُله
قَالَ الْحَافِظ سعيد بن يُوسُف وَهُوَ اليمامي الْحِمصِي الرَّحبِي ضعفه يحيى بن معِين وَقَالَ النَّسَائِيّ لَيْسَ بِالْقَوِيّ وَقَالَ ابْن أبي حَاتِم لَيْسَ بالمشهور وَلَا أرى حَدِيثه مُنْكرا كَذَا قَالَ فأورد عَلَيْهِ هَذَا الحَدِيث لظُهُور نكارته وَالله أعلم
رَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا من رِوَايَة إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش وَرَوَاهُ البُخَارِيّ فِي تَارِيخه من طَرِيق إِسْمَاعِيل بن عَيَّاش عَن سعيد بن يُوسُف عَن يحيى بن أبي كثير عَن أبي سَلام عَن الْحجَّاج بن عبد الله الثمالِي وَله صُحْبَة أَن نفير بن مُجيب وَكَانَ من أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من قدمائهم قَالَ إِن فِي جَهَنَّم سبعين ألف وَاد فِي كل وَاد سَبْعُونَ ألف شعب فِي كل شعب سَبْعُونَ ألف دَار فِي كل دَار سَبْعُونَ ألف بَيت فِي كل بَيت سَبْعُونَ ألف بِئْر فِي كل بِئْر سَبْعُونَ ألف ثعبان فِي شدق كل ثعبان سَبْعُونَ ألف عقرب لَا يَنْتَهِي الْكَافِر أَو الْمُنَافِق حَتَّى يواقع ذَلِك كُله
قَالَ الْحَافِظ سعيد بن يُوسُف وَهُوَ اليمامي الْحِمصِي الرَّحبِي ضعفه يحيى بن معِين وَقَالَ النَّسَائِيّ لَيْسَ بِالْقَوِيّ وَقَالَ ابْن أبي حَاتِم لَيْسَ بالمشهور وَلَا أرى حَدِيثه مُنْكرا كَذَا قَالَ فأورد عَلَيْهِ هَذَا الحَدِيث لظُهُور نكارته وَالله أعلم