আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৯. অধ্যায়ঃ রোযা
হাদীস নং: ১৪৫৩
অধ্যায়ঃ রোযা
অধ্যায়: রোযা
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
রোযা রাখার প্রতি উৎসাহ দান রোযা ও রোযাদারের দু'আর ফযীলত প্রসঙ্গ
১৪৫৩. তাঁরই অপর এক বর্ণনায় এরূপ রয়েছে:
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। আদম সন্তানের সকল আমল তারই জন্য এবং এগুলোতে দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সওয়াব দেয়া হবে। আল্লাহ্ বলেন, কিন্তু রোযা, এটি কেবল আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযাদার আমারই জন্যে আহার্য ত্যাগ করে, আমারই জন্যে পানীয় ত্যাগ করে, আমারই জন্যে তার সুখ ভোগ বিসর্জন দেয়, আর আমারই জন্যে তার স্ত্রী সম্ভোগ পরিত্যাগ করে। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়। রোযাদারের দু'টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে,
একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ আপন প্রতিপালকের সাথে তার সাক্ষাতের সময়।
সুফয়ান ইবন উয়ায়না (র)-কে আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ "আদম সন্তানের সকল আমল তার নিজের জন্যে, কিন্তু রোযা, কেননা এটি কেবল আমারই জন্যে।" এর মর্ম কি? তিনি তখন বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাঁর বান্দার হিসাব গ্রহণ করবেন এবং সমস্ত আমল থেকে তার যুলমের ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন। পরিশেষে কেবলমাত্র রোযাই অবশিষ্ট থাকবে। তখন আল্লাহ্ তার যুলমের ক্ষতিপূরণের ভার নিজে গ্রহণ করবেন এবং রোযার বদৌলতে তাকে জান্নাতে দাখিল করে দিবেন। এই হল সুফয়ান (র)-এর বক্তব্য। এ ব্যাখ্যাটি অত্যন্ত বিরল। এই কথাটির ব্যাখ্যায় আরও অনেক মত রয়েছে। এখানে সবগুলো আলোচনা করার অবকাশ নেই।
ইতিপূর্বে হারিস আশ'আরীর বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে রোযা পালনের নির্দেশ দিচ্ছি। আর রোযার উদাহরণ হচ্ছে এমন যে, কোন একটি দলের জনৈক ব্যক্তির নিকট মিশকের একটি খলে রয়েছে, আর সবাই এর সুবাস পেতে চায়। রোযা আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশি অধিকতর পসন্দনীয়.....
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে অভিহিত করেছেন, তবে তাঁর বর্ণনাটি এরূপ:
রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর প্রিয়। হাদীসটি ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন হিব্বান এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেন।)
পূর্ণ হাদীসটি ইতিপূর্বে 'সালাতে এদিকে সেদিকে তাকানো' শিরোনামে অতিবাহিত হয়েছে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন। আদম সন্তানের সকল আমল তারই জন্য এবং এগুলোতে দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত সওয়াব দেয়া হবে। আল্লাহ্ বলেন, কিন্তু রোযা, এটি কেবল আমারই জন্য এবং আমিই এর প্রতিদান দেব। রোযাদার আমারই জন্যে আহার্য ত্যাগ করে, আমারই জন্যে পানীয় ত্যাগ করে, আমারই জন্যে তার সুখ ভোগ বিসর্জন দেয়, আর আমারই জন্যে তার স্ত্রী সম্ভোগ পরিত্যাগ করে। রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর পসন্দনীয়। রোযাদারের দু'টি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে,
একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ আপন প্রতিপালকের সাথে তার সাক্ষাতের সময়।
সুফয়ান ইবন উয়ায়না (র)-কে আল্লাহর এই বাণী সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ "আদম সন্তানের সকল আমল তার নিজের জন্যে, কিন্তু রোযা, কেননা এটি কেবল আমারই জন্যে।" এর মর্ম কি? তিনি তখন বলেছিলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাঁর বান্দার হিসাব গ্রহণ করবেন এবং সমস্ত আমল থেকে তার যুলমের ক্ষতিপূরণ আদায় করবেন। পরিশেষে কেবলমাত্র রোযাই অবশিষ্ট থাকবে। তখন আল্লাহ্ তার যুলমের ক্ষতিপূরণের ভার নিজে গ্রহণ করবেন এবং রোযার বদৌলতে তাকে জান্নাতে দাখিল করে দিবেন। এই হল সুফয়ান (র)-এর বক্তব্য। এ ব্যাখ্যাটি অত্যন্ত বিরল। এই কথাটির ব্যাখ্যায় আরও অনেক মত রয়েছে। এখানে সবগুলো আলোচনা করার অবকাশ নেই।
ইতিপূর্বে হারিস আশ'আরীর বর্ণিত হাদীসটি উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে। আমি তোমাদেরকে রোযা পালনের নির্দেশ দিচ্ছি। আর রোযার উদাহরণ হচ্ছে এমন যে, কোন একটি দলের জনৈক ব্যক্তির নিকট মিশকের একটি খলে রয়েছে, আর সবাই এর সুবাস পেতে চায়। রোযা আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও বেশি অধিকতর পসন্দনীয়.....
(হাদীসটি তিরমিযী বর্ণনা করেছেন এবং একে সহীহ বলে অভিহিত করেছেন, তবে তাঁর বর্ণনাটি এরূপ:
রোযাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিশকের সুগন্ধির চেয়েও অধিকতর প্রিয়। হাদীসটি ইবন খুযায়মাও তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। বর্ণিত শব্দসমূহ তাঁরই। ইবন হিব্বান এবং হাকিমও এটি বর্ণনা করেন।)
পূর্ণ হাদীসটি ইতিপূর্বে 'সালাতে এদিকে সেদিকে তাকানো' শিরোনামে অতিবাহিত হয়েছে।
كتاب الصَّوْم
كتاب الصَّوْم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
التَّرْغِيب فِي الصَّوْم مُطلقًا وَمَا جَاءَ فِي فَضله وَفضل دُعَاء الصَّائِم
1453- وَفِي أُخْرَى لَهُ قَالَ كل عمل ابْن آدم لَهُ الْحَسَنَة بِعشر أَمْثَالهَا إِلَى سَبْعمِائة ضعف
قَالَ الله إِلَّا الصَّوْم فَهُوَ لي وَأَنا أجزي بِهِ يدع الطَّعَام من أَجلي ويدع الشَّرَاب من أَجلي ويدع لذته من أَجلي ويدع زَوجته من أَجلي ولخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وللصائم فرحتان فرحة حِين يفْطر وفرحة حِين يلقى ربه
الرَّفَث بِفَتْح الرَّاء وَالْفَاء يُطلق وَيُرَاد بِهِ الْجِمَاع وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ الْفُحْش وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ خطاب الرجل وَالْمَرْأَة فِيمَا يتَعَلَّق بِالْجِمَاعِ
وَقَالَ كثير من الْعلمَاء إِن المُرَاد بِهِ فِي هَذَا الحَدِيث الْفُحْش ورديء الْكَلَام
وَالْجنَّة بِضَم الْجِيم هُوَ مَا يجنك
أَي يسترك ويقيك مِمَّا تخَاف وَمعنى الحَدِيث إِن الصَّوْم يستر صَاحبه ويحفظه من الْوُقُوع فِي الْمعاصِي
والخلوف بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وَضم اللَّام هُوَ تغير رَائِحَة الْفَم من الصَّوْم
وَسُئِلَ سُفْيَان بن عُيَيْنَة عَن قَوْله تَعَالَى كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي فَقَالَ إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يُحَاسب الله عز وَجل عَبده وَيُؤَدِّي مَا عَلَيْهِ من الْمَظَالِم من سَائِر عمله حَتَّى لَا يبْقى إِلَّا الصَّوْم فيتحمل الله
مَا بَقِي عَلَيْهِ من الْمَظَالِم ويدخله بِالصَّوْمِ الْجنَّة هَذَا كَلَامه وَهُوَ غَرِيب
وَفِي معنى هَذِه اللَّفْظَة أوجه كَثِيرَة لَيْسَ هَذَا مَوضِع استيفائها
وَتقدم حَدِيث الْحَارِث الْأَشْعَرِيّ فِيهِ وآمركم بالصيام وَمثل ذَلِك كَمثل رجل فِي عِصَابَة مَعَه صرة مسك كلهم يحب أَن يجد رِيحهَا وَإِن الصّيام أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
الحَدِيث
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ إِلَّا أَنه قَالَ وَإِن ريح الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان وَالْحَاكِم وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة
قَالَ الله إِلَّا الصَّوْم فَهُوَ لي وَأَنا أجزي بِهِ يدع الطَّعَام من أَجلي ويدع الشَّرَاب من أَجلي ويدع لذته من أَجلي ويدع زَوجته من أَجلي ولخلوف الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك وللصائم فرحتان فرحة حِين يفْطر وفرحة حِين يلقى ربه
الرَّفَث بِفَتْح الرَّاء وَالْفَاء يُطلق وَيُرَاد بِهِ الْجِمَاع وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ الْفُحْش وَيُطلق وَيُرَاد بِهِ خطاب الرجل وَالْمَرْأَة فِيمَا يتَعَلَّق بِالْجِمَاعِ
وَقَالَ كثير من الْعلمَاء إِن المُرَاد بِهِ فِي هَذَا الحَدِيث الْفُحْش ورديء الْكَلَام
وَالْجنَّة بِضَم الْجِيم هُوَ مَا يجنك
أَي يسترك ويقيك مِمَّا تخَاف وَمعنى الحَدِيث إِن الصَّوْم يستر صَاحبه ويحفظه من الْوُقُوع فِي الْمعاصِي
والخلوف بِفَتْح الْخَاء الْمُعْجَمَة وَضم اللَّام هُوَ تغير رَائِحَة الْفَم من الصَّوْم
وَسُئِلَ سُفْيَان بن عُيَيْنَة عَن قَوْله تَعَالَى كل عمل ابْن آدم لَهُ إِلَّا الصَّوْم فَإِنَّهُ لي فَقَالَ إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة يُحَاسب الله عز وَجل عَبده وَيُؤَدِّي مَا عَلَيْهِ من الْمَظَالِم من سَائِر عمله حَتَّى لَا يبْقى إِلَّا الصَّوْم فيتحمل الله
مَا بَقِي عَلَيْهِ من الْمَظَالِم ويدخله بِالصَّوْمِ الْجنَّة هَذَا كَلَامه وَهُوَ غَرِيب
وَفِي معنى هَذِه اللَّفْظَة أوجه كَثِيرَة لَيْسَ هَذَا مَوضِع استيفائها
وَتقدم حَدِيث الْحَارِث الْأَشْعَرِيّ فِيهِ وآمركم بالصيام وَمثل ذَلِك كَمثل رجل فِي عِصَابَة مَعَه صرة مسك كلهم يحب أَن يجد رِيحهَا وَإِن الصّيام أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
الحَدِيث
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَصَححهُ إِلَّا أَنه قَالَ وَإِن ريح الصَّائِم أطيب عِنْد الله من ريح الْمسك
وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن حبَان وَالْحَاكِم وَتقدم بِتَمَامِهِ فِي الِالْتِفَات فِي الصَّلَاة