আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১৬. অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়

হাদীস নং: ৩০৪৮
অধ্যায়ঃ বিবাহ সংশ্লিষ্ট বিষয়
পরিচ্ছেদ
৩০৪৮. হযরত মুহাম্মাদ ইবনে আমর ইবনে আতা (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার কন্যার নাম 'বাররা' রাখলাম। তখন যায়নাব বিনত আবু সালামা (রা) (আমাকে) বললেন। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এরূপ নাম রাখতে নিষেধ করেছেন। আমার নাম 'বাররা' রাখা হলে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন: তোমরা নিজেরা নিজেদের পবিত্রতা যাহির করো না। তোমাদের মধ্যেকে পূর্ণবান তা আল্লাহ তা'আলাই সর্বাধিক জ্ঞাত। তারা বলল: আমরা তার কি নাম রাখব? তিনি বললেন। তোমরা তার নাম রাখ 'যায়নাব'।
(মুসলিম ও আবু দাউদ বর্ণিত। ইমাম আবু দাউদ (র) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আসী, আযীয়, আতালা, শায়তান, হাকাম, গুরাব, হুবাব, শিহাব প্রভৃতি নাম পরিবর্তন করে রাখেন। এরপর তিনি তার নাম রাখেন হিশাম। হারব এর নাম রাখেন সিলম। মুদতাজি'এর নাম রাখে 'মুনবায়িস'। যমীনকে বলা হত 'আফিরা'। তিনি তার নাম রাখেন 'খাদিরা'। শি'বুদ দালালাহ'-এর নাম রাখেন, শি'বুল হুদা। বানুয যানীয়্যা-এর নাম রাখেন, বানু রাশেদা। বানু মুগরিয়া-এর নামকরণ করেন, বানু রিশদাহ। আবু দাউদ (র) আরো বলেন, সংক্ষিপ্ত করার উদ্দেশ্যে আমি এগুলোর সনদ বর্জন করেছি।
খাত্তাবী (র) বলেন, 'আসী' অর্থ: অবাধ্য, এই অপসন্দনীয় অর্থ হওয়ায় রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই নাম পরিবর্তন করেন। কেননা, মু'মিনের বৈশিষ্ট্য হল, আনুগত্য ও আত্মসমর্পণ। তিনি আযীয নাম পরিবর্তন করেন। কেননা, যাবতীয় পরাক্রমতা আল্লাহরই জন্য। অথচ বান্দার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিনয়ী ও নম্র হওয়া। 'আজলা' অর্থ : কঠোর ও কঠিন মনের অধিকারী হওয়া। যেমন আরবীদের ভাষায় رجل عتل অর্থ লোকটি কঠোর প্রকৃতির আর মু'মিনের বৈশিষ্ট্য হল, বিনয়ী ও নম্র হওয়া। শায়তান: শব্দটি الشطن ধাতু থেকে উৎসারিত। অর্থঃ কল্যাণ থেকে দূরে অবস্থানকারী, এটি অভিশপ্ত জিন এবং মানুষেরও নাম বটে। 'আল-হাকাম' অর্থ: এমন বিচারক, যার নির্দেশ অমান্য করার সাধ্য কারও নেই। এই বৈশিষ্ট্য কেবল আল্লাহ্ তা'আলার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। হাকাম নামটি আল্লাহ্ তা'আলার অন্যতম গুণবাচক নাম। গুরাব: শব্দটি الغرب ধাতু থেকে উৎসারিত। অর্থ, দূরে অবস্থান করা। এতদ্ব্যতীত এটি একটি অপবিত্র বস্তুর ভক্ষণকারী প্রাণীর নাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হিল-হারাম উভয় স্থানে যার হত্যা বৈধ ঘোষণা করেছেন। হুবারঃ এক ধরনের সাপ। এক বর্ণনানুযায়ী শয়তানের নাম। শিহাব অর্থ: অগ্নিস্ফুলিঙ্গ। জাহান্নামের রয়েছে আল্লাহ তা'আলার শাস্তি। আফিরা: যমীনের এমন একটি বৈশিষ্ট্য যে যমীনে উদ্ভিদ অংকুরিত হয় না। এরপর নবী (ﷺ) তার নামকরণ করেন খাদিরা-সবুজ ও উর্বর। অর্থাৎ এমন যমীন যাতে চমৎকার ফসল উৎপাদিত হয়, ফলে তা সবুজ রং ধারণ করে।)
كتاب النكاح
فصل
3048- وَعَن مُحَمَّد بن عَمْرو بن عَطاء رَضِي الله عَنهُ قَالَ سميت ابْنَتي برة فَقَالَت زَيْنَب بنت أبي سَلمَة إِن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نهى عَن هَذَا الِاسْم وَسميت برة فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم لَا تزكوا أَنفسكُم الله أعلم بِأَهْل الْبر مِنْكُم فَقَالُوا بِمَ نسميها فَقَالَ سَموهَا زَيْنَب

رَوَاهُ مُسلم وَأَبُو دَاوُد
قَالَ أَبُو دَاوُد وَغير رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم اسْم العَاصِي وعزيز وعتلة وَشَيْطَان وَالْحكم وغراب وحباب وشهاب فَسَماهُ هشاما وسمى حَربًا سلما وسمى المضطجع المنبعث وأرضا تسمى عفرَة سَمَّاهَا خضرَة وَشعب الضَّلَالَة سَمَّاهُ شعب
الْهدى وَبني الزنية سماهم بني الرشدة وسمى بني مغوية بني رشدة
قَالَ أَبُو دَاوُد تركت أسانيدها اختصارا
قَالَ الْخطابِيّ أما العَاصِي فَإِنَّمَا غَيره كَرَاهِيَة لِمَعْنى الْعِصْيَان وَإِنَّمَا سمة الْمُؤمن الطَّاعَة والاستسلام والعزيز إِنَّمَا غَيره لِأَن الْعِزَّة لله وشعار العَبْد الذلة والاستكانة
وعتلة مَعْنَاهَا الشدَّة والغلظ وَمِنْه قَوْلهم رجل عتل أَي شَدِيد غليظ
وَمن صفة الْمُؤمن اللين والسهولة
وَشَيْطَان اشتقاقه من الشطن وَهُوَ الْبعد من الْخَيْر وَهُوَ اسْم المارد الْخَبيث من الْجِنّ وَالْإِنْس
وَالْحكم هُوَ الْحَاكِم الَّذِي لَا يرد حكمه وَهَذِه الصّفة لَا تلِيق إِلَّا بِاللَّه تَعَالَى وَمن أَسْمَائِهِ الحكم
وغراب مَأْخُوذ من الغرب وَهُوَ الْبعد ثمَّ هُوَ حَيَوَان خَبِيث الْمطعم أَبَاحَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَتله فِي الْحل وَالْحرم
وحباب يَعْنِي بِضَم الْحَاء الْمُهْملَة وَتَخْفِيف الْبَاء الْمُوَحدَة نوع من الْحَيَّات وَرُوِيَ أَنه اسْم شَيْطَان
والشهاب الشعلة من النَّار وَالنَّار عُقُوبَة الله وَأما عفرَة يَعْنِي بِفَتْح الْعين وَكسر الْفَاء فَهِيَ نعت الأَرْض الَّتِي لَا تنْبت شَيْئا
فسماها خضرَة على معنى التفاؤل حَتَّى تخضر
انْتهى
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান