আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
২২. অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
হাদীস নং: ৪১৯৬
অধ্যায়ঃ শিষ্টাচার
ক্রোধের প্রতি ভীতি প্রদর্শন এবং তা দূর করা ও সংবরণ করার প্রতি অনুপ্রেরণা এবং ক্রোধের সময় করণীয়
৪১৯৬. হযরত মু'আয ইবনে জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা দুই ব্যক্তি নবী (ﷺ)-এর নিকট গালাগালি করছিল। তাদের একজন প্রচণ্ডভাবে রেগে গেল, এমন কি আমার মনে হল, তীব্রভাবে ক্ষুদ্ধ হওয়ায় তার নাক ফেটে যাবে। তখন নবী (ﷺ) বলেন: আমি এমন একটি বাক্য জানি, যদি সে তা পাঠ
করে, তবে তার এ ক্ষুদ্ধাবস্থা দূরীভূত হয়ে যাবে। তখন সে জিজ্ঞাসা করল। ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তা কি? তিনি বলেন: এই দু'আ পাঠ করবে:
«اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ»
(হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে বিতাড়িত শয়তানের ধোঁকা থেকে পানাহ চাচ্ছি।) সে বলল: মু'আয (রা) তাকে তা বলার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা অস্বীকার করে এবং হেসে উড়িয়ে দেয় এবং ক্রমাগতভাবে সে রেগে উঠে।
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত। তাঁরা সবাই আবদুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা (র) হতে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: উক্ত হাদীসটি মুরসাল সনদে বর্ণিত। কেননা, আবদুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা (র) মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে হাদীসটি শুনেন নি। মু'আয (রা) উমার (রা)-এর খিলাফতের সময় ইনতিকাল করেন। হযরত উমার (রা) যখন শাহাদাত বরণ করেন, তখন আবদুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা ছিলেন ছয় বছরের বালক। ইমাম তিরমিযী (র)-এ অভিমত প্রকাশ করেন। কেননা, বুখারী (র)-এর বর্ণনাতে আবদুর রহমন ইব্ন আবু লায়লা (র) ছিলেন সতের বছরের কিশোর। একাধিক মনীষী উল্লেখ করেন যে, হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমওয়াস নামক স্থানে আঠার বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। কারো কারো মতে মু'আয (রা)-এর বয়স তখন সতের বছর। ইমাম নাসাঈ (র) এই হাদীসটি আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) থেকে, তিনি হযরত উবাই ইব্ন কা'ব (রা) থেকে বর্ণনা করেন। এই সনদ সূত্রটি মুত্তাসিল। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।)
করে, তবে তার এ ক্ষুদ্ধাবস্থা দূরীভূত হয়ে যাবে। তখন সে জিজ্ঞাসা করল। ইয়া রাসূলাল্লাহ্। তা কি? তিনি বলেন: এই দু'আ পাঠ করবে:
«اللَّهُمَّ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ»
(হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে বিতাড়িত শয়তানের ধোঁকা থেকে পানাহ চাচ্ছি।) সে বলল: মু'আয (রা) তাকে তা বলার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা অস্বীকার করে এবং হেসে উড়িয়ে দেয় এবং ক্রমাগতভাবে সে রেগে উঠে।
(আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসাঈ বর্ণিত। তাঁরা সবাই আবদুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা (র) হতে উক্ত হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: উক্ত হাদীসটি মুরসাল সনদে বর্ণিত। কেননা, আবদুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা (র) মু'আয ইবন জাবাল (রা) থেকে হাদীসটি শুনেন নি। মু'আয (রা) উমার (রা)-এর খিলাফতের সময় ইনতিকাল করেন। হযরত উমার (রা) যখন শাহাদাত বরণ করেন, তখন আবদুর রহমান ইব্ন আবু লায়লা ছিলেন ছয় বছরের বালক। ইমাম তিরমিযী (র)-এ অভিমত প্রকাশ করেন। কেননা, বুখারী (র)-এর বর্ণনাতে আবদুর রহমন ইব্ন আবু লায়লা (র) ছিলেন সতের বছরের কিশোর। একাধিক মনীষী উল্লেখ করেন যে, হযরত মু'আয ইবন জাবাল (রা) প্লেগ রোগে আক্রান্ত হয়ে আমওয়াস নামক স্থানে আঠার বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। কারো কারো মতে মু'আয (রা)-এর বয়স তখন সতের বছর। ইমাম নাসাঈ (র) এই হাদীসটি আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা (র) থেকে, তিনি হযরত উবাই ইব্ন কা'ব (রা) থেকে বর্ণনা করেন। এই সনদ সূত্রটি মুত্তাসিল। আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।)
كتاب الأدب
التَّرْهِيب من الْغَضَب وَالتَّرْغِيب فِي دَفعه وكظمه وَمَا يفعل عِنْد الْغَضَب
4196- وَعَن معَاذ بن جبل رَضِي الله عَنهُ قَالَ استب رجلَانِ عِنْد النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَغَضب أَحدهمَا غَضبا شَدِيدا حَتَّى خيل إِلَيّ أَن أَنفه يتمزع من شدَّة غَضَبه فَقَالَ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم إِنِّي لأعْلم كلمة لَو قَالَهَا لذهب عَنهُ مَا يجد من الْغَضَب
فَقَالَ مَا هِيَ يَا رَسُول الله قَالَ تَقول اللَّهُمَّ إِنِّي أعوذ بك من الشَّيْطَان الرَّجِيم
قَالَ فَجعل معَاذ يَأْمُرهُ فَأبى وَضحك وَجعل يزْدَاد غَضبا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ كلهم من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى عَنهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ هَذَا حَدِيث مُرْسل عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى لم يسمع من معَاذ بن جبل
مَاتَ معَاذ فِي خلَافَة عمر بن الْخطاب وَقتل عمر بن الْخطاب وَعبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى غُلَام ابْن سِتّ وسنين وَالَّذِي قَالَه التِّرْمِذِيّ وَاضح فَإِن البُخَارِيّ ذكر مَا يدل على أَن مولد عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى سنة سبع عشرَة وَذكر غير وَاحِد أَن معَاذ بن جبل توفّي فِي طاعون عمواس سنة ثَمَان عشرَة وَقيل سنة سبع عشرَة وَقد روى النَّسَائِيّ هَذَا الحَدِيث عَن عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى عَن أبي بن كَعْب وَهَذَا مُتَّصِل وَالله أعلم
فَقَالَ مَا هِيَ يَا رَسُول الله قَالَ تَقول اللَّهُمَّ إِنِّي أعوذ بك من الشَّيْطَان الرَّجِيم
قَالَ فَجعل معَاذ يَأْمُرهُ فَأبى وَضحك وَجعل يزْدَاد غَضبا
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالتِّرْمِذِيّ وَالنَّسَائِيّ كلهم من رِوَايَة عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى عَنهُ وَقَالَ التِّرْمِذِيّ هَذَا حَدِيث مُرْسل عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى لم يسمع من معَاذ بن جبل
مَاتَ معَاذ فِي خلَافَة عمر بن الْخطاب وَقتل عمر بن الْخطاب وَعبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى غُلَام ابْن سِتّ وسنين وَالَّذِي قَالَه التِّرْمِذِيّ وَاضح فَإِن البُخَارِيّ ذكر مَا يدل على أَن مولد عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى سنة سبع عشرَة وَذكر غير وَاحِد أَن معَاذ بن جبل توفّي فِي طاعون عمواس سنة ثَمَان عشرَة وَقيل سنة سبع عشرَة وَقد روى النَّسَائِيّ هَذَا الحَدِيث عَن عبد الرَّحْمَن بن أبي ليلى عَن أبي بن كَعْب وَهَذَا مُتَّصِل وَالله أعلم