আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১. ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
হাদীস নং: ৫৯
রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
৫৯. হযরত মু'আয ইব্ন জাবাল (রা) থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি বলল, আমাকে এমন একটি হাদীস শোনান যা আপনি রাসুলুল্লাহ্ (সা) থেকে শুনেছেন। সে বলল, হযরত মু'আয (রা) কেঁদে উঠলেন। এমনকি আমি মনে করলাম, তিনি বুঝি আর কান্না থামাবেন না। তারপর তিনি কান্না বন্ধ করলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা) -কে আমাকে লক্ষ্য করে বলতে শুনেছিঃ হে মু'আয! আমি তাঁকে বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য কুরবান, আমি হাযির আছি। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে একটি হাদীস শোনাব, যদি তুমি তা সংরক্ষণ কর, তাহলে উপকৃত হবে আর যদি সংরক্ষণ না কর, তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে দলীল পেশ করতে পারবে না। হে মু'আয! আল্লাহ্ তা'আলা আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টির পূর্বে সাতজন ফিরিশতাকে সৃষ্টি করেন। তারপর আসমানসমূহ সৃষ্টি করেন। সাতটি আসমানের প্রত্যেকটির দরজায় একজন করে ফিরিশতাকে পাহারাদাররূপে নিযুক্ত করেন। তাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা বিপুল সম্মান দান করেন। তারপর আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতা বান্দার আমল নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আকাশের উদ্দেশ্যে ঊর্ধ্বে আরোহণ করে। সূর্যের জ্যোতির ন্যায় রয়েছে তার জ্যোতি। এমনকি ফিরিশতা দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে আরোহণ করেন এবং তিনি আমলের আধিক্য উল্লেখ করেন। (প্রথম আসমানে দায়িত্বে নিয়োজিত) ফিরিশতা আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতাকে বলেন, এই আমল আমলকারীর মুখের উপর ছুঁড়ে মার। আমি গীবতকারীর আমলসমূহকে প্রতিরোধের দায়িত্বে নিয়োজিত। আমার প্রতিপালক মানুষের গীবতকারীর আমল আমাকে অতিক্রম করে যাতে উপরের দিকে যেতে না পারে, তজ্জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তারপর আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতা বান্দার আমল নিয়ে উপরের দিকে উঠে এবং এই আমলের পবিত্রতা বর্ণনা করে এবং এগুলোর আধিক্যের কথা উল্লেখ করে। এমনকি যখন সে দ্বিতীয় আসমানে গিয়ে পৌছে, তখন দ্বিতীয় আসমানে নিয়োজিত ফিরিশতা সংরক্ষণকারী ফিরিশতাকে বলেন, তোমরা থাম এবং এই আমলকারীর আমল তার মুখের উপর ছুঁড়ে মার। কেননা আমলকারী তার এ আমল পার্থিব সম্পদ অর্জনের উদ্দেশ্যে করেছে। আমার প্রতিপালক তার আমল যাতে আমাকে অতিক্রম করে উপরের দিকে যেতে না পারে, তার নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন। কেননা সে মানব সমাজে অহংকার করে বেড়াত। তারপর তিনি বলেন, এভাবে আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতা বান্দার দান, সিয়াম, সালাত ইত্যাদি নেক কার্যাবলী যা উজ্জ্বল তারকাসম উজ্জ্বল, যা সংরক্ষণকারী ফিরিশতাদের পুলকিত করে, তারা তৃতীয় আসমানের দিকে অতিক্রম করতে চেষ্টা করবে। তারপর তৃতীয় আসমানের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতা বলবেন, তোমরা থাম এবং এই আমল আমলকারীর মুখের উপর ছুঁড়ে মার। আমি অহংকারীর আমল প্রতিরোধের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতা। আমার প্রতিপালক অহংকারীর আমল আমাকে অতিক্রম করে যাতে যেতে না পারে তার প্রতিরোধ করার দায়িত্বে নিয়োজিত রেখেছেন। নিশ্চয়ই এই লোকটি লোকালয়ে জনসমাবেশে অহংকার করে বেড়াত। তিনি বলেন, আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতা কোন কোন নেককার বান্দার আমল যা আকাশের নক্ষত্ররাজির ন্যায় উজ্জ্বল, যার মধ্যে তাসবীহ, সালাত, হজ্জ, উমরা ইত্যাদি সৎকর্মাদির নূর চমকাতো, এমন কি যখন ফিরিশতা তা নিয়ে চতুর্থ আসমানের দিকে অতিক্রম করে যায়, তখন চতুর্থ আসমানের দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতা তাঁদের বলেন, তোমরা থাম এবং তার আমল তার মুখের উপর ছুঁড়ে মার এবং তার পিঠে এবং পেটে আঘাত কর। আমি হলাম আত্মবিমোহিতদের আমল প্রতিরোধের দায়িত্বপ্রাপ্ত। আমার প্রতিপালক আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যাতে আত্মবিমোহিত ব্যক্তির আমল আমাকে অতিক্রম করে সামনে যেতে না পারে। এই লোকটি যখন আমল করত, তখন তার আমল তার কাছে খুবই পসন্দনীয় মনে হতো। তিনি আরো বলেন, বান্দার আমল-সংরক্ষণকারী ফিরিশতাগণ কোন কোন বান্দার আমল নিয়ে যখন পঞ্চম আসমানের দিকে অতিক্রম করে যায়, আর বান্দার সে আমলগুলো যেন ফুল সজ্জিতা নব বধূ তার স্বামীর নিকট যেমন মোহনীয় (তদ্রুপ আকর্ষণীয়)। অতঃপর পঞ্চম আসমানে নিয়োজিত ফিরিশতা বলবে, তোমরা থাম এবং এই আমল আমলকারীর মুখের উপর ছুঁড়ে মার এবং তার আমল তার কাঁধে ঝুলিয়ে দাও। আমি হিংসুকের আমল প্রতিরোধের দায়িত্বে নিয়োজিত। এই লোকটি ইলমে দীন শিক্ষাকারীর সাথে হিংসা করত অথচ সে তাদের মতই আমল করত। সেই সকল লোকদেরও হিংসা করত যাঁরা ইবাদত করে মর্যাদা লাভ করেছেন। অথচ সে নিজেও তাদের মধ্যে অবস্থান করত। আমার প্রতিপালক আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, হিংসুকের আমল আমাকে অতিক্রম করে যাতে উপরে উঠতে না পারে। তিনি আরো বলেন, বান্দার আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতা যেমন সালাত, যাকাত, হজ্জ, উমরা, সিয়াম ইত্যাদি আমল নিয়ে যখন ষষ্ঠ আসমানের দিকে অতিক্রম করে যায় তখন তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফিরিশতা তাদের বলেন, তোমরা থাম এবং এই আমল আমলকারীর মুখের উপর তার আমল ছুঁড়ে মার। কেননা সে কখনো কোন মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শন করত না। যখন কেউ বিপদগ্রস্ত হতো তখন সে আনন্দিত হতো। আমি দয়ালু ফিরিশতা। আমার প্রতিপালক আমাকে এই (নিষ্ঠুর) ব্যক্তির আমল যাতে অতিক্রম করতে না পারে, তার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতা বান্দার আমল যেমন সিয়াম, সালাত, দান-সাদকা, ইজতিহাদ, তার তাকওয়া যার মধ্যে বজ্রের ন্যায় নিনাদ রয়েছে এবং যার উজ্জ্বলতা সূর্যের কিরণের ন্যায় দীপ্ত তিন হাজার ফিরিশতা তাকে নিয়ে যাচ্ছে, যখন তারা সপ্তম আসমানের দিকে অতিক্রম করে, তখন ঐ আসমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা তাঁদের বলেন, তোমরা থাম এবং আমলকে তার মুখের উপর ছুঁড়ে মার এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আঘাত কর, তার অন্তরকে তালাবদ্ধ কর। নিশ্চয়ই আমি সর্বশক্তি নিয়োগ করে আমার প্রতিপালক হতে ঐ আমল রুখে দাঁড়াব যা আল্লাহর উদ্দেশ্যে করা হয়নি। নিশ্চয়ই সে তার আমলের দ্বারা গায়রুল্লাহর সন্তুষ্টির কামনা করেছে। সে ফিকহবিদদের নিকট মর্যাদা লাভ, আলিম সমাজের নিকট আলোচিত ব্যক্তি হওয়া এবং শহরে নগরে খ্যাতিমান হওয়ার উদ্দেশ্যে আমল করেছে। আমার প্রতিপালক আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন তার আমল আমাকে অতিক্রম করে অন্যের কাছে পৌছতে না পারে। যে আমল আল্লাহর উদ্দেশ্যে না হয়ে অন্যের উদ্দেশ্যে হয়, তাই রিয়া। আর আল্লাহ তা'আলা রিয়াকারের আমল গ্রহণ করেন না।
তিনি বলেন, বান্দার আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতাগণ বান্দার সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্জ, উমরা, সচ্চরিত্র মৌনতাগুণ এবং আল্লাহর যিকর ইত্যাদি আমল নিয়ে আসমানের দিকে উঠবেন। আর আসমানের ফিরিশতাগণ আমল এগিয়ে নেবে। এমনকি যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে তাঁরা আল্লাহর সম্মুখে গিয়ে উপস্থিত হবেন এবং তাঁরা তার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবেন যে, সে একান্তভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যেই আমল করেছে। তিনি (নবী (সা) বলেন, আল্লাহ্ তাঁদের বলবেন? তোমরা (তো) আমার বান্দার আমলের সংরক্ষণকারী আর আমি তার সত্তার প্রতি তীক্ষ্ম দৃষ্টি দানকারী, সে এই আমল আমার উদ্দেশ্যে করেনি, বরং আমাকে ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে করেছে। কাজেই তার প্রতি আমার অভিসম্পাত। অতঃপর সকল ফিরিশতা বলবেন, তার উপর আপনার এবং আমাদের অভিসম্পাত। প্রত্যেক আসমান বলবে, তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত এবং আমাদের অভিসম্পাত এবং তার প্রতি সপ্ত আসমান এবং তন্মধ্যস্থ সবাই তার প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করে। হযরত মু'আয (রা) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনি আল্লাহর রাসূল আর আমি তো মু'আয। তিনি বললেন: তুমি আমাকে অনুসরণ কর যদি তোমার আমল কমও হয়। হে মু'আয! কুরআন সংরক্ষণকারী তোমার ভাইয়ের প্রতি কটুক্তি করা থেকে তোমার জিহবা সংযত কর। তোমার পাপের বোঝা তোমার কাঁধেই বহন কর এবং তা তাদের প্রতি চাপিয়ে দিও না। তাদের নিন্দা করে নিজের প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করো না। তাদের মুকাবিলায় নিজকে শ্রেষ্ঠ মনে করো না। আখিরাতের আমলের মধ্যে দুনিয়ার আমল দাখিল করো না। জনসমাবেশে তুমি অহংকার করো না যাতে তোমার অশোভন আচরণকে মানুষ ভয় করে। তোমার কাছে কোন এক (১) ব্যক্তি থাকাকালে অন্য কারো সাথে কানে কানে কথা বলো না। মানুষের উপর নিজেকে বড় মনে করো না, তাহলে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ তোমা থেকে অপসৃত হবে। তুমি মানুষকে (দলে-উপদলে) বিভক্ত করো না, তাহলে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের কুকুর তোমাকে টুকরা টুকরা করে ফেলবে, আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا (যারা মৃদুভাবে বন্ধনমুক্ত করে দেয়)। হে মুআয। তুমি কি জান, তা কি? আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোন, তা কি (ইয়া রাসূলাল্লাহ্!)? তিনি বললেন, জাহান্নামের কুকুর, তার গোশত ও হাড়গুলো ছিড়ে ছিড়ে আলাদা করবে। আমি বললাম, এই সকল গুণসম্পন্ন হওয়ার কার সামর্থ্য আছে এবং কে তা থেকে মুক্তি পাবে? তিনি বললেনঃ হে মু'আয এতো কেবল ঐ ব্যক্তির জন্য সহজ, যার জন্য আল্লাহ্ তা সহজ করে দেবেন। বর্ণনাকারী বলেন, এই হাদীসে বর্ণিত বিবরণের পর মু'আয (রা) অপেক্ষা আমি আর কাউকে ভয়ে এত বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখিনি।
(ইব্ন মুবারক তাঁর যুহদ অধ্যায়ে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(১)একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে অপর কোন এক ব্যক্তির সাথে একান্তে কথা বলতে আপত্তি নেই। কেবল এক ব্যক্তির উপস্থিতিতে তৃতীয় ব্যক্তির সাথে কানে কানে কথা বলায় তা ঐ ব্যক্তির মনোকষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে বিধায় তা নিষিদ্ধ। -সম্পাদক
তিনি বলেন, বান্দার আমল সংরক্ষণকারী ফিরিশতাগণ বান্দার সালাত, যাকাত, সিয়াম, হজ্জ, উমরা, সচ্চরিত্র মৌনতাগুণ এবং আল্লাহর যিকর ইত্যাদি আমল নিয়ে আসমানের দিকে উঠবেন। আর আসমানের ফিরিশতাগণ আমল এগিয়ে নেবে। এমনকি যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা ডিঙ্গিয়ে তাঁরা আল্লাহর সম্মুখে গিয়ে উপস্থিত হবেন এবং তাঁরা তার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেবেন যে, সে একান্তভাবে আল্লাহর উদ্দেশ্যেই আমল করেছে। তিনি (নবী (সা) বলেন, আল্লাহ্ তাঁদের বলবেন? তোমরা (তো) আমার বান্দার আমলের সংরক্ষণকারী আর আমি তার সত্তার প্রতি তীক্ষ্ম দৃষ্টি দানকারী, সে এই আমল আমার উদ্দেশ্যে করেনি, বরং আমাকে ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে করেছে। কাজেই তার প্রতি আমার অভিসম্পাত। অতঃপর সকল ফিরিশতা বলবেন, তার উপর আপনার এবং আমাদের অভিসম্পাত। প্রত্যেক আসমান বলবে, তার প্রতি আল্লাহর অভিসম্পাত এবং আমাদের অভিসম্পাত এবং তার প্রতি সপ্ত আসমান এবং তন্মধ্যস্থ সবাই তার প্রতি অভিসম্পাত বর্ষণ করে। হযরত মু'আয (রা) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্। আপনি আল্লাহর রাসূল আর আমি তো মু'আয। তিনি বললেন: তুমি আমাকে অনুসরণ কর যদি তোমার আমল কমও হয়। হে মু'আয! কুরআন সংরক্ষণকারী তোমার ভাইয়ের প্রতি কটুক্তি করা থেকে তোমার জিহবা সংযত কর। তোমার পাপের বোঝা তোমার কাঁধেই বহন কর এবং তা তাদের প্রতি চাপিয়ে দিও না। তাদের নিন্দা করে নিজের প্রশংসা ও পবিত্রতা বর্ণনা করো না। তাদের মুকাবিলায় নিজকে শ্রেষ্ঠ মনে করো না। আখিরাতের আমলের মধ্যে দুনিয়ার আমল দাখিল করো না। জনসমাবেশে তুমি অহংকার করো না যাতে তোমার অশোভন আচরণকে মানুষ ভয় করে। তোমার কাছে কোন এক (১) ব্যক্তি থাকাকালে অন্য কারো সাথে কানে কানে কথা বলো না। মানুষের উপর নিজেকে বড় মনে করো না, তাহলে দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ তোমা থেকে অপসৃত হবে। তুমি মানুষকে (দলে-উপদলে) বিভক্ত করো না, তাহলে কিয়ামতের দিন জাহান্নামের কুকুর তোমাকে টুকরা টুকরা করে ফেলবে, আল্লাহ্ তা'আলা বলেন: وَالنَّاشِطَاتِ نَشْطًا (যারা মৃদুভাবে বন্ধনমুক্ত করে দেয়)। হে মুআয। তুমি কি জান, তা কি? আমি বললাম, আমার পিতামাতা আপনার জন্য উৎসর্গিত হোন, তা কি (ইয়া রাসূলাল্লাহ্!)? তিনি বললেন, জাহান্নামের কুকুর, তার গোশত ও হাড়গুলো ছিড়ে ছিড়ে আলাদা করবে। আমি বললাম, এই সকল গুণসম্পন্ন হওয়ার কার সামর্থ্য আছে এবং কে তা থেকে মুক্তি পাবে? তিনি বললেনঃ হে মু'আয এতো কেবল ঐ ব্যক্তির জন্য সহজ, যার জন্য আল্লাহ্ তা সহজ করে দেবেন। বর্ণনাকারী বলেন, এই হাদীসে বর্ণিত বিবরণের পর মু'আয (রা) অপেক্ষা আমি আর কাউকে ভয়ে এত বেশি কুরআন তিলাওয়াত করতে দেখিনি।
(ইব্ন মুবারক তাঁর যুহদ অধ্যায়ে এই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
(১)একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে অপর কোন এক ব্যক্তির সাথে একান্তে কথা বলতে আপত্তি নেই। কেবল এক ব্যক্তির উপস্থিতিতে তৃতীয় ব্যক্তির সাথে কানে কানে কথা বলায় তা ঐ ব্যক্তির মনোকষ্ট বা ভুল বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে বিধায় তা নিষিদ্ধ। -সম্পাদক
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
59 - وَرُوِيَ عَن معَاذ رَضِي الله عَنهُ أَن رجلا قَالَ حَدثنِي حَدِيثا سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ فَبكى معَاذ حَتَّى ظَنَنْت أَنه لَا يسكت ثمَّ سكت ثمَّ قَالَ سَمِعت رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ لي يَا معَاذ قلت لَهُ لبيْك بِأبي أَنْت وَأمي
قَالَ إِنِّي محدثك حَدِيثا إِن أَنْت حفظته نفعك وَإِن أَنْت ضيعته وَلم تحفظه انْقَطَعت حجتك عِنْد الله يَوْم الْقِيَامَة يَا معَاذ إِن الله خلق سَبْعَة أَمْلَاك قبل أَن يخلق السَّمَوَات وَالْأَرْض ثمَّ خلق السَّمَوَات فَجعل لكل سَمَاء من السَّبْعَة ملكا بوابا عَلَيْهَا قد جللها عظما فتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد من حِين أصبح إِلَى أَن أَمْسَى لَهُ نور كنور الشَّمْس حَتَّى إِذا صعدت بِهِ إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا ذكرته فكثرته فَيَقُول الْملك للحفظة اضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه أَنا صَاحب الْغَيْبَة أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمل من اغتاب النَّاس يجاوزني إِلَى غَيْرِي قَالَ ثمَّ تَأتي الْحفظَة بِعَمَل صَالح من أَعمال العَبْد فتمر فتزكيه وتكثره حَتَّى تبلغ بِهِ إِلَى السَّمَاء الثَّانِيَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بالسماء الثَّانِيَة قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه إِنَّه أَرَادَ بِعَمَلِهِ هَذَا عرض الدُّنْيَا أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي إِنَّه كَانَ يفتخر على النَّاس فِي مجَالِسهمْ قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد يبتهج نورا من صَدَقَة وَصِيَام وَصَلَاة قد أعجب الْحفظَة فتجاوزوا بِهِ إِلَى السَّمَاء الثَّالِثَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه أَنا ملك الْكبر أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي إِنَّه كَانَ يتكبر على النَّاس فِي مجَالِسهمْ
قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد يزهر كَمَا يزهر الْكَوْكَب الدُّرِّي لَهُ دوِي من تَسْبِيح وَصَلَاة وَحج وَعمرَة حَتَّى يجاوزوا بِهِ إِلَى السَّمَاء الرَّابِعَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه اضربوا ظَهره وبطنه أَنا صَاحب الْعجب أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي إِنَّه كَانَ إِذا عمل عملا أَدخل الْعجب فِي عمله
قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد حَتَّى يجاوزوا بِهِ إِلَى السَّمَاء الْخَامِسَة كَأَنَّهُ الْعَرُوس المزفوفة إِلَى بَعْلهَا فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه واحملوه على عَاتِقه أَنا ملك الْحَسَد إِنَّه كَانَ يحْسد النَّاس مِمَّن يتَعَلَّم وَيعْمل بِمثل عمله وكل من كَانَ يَأْخُذ فضلا من الْعِبَادَة يحسدهم وَيَقَع فيهم أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد من صَلَاة وَزَكَاة وَحج وَعمرَة وَصِيَام فيجاوزون بِهِ إِلَى السَّمَاء السَّادِسَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه إِنَّه كَانَ لَا يرحم إنْسَانا قطّ من عباد الله أَصَابَهُ بلَاء أَو ضرّ بل كَانَ يشمت بِهِ أَنا ملك الرَّحْمَة أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع
عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد إِلَى السَّمَاء السَّابِعَة من صَوْم وَصَلَاة وَنَفَقَة واجتهاد وورع لَهُ دوِي كَدَوِيِّ الرَّعْد وضوء كضوء الشَّمْس مَعَه ثَلَاثَة آلَاف ملك فيجاوزون بِهِ إِلَى السَّمَاء السَّابِعَة فَيَقُول لَهُم الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه واضربوا جوارحه اقفلوا على قلبه إِنِّي أحجب عَن رَبِّي كل عمل لم يرد بِهِ وَجه رَبِّي إِنَّه أَرَادَ بِعَمَلِهِ غير الله إِنَّه أَرَادَ بِهِ رفْعَة عِنْد الْفُقَهَاء وذكرا عِنْد الْعلمَاء وصوتا فِي الْمَدَائِن أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي وكل عمل لم يكن لله خَالِصا فَهُوَ رِيَاء وَلَا يقبل الله عمل الْمرَائِي قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد من صَلَاة وَزَكَاة وَصِيَام وَحج وَعمرَة وَخلق حسن وَصمت وَذكر لله تَعَالَى وتشيعه مَلَائِكَة السَّمَوَات حَتَّى يقطعوا بِهِ الْحجب كلهَا إِلَى الله عز وَجل فيقفون بَين يَدَيْهِ وَيشْهدُونَ لَهُ بِالْعَمَلِ الصَّالح المخلص لله قَالَ فَيَقُول الله لَهُم أَنْتُم الْحفظَة على عمل عَبدِي وَأَنا الرَّقِيب على نَفسه إِنَّه لم يردني بِهَذَا الْعَمَل وَأَرَادَ بِهِ غَيْرِي فَعَلَيهِ لَعْنَتِي فَتَقول الْمَلَائِكَة كلهَا عَلَيْهِ لعنتك ولعنتنا وَتقول السَّمَوَات كلهَا عَلَيْهِ لعنة الله ولعنتنا وتلعنه السَّمَوَات السَّبع وَمن فِيهِنَّ
قَالَ معَاذ قلت يَا رَسُول الله أَنْت رَسُول الله وَأَنا معَاذ قَالَ اقتد بِي وَإِن كَانَ فِي عَمَلك تَقْصِير يَا معَاذ حَافظ على لسَانك من الوقيعة فِي إخوانك من حَملَة الْقُرْآن واحمل ذنوبك عَلَيْك وَلَا تحملهَا عَلَيْهِم وَلَا تزك نَفسك بذمهم وَلَا ترفع نَفسك عَلَيْهِم وَلَا تدخل عمل الدُّنْيَا فِي عمل الْآخِرَة وَلَا تتكبر فِي مجلسك لكَي يحذر النَّاس من سوء خلقك وَلَا تناج رجلا وعندك آخر
وَلَا تتعظم على النَّاس فَيَنْقَطِع عَنْك خير الدُّنْيَا وَالْآخِرَة وَلَا تمزق النَّاس فتمزقك كلاب النَّار يَوْم الْقِيَامَة فِي النَّار قَالَ الله تَعَالَى والناشطات نشطا النازعات 2 أَتَدْرِي مَا هن يَا معَاذ
قلت مَا هن بِأبي أَنْت وَأمي قَالَ كلاب فِي النَّار تنشط اللَّحْم والعظم
قلت بِأبي أَنْت وَأمي فَمن يُطيق هَذِه الْخِصَال وَمن ينجو مِنْهَا قَالَ يَا معَاذ إِنَّه ليسير على من يسره الله عَلَيْهِ
قَالَ فَمَا رَأَيْت أَكثر تِلَاوَة لِلْقُرْآنِ من معَاذ للحذر مِمَّا فِي هَذَا الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن الْمُبَارك فِي كتاب الزّهْد عَن رجل لم يسمه عَن معَاذ وَرَوَاهُ
ابْن حبَان فِي غير الصَّحِيح وَالْحَاكِم وَغَيرهمَا وَرُوِيَ عَن عَليّ وَغَيره وَبِالْجُمْلَةِ فآثار الْوَضع ظَاهِرَة عَلَيْهِ فِي جَمِيع طرقه وبجميع أَلْفَاظه
قَالَ إِنِّي محدثك حَدِيثا إِن أَنْت حفظته نفعك وَإِن أَنْت ضيعته وَلم تحفظه انْقَطَعت حجتك عِنْد الله يَوْم الْقِيَامَة يَا معَاذ إِن الله خلق سَبْعَة أَمْلَاك قبل أَن يخلق السَّمَوَات وَالْأَرْض ثمَّ خلق السَّمَوَات فَجعل لكل سَمَاء من السَّبْعَة ملكا بوابا عَلَيْهَا قد جللها عظما فتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد من حِين أصبح إِلَى أَن أَمْسَى لَهُ نور كنور الشَّمْس حَتَّى إِذا صعدت بِهِ إِلَى السَّمَاء الدُّنْيَا ذكرته فكثرته فَيَقُول الْملك للحفظة اضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه أَنا صَاحب الْغَيْبَة أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمل من اغتاب النَّاس يجاوزني إِلَى غَيْرِي قَالَ ثمَّ تَأتي الْحفظَة بِعَمَل صَالح من أَعمال العَبْد فتمر فتزكيه وتكثره حَتَّى تبلغ بِهِ إِلَى السَّمَاء الثَّانِيَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بالسماء الثَّانِيَة قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه إِنَّه أَرَادَ بِعَمَلِهِ هَذَا عرض الدُّنْيَا أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي إِنَّه كَانَ يفتخر على النَّاس فِي مجَالِسهمْ قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد يبتهج نورا من صَدَقَة وَصِيَام وَصَلَاة قد أعجب الْحفظَة فتجاوزوا بِهِ إِلَى السَّمَاء الثَّالِثَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه أَنا ملك الْكبر أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي إِنَّه كَانَ يتكبر على النَّاس فِي مجَالِسهمْ
قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد يزهر كَمَا يزهر الْكَوْكَب الدُّرِّي لَهُ دوِي من تَسْبِيح وَصَلَاة وَحج وَعمرَة حَتَّى يجاوزوا بِهِ إِلَى السَّمَاء الرَّابِعَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه اضربوا ظَهره وبطنه أَنا صَاحب الْعجب أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي إِنَّه كَانَ إِذا عمل عملا أَدخل الْعجب فِي عمله
قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد حَتَّى يجاوزوا بِهِ إِلَى السَّمَاء الْخَامِسَة كَأَنَّهُ الْعَرُوس المزفوفة إِلَى بَعْلهَا فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه واحملوه على عَاتِقه أَنا ملك الْحَسَد إِنَّه كَانَ يحْسد النَّاس مِمَّن يتَعَلَّم وَيعْمل بِمثل عمله وكل من كَانَ يَأْخُذ فضلا من الْعِبَادَة يحسدهم وَيَقَع فيهم أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد من صَلَاة وَزَكَاة وَحج وَعمرَة وَصِيَام فيجاوزون بِهِ إِلَى السَّمَاء السَّادِسَة فَيَقُول لَهُم الْملك الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه إِنَّه كَانَ لَا يرحم إنْسَانا قطّ من عباد الله أَصَابَهُ بلَاء أَو ضرّ بل كَانَ يشمت بِهِ أَنا ملك الرَّحْمَة أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع
عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد إِلَى السَّمَاء السَّابِعَة من صَوْم وَصَلَاة وَنَفَقَة واجتهاد وورع لَهُ دوِي كَدَوِيِّ الرَّعْد وضوء كضوء الشَّمْس مَعَه ثَلَاثَة آلَاف ملك فيجاوزون بِهِ إِلَى السَّمَاء السَّابِعَة فَيَقُول لَهُم الْمُوكل بهَا قفوا واضربوا بِهَذَا الْعَمَل وَجه صَاحبه واضربوا جوارحه اقفلوا على قلبه إِنِّي أحجب عَن رَبِّي كل عمل لم يرد بِهِ وَجه رَبِّي إِنَّه أَرَادَ بِعَمَلِهِ غير الله إِنَّه أَرَادَ بِهِ رفْعَة عِنْد الْفُقَهَاء وذكرا عِنْد الْعلمَاء وصوتا فِي الْمَدَائِن أَمرنِي رَبِّي أَن لَا أدع عمله يجاوزني إِلَى غَيْرِي وكل عمل لم يكن لله خَالِصا فَهُوَ رِيَاء وَلَا يقبل الله عمل الْمرَائِي قَالَ وتصعد الْحفظَة بِعَمَل العَبْد من صَلَاة وَزَكَاة وَصِيَام وَحج وَعمرَة وَخلق حسن وَصمت وَذكر لله تَعَالَى وتشيعه مَلَائِكَة السَّمَوَات حَتَّى يقطعوا بِهِ الْحجب كلهَا إِلَى الله عز وَجل فيقفون بَين يَدَيْهِ وَيشْهدُونَ لَهُ بِالْعَمَلِ الصَّالح المخلص لله قَالَ فَيَقُول الله لَهُم أَنْتُم الْحفظَة على عمل عَبدِي وَأَنا الرَّقِيب على نَفسه إِنَّه لم يردني بِهَذَا الْعَمَل وَأَرَادَ بِهِ غَيْرِي فَعَلَيهِ لَعْنَتِي فَتَقول الْمَلَائِكَة كلهَا عَلَيْهِ لعنتك ولعنتنا وَتقول السَّمَوَات كلهَا عَلَيْهِ لعنة الله ولعنتنا وتلعنه السَّمَوَات السَّبع وَمن فِيهِنَّ
قَالَ معَاذ قلت يَا رَسُول الله أَنْت رَسُول الله وَأَنا معَاذ قَالَ اقتد بِي وَإِن كَانَ فِي عَمَلك تَقْصِير يَا معَاذ حَافظ على لسَانك من الوقيعة فِي إخوانك من حَملَة الْقُرْآن واحمل ذنوبك عَلَيْك وَلَا تحملهَا عَلَيْهِم وَلَا تزك نَفسك بذمهم وَلَا ترفع نَفسك عَلَيْهِم وَلَا تدخل عمل الدُّنْيَا فِي عمل الْآخِرَة وَلَا تتكبر فِي مجلسك لكَي يحذر النَّاس من سوء خلقك وَلَا تناج رجلا وعندك آخر
وَلَا تتعظم على النَّاس فَيَنْقَطِع عَنْك خير الدُّنْيَا وَالْآخِرَة وَلَا تمزق النَّاس فتمزقك كلاب النَّار يَوْم الْقِيَامَة فِي النَّار قَالَ الله تَعَالَى والناشطات نشطا النازعات 2 أَتَدْرِي مَا هن يَا معَاذ
قلت مَا هن بِأبي أَنْت وَأمي قَالَ كلاب فِي النَّار تنشط اللَّحْم والعظم
قلت بِأبي أَنْت وَأمي فَمن يُطيق هَذِه الْخِصَال وَمن ينجو مِنْهَا قَالَ يَا معَاذ إِنَّه ليسير على من يسره الله عَلَيْهِ
قَالَ فَمَا رَأَيْت أَكثر تِلَاوَة لِلْقُرْآنِ من معَاذ للحذر مِمَّا فِي هَذَا الحَدِيث
رَوَاهُ ابْن الْمُبَارك فِي كتاب الزّهْد عَن رجل لم يسمه عَن معَاذ وَرَوَاهُ
ابْن حبَان فِي غير الصَّحِيح وَالْحَاكِم وَغَيرهمَا وَرُوِيَ عَن عَليّ وَغَيره وَبِالْجُمْلَةِ فآثار الْوَضع ظَاهِرَة عَلَيْهِ فِي جَمِيع طرقه وبجميع أَلْفَاظه
