আত্-তারগীব ওয়াত্-তারহীব- ইমাম মুনযিরী রহঃ
১. ইখলাস-সত্যবাদিতা ও সদিচ্ছা সম্পর্কিত
হাদীস নং: ২৯
রিয়া সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন এবং রিয়ার আশংকাকালীন দু'আ
২৯. ওলীদ ইব্ন আবুল ওলীদ আবু উসমান মাদীনী থেকে বর্ণিত। উকবা ইব্ন মুসলিম তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। শাফী আল-আসবাহী তাঁর কাছে এই মর্মে হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি মদীনায় প্রবেশ করে। সেখানে এক ব্যক্তিকে ঘিরে অসংখ্য মানুষ সমবেত হতে দেখলেন। তিনি বললেন, ইনি কে? তারা বলল, আবু হুরায়রা। তিনি বলেন, আমি তাঁর নিকটে ঘেঁষে তাঁর সামনেই বসে পড়লাম আর তিনি তখন লোকদের হাদীস শোনাচ্ছিলেন। যখন তিনি থামলেন এবং একাকী হলেন তখন আমি তাঁকে বললাম, আমি আপনাকে কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি অবশ্যই আমাকে এমন একটি হাদীস শোনাবেন যা আপনি রাসূলুল্লাহ্ (সা) -এর কাছে শুনে নিজ স্মৃতিপটে ধারণ করেছেন এবং যা আপনি শিখে রেখেছেন। আবূ হুরায়রা (রা) বললেন, আমি অবশ্যই তোমাকে এমন একখানা হাদীস শোনাব যা রাসূলুল্লাহ (সা) থেকে নিজ স্মৃতিপটে ধারণ করেছি এবং শিখে রেখেছি। তারপর আবু হুরায়রা (রা) এক বিকট চিৎকার করে সম্বিৎ হারিয়ে ফেললেন। আর আমরা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পর তাঁর সম্বিৎ ফিরে এলো এবং তিনি বললেন, তোমাকে এমন হাদীসই বলবো যা রাসূলুল্লাহ (সা) আমার নিকট বর্ণনা করেন আর আমি এবং তিনি ব্যতীত তখন ঘরে কেউ ছিল না। তারপর আবু হুরায়রা (রা) আবার এক বিকট চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। এরপর তিনি সম্বিৎ। ফিরে পেলেন এবং মুখমণ্ডলে হাত বুলিয়ে নিলেন। তিনি বলেন, আমি অবশ্যই তোমাকে এমন হাদীস শোনাব যা রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমাকে শুনিয়েছেন। আমি এবং তিনি ব্যতীত এই ঘরে তখন আর কেউ ছিল না। এরপর আবূ হুরায়রা (রা) পুনরায় এক বিকট চিৎকার করে বেহুঁশ হয়ে পড়েন। আমি তাঁকে নিজের গায়ের সাথে হেলান দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাখলাম। তারপর তিনি সম্বিৎ ফিরে পেলেন। তারপর তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা) আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন যে, কিয়ামত দিবসে আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্য অবতরণ করবেন আর তখন সকল মানুষ নতজানু হয়ে বসা থাকবে। প্রথমে যে ব্যক্তিকে ডাকা হবে সে হল একজন কারী, তারপর আল্লাহর পথে শাহাদত বরণকারী একব্যক্তি এবং তারপর একজন সম্পদশালী। আল্লাহ্ তা'আলা কারী ব্যক্তিকে বলবেন, আমার রাসূলের উপর যা অবতীর্ণ করেছি তোমাকে কি তা শিক্ষা দেইনি? সে বলবে, জ্বী-হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, তুমি যা শিখেছিলে তা কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি রাত-দিন জেগে কুরআন তিলাওয়াত করেছি। আল্লাহ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো, আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তাবারাকা ও তা'আলা বলবেন, তুমি তো চেয়েছিলে লোকে তোমায় বলুক, 'অমুক কারী' আর তা তো বলা হয়েছে।
এরপর হাযির করা হবে ধনী ব্যক্তিকে। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, আমি কি তোমাকে প্রাচুর্য দান করিনি যাতে তোমাকে কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়? সে বলবে, জ্বী-হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, আমি তোমাকে যা দিয়েছিলাম তা তুমি কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বদা অটুট রেখেছি এবং সর্বদা দান-সাদকাও করেছি। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তাবারাকা ও তা'আলা বলবেন, বরং তুমি চেয়েছিলে লোকে তোমাকে বলুক যে, 'অমুক একজন দানবীর' আর তা তো বলা হয়েছে।
এরপর হাযির করা হবে আল্লাহর রাস্তায় শাহাদত বরণকারীকে। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি কোন উদ্দেশ্যে শাহাদাত বরণ করেছ হে? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার পথে জিহাদের জন্য আদিষ্ট হয়ে ছিলাম, তারপর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে শহীদ হয়েছি। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো, আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, বরং তুমি কামনা করেছ যে, বলা হোক 'অমুক একজন মস্তবীর' আর তা তো বলা হয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমার হাঁটু দুটো চাপড়িয়ে বললেন, হে আবূ হুরায়রা। কিয়ামত দিবসে এই তিনজনই হবে সৃষ্ট জীবের মধ্যে জাহান্নামের সর্ব প্রথম ইন্ধন।
ওলীদ আবু উসমান মাদীনী বলেন, উকবা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন। শফী মু'আবিয়ার কাছে প্রবেশ করেন, তারপর তিনি তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। আবু উসমান বলেন, 'আলা ইব্ন আবু হাকীম আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। আর তিনি ছিলেন মু'আবিয়ার তরবারি রক্ষক। তিনি বলেন, তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে আবু হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস রিওয়ায়াত করেন। মু'আবিয়া (রা) বলেন, ওদের সাথে যেখানে এরূপ ব্যবহারই করা হবে, সেখানে অপরাপর লোকদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হবে? তারপর মু'আবিয়া (রা) খুব কাঁদলেন এমনকি আমরা ধারণা করলাম, তিনি বুঝি ইনতিকাল করেছেন। আমরা বলাবলি করতে লাগলাম যে, ঐ লোকটি একটি অমঙ্গল নিয়ে এলো। তারপর মুয়াবিয়া সম্বিৎ ফিরে পেলেন এবং তাঁর মুখমন্ডল মুছলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল যথার্থই বলেছেন। তারপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন:
من كَانَ يُرِيد الْحَيَاة الدُّنْيَا وَزينتهَا نوف إِلَيْهِم أَعْمَالهم فِيهَا وهم فِيهَا لَا يبخسون أُولَئِكَ الَّذِي لَيْسَ لَهُم فِي الأخرة إِلَّا النَّار وحبط مَا صَنَعُوا فِيهَا وباطل مَا كَانُوا يعْملُونَ
যদি কেউ পার্থিব জীবন ও তার শোভা কামনা করে, তবে দুনিয়াতে আমি তাদের কর্মের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেথায় তাদের কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য পরলোকে আগুন ব্যতীত অন্য কিছু নেই এবং তারা যা করে, পরলোকে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে থাকে তা নিরর্থক।" (সূরা হুদ, ১১ ৪ ১৫-১৬)
(একটি কিংবা দু'টি অক্ষরের ব্যতিক্রম ব্যতীত ইব্ন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
এরপর হাযির করা হবে ধনী ব্যক্তিকে। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, আমি কি তোমাকে প্রাচুর্য দান করিনি যাতে তোমাকে কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়? সে বলবে, জ্বী-হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক। তিনি বলবেন, আমি তোমাকে যা দিয়েছিলাম তা তুমি কি কাজে লাগিয়েছ? সে বলবে, আমি আত্মীয়তার সম্পর্ক সর্বদা অটুট রেখেছি এবং সর্বদা দান-সাদকাও করেছি। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তাবারাকা ও তা'আলা বলবেন, বরং তুমি চেয়েছিলে লোকে তোমাকে বলুক যে, 'অমুক একজন দানবীর' আর তা তো বলা হয়েছে।
এরপর হাযির করা হবে আল্লাহর রাস্তায় শাহাদত বরণকারীকে। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি কোন উদ্দেশ্যে শাহাদাত বরণ করেছ হে? সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার পথে জিহাদের জন্য আদিষ্ট হয়ে ছিলাম, তারপর জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে শহীদ হয়েছি। আল্লাহ্ তা'আলা তাকে বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো, আর ফিরিশতাগণও বলবেন, তুমি মিথ্যে বলছো। আল্লাহ্ তা'আলা বলবেন, বরং তুমি কামনা করেছ যে, বলা হোক 'অমুক একজন মস্তবীর' আর তা তো বলা হয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ্ (সা) আমার হাঁটু দুটো চাপড়িয়ে বললেন, হে আবূ হুরায়রা। কিয়ামত দিবসে এই তিনজনই হবে সৃষ্ট জীবের মধ্যে জাহান্নামের সর্ব প্রথম ইন্ধন।
ওলীদ আবু উসমান মাদীনী বলেন, উকবা আমার কাছে হাদীস বর্ণনা করেন। শফী মু'আবিয়ার কাছে প্রবেশ করেন, তারপর তিনি তাঁর নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। আবু উসমান বলেন, 'আলা ইব্ন আবু হাকীম আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। আর তিনি ছিলেন মু'আবিয়ার তরবারি রক্ষক। তিনি বলেন, তাঁর কাছে এক ব্যক্তি এসে আবু হুরায়রা (রা) কর্তৃক বর্ণিত হাদীস রিওয়ায়াত করেন। মু'আবিয়া (রা) বলেন, ওদের সাথে যেখানে এরূপ ব্যবহারই করা হবে, সেখানে অপরাপর লোকদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হবে? তারপর মু'আবিয়া (রা) খুব কাঁদলেন এমনকি আমরা ধারণা করলাম, তিনি বুঝি ইনতিকাল করেছেন। আমরা বলাবলি করতে লাগলাম যে, ঐ লোকটি একটি অমঙ্গল নিয়ে এলো। তারপর মুয়াবিয়া সম্বিৎ ফিরে পেলেন এবং তাঁর মুখমন্ডল মুছলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল যথার্থই বলেছেন। তারপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত তিলাওয়াত করেন:
من كَانَ يُرِيد الْحَيَاة الدُّنْيَا وَزينتهَا نوف إِلَيْهِم أَعْمَالهم فِيهَا وهم فِيهَا لَا يبخسون أُولَئِكَ الَّذِي لَيْسَ لَهُم فِي الأخرة إِلَّا النَّار وحبط مَا صَنَعُوا فِيهَا وباطل مَا كَانُوا يعْملُونَ
যদি কেউ পার্থিব জীবন ও তার শোভা কামনা করে, তবে দুনিয়াতে আমি তাদের কর্মের পূর্ণ ফল দান করি এবং সেথায় তাদের কম দেওয়া হবে না। তাদের জন্য পরলোকে আগুন ব্যতীত অন্য কিছু নেই এবং তারা যা করে, পরলোকে তা নিষ্ফল হবে এবং তারা যা করে থাকে তা নিরর্থক।" (সূরা হুদ, ১১ ৪ ১৫-১৬)
(একটি কিংবা দু'টি অক্ষরের ব্যতিক্রম ব্যতীত ইব্ন খুযায়মা তাঁর 'সহীহ' গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।)
التَّرْهِيب من الرِّيَاء وَمَا يَقُوله من خَافَ شَيْئا مِنْهُ
29 - وَعَن الْوَلِيد بن أبي الْوَلِيد أبي عُثْمَان الْمَدِينِيّ أَن عقبَة بن مُسلم حَدثهُ أَن شفيا الأصبحي حَدثهُ أَنه دخل الْمَدِينَة فَإِذا هُوَ بِرَجُل قد اجْتمع عَلَيْهِ النَّاس فَقَالَ من هَذَا قَالُوا أَبُو هُرَيْرَة قَالَ فدنوت مِنْهُ حَتَّى قعدت بَين يَدَيْهِ وَهُوَ يحدث النَّاس فَلَمَّا سكت وخلا قلت لَهُ أَسأَلك بِحَق وبحق لما حَدَّثتنِي حَدِيثا سمعته من رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم وعقلته وعلمته فَقَالَ أَبُو هُرَيْرَة أفعل لأحدثنك حَدِيثا حَدَّثَنِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم علقته وعلمته ثمَّ نشغ أَبُو هُرَيْرَة نشغة فَمَكثْنَا قَلِيلا ثمَّ أَفَاق فَقَالَ لأحدثنك حَدِيثا حَدَّثَنِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْت مَا مَعنا أحد غَيْرِي وَغَيره ثمَّ نشغ أَبُو هُرَيْرَة نشغة أُخْرَى ثمَّ أَفَاق وَمسح عَن وَجهه فَقَالَ أفعل لأحدثنك حَدِيثا حَدَّثَنِيهِ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَنا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْت مَا مَعنا أحد غَيْرِي وَغَيره ثمَّ نشغ أَبُو هُرَيْرَة نشغة شَدِيدَة ثمَّ مَال خارا على وَجهه فأسندته طَويلا ثمَّ أَفَاق فَقَالَ حَدثنِي رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم أَن الله تبَارك وَتَعَالَى إِذا كَانَ يَوْم الْقِيَامَة ينزل إِلَى الْعباد ليقضي بَينهم وكل أمة جاثية فَأول من يدعى بِهِ رجل جمع الْقُرْآن وَرجل قتل فِي سَبِيل الله وَرجل كثير المَال فَيَقُول الله عز وَجل للقارىء ألم أعلمك مَا أنزلت على رَسُولي قَالَ بلَى يَا رب قَالَ فَمَا علمت فِيمَا علمت قَالَ كنت أقوم بِهِ آنَاء اللَّيْل وآناء النَّهَار فَيَقُول الله عز وَجل لَهُ كذبت وَتقول لَهُ الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى بل أردْت أَن يُقَال فلَان قارىء وَقد قيل ذَلِك وَيُؤْتى بِصَاحِب المَال فَيَقُول الله عز وَجل ألم أوسع عَلَيْك حَتَّى لم أدعك تحْتَاج إِلَى أحد قَالَ بلَى يَا رب قَالَ فَمَاذَا عملت فِيمَا آتيتك قَالَ كنت أصل الرَّحِم وأتصدق فَيَقُول الله لَهُ كذبت وَتقول الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله تبَارك وَتَعَالَى بل أردْت أَن يُقَال فلَان جواد وَقد قيل
ذَلِك وَيُؤْتى بِالَّذِي قتل فِي سَبِيل الله فَيَقُول الله لَهُ فِي مَاذَا قتلت فَيَقُول أَي رب أمرت بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلك فقاتلت حَتَّى قتلت فَيَقُول الله لَهُ كذبت وَتقول الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله بل أردْت أَن يُقَال فلَان جريء فقد قيل ذَلِك ثمَّ ضرب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على ركبتي فَقَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَة أُولَئِكَ الثَّلَاثَة أول خلق الله تسعر بهم النَّار يَوْم الْقِيَامَة قَالَ الْوَلِيد أَبُو عُثْمَان الْمَدِينِيّ وَأَخْبرنِي عقبَة أَن شفيا هُوَ الَّذِي دخل على مُعَاوِيَة فَأخْبرهُ بِهَذَا قَالَ أَبُو عُثْمَان وحَدثني الْعَلَاء بن أبي حَكِيم أَنه كَانَ سيافا لمعاوية قَالَ فَدخل عَلَيْهِ رجل فَأخْبرهُ بِهَذَا عَن أبي هُرَيْرَة فَقَالَ مُعَاوِيَة قد فعل بهؤلاء هَذَا فَكيف بِمن بَقِي من النَّاس ثمَّ بَكَى مُعَاوِيَة بكاء شَدِيدا حَتَّى ظننا أَنه هَالك وَقُلْنَا قد جَاءَ هَذَا الرجل بشر ثمَّ أَفَاق مُعَاوِيَة وَمسح عَن وَجهه وَقَالَ صدق الله وَرَسُوله اصلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَانَ يُرِيد الْحَيَاة الدُّنْيَا وَزينتهَا نوف إِلَيْهِم أَعْمَالهم فِيهَا وهم فِيهَا لَا يبخسون أُولَئِكَ الَّذِي لَيْسَ لَهُم فِي الأخرة إِلَّا النَّار وحبط مَا صَنَعُوا فِيهَا وباطل مَا كَانُوا يعْملُونَ وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه نَحْو هَذَا لم يخْتَلف إِلَّا فِي حرف أَو حرفين
ذَلِك وَيُؤْتى بِالَّذِي قتل فِي سَبِيل الله فَيَقُول الله لَهُ فِي مَاذَا قتلت فَيَقُول أَي رب أمرت بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلك فقاتلت حَتَّى قتلت فَيَقُول الله لَهُ كذبت وَتقول الْمَلَائِكَة كذبت وَيَقُول الله بل أردْت أَن يُقَال فلَان جريء فقد قيل ذَلِك ثمَّ ضرب رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم على ركبتي فَقَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَة أُولَئِكَ الثَّلَاثَة أول خلق الله تسعر بهم النَّار يَوْم الْقِيَامَة قَالَ الْوَلِيد أَبُو عُثْمَان الْمَدِينِيّ وَأَخْبرنِي عقبَة أَن شفيا هُوَ الَّذِي دخل على مُعَاوِيَة فَأخْبرهُ بِهَذَا قَالَ أَبُو عُثْمَان وحَدثني الْعَلَاء بن أبي حَكِيم أَنه كَانَ سيافا لمعاوية قَالَ فَدخل عَلَيْهِ رجل فَأخْبرهُ بِهَذَا عَن أبي هُرَيْرَة فَقَالَ مُعَاوِيَة قد فعل بهؤلاء هَذَا فَكيف بِمن بَقِي من النَّاس ثمَّ بَكَى مُعَاوِيَة بكاء شَدِيدا حَتَّى ظننا أَنه هَالك وَقُلْنَا قد جَاءَ هَذَا الرجل بشر ثمَّ أَفَاق مُعَاوِيَة وَمسح عَن وَجهه وَقَالَ صدق الله وَرَسُوله اصلى الله عَلَيْهِ وَسلم من كَانَ يُرِيد الْحَيَاة الدُّنْيَا وَزينتهَا نوف إِلَيْهِم أَعْمَالهم فِيهَا وهم فِيهَا لَا يبخسون أُولَئِكَ الَّذِي لَيْسَ لَهُم فِي الأخرة إِلَّا النَّار وحبط مَا صَنَعُوا فِيهَا وباطل مَا كَانُوا يعْملُونَ وَرَوَاهُ ابْن خُزَيْمَة فِي صَحِيحه نَحْو هَذَا لم يخْتَلف إِلَّا فِي حرف أَو حرفين
