আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং: ১৫৪৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫২
১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
১৫৪৯। মুআম্মাল ইবনে হিশাম (রাহঃ) ......... হাফসা (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আমাদের যুবতীদেরকে বের হতে নিষেধ করতাম। এক মহিলা বনু খালিফা-এর দুর্গে এলেন। তিনি বর্ণনা করেন যে, তাঁর বোন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর এক সাহাবীর সহধর্মিণী ছিলেন। যিনি রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গে বারটি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, (সেগুলোর মধ্যে) ছয়টি যুদ্ধে আমার বোনও স্বামীর সঙ্গে ছিলেন। তাঁর বোন বলেন, আমরা আহত যোদ্ধা ও অসুস্থ সৈনিকদের সেবা করতাম। আমার বোন নবী (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আমাদের মধ্যে যার (শরীর উত্তমরূপে আবৃত করার মত) চাদর নেই, সে বের না হলে অন্যায় হবে কি? নবী (ﷺ) বললেনঃ তোমাদের একজন অপরজনকে তাঁর প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাঁদরটি দিয়ে দেওয়া উচিত এবং কল্যাণমূলক কাজে ও মু’মিনদের দুআয় বের হওয়া উচিত।
উম্মে আতিয়্যা (রাযিঃ) আসলে এ বিষয়ে তাঁর নিকট আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা بيبا (রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি আমার পিতা উৎসর্গ হউন) উল্লেখ ব্যতীত কখনও উচ্চারণ করতেন না। আমি তাঁকে বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে এরূপ বলতে শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই। আমার পিতা উৎসর্গ হউন। তিনি বললেনঃ যুবতী ও পর্দানশীন মহিলাদেরও বের হওয়া উচিত। অথবা বললেনঃ পর্দানশীন যুবতী ও ঋতুবতীদেরও বের হওয়া উচিত। তাঁরা কল্যাণমূলক কাজে এবং মুসলমানদের দুআয় যথাস্থানে উপস্থিত হবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ঋতুবতী মহিলাও কি? তিনি বললেনঃ (কেন উপস্থিত হবে না?) তাঁরা কি আরাফার ময়দানে এবং অমুক অমুক স্থানে উপস্থিত হবে না?
باب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ، وَإِذَا سَعَى عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
1652 - حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ قَالَتْ: كُنَّا نَمْنَعُ عَوَاتِقَنَا أَنْ يَخْرُجْنَ، فَقَدِمَتِ امْرَأَةٌ فَنَزَلَتْ قَصْرَ بَنِي خَلَفٍ، فَحَدَّثَتْ أَنَّ أُخْتَهَا كَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَدْ غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَكَانَتْ أُخْتِي مَعَهُ فِي سِتِّ غَزَوَاتٍ، قَالَتْ: كُنَّا نُدَاوِي الكَلْمَى، وَنَقُومُ عَلَى المَرْضَى، فَسَأَلَتْ أُخْتِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: هَلْ عَلَى إِحْدَانَا بَأْسٌ إِنْ لَمْ يَكُنْ لَهَا جِلْبَابٌ أَنْ لاَ تَخْرُجَ، قَالَ: «لِتُلْبِسْهَا صَاحِبَتُهَا مِنْ جِلْبَابِهَا، وَلْتَشْهَدِ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُؤْمِنِينَ» فَلَمَّا قَدِمَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا سَأَلْنَهَا، - أَوْ قَالَتْ: سَأَلْنَاهَا -، فَقَالَتْ: وَكَانَتْ لاَ تَذْكُرُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَدًا إِلَّا قَالَتْ: بِأَبِي، فَقُلْنَا أَسَمِعْتِ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: كَذَا وَكَذَا، قَالَتْ: نَعَمْ بِأَبِي فَقَالَ: «لِتَخْرُجِ العَوَاتِقُ ذَوَاتُ الخُدُورِ - أَوِ العَوَاتِقُ وَذَوَاتُ الخُدُورِ -، وَالحُيَّضُ فَيَشْهَدْنَ الخَيْرَ وَدَعْوَةَ المُسْلِمِينَ، وَيَعْتَزِلُ الحُيَّضُ المُصَلَّى» فَقُلْتُ: أَلْحَائِضُ؟ فَقَالَتْ: أَوَلَيْسَ تَشْهَدُ عَرَفَةَ، وَتَشْهَدُ كَذَا وَتَشْهَدُ كَذَا
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ১৫৪৯ | মুসলিম বাংলা