আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

২৫. অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত

হাদীস নং: ৫৪৯৬
অধ্যায়ঃ পুনরুত্থান ও কিয়ামাত
পরিচ্ছেদ: হিসাব-নিকাশের আলোচনা
৫৪৯৬. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। সাহাবায়ে কিরাম বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালককে দেখতে পাব? তিনি বললেন, নির্মেঘ সূর্য দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তাঁর বললেন, জ্বী না। তিনি বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে তোমাদের কোনই অসুবিধা হবে না, কেবল তোমাদেরকে চন্দ্র-সূর্যের কোন একটি দেখতে যতটুকু অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় ততটুকু। তারপর বান্দা তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎ করবে তখন তিনি বলবেন, হে অমুক। আমি কি তোমাকে সম্মান দেই নি? তোমাকে নেতৃত্ব দান করিনি? তোমাকে স্ত্রী দান করিনি? ঘোড়া ও উট তোমার বশীভূত দেই নি? তোমাকে কি নেতা হতে এবং গণীমতের এক চতুর্থাংশ লাভ করতে সুযোগ দেই নি? সে বলবে নিশ্চয়ই আমার প্রভু। পুনরায় তিনি তাকে জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি ধারণা করতে যে, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে, না। তিনি বলবেন, সুতরাং আমি তোমাকে ঠিক তেমনি ভুলে যাব, যেমনটি তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছিলে। তারপর দ্বিতীয় জনের সাথে তার সাক্ষাৎ হবে তখন তিনি জিজ্ঞেস করবেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দেই নি? তোমাকে নেতৃত্ব দান করি নিং তোমাকে স্ত্রী দান করিনি? ঘোড়া ও উট তোমার বশীভূত করে দেই নি? তোমাকে কি নেতা হতে এবং এক চতুর্থাংশ গণীমত লাভ করতে সুযোগ দেইনি? সে বলবে, নিশ্চয়ই আমার রব (তুমি তা-ই করেছ) পুনরায় তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি ধারণা করতে যে, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে না। তিনি বলবেন, আমি তোমাকে ঠিক তেমনি ভুলে যাব, যেমনটি তুমি আমাকে ভুলে গিয়েছিলে। এরপর তৃতীয় জনের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হবে। তিনি জিজ্ঞেস করবেন, হে অমুক। আমি কি তোমাকে সম্মান দেই নি? তোমাকে নেতৃত্ব দান করিনি? তোমাকে স্ত্রী দান করিনি? ঘোড়া ও উট তোমার বশীভূত করে দেইনি? তোমাকে কি নেতা হতে এবং এক চতুর্থাংশ গণীমত লাভ করতে সুযোগ দেই নি? সে বলবে নিশ্চয় আমার রব। (তুমি তাই করেছ।) তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তুমি কি ধারণা করতে যে, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হবে? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার প্রতি তোমার কিতাবের প্রতি ও তোমার রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছি। আমি সালাত আদায় করেছি। রোযা রেখেছি এবং সাদাকা করেছি। এভাবে সে যতটুকু সম্ভব ভাল কাজের প্রশংসা করবে। তিনি বলবেন, তবে তো ভালই। তারপর তিনি বলবেন। এখন আমি তোমার বিপক্ষে সাক্ষী উপস্থিত করব। সে মনে মনে চিন্তা করবে, কে সে ব্যক্তি, যে আমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দেবে? তখন তার মুখের উপর মোহর মেরে দেওয়া হবে এবং তার উরুকে বলা হবে, তুমি কথা বল। তখন তার উরু, তার মাংস ও তার হাঁড় তার আমল সম্পর্কে বলে দেবে। এটা একারণে করা হবে, যাতে তার পক্ষ থেকে ওজর শেষ হয়ে যায়। এলোক হবে মুনাফিক এবং এ হবে সে ব্যক্তি, যার প্রতি আল্লাহ্ তা'আলা
অসন্তুষ্ট থাকবেন।
(মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
كتاب البعث
فصل في ذكر الحساب وغيره
5496- وَعَن أبي هُرَيْرَة رَضِي الله عَنهُ قَالُوا يَا رَسُول الله هَل نرى رَبنَا يَوْم الْقِيَامَة فَقَالَ هَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الشَّمْس فِي الظهيرة لَيست فِي سَحَابَة قَالُوا لَا
قَالَ فَهَل تضَارونَ فِي رُؤْيَة الْقَمَر لَيْلَة الْبَدْر لَيْسَ فِي سَحَابَة قَالُوا لَا قَالَ فوالذي نَفسِي بِيَدِهِ لَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة ربكُم إِلَّا كَمَا تضَارونَ فِي رُؤْيَة أَحدهمَا فَيلقى العَبْد ربه فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول لَا فَيَقُول فَإِنِّي أنساك كَمَا نسيتني ثمَّ يلقى الثَّانِي فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر
لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول لَا فَيَقُول إِنِّي أنساك كَمَا نسيتني ثمَّ يلقى الثَّالِث فَيَقُول أَي فل ألم أكرمك وأسودك وأزوجك وأسخر لَك الْخَيل وَالْإِبِل وأذرك ترأس وتربع فَيَقُول بلَى يَا رب
فَيَقُول أظننت أَنَّك ملاقي فَيَقُول أَي رب آمَنت بك وبكتابك وبرسلك وَصليت وَصمت وتصدقت ويثني بِخَير مَا اسْتَطَاعَ فَيَقُول هَهُنَا إِذا ثمَّ يَقُول الْآن نبعث شَاهدا عَلَيْك فيتفكر فِي نَفسه من ذَا الَّذِي يشْهد عَليّ فيختم على فِيهِ وَيُقَال لفخذه انْطِقِي فينطق فَخذه ولحمه وعظامه بِعَمَلِهِ وَذَلِكَ ليعذر من نَفسه وَذَلِكَ الْمُنَافِق وَذَلِكَ الَّذِي يسْخط الله عَلَيْهِ

رَوَاهُ مُسلم
ترأس بمثناة فَوق ثمَّ رَاء سَاكِنة ثمَّ همزَة مَفْتُوحَة أَي تصير رَئِيسا
وتربع بموحدة بعد الرَّاء مَفْتُوحَة مَعْنَاهُ يَأْخُذ مَا يَأْخُذهُ رَئِيس الْجَيْش لنَفسِهِ وَهُوَ ربع الْمَغَانِم وَيُقَال لَهُ المرباع
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান