আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৪৮৯
অধ্যায়ঃ রোযা
পুণ্যলাভের আশায় রমযানের রোযা পালন ও রমযানের রাতসমূহে বিশেষত লায়লাতুল কদরে
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
ইবাদতের প্রতি উৎসাহ দান ও এর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৮৯. হযরত সালমান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ একবার শা'বান মাসের শেষ তারিখে ভাষণ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেনঃ হে লোক সকল! একটি মহান পুণ্যময় মাস তোমাদের উপর ছায়াপাত করেছে। এটি এমন মাস যাতে হাজার রজনীর চেয়েও উত্তম একটি রাত রয়েছে। এ মাসের রোযাকে আল্লাহ ফরয ও রাতের নামাযকে নফল করে দিয়েছেন। এ মাসে যে ব্যক্তি একটি (নফল) পুণ্য কাজের মাধ্যমে আল্লাহ্ নৈকট্য লাভে তৎপর হল, সে যেন অন্য মাসে একটি ফরয আদায় করল। আর এ মাসে যে একটি ফরয আদায় করল, সে যেন অন্য মাসে সত্তরটি ফরয আদায় করল। এটি ধৈর্যের মাস, আর ধৈর্যের বিনিময় হচ্ছে জান্নাত। এটি সহমর্মিতার মাস, মু'মিনের রিযিক বৃদ্ধির মাস।
যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, তার গুনাহসমূহের মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে তার গ্রীবা মুক্ত হয়ে গেল। আর রোযাদারের পুণ্যে কোন কমতি ছাড়াই তার সম পরিমাণ পুণ্য সে পেয়ে গেল। সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাদের প্রত্যেকের তো রোযাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই? রাসূলুল্লাহ মা তখন বললেন, এই পুণ্য তো আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে দান করবেন যে একটি খুরমা অথবা সামান্য একটু পানি অথবা এক ঢোক দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে রোযাদারকে ইফতার করাল। এটি এমন মাস, যার প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে সাক্ষাৎ মুক্তি। যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের চাকর-নফরের বোঝা হালকা করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।
তোমরা এ মাসে চারটি কাজ বেশি করে করবে। দু'টি কাজ দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করতে পারবে। আর দু'টি কাজ এমন, যেগুলো ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই। যে দু'টি কাজে তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করবে, সেগুলো হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য দান ও ইসতিগফার। আর যে দু'টি কাজ ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই, সেগুলো হল এই যে, তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাতের প্রার্থনা করবে ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে।
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে আমার হাউয থেকে এমন পানীয় পান করাবেন যে, জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তার আর পিপাসাই হবে না।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। বায়হাকী থেকেও তিনি এটি বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' ইবন খুযায়মা ও বায়হাকী থেকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।)
যে ব্যক্তি এ মাসে কোন রোযাদারকে ইফতার করাল, তার গুনাহসমূহের মাগফিরাত ও জাহান্নাম থেকে তার গ্রীবা মুক্ত হয়ে গেল। আর রোযাদারের পুণ্যে কোন কমতি ছাড়াই তার সম পরিমাণ পুণ্য সে পেয়ে গেল। সাহাবাগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ﷺ আমাদের প্রত্যেকের তো রোযাদারকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই? রাসূলুল্লাহ মা তখন বললেন, এই পুণ্য তো আল্লাহ্ ঐ ব্যক্তিকে দান করবেন যে একটি খুরমা অথবা সামান্য একটু পানি অথবা এক ঢোক দুধ মিশ্রিত পানি দিয়ে রোযাদারকে ইফতার করাল। এটি এমন মাস, যার প্রথম অংশ রহমত, দ্বিতীয় অংশ মাগফিরাত ও শেষ অংশ জাহান্নাম থেকে সাক্ষাৎ মুক্তি। যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের চাকর-নফরের বোঝা হালকা করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন।
তোমরা এ মাসে চারটি কাজ বেশি করে করবে। দু'টি কাজ দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করতে পারবে। আর দু'টি কাজ এমন, যেগুলো ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই। যে দু'টি কাজে তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে খুশি করবে, সেগুলো হল, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর সাক্ষ্য দান ও ইসতিগফার। আর যে দু'টি কাজ ছাড়া তোমাদের গত্যন্তর নেই, সেগুলো হল এই যে, তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাতের প্রার্থনা করবে ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাইবে।
যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে পানি পান করাবে, আল্লাহ তাকে আমার হাউয থেকে এমন পানীয় পান করাবেন যে, জান্নাতে প্রবেশ পর্যন্ত তার আর পিপাসাই হবে না।
(হাদীসটি ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন, হাদীসটি সহীহ। বায়হাকী থেকেও তিনি এটি বর্ণনা করেছেন। আবুশ শায়খ ইবন হিব্বান এটি 'কিতাবুস সওয়াবে' ইবন খুযায়মা ও বায়হাকী থেকে সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেছেন।)
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي صِيَام رَمَضَان احتسابا وَقيام ليله سِيمَا لَيْلَة الْقدر وَمَا جَاءَ فِي فَضله
1489- وَعَن سلمَان رَضِي الله عَنهُ قَالَ خَطَبنَا رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي آخر يَوْم من شعْبَان قَالَ يَا أَيهَا النَّاس قد أظلكم شهر عَظِيم مبارك شهر فِيهِ لَيْلَة خير من ألف شهر شهر جعل الله صِيَامه فَرِيضَة وَقيام ليله تَطَوّعا من تقرب فِيهِ بخصلة من الْخَيْر كَانَ كمن أدّى فَرِيضَة فِيمَا سواهُ وَمن أدّى فَرِيضَة فِيهِ كَانَ كمن أدّى سبعين فَرِيضَة فِيمَا سواهُ وَهُوَ شهر الصَّبْر وَالصَّبْر ثَوَابه الْجنَّة وَشهر الْمُوَاسَاة وَشهر يُزَاد فِي رزق الْمُؤمن فِيهِ من فطر فِيهِ صَائِما كَانَ مغْفرَة لذنوبه وَعتق رقبته من النَّار وَكَانَ لَهُ مثل أجره من غير أَن ينقص من أجره
شَيْء
قَالُوا يَا رَسُول الله لَيْسَ كلنا يجد مَا يفْطر الصَّائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُعْطي الله هَذَا الثَّوَاب من فطر صَائِما على تَمْرَة أَو على شربة مَاء أَو مذقة لبن وَهُوَ شهر أَوله رَحْمَة وأوسطه مغْفرَة وَآخره عتق من النَّار من خفف عَن مَمْلُوكه فِيهِ غفر الله لَهُ وَأعْتقهُ من النَّار واستكثروا فِيهِ من أَربع خِصَال خَصْلَتَيْنِ ترْضونَ بهما ربكُم وخصلتين لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فَأَما الخصلتان اللَّتَان ترْضونَ بهما ربكُم فشهادة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وتستغفرونه وَأما الخصلتان اللَّتَان لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فتسألون الله الْجنَّة وتعوذون بِهِ من النَّار وَمن سقى صَائِما سقَاهُ الله من حَوْضِي شربة لَا يظمأ حَتَّى يدْخل الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه ثمَّ قَالَ صَحَّ الْخَبَر وَرَوَاهُ من طَرِيق الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي الثَّوَاب بِاخْتِصَار عَنْهُمَا
شَيْء
قَالُوا يَا رَسُول الله لَيْسَ كلنا يجد مَا يفْطر الصَّائِم فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يُعْطي الله هَذَا الثَّوَاب من فطر صَائِما على تَمْرَة أَو على شربة مَاء أَو مذقة لبن وَهُوَ شهر أَوله رَحْمَة وأوسطه مغْفرَة وَآخره عتق من النَّار من خفف عَن مَمْلُوكه فِيهِ غفر الله لَهُ وَأعْتقهُ من النَّار واستكثروا فِيهِ من أَربع خِصَال خَصْلَتَيْنِ ترْضونَ بهما ربكُم وخصلتين لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فَأَما الخصلتان اللَّتَان ترْضونَ بهما ربكُم فشهادة أَن لَا إِلَه إِلَّا الله وتستغفرونه وَأما الخصلتان اللَّتَان لَا غناء بكم عَنْهُمَا
فتسألون الله الْجنَّة وتعوذون بِهِ من النَّار وَمن سقى صَائِما سقَاهُ الله من حَوْضِي شربة لَا يظمأ حَتَّى يدْخل الْجنَّة
رَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه ثمَّ قَالَ صَحَّ الْخَبَر وَرَوَاهُ من طَرِيق الْبَيْهَقِيّ وَرَوَاهُ أَبُو الشَّيْخ ابْن حبَان فِي الثَّوَاب بِاخْتِصَار عَنْهُمَا