আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১১. অধ্যায়ঃ হজ্জ
হাদীস নং: ১৮৫১
অধ্যায়ঃ হজ্জ
মসজিদুল হারাম, মসজিদে নববী, বায়তুল মুকাদ্দাস ও মসজিদে কুবায় নামায আদায়ের প্রতি উৎসাহ দান
১৮৫১. তাবারানী তাঁর 'কবীর' গ্রন্থে হযরত সাহল (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি উত্তমরূপে ওযু করে মসজিদে কুবায় প্রবেশ করল এবং চার রাকআত সালাত আদায় করল, সে একটি গোলাম আযাদ করার পুণ্য লাভ করবে।।
كتاب الْحَج
التَّرْغِيب فِي الصَّلَاة فِي الْمَسْجِد الْحَرَام وَمَسْجِد الْمَدِينَة وَبَيت الْمُقَدّس وقباء
1851- وروى الطَّبَرَانِيّ فِي الْكَبِير عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم من تَوَضَّأ فَأحْسن الْوضُوء ثمَّ دخل مَسْجِد قبَاء فيركع فِيهِ أَربع رَكْعَات كَانَ ذَلِك عدل رَقَبَة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কুবা মদীনা মুনাউওয়ারা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি শহর। এক কালে এখানে একটি কুয়া ছিল। কুয়াটির নাম ছিল কুবা। সে নামেই জনপদটির নামকরণ করা হয়। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা মুকারামা থেকে হিজরত করে প্রথমে ১৪ দিন এ জনপদেই অবস্থান করেন। তিনি এখানে পৌঁছেছিলেন ১৩ নববী বর্ষের ৮ রবীউল আউওয়াল সোমবার মোতাবেক ২৩ ডিসেম্বর ৬২২ খ্রীষ্টাব্দে। তিনি আমর ইবন আওফ গোত্রের নেতা কুলছুম ইবন হাদম রাযি.-এর বাড়িতে উঠেছিলেন।
যেসকল সাহাবী প্রথমে হিজরত করে এসেছিলেন, তারা কুবায় অবস্থানকালে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কুবায় পৌঁছে এ মসজিদেই নামায আদায় করতে থাকেন। এ মসজিদটির অপর নাম মাসজিদুত্-তাকওয়া। এ মসজিদ সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার উপর স্থাপিত হয়েছে, সেটাই তোমার দাঁড়ানোর বেশি উপযুক্ত। তাতে এমন লোক আছে, যারা পাক-পবিত্রতাকে বেশি পসন্দ করে। আল্লাহ পাক-পবিত্র লোকদের পসন্দ করেন।'২৬৫
হযরত উছমান রাযি., হযরত উমর ইবন আব্দুল আযীয রহ., উছমানী খলীফা সুলতান মাহমূদ খান ও বাদশা ফয়সাল যথাক্রমে মসজিদটির সম্প্রসারণের কাজ করেন। ১৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল এ মসজিদে বর্তমানে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লী নামায পড়তে পারে।
হাদীসে আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি শনিবারে এ মসজিদে এসে দু'রাকআত নামায পড়তেন। কখনও পায়ে হেঁটে আসতেন এবং কখনও সওয়ার হয়ে।
এ মসজিদের অনেক ফযীলত। প্রতি শনিবারে এ মসজিদে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনই এর ফযীলতের জন্য যথেষ্ট। এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الصلاة في مسجد قباء كعمرة ‘কুবার মসজিদে নামায পড়া উমরাহর সমতুল্য।২৬৬
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
খ. কুবা মসজিদে প্রতি শনিবার সকাল বেলা যাওয়া ও নফল নামায পড়া মুস্তাহাব।
খ. এ হাদীছ দ্বারা মুবারক ও পবিত্র স্থানসমূহ যিয়ারতের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়।
২৬৫. সূরা তাওবা (৯), আয়াত ১০৮
২৬৬. জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ৩২৪; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ১৪১১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা, হাদীছ নং ৭৫২৯; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৪৫৯
যেসকল সাহাবী প্রথমে হিজরত করে এসেছিলেন, তারা কুবায় অবস্থানকালে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও কুবায় পৌঁছে এ মসজিদেই নামায আদায় করতে থাকেন। এ মসজিদটির অপর নাম মাসজিদুত্-তাকওয়া। এ মসজিদ সম্পর্কে কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
لَمَسْجِدٌ أُسِّسَ عَلَى التَّقْوَى مِنْ أَوَّلِ يَوْمٍ أَحَقُّ أَنْ تَقُومَ فِيهِ فِيهِ رِجَالٌ يُحِبُّونَ أَنْ يَتَطَهَّرُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُطَّهِّرِينَ
যে মসজিদের ভিত্তি প্রথম দিন থেকেই তাকওয়ার উপর স্থাপিত হয়েছে, সেটাই তোমার দাঁড়ানোর বেশি উপযুক্ত। তাতে এমন লোক আছে, যারা পাক-পবিত্রতাকে বেশি পসন্দ করে। আল্লাহ পাক-পবিত্র লোকদের পসন্দ করেন।'২৬৫
হযরত উছমান রাযি., হযরত উমর ইবন আব্দুল আযীয রহ., উছমানী খলীফা সুলতান মাহমূদ খান ও বাদশা ফয়সাল যথাক্রমে মসজিদটির সম্প্রসারণের কাজ করেন। ১৫ হাজার বর্গমিটারের বিশাল এ মসজিদে বর্তমানে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লী নামায পড়তে পারে।
হাদীসে আছে যে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি শনিবারে এ মসজিদে এসে দু'রাকআত নামায পড়তেন। কখনও পায়ে হেঁটে আসতেন এবং কখনও সওয়ার হয়ে।
এ মসজিদের অনেক ফযীলত। প্রতি শনিবারে এ মসজিদে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আগমনই এর ফযীলতের জন্য যথেষ্ট। এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন الصلاة في مسجد قباء كعمرة ‘কুবার মসজিদে নামায পড়া উমরাহর সমতুল্য।২৬৬
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
খ. কুবা মসজিদে প্রতি শনিবার সকাল বেলা যাওয়া ও নফল নামায পড়া মুস্তাহাব।
খ. এ হাদীছ দ্বারা মুবারক ও পবিত্র স্থানসমূহ যিয়ারতের প্রতি উৎসাহ পাওয়া যায়।
২৬৫. সূরা তাওবা (৯), আয়াত ১০৮
২৬৬. জামে তিরমিযী, হাদীছ নং ৩২৪; সুনানে ইবন মাজাহ, হাদীছ নং ১৪১১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা, হাদীছ নং ৭৫২৯; বাগাবী, শারহুস্ সুন্নাহ, হাদীছ নং ৪৫৯
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)