আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
৬. অধ্যায়ঃ নফল
হাদীস নং: ১০১৫
অধ্যায়ঃ নফল
সালাতুত্ তাসবীহর প্রতি অনুপ্রেরণা
১০১৫. হযরত ইকরামা (রা) থেকে হযরত ইবন আব্বাস (রা) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সা) আব্বাস ইবন আবদুল মুত্তালিব (রা)-কে বললেনঃ হে আব্বাস, হে আমার প্রিয় চাচা! আমি কি আপনাকে
দান করব না, আমি কি আপনাকে দেব না, আমি কি আপনাকে বলব না, আমি কি আপনাকে এমন একটি জিনিস দেব না যার মাধ্যমে' আপনি দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন? যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আল্লাহ তা'আলা আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। চাই তা পূর্বের হোক, কি পরের, পুরাতন হোক কিংবা নতুন, ভুলক্রমে হোক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে, বড় হোক কিংবা ছোট, প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে। আপনি এই দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন, যদি আপনি চার রাক'আত সালাত নিয়ে বর্ণিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি এর প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহা পাঠের পর এর সাথে অন্য একটি সূরা মেলাবেন। এরপর যখন আপনি কিরাআত পাঠ শেষ করবেন তখন পনরবার দাঁড়ানো অবস্থায় এই দু'আ পাঠ করবেন:
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"আল্লাহরই পবিত্রতা, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। পরে রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা তুলে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করা পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাকা'আতের জন্য) দাঁড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন এবং এরূপে চার রাক'আত সালাত আদায় করবেন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয়, তবে আপনি এই সালাত দৈনিক একবার আদায় করবেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতি মাসে একবার, যদি তাও অসম্ভব হয়, তবে প্রতি বছরে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে গোটা জীবনে অন্ততঃ একবার আদায় করবেন।
(আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেন: যদি হাদীসটি সহীহ হয়, তাহলে (ভাল কথা), যেহেতু সনদের মধ্যভাগে কিছু জটিলতা রয়েছে। এরপর তিনি বলনঃ ইবরাহীম ইবন হাকাম ইবন আবান তাঁর পিতা থেকে, তিনি ইকরামা সূত্রে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি ইবন আব্বাসের কথা উল্লেখ করেন নি।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] তাবারানী এরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেছেনঃ যদি তোমার গুনাহ সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জ সমানও হয় অথবা বালুস্তূপের সমানও হয়, আল্লাহ তা'আলা তা ক্ষমা করে দেবেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। একদল সাহাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে ইকরামার বর্ণনাটি সর্বোত্তম। একদল মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, তন্মধ্যে আবু বকর আজরী, আমাদের উস্তাদ আবু মুহাম্মদ আবদুর রহীম মিসরী ও হাফিয আবুল হাসান মুকাদ্দিসী (র) অন্যতম। আবু বকর ইবন আবু দাউদ (র) বলেন: আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, উক্ত হাদীস ব্যতীত সালাতুত্-তাসবীহ সম্পর্কিত কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই। মুসলিম ইবন হাজ্জাজ (র) বলেনঃ উক্ত হাদীস থেকে বিশুদ্ধ সনদ সালাতুত্-তাসবীহের ব্যাপারে আর নেই। হাকিম বলেন: সহীহ বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর চাচাকে এই সালাত শিখিয়েছিলেন। হাকিম বলেন: আমার নিকট আহমদ ইবন দাউদ, মিসরী বর্ণনা করেছেন। তিনি ইসহাক ইবন কামিল থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আমার নিকট ইদরীস ইবন ইয়াহইয়া হায়াত ইবন শুরাইহ্ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবন আবূ হাবীব হতে, তিনি নাফি হতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা) জাফর ইবন আবু তালিবকে আবিসিনিয়ার দিকে প্রেরণ করেন। তিনি প্রত্যাবর্তন করলে রাসূলুল্লাহ তার সাথে আলিঙ্গন করেন এবং তার ললাটে চুমু দেন। এরপর তিনি বলেন: আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমাকে আনন্দিত করব না, আমি কি তোমাকে উপঢৌকন দেব না।" পরে তিনি হাদীসের অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ এ হাদীসের সনদটি সহীহ এবং এর মধ্যে কোন সমালোচনার অবকাশ নেই।
[গ্রন্থকার বলেন]: হাকিমের উস্তাদ আহমদ ইবন দাউদ ইবন আবদুল গাফফার আবু সালিহ হাররানী মিসরী। একাধিক ইমাম তাঁর বিশ্বস্ততার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইমাম দারু কুতনী তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছেন।
দান করব না, আমি কি আপনাকে দেব না, আমি কি আপনাকে বলব না, আমি কি আপনাকে এমন একটি জিনিস দেব না যার মাধ্যমে' আপনি দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন? যখন আপনি এরূপ করবেন, তখন আল্লাহ তা'আলা আপনার পূর্বাপর যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। চাই তা পূর্বের হোক, কি পরের, পুরাতন হোক কিংবা নতুন, ভুলক্রমে হোক অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে, বড় হোক কিংবা ছোট, প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে। আপনি এই দশটি বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হবেন, যদি আপনি চার রাক'আত সালাত নিয়ে বর্ণিত পদ্ধতিতে আদায় করেন। আপনি এর প্রতি রাক'আতে সূরা ফাতিহা পাঠের পর এর সাথে অন্য একটি সূরা মেলাবেন। এরপর যখন আপনি কিরাআত পাঠ শেষ করবেন তখন পনরবার দাঁড়ানো অবস্থায় এই দু'আ পাঠ করবেন:
سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر
"আল্লাহরই পবিত্রতা, তাঁরই যাবতীয় প্রশংসা এবং আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। আল্লাহ মহান।" এরপর আপনি রুকু করবেন এবং সেখানেও ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। পরে রুকু হতে মাথা তুলে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর সিজদায় গিয়েও তা দশবার পাঠ করবেন এবং প্রথম সিজদার পর মাথা তুলে বসবার সময় ঐ দু'আ দশবার পাঠ করবেন। এরপর দ্বিতীয় সিজদায়ও তা দশবার পাঠ করবেন। পরে সিজদা হতে মাথা তুলে ঐ দু'আ দশবার পাঠ করা পর্যন্ত বসে থাকার পর (দ্বিতীয় রাকা'আতের জন্য) দাঁড়াবেন। এরপর আপনি প্রতি রাক'আতে এরূপ পঁচাত্তরবার ঐ দু'আ পাঠ করবেন এবং এরূপে চার রাক'আত সালাত আদায় করবেন। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয়, তবে আপনি এই সালাত দৈনিক একবার আদায় করবেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে প্রতি মাসে একবার, যদি তাও অসম্ভব হয়, তবে প্রতি বছরে একবার, যদি তাও সম্ভব না হয়, তবে গোটা জীবনে অন্ততঃ একবার আদায় করবেন।
(আবু দাউদ ও ইবন মাজাহ এবং ইবন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেন। ইবন খুযায়মা বলেন: যদি হাদীসটি সহীহ হয়, তাহলে (ভাল কথা), যেহেতু সনদের মধ্যভাগে কিছু জটিলতা রয়েছে। এরপর তিনি বলনঃ ইবরাহীম ইবন হাকাম ইবন আবান তাঁর পিতা থেকে, তিনি ইকরামা সূত্রে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি ইবন আব্বাসের কথা উল্লেখ করেন নি।)
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেন:] তাবারানী এরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীসের শেষাংশে বলেছেনঃ যদি তোমার গুনাহ সমুদ্রের ফেনাপুঞ্জ সমানও হয় অথবা বালুস্তূপের সমানও হয়, আল্লাহ তা'আলা তা ক্ষমা করে দেবেন।
[হাফিয মুনযিরী (র) বলেনঃ] এই হাদীসটি বিভিন্ন সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। একদল সাহাবী এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তন্মধ্যে ইকরামার বর্ণনাটি সর্বোত্তম। একদল মুহাদ্দিস এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, তন্মধ্যে আবু বকর আজরী, আমাদের উস্তাদ আবু মুহাম্মদ আবদুর রহীম মিসরী ও হাফিয আবুল হাসান মুকাদ্দিসী (র) অন্যতম। আবু বকর ইবন আবু দাউদ (র) বলেন: আমি আমার পিতা থেকে শুনেছি, উক্ত হাদীস ব্যতীত সালাতুত্-তাসবীহ সম্পর্কিত কোন বিশুদ্ধ হাদীস নেই। মুসলিম ইবন হাজ্জাজ (র) বলেনঃ উক্ত হাদীস থেকে বিশুদ্ধ সনদ সালাতুত্-তাসবীহের ব্যাপারে আর নেই। হাকিম বলেন: সহীহ বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা) তাঁর চাচাকে এই সালাত শিখিয়েছিলেন। হাকিম বলেন: আমার নিকট আহমদ ইবন দাউদ, মিসরী বর্ণনা করেছেন। তিনি ইসহাক ইবন কামিল থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: আমার নিকট ইদরীস ইবন ইয়াহইয়া হায়াত ইবন শুরাইহ্ হতে, তিনি ইয়াযীদ ইবন আবূ হাবীব হতে, তিনি নাফি হতে, হযরত আবদুল্লাহ ইবন উমর (রা) সূত্রে বর্ণনা করেন: রাসূলুল্লাহ (সা) জাফর ইবন আবু তালিবকে আবিসিনিয়ার দিকে প্রেরণ করেন। তিনি প্রত্যাবর্তন করলে রাসূলুল্লাহ তার সাথে আলিঙ্গন করেন এবং তার ললাটে চুমু দেন। এরপর তিনি বলেন: আমি কি তোমাকে দান করব না, আমি কি তোমাকে আনন্দিত করব না, আমি কি তোমাকে উপঢৌকন দেব না।" পরে তিনি হাদীসের অবশিষ্টাংশ বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ এ হাদীসের সনদটি সহীহ এবং এর মধ্যে কোন সমালোচনার অবকাশ নেই।
[গ্রন্থকার বলেন]: হাকিমের উস্তাদ আহমদ ইবন দাউদ ইবন আবদুল গাফফার আবু সালিহ হাররানী মিসরী। একাধিক ইমাম তাঁর বিশ্বস্ততার ব্যাপারে সমালোচনা করেছেন। ইমাম দারু কুতনী তাঁকে মিথ্যাবাদী বলেছেন।
كتاب النَّوَافِل
التَّرْغِيب فِي صَلَاة التَّسْبِيح
1015 - عَن عِكْرِمَة عَن ابْن عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم للْعَبَّاس بن عبد الْمطلب يَا عَبَّاس يَا عماه أَلا أُعْطِيك أَلا أمنحك أَلا أحبوك أَلا أفعل بك عشر خِصَال إِذا أَنْت فعلت ذَلِك غفر الله لَك ذَنْبك أَوله وَآخره وقديمه وَحَدِيثه وَخَطأَهُ وعمده وصغيره وكبيره وسره وعلانيته عشر خِصَال أَن تصلي أَربع رَكْعَات تقْرَأ فِي كل رَكْعَة
بِفَاتِحَة الْكتاب وَسورَة فَإِذا فرغت من الْقِرَاءَة فِي أول رَكْعَة فَقل وَأَنت قَائِم سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر خمس عشرَة مرّة ثمَّ تركع فَتَقول وَأَنت رَاكِع عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من الرُّكُوع فتقولها عشرا ثمَّ تهوي سَاجِدا فَتَقول وَأَنت ساجد عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا ثمَّ تسْجد فتقولها عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ فِي كل رَكْعَة تفعل ذَلِك فِي أَربع رَكْعَات وَإِن اسْتَطَعْت أَن تصليها فِي كل يَوْم مرّة فافعل فَإِن لم تستطع فَفِي كل جُمُعَة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل شهر مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل سنة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي عمرك مرّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِن فِي الْقلب من هَذَا الْإِسْنَاد شَيْئا فَذكره ثمَّ قَالَ وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيم بن الحكم بن أبان عَن أَبِيه عَن عِكْرِمَة مُرْسلا لم يذكر ابْن عَبَّاس
قَالَ الْحَافِظ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَقَالَ فِي آخِره فَلَو كَانَت ذنوبك مثل زبد الْبَحْر أَو رمل عالج غفر الله لَك
قَالَ الْحَافِظ وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث من طرق كَثِيرَة وَعَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وأمثلها حَدِيث عِكْرِمَة هَذَا وَقد صَححهُ جمَاعَة مِنْهُم الْحَافِظ أَبُو بكر الْآجُرِيّ وَشَيخنَا أَبُو مُحَمَّد عبد الرَّحِيم الْمصْرِيّ وَشَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن الْمَقْدِسِي رَحِمهم الله تَعَالَى
وَقَالَ أَبُو بكر بن أبي دَاوُد سَمِعت أبي يَقُول لَيْسَ فِي صَلَاة التَّسْبِيح حَدِيث صَحِيح غير هَذَا وَقَالَ مُسلم بن الْحجَّاج رَحمَه الله تَعَالَى لَا يرْوى فِي هَذَا الحَدِيث إِسْنَاد أحسن من هَذَا يَعْنِي إِسْنَاد حَدِيث عِكْرِمَة عَن ابْن عَبَّاس وَقَالَ الْحَاكِم قد صحت الرِّوَايَة عَن ابْن عمر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علم ابْن عَمه هَذِه الصَّلَاة ثمَّ قَالَ حَدثنَا أَحْمد بن دَاوُد بِمصْر حَدثنَا إِسْحَاق بن كَامِل حَدثنَا إِدْرِيس بن يحيى عَن حَيْوَة بن شُرَيْح عَن يزِيد بن أبي حبيب عَن نَافِع عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ وَجه رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَعْفَر بن أبي طَالب إِلَى بِلَاد الْحَبَشَة فَلَمَّا قدم اعتنقه وَقبل بَين عَيْنَيْهِ ثمَّ قَالَ أَلا أهب لَك أَلا أسرك أَلا أمنحك فَذكر الحَدِيث ثمَّ قَالَ هَذَا إِسْنَاد صَحِيح لَا غُبَار عَلَيْهِ
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَشَيْخه أَحْمد بن دَاوُد بن عبد الْغفار أَبُو صَالح الْحَرَّانِي ثمَّ الْمصْرِيّ تكلم فِيهِ غير وَاحِد من الْأَئِمَّة وَكذبه الدَّارَقُطْنِيّ
بِفَاتِحَة الْكتاب وَسورَة فَإِذا فرغت من الْقِرَاءَة فِي أول رَكْعَة فَقل وَأَنت قَائِم سُبْحَانَ الله وَالْحَمْد لله وَلَا إِلَه إِلَّا الله وَالله أكبر خمس عشرَة مرّة ثمَّ تركع فَتَقول وَأَنت رَاكِع عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من الرُّكُوع فتقولها عشرا ثمَّ تهوي سَاجِدا فَتَقول وَأَنت ساجد عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا ثمَّ تسْجد فتقولها عشرا ثمَّ ترفع رَأسك من السُّجُود فتقولها عشرا فَذَلِك خمس وَسَبْعُونَ فِي كل رَكْعَة تفعل ذَلِك فِي أَربع رَكْعَات وَإِن اسْتَطَعْت أَن تصليها فِي كل يَوْم مرّة فافعل فَإِن لم تستطع فَفِي كل جُمُعَة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل شهر مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي كل سنة مرّة فَإِن لم تفعل فَفِي عمرك مرّة
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه وَقَالَ إِن صَحَّ الْخَبَر فَإِن فِي الْقلب من هَذَا الْإِسْنَاد شَيْئا فَذكره ثمَّ قَالَ وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيم بن الحكم بن أبان عَن أَبِيه عَن عِكْرِمَة مُرْسلا لم يذكر ابْن عَبَّاس
قَالَ الْحَافِظ وَرَوَاهُ الطَّبَرَانِيّ وَقَالَ فِي آخِره فَلَو كَانَت ذنوبك مثل زبد الْبَحْر أَو رمل عالج غفر الله لَك
قَالَ الْحَافِظ وَقد رُوِيَ هَذَا الحَدِيث من طرق كَثِيرَة وَعَن جمَاعَة من الصَّحَابَة وأمثلها حَدِيث عِكْرِمَة هَذَا وَقد صَححهُ جمَاعَة مِنْهُم الْحَافِظ أَبُو بكر الْآجُرِيّ وَشَيخنَا أَبُو مُحَمَّد عبد الرَّحِيم الْمصْرِيّ وَشَيخنَا الْحَافِظ أَبُو الْحسن الْمَقْدِسِي رَحِمهم الله تَعَالَى
وَقَالَ أَبُو بكر بن أبي دَاوُد سَمِعت أبي يَقُول لَيْسَ فِي صَلَاة التَّسْبِيح حَدِيث صَحِيح غير هَذَا وَقَالَ مُسلم بن الْحجَّاج رَحمَه الله تَعَالَى لَا يرْوى فِي هَذَا الحَدِيث إِسْنَاد أحسن من هَذَا يَعْنِي إِسْنَاد حَدِيث عِكْرِمَة عَن ابْن عَبَّاس وَقَالَ الْحَاكِم قد صحت الرِّوَايَة عَن ابْن عمر أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علم ابْن عَمه هَذِه الصَّلَاة ثمَّ قَالَ حَدثنَا أَحْمد بن دَاوُد بِمصْر حَدثنَا إِسْحَاق بن كَامِل حَدثنَا إِدْرِيس بن يحيى عَن حَيْوَة بن شُرَيْح عَن يزِيد بن أبي حبيب عَن نَافِع عَن ابْن عمر رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ وَجه رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم جَعْفَر بن أبي طَالب إِلَى بِلَاد الْحَبَشَة فَلَمَّا قدم اعتنقه وَقبل بَين عَيْنَيْهِ ثمَّ قَالَ أَلا أهب لَك أَلا أسرك أَلا أمنحك فَذكر الحَدِيث ثمَّ قَالَ هَذَا إِسْنَاد صَحِيح لَا غُبَار عَلَيْهِ
قَالَ المملي رَضِي الله عَنهُ وَشَيْخه أَحْمد بن دَاوُد بن عبد الْغفار أَبُو صَالح الْحَرَّانِي ثمَّ الْمصْرِيّ تكلم فِيهِ غير وَاحِد من الْأَئِمَّة وَكذبه الدَّارَقُطْنِيّ
বর্ণনাকারী: