আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
হাদীস নং: ৫৪৯৮
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৮. হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ। নির্মেঘ দুপুর বেলায় সূর্য দেখতে কি তোমাদেরকে কোন অসুবিধা হয়? এবং খরাপূর্ণ নির্মেঘ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ দেখতে কি তোমাদেরকে কোন অসুবিধা হয়? সাহাবায়ে কিরাম বললেন জ্বী না ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলাকে দেখতে তোমাদেরকে কেবল ততটুকু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। যতটুকু চন্দ্র-সূর্যের মধ্যে কোন একটি দেখতে তোমাদেরকে অসুবিধা হয়। যখন কিয়ামতের দিন হবে তখন একজন ঘোষক ঘোষণা করবে। প্রতিটি সম্প্রদায় যে যার ইবাদত করত, সে যেন তার অনুসরণ করে। এরপর যারা আল্লাহ্ তা'আলার পরিবর্তে প্রতিমা ও পাথরের পূজা করত তারা সবাই জাহান্নামে পড়ে যাবে। যখন (এ উম্মাতের) নেককার, বদকার ও অবশিষ্ট কিতাবী সম্প্রদায় যারা আল্লাহর ইবাদত করত তারা ব্যতীত কেউ বাকি থাকবে না। তখন ইয়াহুদীদের ডেকে তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হবে, তোমরা কার ইবাদত করতে হে? তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র উযায়র-এর ইবাদত করতাম। তখন বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলেছ। আল্লাহ্ তা'আলা কোন স্ত্রী বা পুত্র গ্রহণ করেন নি। তবে তোমরা কি চাও? তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের তৃষ্ণা পেয়েছে, আমাদেরকে পানি পান করান। তখন তাদেরকে ইশারা করে বলা হবে. তোমরা পানস্থানে অবতরণ করছ না যে! এরপর তাদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে। যেন জাহান্নামটি মরীচিকা, তার একাংশ অপরাংশের উপর আচড়ে পড়ছে। সুতরাং তারা জাহান্নামে পড়ে যাবে। এরপর খৃস্টানদের ডাকা হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা কার ইবাদত করতে হে? তারা বলবে, আমরা আল্লাহর পুত্র মাসীহ-এর ইবাদত করতাম। তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলেছ। আল্লাহ তা'আলা কোন স্ত্রী বা পুত্র গ্রহণ করেন নি। তবে তোমরা কি চাও? তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের তৃষ্ণা পেয়েছে, আমাদেরকে পানি পান করান। তখন তাদেরকে ইশারা করে বলা হবে, তোমরা পানস্থানে অবতরণ করছ না যে? এরপর তাদেরকে জাহান্নামের দিকে সমবেত করা হবে। জাহান্নাম যেন মরীচিকা। তার একাংশ অপরাংশের উপর আছড়ে পড়ছে। অতএব তারা জাহান্নামে পড়ে যাবে। যখন নেককারও বদকার যারা আল্লাহর ইবাদত করত তারা ব্যতীত কেউ বাকি থাকবে না। তখন তারা আল্লাহ তা'আলাকে যে আকৃতিতে দেখেছিল, তার চেয়ে সাধারণ আকৃতিতে তিনি তাদের কাছে এসে বলবেন, তোমরা কিসের অপেক্ষা করছ? প্রতিটি সম্প্রদায় যে যার ইবাদত করত সে তার অনুসরণ করছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা দুনিয়াতে মানুষকে পরিত্যাগ করেছি, যখন আমরা তাদের প্রতি অধিক মুখাপেক্ষী ছিলাম এবং আমরা তাদের সান্নিধ্য গ্রহণ করিনি। তিনি বলবেন, আমি তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, আমরা তোমার থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করি, আমরা আল্লাহর সাথে কোন কিছু শরীক করি না। কথাটি তারা দু'বার অথবা তিনবার বলবে। এমনকি তাদের কেউ কেউ ফিরে যাওয়ার উপক্রম হবে। তখন তিনি জিজ্ঞেস করবেন তোমাদের ও তার মাঝে কি এমন কোন নিদর্শন আছে, যদ্বারা তোমরা তাকে চিনতে পারবে? তারা বলবে জ্বী, হ্যাঁ। তখন তাঁর পায়ের গোছা অনাবৃত করা হবে। তখন যারা আল্লাহ্ তা'আলাকে স্বেচ্ছায় সিজদা করত, তাদের সবাইকে আল্লাহ তা'আলা সিজদার অনুমতি দেবেন এবং যারা সমাজের ভয় ও লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সিজদা করত, তাদের প্রত্যেকের পৃষ্ঠকে এক পাট (একাকার) করে দেবেন। যখন সে সিজদা করতে ইচ্ছা করবে, তখন সে চিৎ হয়ে পড়ে যাবে। তারপর তারা তাদের মাখা তুলবে। ইত্যবসরে তারা আল্লাহ্ তা'আলাকে প্রথমবার যে আকৃতিতে দেখেছিল, সে আকৃতিতে তিনি পরিবর্তিত হয়ে যাবেন এবং বলবেন, আমিই তোমাদের প্রতিপালক। তারা বলবে, আপনি আমাদের প্রতিপালক। তারপর জাহান্নামের উপর পুলসিরাত কায়েম করা হবে এবং শাফা'আতের সময় হবে। তারা বলবে, "আল্লাহুম্মা সাল্লিম, সাল্লিম" "হে আল্লাহ। তুমি নিরাপদে রাখ, তুমি নিরাপদে রাখ।" জিজ্ঞেস করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। পুলসিরাত কি? তিনি বললেন, পিচ্ছিল ও পদস্খলনের স্থান, সেখানে রয়েছে অংকুশ, হুক এবং এক প্রকার বৃক্ষ, যা নজদে উৎপন্ন হয় এবং তাতে কাঁটা থাকে। তাকে সা'দান বলা হয়। মু'মিনরা চোখের গতিতে, বিদ্যুতের গতিতে, বায়ুর গতিতে, পাখির গতিতে এবং উত্তম ঘোড়াও উঠের গতিতে তা পার হয়ে যাবে। সুতরাং মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি নিরাপদে থাকবে, আঁচড় খাওয়া লোক ছাড়া পাবে এবং আটক ব্যক্তি জাহান্নামের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে। তারপর যখন মু'মিনরা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে, তখন মু'মিনগণ কিয়ামতের দিন জাহান্নামে পড়ে থাকা তাদের (মু'মিন) ভাইদের পূর্ণ প্রাপ্য লাভের জন্য আল্লাহর কাছে যেমন ফরিয়াদ করবে, তোমাদের কেউ আল্লাহর কাছে তাদের চেয়ে বেশী ফরিয়াদ করবে না।
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তোমরা সেই হকের ব্যাপারে, যা তোমাদের সামনে (কিয়ামতের দিন) প্রকাশ পাবে, মু'মিনরা সে দিন পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে যেভাবে ফরিয়াদ করবে, তোমরা তাদের চেয়ে বেশী ফরিয়াদ করবে না। যখন তারা দেখবে যে, তাদের ভাইদের মাঝে তারা মুক্তি পেয়ে গেছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। তারা আমাদের সাথে রোযা রাখত, সালাত আদায় করত এবং হজ্জ পালন করত। তখন তাদেরকে বলা হবে, যাদেরকে তোমরা চেন, তাদেরকে বের কর। তখন তাদের অবয়ব-আকৃতি বিকৃত করা জান্নামের জন্য হারাম (অসম্ভব) হবে। ফলে তারা অনেক লোককে বের করে আনবে, তাদের কারও পায়ের গোছা পর্যন্ত, কারও হাঁটু পর্যন্ত আগুন স্পর্শ করেছে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আপনি যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন, তাদের কেউ জাহান্নামে অবশিষ্ট নেই। তারপর বলা হবে, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে এক দীনার পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের কর। তখন তার অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপার আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নামে ছেড়ে আসিনি। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে অর্ধেক দীনার পরিমান কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের করে নিয়ে এসো। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নাম ছেড়ে আসি নি। তিনি আবার বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে ছোট পিঁপড়ে পরিমাণ (সামান্য) কল্যাণ পাও তাকে বের কর। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে এবং বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা কোন কল্যাণই সেখানে ছেড়ে আসিনি। আবু সাঈদ (রা) বলতেন, যদি তোমরা এ হাসীদের ব্যাপারে আমাকে বিশ্বাস না কর, তবে তোমরা ইচ্ছা করলে পড়:
إن الله لا يظلم مثقال ذرة وإن تك حسنة يُضَاعِفَهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا
'নিশ্চয় আল্লাহ্ অনু পরিমাণ ও যুলুম করেন না এবং অণু পরিমাণ পূণ্যকার্য হলে ও আল্লাহ্ তা দ্বিগুণ করে দেন এবং আল্লাহ্ তার নিকট থেকে মহা পুরস্কার প্রদান করেন" (৪ঃ ৪০)। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, ফিরিশতাগণ সুপারিশ করেছে এবং নবীগণ সুপারিশ করেছেন। কেবল দয়ালুদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ অবশিষ্ট নেই। এবলে তিনি জাহান্নাম থেকে এক মুর্তি তুলে নেবেন এবং সেখান যেতে জাহান্নামের এমন একটি সম্প্রদায়কে বের করবেন, যারা কখনও ভাল কাজ করে নি। তারা অঙ্গারের দাহনে দগ্ধীভূত হতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় একটি নহরে ফেলা হবে, যাকে বলা হবে নহরে-হায়াত বা জীবন-নদী। ফলে তারা (সেখান থেকে) এভাবে বের হবে, যেমন ঢল-বাহিত পলির মাঝে বীজ অংকুরিত হয়। তোমরা কি দেখনা, অংকুরিত বৃক্ষটি পাথরের মত রঙ হয় অথবা বৃক্ষের মত রঙ হয়। যেটা সূর্যের আলো পার, সেটা হলদে ও সবুজ হয় এবং তন্মধ্যে যেটা ছায়া পায়, সেটা সাদা হন। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যেন আপনি গ্রামে বিচরণ করতেন। তিনি বলেন, অতঃপর করা মুক্তার মত হয়ে বের হবে। তাদের ঘাঁড়ে থাকবে মোহর। তাদেরকে জান্নাতীগণ চিনবে যে, এরা আল্লাহর সে সব মুক্তিপ্রাপ্ত বান্দা, যাদেরকে তিনি তাদের কৃত কোন আমল অথবা পেশকৃত কোন সাওয়াব ব্যতিরেকেই জান্নাতে দাখিল করেছেন। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর এবং তোমরা যা কিছু দেখতে পাও তার সবটাই তোমাদের। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদেরকে তুমি এমন নিয়ামত দান করেছ, যা তুমি জগতের অন্য কাউকে দান করনি। তিনি বলবেন, আমার কাছে তোমাদের জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু রয়েছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তুটা কি? তিনি বলবেন, আমর সন্তুষ্টি। সুতরাং আমি কখনও তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্টি হব না।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাসীসটি বর্ণন্য করেছেন।)
অপর এক রিওয়ায়েতে আছে, তোমরা সেই হকের ব্যাপারে, যা তোমাদের সামনে (কিয়ামতের দিন) প্রকাশ পাবে, মু'মিনরা সে দিন পরাক্রমশালী আল্লাহর কাছে যেভাবে ফরিয়াদ করবে, তোমরা তাদের চেয়ে বেশী ফরিয়াদ করবে না। যখন তারা দেখবে যে, তাদের ভাইদের মাঝে তারা মুক্তি পেয়ে গেছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। তারা আমাদের সাথে রোযা রাখত, সালাত আদায় করত এবং হজ্জ পালন করত। তখন তাদেরকে বলা হবে, যাদেরকে তোমরা চেন, তাদেরকে বের কর। তখন তাদের অবয়ব-আকৃতি বিকৃত করা জান্নামের জন্য হারাম (অসম্ভব) হবে। ফলে তারা অনেক লোককে বের করে আনবে, তাদের কারও পায়ের গোছা পর্যন্ত, কারও হাঁটু পর্যন্ত আগুন স্পর্শ করেছে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আপনি যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন, তাদের কেউ জাহান্নামে অবশিষ্ট নেই। তারপর বলা হবে, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে এক দীনার পরিমাণ কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের কর। তখন তার অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপার আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নামে ছেড়ে আসিনি। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে অর্ধেক দীনার পরিমান কল্যাণ (ঈমান) পাও, তাকে বের করে নিয়ে এসো। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে। এরপর বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। যাদের ব্যাপারে আমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন তাদের কাউকে আমরা জাহান্নাম ছেড়ে আসি নি। তিনি আবার বলবেন, তোমরা ফিরে যাও, যার অন্তরে ছোট পিঁপড়ে পরিমাণ (সামান্য) কল্যাণ পাও তাকে বের কর। তখন তারা অনেক লোককে বের করে আনবে এবং বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমরা কোন কল্যাণই সেখানে ছেড়ে আসিনি। আবু সাঈদ (রা) বলতেন, যদি তোমরা এ হাসীদের ব্যাপারে আমাকে বিশ্বাস না কর, তবে তোমরা ইচ্ছা করলে পড়:
إن الله لا يظلم مثقال ذرة وإن تك حسنة يُضَاعِفَهَا وَيُؤْتِ مِنْ لَدُنْهُ أَجْرًا عَظِيمًا
'নিশ্চয় আল্লাহ্ অনু পরিমাণ ও যুলুম করেন না এবং অণু পরিমাণ পূণ্যকার্য হলে ও আল্লাহ্ তা দ্বিগুণ করে দেন এবং আল্লাহ্ তার নিকট থেকে মহা পুরস্কার প্রদান করেন" (৪ঃ ৪০)। অতঃপর আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, ফিরিশতাগণ সুপারিশ করেছে এবং নবীগণ সুপারিশ করেছেন। কেবল দয়ালুদের মাঝে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু আল্লাহ্ ব্যতীত কেউ অবশিষ্ট নেই। এবলে তিনি জাহান্নাম থেকে এক মুর্তি তুলে নেবেন এবং সেখান যেতে জাহান্নামের এমন একটি সম্প্রদায়কে বের করবেন, যারা কখনও ভাল কাজ করে নি। তারা অঙ্গারের দাহনে দগ্ধীভূত হতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এরপর তাদেরকে জান্নাতের দরজায় একটি নহরে ফেলা হবে, যাকে বলা হবে নহরে-হায়াত বা জীবন-নদী। ফলে তারা (সেখান থেকে) এভাবে বের হবে, যেমন ঢল-বাহিত পলির মাঝে বীজ অংকুরিত হয়। তোমরা কি দেখনা, অংকুরিত বৃক্ষটি পাথরের মত রঙ হয় অথবা বৃক্ষের মত রঙ হয়। যেটা সূর্যের আলো পার, সেটা হলদে ও সবুজ হয় এবং তন্মধ্যে যেটা ছায়া পায়, সেটা সাদা হন। সাহাবায়ে কিরাম বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। যেন আপনি গ্রামে বিচরণ করতেন। তিনি বলেন, অতঃপর করা মুক্তার মত হয়ে বের হবে। তাদের ঘাঁড়ে থাকবে মোহর। তাদেরকে জান্নাতীগণ চিনবে যে, এরা আল্লাহর সে সব মুক্তিপ্রাপ্ত বান্দা, যাদেরকে তিনি তাদের কৃত কোন আমল অথবা পেশকৃত কোন সাওয়াব ব্যতিরেকেই জান্নাতে দাখিল করেছেন। এরপর তিনি বলবেন, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ কর এবং তোমরা যা কিছু দেখতে পাও তার সবটাই তোমাদের। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদেরকে তুমি এমন নিয়ামত দান করেছ, যা তুমি জগতের অন্য কাউকে দান করনি। তিনি বলবেন, আমার কাছে তোমাদের জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তু রয়েছে। তারা বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক। এর চেয়ে উৎকৃষ্ট বস্তুটা কি? তিনি বলবেন, আমর সন্তুষ্টি। সুতরাং আমি কখনও তোমাদের প্রতি অসন্তুষ্টি হব না।
(বুখারী ও মুসলিম (র) হাসীসটি বর্ণন্য করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5498- وَعَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قُلْنَا يَا رَسُول الله هَل نرى رَبنَا يَوْم الْقِيَامَة قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نعم فَهَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الشَّمْس بالظهيرة صحوا لَيْسَ مَعهَا سَحَاب وَهل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الْقَمَر لَيْلَة الْبَدْر صحوا لَيْسَ فِيهَا سَحَاب قَالُوا لَا يَا رَسُول الله
قَالَ فَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة الله تَعَالَى يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة أذن مُؤذن لتتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد فَلَا يبْقى أحد كَانَ يعبد غير الله من الْأَصْنَام والأنصاب إِلَّا يتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر وغبر أهل الْكتاب فيدعى الْيَهُود فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد عُزَيْرًا ابْن الله فَيُقَال كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون قَالُوا عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى النَّار كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار ثمَّ تدعى النَّصَارَى فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد الْمَسِيح ابْن الله فَيُقَال لَهُم كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون فَيَقُولُونَ عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى جَهَنَّم كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر أَتَاهُم الله فِي أدنى صُورَة من الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا قَالَ فَمَا تنتظرون تتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد قَالُوا يَا رَبنَا فارقنا النَّاس فِي الدُّنْيَا أفقر مَا كُنَّا إِلَيْهِم وَلم نصاحبهم فَيَقُول أَنا ربكُم
فَيَقُولُونَ نَعُوذ بِاللَّه مِنْك لَا نشْرك بِاللَّه شَيْئا مرَّتَيْنِ أَو ثَلَاثًا حَتَّى إِن بَعضهم ليكاد أَن يَنْقَلِب فَيَقُول هَل بَيْنكُم وَبَينه آيَة فتعرفونه بهَا فَيَقُولُونَ نعم فَيكْشف عَن سَاق فَلَا
يبْقى من كَانَ يسْجد لله من تِلْقَاء نَفسه أَلا أذن الله لَهُ بِالسُّجُود وَلَا يبْقى من كَانَ يسْجد اتقاء ورياء إِلَّا جعل الله ظَهره طبقَة وَاحِدَة كلما أَرَادَ أَن يسْجد خر على قَفاهُ ثمَّ يرفعون رؤوسهم وَقد تحول فِي صورته الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا أول مرّة فَقَالَ أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ أَنْت رَبنَا ثمَّ يضْرب الجسر على جَهَنَّم وَتحل الشَّفَاعَة وَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ سلم سلم قيل يَا رَسُول الله وَمَا الجسر قَالَ دحض مزلة فِيهِ خطاطيف وكلاليب وحسكة يكون بِنَجْد فِيهَا تشويكة يُقَال لَهَا السعدان
فيمر الْمُؤْمِنُونَ كطرف الْعين وكالبرق وكالريح وكالطير وكأجاويد الْخَيل والركاب فناج مُسلم ومخدوش مُرْسل ومكدوش فِي نَار جَهَنَّم حَتَّى إِذا خلص الْمُؤْمِنُونَ من النَّار فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ مَا من أحد مِنْكُم بأشد مناشدة لله فِي اسْتِيفَاء الْحق من الْمُؤمنِينَ لله يَوْم الْقِيَامَة لإخوانهم الَّذين فِي النَّار
وَفِي رِوَايَة فَمَا أَنْتُم بأشد مناشدة فِي الْحق قد تبين لكم من الْمُؤمنِينَ يَوْمئِذٍ للجبار إِذا رَأَوْا أَنهم قد نَجوا فِي إخْوَانهمْ فَيَقُولُونَ رَبنَا كَانُوا يَصُومُونَ مَعنا وَيصلونَ ويحجون فَيُقَال لَهُم أخرجُوا من عَرَفْتُمْ فَتحرم صورهم على النَّار فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا قد أخذت النَّار إِلَى نصف سَاقه وَإِلَى ركبته ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا مَا بَقِي فِيهَا مِمَّن أمرتنا بِهِ فَيُقَال ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا أحدا مِمَّن أمرتنا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال نصف دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا مِمَّن أمرتنا أحدا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال ذرة من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا خيرا وَكَانَ أَبُو سعيد يَقُول إِن لم تصدقوني بِهَذَا الحَدِيث فاقرؤوا إِن شِئْتُم إِن الله لَا يظلم مِثْقَال ذرة وَإِن تَكُ حَسَنَة يُضَاعِفهَا وَيُؤْت من لَدنه أجرا عَظِيما النِّسَاء 04 فَيَقُول الله عز وَجل شفعت الْمَلَائِكَة وشفع النَّبِيُّونَ وَلم يبْق إِلَّا أرْحم الرَّاحِمِينَ فَيقبض قَبْضَة من النَّار فَيخرج مِنْهَا قوما من النَّار لم يعملوا خيرا قطّ قد عَادوا حمما فيلقيهم فِي نهر فِي أَفْوَاه الْجنَّة يُقَال لَهُ نهر الْحَيَاة فَيخْرجُونَ كَمَا تخرج الْحبَّة فِي حميل السَّيْل أَلا ترونها تكون إِلَى الْحجر أَو إِلَى الشّجر مَا يكون إِلَى الشَّمْس أصيفر وأخيضر وَمَا يكون مِنْهَا إِلَى الظل يكون أَبيض فَقَالُوا يَا رَسُول الله كَأَنَّك كنت ترعى بالبادية قَالَ فَيخْرجُونَ كَاللُّؤْلُؤِ فِي رقابهم الخواتيم يعرفهُمْ أهل الْجنَّة هَؤُلَاءِ عُتَقَاء الله الَّذين أدخلهم الله الْجنَّة بِغَيْر عمل عملوه وَلَا خير قدموه ثمَّ
يَقُول ادخُلُوا الْجنَّة فَمَا رَأَيْتُمُوهُ فَهُوَ لكم فَيَقُولُونَ رَبنَا أَعطيتنَا مَا لم تعط أحدا من الْعَالمين فَيَقُول لكم عِنْدِي أفضل من هَذَا فَيَقُولُونَ يَا رَبنَا أَي شَيْء أفضل من هَذَا فَيَقُول رضاي فَلَا أَسخط عَلَيْكُم أبدا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ
قَالَ فَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة الله تَعَالَى يَوْم الْقِيَامَة إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة أذن مُؤذن لتتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد فَلَا يبْقى أحد كَانَ يعبد غير الله من الْأَصْنَام والأنصاب إِلَّا يتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر وغبر أهل الْكتاب فيدعى الْيَهُود فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد عُزَيْرًا ابْن الله فَيُقَال كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون قَالُوا عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى النَّار كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار ثمَّ تدعى النَّصَارَى فَيُقَال لَهُم مَا كُنْتُم تَعْبدُونَ قَالُوا كُنَّا نعْبد الْمَسِيح ابْن الله فَيُقَال لَهُم كَذبْتُمْ مَا اتخذ الله من صَاحِبَة وَلَا ولد فَمَاذَا تبغون فَيَقُولُونَ عطشنا يَا رَبنَا فاسقنا فيشار إِلَيْهِم أَلا تردون فيحشرون إِلَى جَهَنَّم كَأَنَّهَا سراب يحطم بَعْضهَا بَعْضًا فيتساقطون فِي النَّار حَتَّى إِذا لم يبْق إِلَّا من كَانَ يعبد الله من بر وَفَاجِر أَتَاهُم الله فِي أدنى صُورَة من الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا قَالَ فَمَا تنتظرون تتبع كل أمة مَا كَانَت تعبد قَالُوا يَا رَبنَا فارقنا النَّاس فِي الدُّنْيَا أفقر مَا كُنَّا إِلَيْهِم وَلم نصاحبهم فَيَقُول أَنا ربكُم
فَيَقُولُونَ نَعُوذ بِاللَّه مِنْك لَا نشْرك بِاللَّه شَيْئا مرَّتَيْنِ أَو ثَلَاثًا حَتَّى إِن بَعضهم ليكاد أَن يَنْقَلِب فَيَقُول هَل بَيْنكُم وَبَينه آيَة فتعرفونه بهَا فَيَقُولُونَ نعم فَيكْشف عَن سَاق فَلَا
يبْقى من كَانَ يسْجد لله من تِلْقَاء نَفسه أَلا أذن الله لَهُ بِالسُّجُود وَلَا يبْقى من كَانَ يسْجد اتقاء ورياء إِلَّا جعل الله ظَهره طبقَة وَاحِدَة كلما أَرَادَ أَن يسْجد خر على قَفاهُ ثمَّ يرفعون رؤوسهم وَقد تحول فِي صورته الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا أول مرّة فَقَالَ أَنا ربكُم فَيَقُولُونَ أَنْت رَبنَا ثمَّ يضْرب الجسر على جَهَنَّم وَتحل الشَّفَاعَة وَيَقُولُونَ اللَّهُمَّ سلم سلم قيل يَا رَسُول الله وَمَا الجسر قَالَ دحض مزلة فِيهِ خطاطيف وكلاليب وحسكة يكون بِنَجْد فِيهَا تشويكة يُقَال لَهَا السعدان
فيمر الْمُؤْمِنُونَ كطرف الْعين وكالبرق وكالريح وكالطير وكأجاويد الْخَيل والركاب فناج مُسلم ومخدوش مُرْسل ومكدوش فِي نَار جَهَنَّم حَتَّى إِذا خلص الْمُؤْمِنُونَ من النَّار فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ مَا من أحد مِنْكُم بأشد مناشدة لله فِي اسْتِيفَاء الْحق من الْمُؤمنِينَ لله يَوْم الْقِيَامَة لإخوانهم الَّذين فِي النَّار
وَفِي رِوَايَة فَمَا أَنْتُم بأشد مناشدة فِي الْحق قد تبين لكم من الْمُؤمنِينَ يَوْمئِذٍ للجبار إِذا رَأَوْا أَنهم قد نَجوا فِي إخْوَانهمْ فَيَقُولُونَ رَبنَا كَانُوا يَصُومُونَ مَعنا وَيصلونَ ويحجون فَيُقَال لَهُم أخرجُوا من عَرَفْتُمْ فَتحرم صورهم على النَّار فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا قد أخذت النَّار إِلَى نصف سَاقه وَإِلَى ركبته ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا مَا بَقِي فِيهَا مِمَّن أمرتنا بِهِ فَيُقَال ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا أحدا مِمَّن أمرتنا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال نصف دِينَار من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا مِمَّن أمرتنا أحدا ثمَّ يَقُول ارْجعُوا فَمن وجدْتُم فِي قلبه مِثْقَال ذرة من خير فأخرجوه فَيخْرجُونَ خلقا كثيرا ثمَّ يَقُولُونَ رَبنَا لم نذر فِيهَا خيرا وَكَانَ أَبُو سعيد يَقُول إِن لم تصدقوني بِهَذَا الحَدِيث فاقرؤوا إِن شِئْتُم إِن الله لَا يظلم مِثْقَال ذرة وَإِن تَكُ حَسَنَة يُضَاعِفهَا وَيُؤْت من لَدنه أجرا عَظِيما النِّسَاء 04 فَيَقُول الله عز وَجل شفعت الْمَلَائِكَة وشفع النَّبِيُّونَ وَلم يبْق إِلَّا أرْحم الرَّاحِمِينَ فَيقبض قَبْضَة من النَّار فَيخرج مِنْهَا قوما من النَّار لم يعملوا خيرا قطّ قد عَادوا حمما فيلقيهم فِي نهر فِي أَفْوَاه الْجنَّة يُقَال لَهُ نهر الْحَيَاة فَيخْرجُونَ كَمَا تخرج الْحبَّة فِي حميل السَّيْل أَلا ترونها تكون إِلَى الْحجر أَو إِلَى الشّجر مَا يكون إِلَى الشَّمْس أصيفر وأخيضر وَمَا يكون مِنْهَا إِلَى الظل يكون أَبيض فَقَالُوا يَا رَسُول الله كَأَنَّك كنت ترعى بالبادية قَالَ فَيخْرجُونَ كَاللُّؤْلُؤِ فِي رقابهم الخواتيم يعرفهُمْ أهل الْجنَّة هَؤُلَاءِ عُتَقَاء الله الَّذين أدخلهم الله الْجنَّة بِغَيْر عمل عملوه وَلَا خير قدموه ثمَّ
يَقُول ادخُلُوا الْجنَّة فَمَا رَأَيْتُمُوهُ فَهُوَ لكم فَيَقُولُونَ رَبنَا أَعطيتنَا مَا لم تعط أحدا من الْعَالمين فَيَقُول لكم عِنْدِي أفضل من هَذَا فَيَقُولُونَ يَا رَبنَا أَي شَيْء أفضل من هَذَا فَيَقُول رضاي فَلَا أَسخط عَلَيْكُم أبدا
رَوَاهُ البُخَارِيّ وَمُسلم وَاللَّفْظ لَهُ