আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

২১- হজ্জ্বের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫৩
১০৪২. মক্কার অধিবাসী এবং হজ্জ (তামাত্তু) আদায়কারীদের ইহরাম বাঁধার স্থান বাতহা ও এ ছাড়া অন্যান্য স্থান অর্থাৎ মক্কার সমস্ত ভুমি, যখন তাঁরা মিনার দিকে রওয়ানা করবে।
মক্কায় অবস্থানকারী কি হজ্জের (ইহরামের জন্য) তালবিয়া পাঠ করবে? আতা (রাহঃ)-কে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) তারবিয়ার দিন (যিলহজ্জ মাসের আট তারিখে) যোহরের নামায শেষে সওয়ারীতে আরোহণ করে তালবিয়া পাঠ আরম্ভ করতেন।
আব্দুল মালিক (রাহঃ)............ জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী (ﷺ)-এর সঙ্গে মক্কায় এসে যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ পর্যন্ত বিনা ইহরামে অবস্থান করি এবং মক্কা নগরীকে পিছনে রেখে যাওয়ার সময় আমরা হজ্জের তালবিয়া পাঠ করেছিলাম।
আবু যুবাইর (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ)-এর উক্তি বর্ণনা করেন যে, আমরা বাতহায় ইহরাম বাঁধি।
উবাইদ ইবনে জুরাইজ (রাহঃ) ইবনে উমর (রাযিঃ)-কে বললেন, যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখেই লোকেরা ইহরাম বাঁধতেন, কিন্তু আপনাকে দেখেছি মক্কায় অবস্থান করেও যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ পর্যন্ত ইহরাম বাঁধেন নি! তিনি বললেন, নবী (স)-কে নিয়ে যতক্ষণ না সওয়ারী উঠে দাঁড়াতো ততক্ষণ তাঁকে তালবিয়া পাঠ করতে দেখিনি।

পরিচ্ছেদঃ ১০৪৩. যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ হাজী কোথায় যোহরের নামায আদায় করবে?
১৫৫০। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আব্দুল আযীয ইবনে রুফাঈ (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, নবী (ﷺ) সম্পর্কে আপনি যা উত্তমরূপে স্মরণ রেখেছেন তাঁর কিছুটা বলুন। বলুন, যিলহজ্জ মাসের আট তারিখ যোহর ও আসরের নামায তিনি কোথায় আদায় করতেন? তিনি বললেন, মিনায়। আমি বললাম, মিনা থেকে ফিরার দিন আসরের নামায তিনি কোথায় আদায় করেছেন? তিনি বললেন, মুহাসসাবে। এরপর আনাস (রাযিঃ) বললেন, তোমাদের আমীরগণ যেরূপ করবে, তোমরাও অনুরূপ কর।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন