আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৪৯৫
অধ্যায়ঃ রোযা
পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৯৫. হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকেই বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: তোমাদের নিকট রমযান মাস এসেছে। এটি একটি বরকতময় মাস। আল্লাহ এ মাসের রোযা তোমাদের উপর ফরয করে দিয়েছেন। এ মাসে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে রাখা হয়। আর দুর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বেড়ি পরিয়ে দেয়া হয়। এ মাসে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম একটি রাত রয়েছে। যে ব্যক্তি এর পুণ্য থেকে বঞ্চিত রইল, সে সকল কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত রইল।
(হাদীসটি নাসাঈ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি আবু কিলাবা সূত্রে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে আমার জানামতে আবু কিলাবা হাদীসটি আবু হুরায়রা (রা) থেকে শোনেন নি।)
[ হালীমী (র) বলেন। রমযান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখার অর্থ হলো, এ মাসে ঐ সকল শয়তানকে বন্দী করে রাখা হতো যারা ওঁৎ পেতে গোপনে কুরআনের বাণী শোনার চেষ্টা করত। এই জন্যই দূর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বলা হয়েছে। কেননা রমযান মাস পৃথিবীর আকাশে কুরআন নাযিলের সময় ছিল। আর দূর্ধর্ষ শয়তানগুলো থেকে কুরআনকে হিফাযত করার জন্য ওদের প্রতি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করা হতো। যেমন: আল্লাহ বলেন: প্রতিটি দুষ্ট শয়তান থেকে হিফাযতের উদ্দেশ্যে। রমযান মাসে হিফাযতের এ ব্যবস্থা আরও কঠোর করার জন্য তাদেরকে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, রমযান ও রমযানের পরও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ শয়তান মানুষকে এ মাসে পথভ্রষ্ট করতে পারে না, অন্যান্য মাসে যেরূপ সম্ভব হয়। কেননা মুসলমানগণ এ মাসে সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকে যাতে তাদের প্রবৃত্তির কামনার মূল্যোৎপাটন হয়ে যায়। তাছাড়া কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতে তারা মশগুল থাকে।
(হাদীসটি নাসাঈ ও বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়েই এটি আবু কিলাবা সূত্রে আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণনা করেন। তবে আমার জানামতে আবু কিলাবা হাদীসটি আবু হুরায়রা (রা) থেকে শোনেন নি।)
[ হালীমী (র) বলেন। রমযান মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখার অর্থ হলো, এ মাসে ঐ সকল শয়তানকে বন্দী করে রাখা হতো যারা ওঁৎ পেতে গোপনে কুরআনের বাণী শোনার চেষ্টা করত। এই জন্যই দূর্ধর্ষ শয়তানগুলোকে বলা হয়েছে। কেননা রমযান মাস পৃথিবীর আকাশে কুরআন নাযিলের সময় ছিল। আর দূর্ধর্ষ শয়তানগুলো থেকে কুরআনকে হিফাযত করার জন্য ওদের প্রতি অগ্নি স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করা হতো। যেমন: আল্লাহ বলেন: প্রতিটি দুষ্ট শয়তান থেকে হিফাযতের উদ্দেশ্যে। রমযান মাসে হিফাযতের এ ব্যবস্থা আরও কঠোর করার জন্য তাদেরকে শিকল পরিয়ে রাখা হতো। এরও সম্ভাবনা রয়েছে যে, রমযান ও রমযানের পরও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অর্থাৎ শয়তান মানুষকে এ মাসে পথভ্রষ্ট করতে পারে না, অন্যান্য মাসে যেরূপ সম্ভব হয়। কেননা মুসলমানগণ এ মাসে সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকে যাতে তাদের প্রবৃত্তির কামনার মূল্যোৎপাটন হয়ে যায়। তাছাড়া কুরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতে তারা মশগুল থাকে।
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1495- وَعنهُ رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَتَاكُم شهر رَمَضَان شهر مبارك فرض الله عَلَيْكُم صِيَامه تفتح فِيهِ أَبْوَاب السَّمَاء وتغلق فِيهِ أَبْوَاب الْجَحِيم وتغل فِيهِ مَرَدَة الشَّيَاطِين لله فِيهِ لَيْلَة خير من ألف شهر من حرم خَيرهَا فقد حرم
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن أبي قلَابَة عَن أبي هُرَيْرَة وَلم يسمع مِنْهُ فِيمَا أعلم
قَالَ الْحَلِيمِيّ وتصفيد الشَّيَاطِين فِي شهر رَمَضَان يحْتَمل أَن يكون المُرَاد بِهِ أَيَّامه
خَاصَّة وَأَرَادَ الشَّيَاطِين الَّتِي مسترقة السّمع أَلا ترَاهُ قَالَ مَرَدَة الشَّيَاطِين لِأَن شهر رَمَضَان كَانَ وقتا لنزول الْقُرْآن إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا وَكَانَت الحراسة قد وَقعت بِالشُّهُبِ كَمَا قَالَ تَعَالَى {وحفظا من كل شَيْطَان مارد} الصافات 7
فزيدوا التصفيد فِي شهر رَمَضَان مُبَالغَة فِي الْحِفْظ وَالله أعلم وَيحْتَمل أَن يكون المُرَاد أَيَّامه وَبعده
وَالْمعْنَى أَن الشَّيَاطِين لَا يخلصون فِيهِ من إِفْسَاد النَّاس إِلَى مَا كَانُوا يخلصون إِلَيْهِ فِي غَيره لاشتغال الْمُسلمين بالصيام الَّذِي فِيهِ قمع الشَّهَوَات وبقراءة الْقُرْآن وَسَائِر الْعِبَادَات
رَوَاهُ النَّسَائِيّ وَالْبَيْهَقِيّ كِلَاهُمَا عَن أبي قلَابَة عَن أبي هُرَيْرَة وَلم يسمع مِنْهُ فِيمَا أعلم
قَالَ الْحَلِيمِيّ وتصفيد الشَّيَاطِين فِي شهر رَمَضَان يحْتَمل أَن يكون المُرَاد بِهِ أَيَّامه
خَاصَّة وَأَرَادَ الشَّيَاطِين الَّتِي مسترقة السّمع أَلا ترَاهُ قَالَ مَرَدَة الشَّيَاطِين لِأَن شهر رَمَضَان كَانَ وقتا لنزول الْقُرْآن إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا وَكَانَت الحراسة قد وَقعت بِالشُّهُبِ كَمَا قَالَ تَعَالَى {وحفظا من كل شَيْطَان مارد} الصافات 7
فزيدوا التصفيد فِي شهر رَمَضَان مُبَالغَة فِي الْحِفْظ وَالله أعلم وَيحْتَمل أَن يكون المُرَاد أَيَّامه وَبعده
وَالْمعْنَى أَن الشَّيَاطِين لَا يخلصون فِيهِ من إِفْسَاد النَّاس إِلَى مَا كَانُوا يخلصون إِلَيْهِ فِي غَيره لاشتغال الْمُسلمين بالصيام الَّذِي فِيهِ قمع الشَّهَوَات وبقراءة الْقُرْآن وَسَائِر الْعِبَادَات