আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ

১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ

হাদীস নং: ২৫৭৭
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
সর্বদা বেশি করে নবী করীম (ﷺ) -এর প্রতি দরূদ পাঠের ব্যাপারে উৎসাহ দান ও তাঁর আলোচনার সময় যে ব্যক্তি দরূদ পাঠ করে না, তার সম্পর্কে সতর্কবাণী
২৫৭৭. হযরত আবু তালহা আনসারী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) একদিন অত্যন্ত প্রফুল্ল মনে প্রভাত করলেন। তাঁর চেহারায় আনন্দের চিহ্ন ফুটে উঠছিল। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজ আপনি খুব প্রফুল্ল মনে প্রভাত করেছেন যে, আপনার চেহারায় এ আনন্দের চিহ্ন ফুটে উঠেছে। তিনি বললেন, সত্যিই। আমার মহান প্রতিপালকের পক্ষ থেকে এক আগন্তুক এসে বলেছেঃ আপনার উম্মতের যে ব্যক্তি আপনার প্রতি একবার দরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি নেকী লিখবেন, তার দশটি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। উপরন্তু তিনি তাকে অনুরূপ উত্তর প্রদান করবেন।
(হাদীসটি আহমদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। আহমদের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে। একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) সাহাবীদের নিকট এমন অবস্থায় আসলেন যে, তাঁর চেহারায় আনন্দের চিহ্ন দেখা যাচ্ছিল। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনার চেহারায় আনন্দের চিহ্ন লক্ষ্য করছি। তিনি বললেনঃ আমার নিকট ফিরিশতা এসে বলল, হে মুহাম্মদ। এ বিষয়টি কি আপনাকে আনন্দ দিবে না যে, আপনার মহান প্রতিপালক বলেছেনঃ আপনার উম্মতের কেউ আপনার প্রতি দরূদ প্রেরণ করলে আমি তার প্রতি দশটি রহমত প্রেরণ করব, আর আপনার উম্মতের কেউ আপনার প্রতি সালাম পেশ করলে আমি তার প্রতি দশবার সালাম পেশ করব? তিনি বললেন, জ্বী হ্যাঁ।
(হাদীসটি ইবন হিব্বান তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেন। তাবারানী এ হাদীসটি নিম্নোক্ত শব্দমালায় বর্ণনা করেনঃ
হযরত আবু তালহা বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর নিকট গেলাম, তখন তাঁর চেহারার ভাঁজগুলো চমকাচ্ছিল। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি আপনাকে আজকের চেয়ে অধিক হর্ষিত মনও প্রফুল্ল বদনে আর কখনও দেখিনি। তিনি বললেন, কেন আমার হর্ষিত মন ও প্রফুল্ল বদন হবে না। এইমাত্র জিবরাঈল আলাইহিস সালাম আমার নিকট থেকে এ কথা বলে বিদায় নিলেন যে, হে মুহাম্মদ! আপনার উম্মতের কেউ আপনার উপর একবার দরূদ পাঠ করলে আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি পুণ্য লিখে দিবেন, দশটি গুনাহ মুছে দিবেন এবং তার দশটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন। আর সে আপনার জন্য যা বলেছে, ফিরিশতা তার জন্য অনুরূপ বলবে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল। এ কোন্ ফিরিশতা? জিবরাঈল বললেনঃ মহান আল্লাহ আপনার সৃষ্টিলগ্ন থেকে পুনরুত্থানকাল পর্যন্ত একজন ফিরিশতা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, যিনি আপনার উম্মতের কেউ আপনার উপর দরূদ পাঠ করলে তার উদ্দেশ্যে বলেনঃ "আল্লাহও তোমার প্রতি রহমত প্রেরণ করুন।)
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي إكثار الصَّلَاة على النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم والترهيب من تَركهَا عِنْد ذكره صلى الله عَلَيْهِ وَسلم كثيرا دَائِما
2577- وَعَن أبي طَلْحَة الْأنْصَارِيّ رَضِي الله عَنهُ قَالَ أصبح رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يَوْمًا طيب النَّفس يرى فِي وَجهه الْبشر
قَالُوا يَا رَسُول الله أَصبَحت الْيَوْم طيب النَّفس يرى فِي وَجهك الْبشر قَالَ أجل أَتَانِي آتٍ من رَبِّي عز وَجل فَقَالَ من صلى عَلَيْك من أمتك صَلَاة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرفع لَهُ عشر دَرَجَات ورد عَلَيْهِ مثلهَا

رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ

وَفِي رِوَايَة لاحمد أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَاءَ ذَات يَوْم وَالسُّرُور يرى فِي وَجهه فَقَالُوا يَا رَسُول الله إِنَّا لنرى السرُور فِي وَجهك فَقَالَ إِنَّه أَتَانِي الْملك فَقَالَ يَا مُحَمَّد أما يرضيك أَن رَبك عز وَجل يَقُول إِنَّه لَا يُصَلِّي عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا صليت عَلَيْهِ عشرا وَلَا يسلم عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا سلمت عَلَيْهِ عشرا قَالَ بلَى
وَرَوَاهُ ابْن حبَان فِي صَحِيحه بِنَحْوِ هَذِه وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَلَفظه قَالَ دخلت على رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وأسارير وَجهه تبرق فَقلت يَا رَسُول الله مَا رَأَيْتُك أطيب نفسا وَلَا أظهر بشرا من يَوْمك هَذَا
قَالَ وَمَا لي لَا تطيب نَفسِي وَيظْهر بشري وَإِنَّمَا فارقني جِبْرِيل عَلَيْهِ السَّلَام السَّاعَة فَقَالَ يَا مُحَمَّد من صلى عَلَيْك من أمتك صَلَاة كتب الله لَهُ بهَا عشر حَسَنَات ومحا عَنهُ عشر سيئات وَرَفعه بهَا عشر دَرَجَات وَقَالَ لَهُ الْملك مثل مَا قَالَ لَك
فَقلت يَا جِبْرِيل وَمَا ذَاك الْملك قَالَ إِن الله عز وَجل وكل ملكا من لدن خلقك إِلَى أَن يَبْعَثك لَا يُصَلِّي عَلَيْك أحد من أمتك إِلَّا قَالَ وَأَنت صلى الله عَلَيْك
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান