আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৬. অধ্যায়ঃ নফল
হাদীস নং: ১০১৬
অধ্যায়ঃ নফল
সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৬. হযরত আবু রাফি (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আব্বাস (রা)-কে বলেছেন: হে আমার প্রিয় চাচা। আমি কি আপনাকে কিছু বলব না, আমি কি আপনার উপকার করব না, আমি কি আপনার সাথে সম্পর্ক অটুট রাখব না? তিনি বললেন: হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ আপনি চার রাক'আত সালাত আদায় করুন। আপনি এর প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সুরা মিলিয়ে নিন। কিরাআত শেষে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে আপনি এই দু'আ: سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
আল্লাহর পবিত্রতা তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" পনরবার পাঠ করে নিন। এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। তারপর রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার
পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা উঠিয়ে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাক'আতের জন্য) দাড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন। এইভাবে চার রাক'আতে উক্ত দু'আ তিনশবার পাঠ করা হবে। কাজেই আপনার গুনাহ যদি স্তূপীকৃত বালুরাশির সমান হয়, তবুও আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রত্যহ কার এরূপ সামর্থ্য আছে যে, সে এগুলো আদায় করবে? তিনি বললেন: তা হলে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতিমাসে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে এমনকি প্রতি বছরে একবার পাঠ করবেন।
(ইবন মাজাহ তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম বায়হাকী (র) বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) এ আমল করতেন। এভাবে নেককারগণ এই আমল একে অন্যের থেকে শিখে আমল করতেন। বর্ণনাটি মারফু হাদীস দ্বারা শক্তিশালী। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: আবু রাফি বর্ণিত হাদীসের তুলনায় এই বর্ণনাটি গরীব। এরপর তিনি বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক এবং একাধিক মুহাদ্দিসের মতে, সালাতুত্-তাসবীহ-এর বর্ণনা সূত্র বিশুদ্ধ। তাঁরা এর ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আমার নিকট আহমদ ইবন 'আবদা যাব্বী, তিনি আবু ওয়াহাব থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারককে সালাতুত-তাসবীহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন: তিনি তাকবীর বলে এরপর বলতেন:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك
হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা। তোমারই প্রশংসা। তোমার নাম অতীব বরকতময়। তুমি মহান মর্যাদার
অধিকারী । তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।" তারপর তিনি পনেরবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"পবিত্রতা আল্লাহরই, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ মহান।" এরপর তিনি আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন এবং সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলাতেন। তারপর তিনি দশবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
তারপর রুতে দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন, তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এরপর
সিজদায় দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন। তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। তারপর দ্বিতীয় সিজদায় উক্ত দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এভাবে তিনি চার রাক'আত সালাত আদায় করতেন। এরূপে প্রতি রাকআতে তাসবীহ হল পঁচাত্তরবার। প্রত্যেক রাক'আতের শুরুতে এই তাসবীহ পনেরবার পাঠ করতেন। তারপর কিরাআত পাঠ করে দশবার তাসবীহ পাঠ করতেন। আমি রাতে এ সালাত আদায় করলে প্রতি দুই রাক'আতে সালাম ফিরানো পসন্দ করি। আর যদি দিনে আদায় করি, তাহলে কখনো সালাম ফিরাই, আবার কখনো সালাম ফিরাই না।
আবূ ওয়াহব বলেন: আবদুল্লাহ (র) সূত্রে আবদুল আযীয ইবন আবু রিযমা আমার কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। যে, তিনি বলেছেনঃ তিনি রুকুর শুরুতে سبحان رَبِّي الْعَظِيم আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) এবং সিজদায় سبحان رَبِّي الْأَعْلَى আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) তিনবার করে পাঠ করতেন। তারপর তিনি তাসবীহসমূহ পাঠ করতেন।
(আহমদ ইবন আবদা বলেনঃ ওয়াহ্ব ইবন আবূ যাম'আ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আবদুল আযীয ইবন আবূ রিযমা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারাক (র)-কে বললামঃ কেউ যদি এ সালাতে ভুল করে, তাহলে সাহু সিজদায়ও কি দশবার-দশবার করে তাসবীহ পাঠ করবে? তিনি বললেনঃ না। কেননা তাসবীহ সংখ্যা হল তিনশ। এভাবে তিনি ইমাম তিরমিযীর ন্যায় বর্ণনা করেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ ইবন মুবারকের হাদীসটি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আবু রাফি'র বর্ণনার সঙ্গেও। তবে আবু রাফি' বলেছেনঃ কিরাআতের পূর্বে পনরবার এবং কিরাআতের পর দশবার তাসবীহ পাঠ করবে। তবে তিনি মধ্য বৈঠকে তাসবীহের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে তাঁর হাদীসে আছে। তিনি কিরাআতের পর পনরবার তাসবীহ পাঠ করতেন। তবে তিনি কিরাআতের পূর্বে তাসবীহ পাঠের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে কিয়াম অবস্থায় দশবার তাসবীহ পাঠের পূর্বে মধ্য বৈঠক থেকে উঠে তাসবীহ পাঠ করতেন।
আল্লাহর পবিত্রতা তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" পনরবার পাঠ করে নিন। এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। তারপর রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার
পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা উঠিয়ে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাক'আতের জন্য) দাড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন। এইভাবে চার রাক'আতে উক্ত দু'আ তিনশবার পাঠ করা হবে। কাজেই আপনার গুনাহ যদি স্তূপীকৃত বালুরাশির সমান হয়, তবুও আল্লাহ তা ক্ষমা করবেন। তিনি বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রত্যহ কার এরূপ সামর্থ্য আছে যে, সে এগুলো আদায় করবে? তিনি বললেন: তা হলে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতিমাসে একবার। যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে এমনকি প্রতি বছরে একবার পাঠ করবেন।
(ইবন মাজাহ তিরমিযী ও দারু কুতনী হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম বায়হাকী (র) বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (র) এ আমল করতেন। এভাবে নেককারগণ এই আমল একে অন্যের থেকে শিখে আমল করতেন। বর্ণনাটি মারফু হাদীস দ্বারা শক্তিশালী। ইমাম তিরমিযী (র) বলেন: আবু রাফি বর্ণিত হাদীসের তুলনায় এই বর্ণনাটি গরীব। এরপর তিনি বলেন: আবদুল্লাহ ইবন মুবারক এবং একাধিক মুহাদ্দিসের মতে, সালাতুত্-তাসবীহ-এর বর্ণনা সূত্র বিশুদ্ধ। তাঁরা এর ফযীলত বর্ণনা করেছেন। আমার নিকট আহমদ ইবন 'আবদা যাব্বী, তিনি আবু ওয়াহাব থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারককে সালাতুত-তাসবীহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন: তিনি তাকবীর বলে এরপর বলতেন:
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك
হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা। তোমারই প্রশংসা। তোমার নাম অতীব বরকতময়। তুমি মহান মর্যাদার
অধিকারী । তুমি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই।" তারপর তিনি পনেরবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"পবিত্রতা আল্লাহরই, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই এবং আল্লাহ মহান।" এরপর তিনি আউযুবিল্লাহ এবং বিসমিল্লাহ পাঠ করতেন এবং সূরা ফাতিহার সাথে আরেকটি সূরা মিলাতেন। তারপর তিনি দশবার এই দু'আ পাঠ করতেনঃ
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
তারপর রুতে দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন, তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এরপর
সিজদায় দশবার এই দু'আ পাঠ করতেন। তারপর মাথা তুলে এই দু'আ দশবার পাঠ করতেন। তারপর দ্বিতীয় সিজদায় উক্ত দু'আ দশবার পাঠ করতেন। এভাবে তিনি চার রাক'আত সালাত আদায় করতেন। এরূপে প্রতি রাকআতে তাসবীহ হল পঁচাত্তরবার। প্রত্যেক রাক'আতের শুরুতে এই তাসবীহ পনেরবার পাঠ করতেন। তারপর কিরাআত পাঠ করে দশবার তাসবীহ পাঠ করতেন। আমি রাতে এ সালাত আদায় করলে প্রতি দুই রাক'আতে সালাম ফিরানো পসন্দ করি। আর যদি দিনে আদায় করি, তাহলে কখনো সালাম ফিরাই, আবার কখনো সালাম ফিরাই না।
আবূ ওয়াহব বলেন: আবদুল্লাহ (র) সূত্রে আবদুল আযীয ইবন আবু রিযমা আমার কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেছেন। যে, তিনি বলেছেনঃ তিনি রুকুর শুরুতে سبحان رَبِّي الْعَظِيم আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) এবং সিজদায় سبحان رَبِّي الْأَعْلَى আমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান) তিনবার করে পাঠ করতেন। তারপর তিনি তাসবীহসমূহ পাঠ করতেন।
(আহমদ ইবন আবদা বলেনঃ ওয়াহ্ব ইবন আবূ যাম'আ আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আবদুল আযীয ইবন আবূ রিযমা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: একদা আমি আবদুল্লাহ ইবন মুবারাক (র)-কে বললামঃ কেউ যদি এ সালাতে ভুল করে, তাহলে সাহু সিজদায়ও কি দশবার-দশবার করে তাসবীহ পাঠ করবে? তিনি বললেনঃ না। কেননা তাসবীহ সংখ্যা হল তিনশ। এভাবে তিনি ইমাম তিরমিযীর ন্যায় বর্ণনা করেন।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] আবদুল্লাহ ইবন মুবারকের হাদীসটি হযরত ইবন আব্বাস (রা)-এর বর্ণনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং আবু রাফি'র বর্ণনার সঙ্গেও। তবে আবু রাফি' বলেছেনঃ কিরাআতের পূর্বে পনরবার এবং কিরাআতের পর দশবার তাসবীহ পাঠ করবে। তবে তিনি মধ্য বৈঠকে তাসবীহের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে তাঁর হাদীসে আছে। তিনি কিরাআতের পর পনরবার তাসবীহ পাঠ করতেন। তবে তিনি কিরাআতের পূর্বে তাসবীহ পাঠের কথা উল্লেখ করেন নি। তবে কিয়াম অবস্থায় দশবার তাসবীহ পাঠের পূর্বে মধ্য বৈঠক থেকে উঠে তাসবীহ পাঠ করতেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1016 - وَرُوِيَ عَن أبي رَافع رَضِي الله عَنهُ قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم للْعَبَّاس يَا عَم أَلا أحبوك أَلا أنفعك أَلا أصلك قَالَ بلَى يَا رَسُول الله قَالَ فصل أَربع رَكْعَات تقْرَأ فِي كل رَكْعَة بِفَاتِحَة الْكتاب وَسورَة فَإِذا انْقَضتْ الْقِرَاءَة فَقل سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر خمس عشرَة مرّة قبل أَن تركع ثمَّ اركع فقلها عشرا ثمَّ ارْفَعْ رَأسك فقلها عشرا ثمَّ اسجد فقلها عشرا ثمَّ ارْفَعْ رَأسك فقلها عشرا ثمَّ اسجد فقلها عشرا ثمَّ ارْفَعْ رَأسك فقلها عشرا قبل أَن تقوم فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ فِي كل رَكْعَة وَهِي ثَلَاثمِائَة فِي أَربع رَكْعَات فَلَو كَانَت ذنوبك مثل رمل عالج غفرها الله لَك
قَالَ يَا رَسُول الله وَمن لم يسْتَطع يَقُولهَا فِي كل يَوْم قَالَ قلها فِي كل جُمُعَة فَإِن لم تستطع فقلها فِي شهر حَتَّى قَالَ فقلها فِي سنة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ كَانَ عبد الله بن الْمُبَارك يَفْعَلهَا وتداولها الصالحون بَعضهم من بعض وَفِيه تَقْوِيَة للْحَدِيث الْمَرْفُوع انْتهى
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب من حَدِيث أبي رَافع ثمَّ قَالَ وَقد رأى ابْن الْمُبَارك وَغير وَاحِد من أهل الْعلم صَلَاة التَّسْبِيح وَذكروا الْفضل فِيهِ
حَدثنَا أَحْمد بن عَبدة الضَّبِّيّ حَدثنَا أَبُو وهب قَالَ سَأَلت عبد الله بن الْمُبَارك عَن الصَّلَاة الَّتِي يسبح فِيهَا قَالَ يكبر ثمَّ يَقُول سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك ثمَّ يَقُول خمس عشرَة مرّة سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يتَعَوَّذ وَيقْرَأ بِسم الله الرَّحْمَن الرَّحِيم وفاتحة الْكتاب وَسورَة ثمَّ يَقُول عشر مَرَّات سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يرْكَع فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد الثَّانِيَة فيقولها عشرا يُصَلِّي أَربع رَكْعَات على هَذَا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ تَسْبِيحَة فِي كل رَكْعَة يبْدَأ فِي كل رَكْعَة بِخمْس عشرَة تَسْبِيحَة ثمَّ يقْرَأ ثمَّ يسبح عشرا فَإِن صلى لَيْلًا فَأحب أَن يسلم فِي كل
رَكْعَتَيْنِ وَإِن صلى نَهَارا فَإِن شَاءَ سلم وَإِن شَاءَ لم يسلم
قَالَ أَبُو وهب وَأَخْبرنِي عبد الْعَزِيز هُوَ ابْن أبي رزمة عَن عبد الله أَنه قَالَ يبْدَأ فِي الرُّكُوع بسبحان رَبِّي الْعَظِيم وَفِي السُّجُود بسبحان رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا ثمَّ يسبح التسبيحات
قَالَ أَحْمد بن عَبدة وَحدثنَا وهب بن زَمعَة قَالَ أَخْبرنِي عبد الْعَزِيز وَهُوَ ابْن أبي رزمة
قَالَ قلت لعبد الله بن الْمُبَارك إِن سَهَا فِيهَا أيسبح فِي سَجْدَتي السَّهْو عشرا عشرا قَالَ لَا
إِنَّمَا هِيَ ثلثمِائة تَسْبِيحَة
انْتهى مَا ذكره التِّرْمِذِيّ
قَالَ المملي الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ وَهَذَا الَّذِي ذكره عَن عبد الله بن الْمُبَارك من صفتهَا مُوَافق لما فِي حَدِيث ابْن عَبَّاس وَأبي رَافع إِلَّا أَنه قَالَ يسبح قبل الْقِرَاءَة خمس عشرَة وَبعدهَا عشرا وَلم يذكر فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة تسبيحا وَفِي حديثيهما أَنه يسبح بعد الْقِرَاءَة خمس عشرَة مرّة وَلم يذكرَا قبلهَا تسبيحا ويسبح أَيْضا بعد الرّفْع فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة قبل أَن يقوم عشرا
قَالَ يَا رَسُول الله وَمن لم يسْتَطع يَقُولهَا فِي كل يَوْم قَالَ قلها فِي كل جُمُعَة فَإِن لم تستطع فقلها فِي شهر حَتَّى قَالَ فقلها فِي سنة
رَوَاهُ ابْن مَاجَه وَالتِّرْمِذِيّ وَالدَّارَقُطْنِيّ وَالْبَيْهَقِيّ وَقَالَ كَانَ عبد الله بن الْمُبَارك يَفْعَلهَا وتداولها الصالحون بَعضهم من بعض وَفِيه تَقْوِيَة للْحَدِيث الْمَرْفُوع انْتهى
وَقَالَ التِّرْمِذِيّ حَدِيث غَرِيب من حَدِيث أبي رَافع ثمَّ قَالَ وَقد رأى ابْن الْمُبَارك وَغير وَاحِد من أهل الْعلم صَلَاة التَّسْبِيح وَذكروا الْفضل فِيهِ
حَدثنَا أَحْمد بن عَبدة الضَّبِّيّ حَدثنَا أَبُو وهب قَالَ سَأَلت عبد الله بن الْمُبَارك عَن الصَّلَاة الَّتِي يسبح فِيهَا قَالَ يكبر ثمَّ يَقُول سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِك وتبارك اسْمك وَتَعَالَى جدك وَلَا إِلَه غَيْرك ثمَّ يَقُول خمس عشرَة مرّة سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يتَعَوَّذ وَيقْرَأ بِسم الله الرَّحْمَن الرَّحِيم وفاتحة الْكتاب وَسورَة ثمَّ يَقُول عشر مَرَّات سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر ثمَّ يرْكَع فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد فيقولها عشرا ثمَّ يرفع رَأسه فيقولها عشرا ثمَّ يسْجد الثَّانِيَة فيقولها عشرا يُصَلِّي أَربع رَكْعَات على هَذَا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ تَسْبِيحَة فِي كل رَكْعَة يبْدَأ فِي كل رَكْعَة بِخمْس عشرَة تَسْبِيحَة ثمَّ يقْرَأ ثمَّ يسبح عشرا فَإِن صلى لَيْلًا فَأحب أَن يسلم فِي كل
رَكْعَتَيْنِ وَإِن صلى نَهَارا فَإِن شَاءَ سلم وَإِن شَاءَ لم يسلم
قَالَ أَبُو وهب وَأَخْبرنِي عبد الْعَزِيز هُوَ ابْن أبي رزمة عَن عبد الله أَنه قَالَ يبْدَأ فِي الرُّكُوع بسبحان رَبِّي الْعَظِيم وَفِي السُّجُود بسبحان رَبِّي الْأَعْلَى ثَلَاثًا ثمَّ يسبح التسبيحات
قَالَ أَحْمد بن عَبدة وَحدثنَا وهب بن زَمعَة قَالَ أَخْبرنِي عبد الْعَزِيز وَهُوَ ابْن أبي رزمة
قَالَ قلت لعبد الله بن الْمُبَارك إِن سَهَا فِيهَا أيسبح فِي سَجْدَتي السَّهْو عشرا عشرا قَالَ لَا
إِنَّمَا هِيَ ثلثمِائة تَسْبِيحَة
انْتهى مَا ذكره التِّرْمِذِيّ
قَالَ المملي الْحَافِظ رَضِي الله عَنهُ وَهَذَا الَّذِي ذكره عَن عبد الله بن الْمُبَارك من صفتهَا مُوَافق لما فِي حَدِيث ابْن عَبَّاس وَأبي رَافع إِلَّا أَنه قَالَ يسبح قبل الْقِرَاءَة خمس عشرَة وَبعدهَا عشرا وَلم يذكر فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة تسبيحا وَفِي حديثيهما أَنه يسبح بعد الْقِرَاءَة خمس عشرَة مرّة وَلم يذكرَا قبلهَا تسبيحا ويسبح أَيْضا بعد الرّفْع فِي جلْسَة الاسْتِرَاحَة قبل أَن يقوم عشرا
বর্ণনাকারী: