আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ
হাদীস নং: ১৮৫০
অধ্যায়ঃ হজ্জ
মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫০. হযরত সাহল ইবন হুনায়ফ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি নিজ বাড়িতে উযু করে মসজিদে কুবায় আসল, অতঃপর সেখনে সালাত আদায় করল, সে একটি উমরার পুণ্য পাবে।
(হাদীসটি আহমদ, নাসাঈ ও ইব্ন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইবন মাজাহর। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। বায়হাকী এটি বর্ণনা করে বলেছেন: ইউসুফ ইবন তাহমান আবু উমামা ইবন সাহল থেকে ও তিনি তাঁর পিতা হযরত সাহল (রা) থেকে এবং তিনি নবী করীম ﷺ থেকে হাদীসটির মর্ম বর্ণনা করেছেন এবং এ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ ও যে ব্যক্তি উযু করে এই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এলো, এটি তার জন্য হজ্জতুল্য হবে।
(হাফিয (র) বলেন: এই অতিরিক্ত অংশটি ইউসূফ ইব্ন তাহমান একাই বর্ণনা করেন। আর তিনি উপেক্ষণীয় রাবী। আল্লাহই ভাল জানেন।)
(হাদীসটি আহমদ, নাসাঈ ও ইব্ন মাজাহ বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দমালা ইবন মাজাহর। হাকিমও এটি বর্ণনা করে সহীহ বলে মন্তব্য করেছেন। বায়হাকী এটি বর্ণনা করে বলেছেন: ইউসুফ ইবন তাহমান আবু উমামা ইবন সাহল থেকে ও তিনি তাঁর পিতা হযরত সাহল (রা) থেকে এবং তিনি নবী করীম ﷺ থেকে হাদীসটির মর্ম বর্ণনা করেছেন এবং এ কথাটি অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেনঃ ও যে ব্যক্তি উযু করে এই মসজিদে অর্থাৎ মসজিদে নববীতে সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এলো, এটি তার জন্য হজ্জতুল্য হবে।
(হাফিয (র) বলেন: এই অতিরিক্ত অংশটি ইউসূফ ইব্ন তাহমান একাই বর্ণনা করেন। আর তিনি উপেক্ষণীয় রাবী। আল্লাহই ভাল জানেন।)
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1850- وَعَن سهل بن حنيف رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من تطهر فِي بَيته ثمَّ أَتَى مَسْجِد قبَاء فصلى فِيهِ صَلَاة كَانَ لَهُ كَأَجر عمْرَة
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ وَرَوَاهُ يُوسُف بن طهْمَان عَن أبي أُمَامَة بن سهل عَن أَبِيه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِمَعْنَاهُ وَزَاد وَمن خرج على طهر لَا يُرِيد إِلَّا مَسْجِدي هَذَا يُرِيد مَسْجِد الْمَدِينَة ليُصَلِّي فِيهِ كَانَت بِمَنْزِلَة حجَّة
قَالَ الْحَافِظ انْفَرد بِهَذِهِ الزِّيَادَة يُوسُف بن طهْمَان وَهُوَ واه وَالله أعلم
رَوَاهُ أَحْمد وَالنَّسَائِيّ وَابْن مَاجَه وَاللَّفْظ لَهُ وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح الْإِسْنَاد وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ وَرَوَاهُ يُوسُف بن طهْمَان عَن أبي أُمَامَة بن سهل عَن أَبِيه عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم بِمَعْنَاهُ وَزَاد وَمن خرج على طهر لَا يُرِيد إِلَّا مَسْجِدي هَذَا يُرِيد مَسْجِد الْمَدِينَة ليُصَلِّي فِيهِ كَانَت بِمَنْزِلَة حجَّة
قَالَ الْحَافِظ انْفَرد بِهَذِهِ الزِّيَادَة يُوسُف بن طهْمَان وَهُوَ واه وَالله أعلم
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কুবা মদীনা মুনাউওয়ারা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শহর। এক কালে এখানে একটি কুয়া ছিল। কুয়াটির নাম ছিল কুবা। সে নামেই জনপদটির নামকরণ করা হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা মুকারামা থেকে হিজরত করে প্রথমে ১৪ দিন এ জনপদেই অবস্থান করেন। তিনি এখানে পৌঁছেছিলেন ১৩ নববী বর্ষের ৮ রবীউল আউওয়াল সোমবার মোতাবেক ২৩ ডিসেম্বর ৬২২ খ্রীষ্টাব্দে। তিনি আমর ইবন আওফ গোত্রের নেতা কুলছুম ইবন হাদম রাযি.-এর বাড়িতে উঠেছিলেন।
যেসকল সাহাবী প্রথমে হিজরত করে এসেছিলেন, তারা কুবায় অবস্থানকালে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কুবায় পৌঁছে এ মসজিদেই নামায আদায় করতে থাকেন। এ মসজিদটির অপর নাম মাসজিদুত্-তাকওয়া। এ মসজিদ সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার উপর স্থাপিত হয়েছে, সেটাই তোমার দাঁড়ানোর বেশি উপযুক্ত। তাতে এমন লোক আছে, যারা পাক-পবিত্রতাকে বেশি পসন্দ করে। আল্লাহ পাক-পবিত্র লোকদের পসন্দ করেন।'২৬৫
হযরত উছমান রাযি., হযরত উমর ইবন আব্দুল আযীয রহ., উছমানী খলীফা সুলতান মাহমূদ খান ও বাদশা ফয়সাল যথাক্রমে মসজিদটির সম্প্রসারণের কাজ করেন। ১৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল এ মসজিদে বর্তমানে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লী নামায পড়তে পারে।
হাদীসে আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি শনিবারে এ মসজিদে এসে দু'রাকআত নামায পড়তেন। কখনও পায়ে হেঁটে আসতেন এবং কখনও সওয়ার হয়ে।
এ মসজিদের অনেক ফযীলত। প্রতি শনিবারে এ মসজিদে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনই এর ফযীলতের জন্য যথেষ্ট।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
খ. কুবা মসজিদে প্রতি শনিবার সকাল বেলা যাওয়া ও নফল নামায পড়া মুস্তাহাব।
খ. এ হাদীছ দ্বারা মুবারক ও পবিত্র স্থানসমূহ যিয়ারতের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়।
২৬৫. সূরা তাওবা (৯), আয়াত ১০৮
২৬৬. জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ৩২৪; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ১৪১১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা, হাদীছ নং ৭৫২৯; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৪৫৯
যেসকল সাহাবী প্রথমে হিজরত করে এসেছিলেন, তারা কুবায় অবস্থানকালে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কুবায় পৌঁছে এ মসজিদেই নামায আদায় করতে থাকেন। এ মসজিদটির অপর নাম মাসজিদুত্-তাকওয়া। এ মসজিদ সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার উপর স্থাপিত হয়েছে, সেটাই তোমার দাঁড়ানোর বেশি উপযুক্ত। তাতে এমন লোক আছে, যারা পাক-পবিত্রতাকে বেশি পসন্দ করে। আল্লাহ পাক-পবিত্র লোকদের পসন্দ করেন।'২৬৫
হযরত উছমান রাযি., হযরত উমর ইবন আব্দুল আযীয রহ., উছমানী খলীফা সুলতান মাহমূদ খান ও বাদশা ফয়সাল যথাক্রমে মসজিদটির সম্প্রসারণের কাজ করেন। ১৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল এ মসজিদে বর্তমানে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লী নামায পড়তে পারে।
হাদীসে আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি শনিবারে এ মসজিদে এসে দু'রাকআত নামায পড়তেন। কখনও পায়ে হেঁটে আসতেন এবং কখনও সওয়ার হয়ে।
এ মসজিদের অনেক ফযীলত। প্রতি শনিবারে এ মসজিদে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনই এর ফযীলতের জন্য যথেষ্ট।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
খ. কুবা মসজিদে প্রতি শনিবার সকাল বেলা যাওয়া ও নফল নামায পড়া মুস্তাহাব।
খ. এ হাদীছ দ্বারা মুবারক ও পবিত্র স্থানসমূহ যিয়ারতের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়।
২৬৫. সূরা তাওবা (৯), আয়াত ১০৮
২৬৬. জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ৩২৪; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ১৪১১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা, হাদীছ নং ৭৫২৯; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৪৫৯
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)