আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
২১- হজ্জ্বের অধ্যায়
হাদীস নং: ১৫৪৮
আন্তর্জাতিক নং: ১৬৫১
১০৪১. ঋতুবতী নারীর পক্ষে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কার্য সম্পন্ন করা এবং বিনা উযুতে সাফা ও মারওয়ার মধ্যে সা’য়ী করা
১৫৪৮। মুহাম্মাদ ইবনে মুসান্না ও খলীফা (রাহঃ) ......... জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ও তাঁর সাহাবীগণ হজ্জ-এর ইহরাম বাঁধেন, তাঁদের মাঝে কেবল নবী (ﷺ) ও তালহা (রাযিঃ) ব্যতীত অন্য কারো সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল না, আলী (রাযিঃ) ইয়ামান থেকে আগমন করেন, তাঁর সঙ্গে কুরবানীর পশু ছিল। তিনি [আলী (রাযিঃ)] বললেন, নবী (ﷺ) যেরূপ ইহরাম বেধেছেন, আমিও সেরূপ ইহরাম বেঁধেছি। নবী (ﷺ) সাহাবীগণের মধ্যে যাদের নিকট কুরবানীর পশু ছিল না, তাঁদের ইহরামকে উমরায় পরিণত করার নির্দেশ দিলেন, তাঁরা যেন তাওয়াফ করে, চুল ছেটে অথবা মাথা মুণ্ডিয়ে হালাল হয়ে যায়। তাঁরা বলাবলি করতে লাগলেন, (যদি হালাল হয়ে যাই তা হলে) স্ত্রীর সাথে মিলনের পরপরই আমাদের পক্ষে মিনায় যাওয়াটা কেমন হবে! তা অবগত হয়ে নবী (ﷺ) বললেনঃ আমি পরে যা জানতে পেরেছি তা যদি আগে জানতে পারতাম, তাহলে কুরবানীর পশু সাথে আনতাম না। আমার সাথে কুরবানীর পশু না থাকলে অবশ্যই ইহরাম ভঙ্গ করতাম। (হজ্জ এর সফরে) আয়িশা (রাযিঃ) ঋতুবতী হওয়ার কারণে বায়তুল্লাহর তাওয়াফ ব্যতীত হজ্জের অন্য সকল কাজ সম্পন্ন করে নেন। পবিত্র হওয়ার পর তাওয়াফ আদায় করেন, (ফিরার পথে) আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সকলেই হজ্জ ও উমরা উভয়টি আদায় করে ফিরছে, আর আমি কেবল হজ্জ আদায় করে ফিরছি, তখন নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আবু বকর (রাযিঃ) কে নির্দেশ দিলেন, যেন আয়িশা (রাযিঃ) কে নিয়ে তানঈমে চলে যান (যেখানে যেয়ে উমরার ইহরাম বাঁধবেন) আয়িশা (রাযিঃ) হজ্জের পর উমরা আদায় করে নিলেন।
باب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ ، وَإِذَا سَعَى عَلَى غَيْرِ وُضُوءٍ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ
1651 - حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ المُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، قَالَ: ح وَقَالَ لِي خَلِيفَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الوَهَّابِ، حَدَّثَنَا حَبِيبٌ المُعَلِّمُ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: أَهَلَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ هُوَ وَأَصْحَابُهُ بِالحَجِّ، وَلَيْسَ مَعَ أَحَدٍ مِنْهُمْ هَدْيٌ غَيْرَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَطَلْحَةَ، وَقَدِمَ عَلِيٌّ مِنَ اليَمَنِ وَمَعَهُ هَدْيٌ [ص:160]، فَقَالَ: أَهْلَلْتُ بِمَا أَهَلَّ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَصْحَابَهُ أَنْ يَجْعَلُوهَا عُمْرَةً، وَيَطُوفُوا ثُمَّ يُقَصِّرُوا وَيَحِلُّوا إِلَّا مَنْ كَانَ مَعَهُ الهَدْيُ، فَقَالُوا: نَنْطَلِقُ إِلَى مِنًى وَذَكَرُ أَحَدِنَا يَقْطُرُ، فَبَلَغَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ، وَلَوْلاَ أَنَّ مَعِي الهَدْيَ لَأَحْلَلْتُ» ، وَحَاضَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فَنَسَكَتْ المَنَاسِكَ كُلَّهَا، غَيْرَ أَنَّهَا لَمْ تَطُفْ بِالْبَيْتِ، فَلَمَّا طَهُرَتْ طَافَتْ بِالْبَيْتِ، قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَنْطَلِقُونَ بِحَجَّةٍ وَعُمْرَةٍ وَأَنْطَلِقُ بِحَجٍّ؟ فَأَمَرَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرٍ أَنْ يَخْرُجَ مَعَهَا إِلَى التَّنْعِيمِ، فَاعْتَمَرَتْ بَعْدَ الحَجِّ
