আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৬. অধ্যায়ঃ নফল
হাদীস নং: ১০২৩
অধ্যায়ঃ নফল
সালাতুল হাজাত ও তাতে দু'আর অনুপ্রেরণা
১০২৩. হযরত উসমান ইবন হুনায়ফ (রা) থেকে বর্ণিত। এক অন্ধলোক রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার চোখের জ্যোতি ফিরে পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দু'আ করুন। অথবা তিনি বলেন: আমি আপনার কাছে দু'আ চাচ্ছি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার চোখের জ্যোতি লোপ পাওয়ায় আমার কষ্ট হচ্ছে। তখন তিনি বলেনঃ তুমি উযূ করে দুই রাকাআত সালাত আদায় করে বলবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي
"হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে নিবেদন করছি, তোমার রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে, আমি তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চোখের পর্দা সরিয়ে দেন। হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তাঁর শাফাআত কবুল কর। আমার নিজের ব্যাপারে তুমি তাঁর শাফায়াত কবুল কর।" এরপর সে চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়ে চলে গেল।
(তিরমিযী, হাদীসটি বর্ণনা করেন। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীব। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেনঃ এ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। তবে ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় ثمَّ صلي رَكْعَتَيْنِ উল্লিখিত নেই। তবে তিনি বলেছেন: তিনি তাকে উত্তমরূপে উযূ করার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি দু'আ করেন। তারপর অনুরূপ উল্লেখ করেন। তবে তিনি 'দাওয়াত' অধ্যায়ে এবং তাবারানী হাদীসের প্রথমাংশে একটি ঘটনার বিবরণ দেন।
আর তা হল এইঃ জনৈক ব্যক্তি উসমান (রা)-এর কাছে কোন প্রয়োজনে যাতায়াত করত। কিন্তু উসমান (রা) তার প্রতি তাকাতেন না এবং তার চাহিদা পূরণের চিন্তাও করতেন না। এরপর লোকটি উসমান ইবন হুনায়ফ (রা)-এর কাছে গেল এবং তার নিকট ঘটনাটি অভিযোগ আকারে বর্ণনা করল। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: তুমি উযূখানায় যাও এবং উত্তমরূপে উযূ করে নাও। এরপর মসজিদে গিয়ে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। তারপর তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি, তোমার দিকে আমাদের রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) কে মাধ্যম করে তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আপনার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চাহিদা পূরণ করেন।"
তুমি তোমার দু'আর মধ্যে প্রয়োজনের কথা বল। পরে আমার কাছে আস, আমি তোমার সাথে যাব। এরপর লোকটি চলে গেল এবং সে যেভাবে শিক্ষা দিল লোকটি সেভাবে করল। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর কাছে গেলে দারোয়ান তার হাত ধরে উসমান (রা)-এর নিকট নিয়ে গেল। তিনি তাকে উত্তম বিছানায় বসালেন এবং বললেনঃ তোমার কি প্রয়োজন? লোকটি তার প্রয়োজনের কথা বলল। তখন তিনি তা পূরণ করে দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে কেবল এইমাত্র তোমার প্রয়োজনের বিষয়ে উল্লেখ করলে। যখনই তোমার কোন প্রয়োজন হয়, তখন তুমি আমার কাছে আসবে। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর নিকট থেকে চলে গেল এবং উসমান ইবন হুনায়ফের সংগে সাক্ষাত করল। সে বলল: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন। (এ যাবত) তিনি প্রয়োজনের চিন্তা করেন নি। আপনি যখন তার সাথে আমার বিষয়ে কথা বললেন, তখন তিনি আমার প্রয়োজন পূরণ করলেন। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি তার সাথে তোমার ব্যাপারে কোন কথা বলিনি; বরং আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখেছি, একজন অসহায় ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে চোখের জ্যোতি চলে যাবার ব্যাপারে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে বললেনঃ তুমি ধৈর্য ধর। সে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাকে হাত ধরে নেয়ার কেউ নেই, ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই পীড়াদায়ক। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেনঃ তুমি উযুখানায় যাও এবং উযূ করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ কর। উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: আমরা সকলে ঐ বৈঠকে ছিলাম এবং আমাদের পরস্পরের বাক্যালাপ দীর্ঘ ছিল। এমন সময় ঐ লোকটি ফিরে এলো। মনে হল কখনো তার চোখে কোন ব্যধি ছিল না।
(তাবারানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ।)
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي
"হে আল্লাহ। আমি তোমার কাছে নিবেদন করছি, তোমার রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) এর মাধ্যমে, আমি তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আমার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চোখের পর্দা সরিয়ে দেন। হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তাঁর শাফাআত কবুল কর। আমার নিজের ব্যাপারে তুমি তাঁর শাফায়াত কবুল কর।" এরপর সে চোখের জ্যোতি ফিরে পেয়ে চলে গেল।
(তিরমিযী, হাদীসটি বর্ণনা করেন। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ-গরীব। নাসাঈ নিজ শব্দযোগে, ইবন মাজাহ ও ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে বর্ণনা করেন। হাকিম হাদীসটি বর্ণনা করেন এবং বলেনঃ এ হাদীসটি বুখারী ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। তবে ইমাম তিরমিযীর বর্ণনায় ثمَّ صلي رَكْعَتَيْنِ উল্লিখিত নেই। তবে তিনি বলেছেন: তিনি তাকে উত্তমরূপে উযূ করার নির্দেশ দেন। এরপর তিনি দু'আ করেন। তারপর অনুরূপ উল্লেখ করেন। তবে তিনি 'দাওয়াত' অধ্যায়ে এবং তাবারানী হাদীসের প্রথমাংশে একটি ঘটনার বিবরণ দেন।
আর তা হল এইঃ জনৈক ব্যক্তি উসমান (রা)-এর কাছে কোন প্রয়োজনে যাতায়াত করত। কিন্তু উসমান (রা) তার প্রতি তাকাতেন না এবং তার চাহিদা পূরণের চিন্তাও করতেন না। এরপর লোকটি উসমান ইবন হুনায়ফ (রা)-এর কাছে গেল এবং তার নিকট ঘটনাটি অভিযোগ আকারে বর্ণনা করল। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: তুমি উযূখানায় যাও এবং উত্তমরূপে উযূ করে নাও। এরপর মসজিদে গিয়ে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। তারপর তুমি বলঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি, তোমার দিকে আমাদের রহমতের নবী মুহাম্মদ (সা) কে মাধ্যম করে তোমার অভিমুখী হলাম। হে মুহাম্মদ! আমি আপনার মাধ্যমে আপনার প্রতিপালকের অভিমুখী হলাম। তিনি যেন আমার চাহিদা পূরণ করেন।"
তুমি তোমার দু'আর মধ্যে প্রয়োজনের কথা বল। পরে আমার কাছে আস, আমি তোমার সাথে যাব। এরপর লোকটি চলে গেল এবং সে যেভাবে শিক্ষা দিল লোকটি সেভাবে করল। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর কাছে গেলে দারোয়ান তার হাত ধরে উসমান (রা)-এর নিকট নিয়ে গেল। তিনি তাকে উত্তম বিছানায় বসালেন এবং বললেনঃ তোমার কি প্রয়োজন? লোকটি তার প্রয়োজনের কথা বলল। তখন তিনি তা পূরণ করে দিলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি আমার কাছে কেবল এইমাত্র তোমার প্রয়োজনের বিষয়ে উল্লেখ করলে। যখনই তোমার কোন প্রয়োজন হয়, তখন তুমি আমার কাছে আসবে। পরে লোকটি উসমান (রা)-এর নিকট থেকে চলে গেল এবং উসমান ইবন হুনায়ফের সংগে সাক্ষাত করল। সে বলল: আল্লাহ তোমাকে উত্তম প্রতিদান দিন। (এ যাবত) তিনি প্রয়োজনের চিন্তা করেন নি। আপনি যখন তার সাথে আমার বিষয়ে কথা বললেন, তখন তিনি আমার প্রয়োজন পূরণ করলেন। তখন উসমান ইবন হুনায়ফ বললেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি তার সাথে তোমার ব্যাপারে কোন কথা বলিনি; বরং আমি রাসুলুল্লাহ (সা) কে দেখেছি, একজন অসহায় ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে এসে চোখের জ্যোতি চলে যাবার ব্যাপারে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ তাকে বললেনঃ তুমি ধৈর্য ধর। সে বলল: ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাকে হাত ধরে নেয়ার কেউ নেই, ব্যাপারটি আমার কাছে খুবই পীড়াদায়ক। রাসূলুল্লাহ (সা) তাকে বললেনঃ তুমি উযুখানায় যাও এবং উযূ করে দুই রাক'আত সালাত আদায় করে নাও। এরপর তুমি এই দু'আ পাঠ কর। উসমান ইবন হুনায়ফ বললেন: আমরা সকলে ঐ বৈঠকে ছিলাম এবং আমাদের পরস্পরের বাক্যালাপ দীর্ঘ ছিল। এমন সময় ঐ লোকটি ফিরে এলো। মনে হল কখনো তার চোখে কোন ব্যধি ছিল না।
(তাবারানী বিভিন্ন সূত্রে বর্ণনা করে বলেন, হাদীসটি সহীহ।)
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة الْحَاجة ودعائها
1023 - عَن عُثْمَان بن حنيف رَضِي الله عَنهُ أَن أعمى أَتَى إِلَى رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ يَا رَسُول الله ادْع الله أَن يكْشف لي عَن بَصرِي قَالَ أَو أدعك قَالَ يَا رَسُول الله إِنَّه قد شقّ عَليّ ذهَاب بَصرِي
قَالَ فَانْطَلق فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي اللَّهُمَّ شفعه فِي وشفعني فِي نَفسِي
فَرجع وَقد كشف الله عَن بَصَره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم وَلَيْسَ عِنْد التِّرْمِذِيّ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ إِنَّمَا قَالَ فَأمره أَن يتَوَضَّأ فَيحسن وضوءه ثمَّ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاء فَذكره بِنَحْوِهِ
وَرَوَاهُ فِي الدَّعْوَات وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَذكر فِي أَوله قصَّة
وَهُوَ أَن رجلا كَانَ يخْتَلف إِلَى عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ فِي حَاجَة لَهُ وَكَانَ عُثْمَان لَا يلْتَفت إِلَيْهِ وَلَا ينظر فِي حَاجته فلقي عُثْمَان بن حنيف فَشَكا ذَلِك إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَان بن حنيف ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ ائْتِ الْمَسْجِد فصل فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي وتذكر حَاجَتك ورح إِلَيّ حَتَّى أروح مَعَك فَانْطَلق الرجل فَصنعَ مَا قَالَ لَهُ ثمَّ أَتَى بَاب عُثْمَان فجَاء البواب حَتَّى أَخذ بِيَدِهِ فَأدْخلهُ على عُثْمَان بن عَفَّان فأجلسه مَعَه على الطنفسة وَقَالَ مَا حَاجَتك فَذكر حَاجته فقضاها لَهُ ثمَّ قَالَ مَا ذكرت حَاجَتك حَتَّى كَانَت هَذِه السَّاعَة وَقَالَ مَا كَانَت لَك من حَاجَة فائتنا ثمَّ إِن الرجل خرج من عِنْده فلقي عُثْمَان بن حنيف فَقَالَ لَهُ جَزَاك الله خيرا مَا كَانَ ينظر فِي حَاجَتي وَلَا يلْتَفت إِلَيّ حَتَّى كَلمته فِي فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف وَالله مَا كَلمته وَلَكِن شهِدت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَتَاهُ رجل ضَرِير فَشَكا إِلَيْهِ ذهَاب بَصَره فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو تصبر فَقَالَ يَا رَسُول الله إِنَّه لَيْسَ لي قَائِد وَقد شقّ عَليّ فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ ادْع بِهَذِهِ الدَّعْوَات فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف فوَاللَّه مَا تفرقنا وَطَالَ بِنَا الحَدِيث حَتَّى دخل علينا الرجل كَأَنَّهُ لم يكن بِهِ ضرّ قطّ
قَالَ الطَّبَرَانِيّ بعد ذكر طرقه والْحَدِيث صَحِيح
قَالَ فَانْطَلق فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبيي مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه إِلَى رَبِّي بك أَن يكْشف لي عَن بَصرِي اللَّهُمَّ شفعه فِي وشفعني فِي نَفسِي
فَرجع وَقد كشف الله عَن بَصَره
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ حَدِيث حسن صَحِيح غَرِيب وَالنَّسَائِيّ وَاللَّفْظ لَهُ وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَالْحَاكِم وَقَالَ صَحِيح على شَرط البُخَارِيّ وَمُسلم وَلَيْسَ عِنْد التِّرْمِذِيّ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ إِنَّمَا قَالَ فَأمره أَن يتَوَضَّأ فَيحسن وضوءه ثمَّ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاء فَذكره بِنَحْوِهِ
وَرَوَاهُ فِي الدَّعْوَات وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَذكر فِي أَوله قصَّة
وَهُوَ أَن رجلا كَانَ يخْتَلف إِلَى عُثْمَان بن عَفَّان رَضِي الله عَنهُ فِي حَاجَة لَهُ وَكَانَ عُثْمَان لَا يلْتَفت إِلَيْهِ وَلَا ينظر فِي حَاجته فلقي عُثْمَان بن حنيف فَشَكا ذَلِك إِلَيْهِ فَقَالَ لَهُ عُثْمَان بن حنيف ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ ائْتِ الْمَسْجِد فصل فِيهِ رَكْعَتَيْنِ ثمَّ قل اللَّهُمَّ إِنِّي أَسأَلك وأتوجه إِلَيْك بنبينا مُحَمَّد صلى الله عَلَيْهِ وَسلم نَبِي الرَّحْمَة يَا مُحَمَّد إِنِّي أتوجه بك إِلَى رَبِّي فَيَقْضِي حَاجَتي وتذكر حَاجَتك ورح إِلَيّ حَتَّى أروح مَعَك فَانْطَلق الرجل فَصنعَ مَا قَالَ لَهُ ثمَّ أَتَى بَاب عُثْمَان فجَاء البواب حَتَّى أَخذ بِيَدِهِ فَأدْخلهُ على عُثْمَان بن عَفَّان فأجلسه مَعَه على الطنفسة وَقَالَ مَا حَاجَتك فَذكر حَاجته فقضاها لَهُ ثمَّ قَالَ مَا ذكرت حَاجَتك حَتَّى كَانَت هَذِه السَّاعَة وَقَالَ مَا كَانَت لَك من حَاجَة فائتنا ثمَّ إِن الرجل خرج من عِنْده فلقي عُثْمَان بن حنيف فَقَالَ لَهُ جَزَاك الله خيرا مَا كَانَ ينظر فِي حَاجَتي وَلَا يلْتَفت إِلَيّ حَتَّى كَلمته فِي فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف وَالله مَا كَلمته وَلَكِن شهِدت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وَأَتَاهُ رجل ضَرِير فَشَكا إِلَيْهِ ذهَاب بَصَره فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَو تصبر فَقَالَ يَا رَسُول الله إِنَّه لَيْسَ لي قَائِد وَقد شقّ عَليّ فَقَالَ لَهُ النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم ائْتِ الميضأة فَتَوَضَّأ ثمَّ صل رَكْعَتَيْنِ ثمَّ ادْع بِهَذِهِ الدَّعْوَات فَقَالَ عُثْمَان بن حنيف فوَاللَّه مَا تفرقنا وَطَالَ بِنَا الحَدِيث حَتَّى دخل علينا الرجل كَأَنَّهُ لم يكن بِهِ ضرّ قطّ
قَالَ الطَّبَرَانِيّ بعد ذكر طرقه والْحَدِيث صَحِيح
বর্ণনাকারী: