আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১৪. অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
হাদীস নং: ২৪০০
অধ্যায়ঃ যিকির ও দু‘আ
বিভিন্ন প্রকার তাসবীহ, তাকবীর, তাহলীল ও তাহমীদ পাঠের প্রতি উৎসাহ প্রদান
২৪০০. হযরত উম্মে হানী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করলেন। আমি তখন বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমার বয়স বেশি হয়ে গিয়েছে এবং আমি বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি (অথবা তিনি যেরূপ বললেন) অতএব আমাকে বসে বসে করার মত একটি আমলের কথা বলুন। তিনি বললেন, একশ'বার সুবহানাল্লাহ পাঠ করবে। কেননা এটি তোমার জন্য বনী ইসমাঈলের দশটি দাস মুক্ত করার মত হবে। একশবার আলহাম্দু লিল্লাহ পাঠ করবে। কেননা এটি আল্লাহর রাস্তায় তোমার জিন ও লাগাম সহ একশ ঘোড়া দানের সমান হবে। একশবার আল্লাহু আকবর পাঠ করবে। কারণ এটি এমন একশ উট কুরবানীর সমান হবে, যাদের গলায় মালা পরানো রয়েছে এবং আল্লাহর দরবাতে যা কবুল হয়েছে। আর একশত ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করবে। আবু খালাফ বলেন, আমার ধারণা যে, রাসূল (ﷺ) বলছেন, এর পূণ্য আসমান-যমীনের মধ্যকার শূন্য স্থানটিকে পূর্ণ করে ফেলবে, আর নীদিন তোমার আমলের চেয়ে উত্তম আমল আর কারো উঠানো হবে না। তবে হ্যাঁ, যদি কেউ তুমি যা করেছ, তাই করে থাকে।
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। নাসাঈও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি "আর ঐদিন তোমার...." কথাটি উল্লেখ করেন নাই। বায়হাকী পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন আবুদ-দুনিয়াও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি দাসমুক্তির পুণ্যটি আলহামদু লিল্লাহ পাঠের বেলায় আর একশ ঘোড়া দানের পুণ্যটি সুবহানাল্লাহ পাঠের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন। আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠের পুণ্যের বেলায় বলেছেনঃঃ যে, এটি কোন গুনাহ অবশিষ্ট রাখবে না আর এর উপর অন্য কোন আমল অগ্রগণ্য হবে না। ইবন মাজাহও এ হাদীসটির মর্ম সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। তাবরানী এটি তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে আহমদ-এর অনুরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে আবু খালাফের এ কথাটি 'আমার ধারণা যে, তিনি...." উল্লেখ করেন নাই। তাবরানী এটি 'আওসাতে' উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এভাবে বলেছেনঃ উন্মে হানী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার বয়স অধিক হয়ে গিয়েছে এবং হাড়গুলো পাতলা হয়ে গিয়েছে। তাই আমাকে এমন একটি আমলের সন্ধান দিন, যা আমাকে জান্নাতে দাখিল করে দিবে। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, বাহ! বাহ! তুমি সুন্দর প্রশ্ন করেছ। এ বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি একশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ কর। এটি আসমান-যমীনের মধ্যস্থিত সকল বস্তুর চেয়ে তোমার জন্য উত্তম হবে। আর এদিন তোমার আমলের চেয়ে উত্তম কোন আমল কারো জন্য উঠানো হবে না। তবে যদি কেউ তোমার মত অথবা তোমার চেয়ে বেশি আমল করে থাকে।
হাকিমও হাদীসটি আহমদ এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। হাকিম এ অংশটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করে নিবে। এটি তোমার কোন গুনাহকে অবশিষ্ট রাখবে না, আর এর তুলা অন্য কোনও আমলও হবে না।")
(হাদীসটি আহমদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা তাঁরই। নাসাঈও এটি বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি "আর ঐদিন তোমার...." কথাটি উল্লেখ করেন নাই। বায়হাকী পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইবন আবুদ-দুনিয়াও হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তিনি দাসমুক্তির পুণ্যটি আলহামদু লিল্লাহ পাঠের বেলায় আর একশ ঘোড়া দানের পুণ্যটি সুবহানাল্লাহ পাঠের ক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন। আর লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠের পুণ্যের বেলায় বলেছেনঃঃ যে, এটি কোন গুনাহ অবশিষ্ট রাখবে না আর এর উপর অন্য কোন আমল অগ্রগণ্য হবে না। ইবন মাজাহও এ হাদীসটির মর্ম সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন। তাবরানী এটি তাঁর 'কবীর' নামক গ্রন্থে আহমদ-এর অনুরূপই বর্ণনা করেছেন। তবে আবু খালাফের এ কথাটি 'আমার ধারণা যে, তিনি...." উল্লেখ করেন নাই। তাবরানী এটি 'আওসাতে' উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি এভাবে বলেছেনঃ উন্মে হানী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার বয়স অধিক হয়ে গিয়েছে এবং হাড়গুলো পাতলা হয়ে গিয়েছে। তাই আমাকে এমন একটি আমলের সন্ধান দিন, যা আমাকে জান্নাতে দাখিল করে দিবে। রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, বাহ! বাহ! তুমি সুন্দর প্রশ্ন করেছ। এ বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তুমি একশবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ কর। এটি আসমান-যমীনের মধ্যস্থিত সকল বস্তুর চেয়ে তোমার জন্য উত্তম হবে। আর এদিন তোমার আমলের চেয়ে উত্তম কোন আমল কারো জন্য উঠানো হবে না। তবে যদি কেউ তোমার মত অথবা তোমার চেয়ে বেশি আমল করে থাকে।
হাকিমও হাদীসটি আহমদ এর অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। হাকিম এ অংশটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ "লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ" পাঠ করে নিবে। এটি তোমার কোন গুনাহকে অবশিষ্ট রাখবে না, আর এর তুলা অন্য কোনও আমলও হবে না।")
كتاب الذّكر وَالدُّعَاء
التَّرْغِيب فِي التَّسْبِيح وَالتَّكْبِير والتهليل والتحميد على اخْتِلَاف أَنْوَاعه
2400- وَعَن أم هانىء رَضِي الله عَنْهَا قَالَت مر بِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ذَات يَوْم فَقلت يَا رَسُول الله قد كَبرت سني وضعفت أَو كَمَا قَالَت فمرني بِعَمَل أعمله وَأَنا جالسة قَالَ سبحي الله مائَة تَسْبِيحَة فَإِنَّهَا تعدل لَك مائَة رَقَبَة تعتقينها من ولد إِسْمَاعِيل واحمدي الله مائَة تَحْمِيدَة فَإِنَّهَا تعدل لَك مائَة فرس مسرجة ملجمة تحملين عَلَيْهَا فِي سَبِيل الله وكبري الله مائَة تَكْبِيرَة فَإِنَّهَا تعدل لَك مائَة بَدَنَة مقلدة متقبلة وهللي الله مائَة تَهْلِيلَة قَالَ أَبُو خلف أَحْسبهُ قَالَ تملأ مَا بَين السَّمَاء وَالْأَرْض وَلَا يرفع يَوْمئِذٍ لَاحَدَّ عمل أفضل مِمَّا يرفع لَك إِلَّا أَن يَأْتِي بِمثل مَا أتيت
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَلم يقل وَلَا يرفع إِلَى آخِره
وَالْبَيْهَقِيّ بِتَمَامِهِ وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فَجعل ثَوَاب الرّقاب فِي التَّحْمِيد وَمِائَة فرس فِي التَّسْبِيح وَقَالَ فِيهِ وهللي الله مائَة تَهْلِيلَة لَا تذر ذَنبا وَلَا يسبقها عمل
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه بِمَعْنَاهُ بِاخْتِصَار وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِنَحْوِ أَحْمد وَلم يقل أَحْسبهُ وَرَوَاهُ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ قَالَت قلت يَا رَسُول الله قد كَبرت سني ورق عظمي فدلني على عمل يدخلني الْجنَّة قَالَ بخ بخ لقد سَأَلت وَقَالَ فِيهِ وَقَوْلِي لَا إِلَه إِلَّا الله مائَة مرّة فَهُوَ خير لَك مِمَّا أطبقت عَلَيْهِ السَّمَاء وَالْأَرْض وَلَا يرفع يَوْمئِذٍ عمل أفضل مِمَّا يرفع لَك إِلَّا من قَالَ مثل مَا قلت أَو زَاد
وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِ أَحْمد وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَزَاد قولي وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه لَا تتْرك ذَنبا وَلَا يشبهها عمل
رَوَاهُ أَحْمد بِإِسْنَاد حسن وَاللَّفْظ لَهُ وَالنَّسَائِيّ وَلم يقل وَلَا يرفع إِلَى آخِره
وَالْبَيْهَقِيّ بِتَمَامِهِ وَرَوَاهُ ابْن أبي الدُّنْيَا فَجعل ثَوَاب الرّقاب فِي التَّحْمِيد وَمِائَة فرس فِي التَّسْبِيح وَقَالَ فِيهِ وهللي الله مائَة تَهْلِيلَة لَا تذر ذَنبا وَلَا يسبقها عمل
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه بِمَعْنَاهُ بِاخْتِصَار وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير بِنَحْوِ أَحْمد وَلم يقل أَحْسبهُ وَرَوَاهُ فِي الْأَوْسَط بِإِسْنَاد حسن إِلَّا أَنه قَالَ فِيهِ قَالَت قلت يَا رَسُول الله قد كَبرت سني ورق عظمي فدلني على عمل يدخلني الْجنَّة قَالَ بخ بخ لقد سَأَلت وَقَالَ فِيهِ وَقَوْلِي لَا إِلَه إِلَّا الله مائَة مرّة فَهُوَ خير لَك مِمَّا أطبقت عَلَيْهِ السَّمَاء وَالْأَرْض وَلَا يرفع يَوْمئِذٍ عمل أفضل مِمَّا يرفع لَك إِلَّا من قَالَ مثل مَا قلت أَو زَاد
وَرَوَاهُ الْحَاكِم بِنَحْوِ أَحْمد وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَزَاد قولي وَلَا حول وَلَا قُوَّة إِلَّا بِاللَّه لَا تتْرك ذَنبا وَلَا يشبهها عمل