আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৯- জানাযার অধ্যায়
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ১৩৯২
৮৭৯. নবী (ﷺ), আবু বকর (রাযিঃ) ও উমর (রাযিঃ) এর কবরের বর্ণনা।
১৩১০। কুতাইবা (রাহঃ) ......... আমর ইবনে মায়মুন আওদী (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর (রাযিঃ) কে দেখেছি, তিনি আপন পুত্র আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) কে ডেকে বললেন, তুমি উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা (রাযিঃ) কে গিয়ে বল, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। এরপর আমাকে আপন সাথীদ্বয় (নবী (ﷺ) ও আবু বকর (রাযিঃ)) এর পাশে দাফন করতে তিনি রাজি আছেন কি না?** আয়িশা (রাযিঃ) বললেন, আমি পূর্ব থেকেই নিজের জন্য এর আশা পোষণ করতাম, কিন্তু আজ উমর (রাযিঃ) কে নিজের উপর প্রাধান্য দিচ্ছি। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) ফিরে এলে উমর (রাযিঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কি বার্তা নিয়ে এলে? তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! তিনি [আয়িশা (রাযিঃ)] আপনার জন্য অনুমতি প্রদান করেছেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, সেখানে শয্যা লাভ করাই আমার কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মৃত্যুর পর আমার শবদেহ বহন করে (আয়িশা (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত করে) তাঁকে সালাম জানিয়ে বলবে, উমর ইবনে খাত্তাব (পুনরায়) আপনার অনুমতি প্রার্থনা করেছেন। তিনি অনুমতি দিলে, সেখানে আমাকে দাফন করবে। অন্যথায় মুসলমানদের সাধারণ কবরস্থানে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে।
তারপর উমর (রাযিঃ) বলেন, এ কয়েকজন ব্যক্তি যাঁদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা অন্য কাউকে আমি এ খিলাফতের (দায়িত্ব পালনে) অধিক যোগ্য বলে মনে করি না। তাই আমার পর তাঁরা (তাঁদের মধ্য থেকে) যাঁকে খলীফা মনোনীত করবেন তিনি খলীফা হবেন। তোমরা সকলেই তাঁর আদেশ মেনে চলবে, তাঁর আনুগত্য করবে। এ বলে তিনি উসমান, আলী, তালহা, যুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ও সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) এর নাম উল্লেখ করলেন।
এ সময় এক আনসারী যুবক উমর (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহ প্রদত্ত সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি ইসলামের ছায়াতলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন যা আপনিও জানেন। এরপর আপনাকে খলীফা নিযুক্ত করা হয় এবং আপনি ন্যায়বিচার করেছেন। সর্বোপরি আপনি শাহাদাত লাভ করছেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ভাতিজা! যদি তা আমার জন্য লাভ লোকসানের না হয়ে বরাবর হয়, তবে কতই না ভাল হবে। (তিনি বললেন) আমার পরবর্তী খলীফাকে ওয়াসিয়্যাত করে যাচ্ছি, তিনি যেন প্রথম দিকের মুহাজিরদের ব্যাপারে যত্নবান হন, তাঁদের হক আদায় করে চলেন, যেন তাদের যথাযথ সম্মান করেন। আমি তাঁকে আনসারদের ব্যাপারেও সদাচারের উপদেশ দেই, যারা ঈমান ও মদীনাকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন, যেন তাঁদের মধ্যকার সৎকর্মশীলদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় এবং তাঁদের মধ্যকার (লঘু) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দায়িত্বভূক্ত (সর্বস্তরের মু’মিনদের সম্পর্কে) সতর্ক করে দিচ্ছি, যেন মু’মিনদের সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা হয়, তাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা হয় এবং সাধ্যাতীত কোন দায়িত্ব তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।
** রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর রাওযা মুবারক আয়িশা (রা.)-এর ঘর বিধায় এর মালিকানা তাঁর থাকায় উমর (রা.)-এর দাফনে অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
তারপর উমর (রাযিঃ) বলেন, এ কয়েকজন ব্যক্তি যাঁদের সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যু পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন, তাঁদের অপেক্ষা অন্য কাউকে আমি এ খিলাফতের (দায়িত্ব পালনে) অধিক যোগ্য বলে মনে করি না। তাই আমার পর তাঁরা (তাঁদের মধ্য থেকে) যাঁকে খলীফা মনোনীত করবেন তিনি খলীফা হবেন। তোমরা সকলেই তাঁর আদেশ মেনে চলবে, তাঁর আনুগত্য করবে। এ বলে তিনি উসমান, আলী, তালহা, যুবাইর, আব্দুর রহমান ইবনে আওফ ও সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) এর নাম উল্লেখ করলেন।
এ সময় এক আনসারী যুবক উমর (রাযিঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললো, হে আমীরুল মু’মিনীন! আল্লাহ প্রদত্ত সুসংবাদ গ্রহণ করুন। আপনি ইসলামের ছায়াতলে দীর্ঘদিন অতিবাহিত করার সৌভাগ্য লাভ করেছেন যা আপনিও জানেন। এরপর আপনাকে খলীফা নিযুক্ত করা হয় এবং আপনি ন্যায়বিচার করেছেন। সর্বোপরি আপনি শাহাদাত লাভ করছেন। উমর (রাযিঃ) বললেন, হে ভাতিজা! যদি তা আমার জন্য লাভ লোকসানের না হয়ে বরাবর হয়, তবে কতই না ভাল হবে। (তিনি বললেন) আমার পরবর্তী খলীফাকে ওয়াসিয়্যাত করে যাচ্ছি, তিনি যেন প্রথম দিকের মুহাজিরদের ব্যাপারে যত্নবান হন, তাঁদের হক আদায় করে চলেন, যেন তাদের যথাযথ সম্মান করেন। আমি তাঁকে আনসারদের ব্যাপারেও সদাচারের উপদেশ দেই, যারা ঈমান ও মদীনাকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন, যেন তাঁদের মধ্যকার সৎকর্মশীলদের কাজের স্বীকৃতি প্রদান করা হয় এবং তাঁদের মধ্যকার (লঘু) অপরাধীকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সর্বশেষ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর দায়িত্বভূক্ত (সর্বস্তরের মু’মিনদের সম্পর্কে) সতর্ক করে দিচ্ছি, যেন মু’মিনদের সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা হয়, তাদের রক্ষার জন্য যুদ্ধ করা হয় এবং সাধ্যাতীত কোন দায়িত্ব তাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়।
** রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এর রাওযা মুবারক আয়িশা (রা.)-এর ঘর বিধায় এর মালিকানা তাঁর থাকায় উমর (রা.)-এর দাফনে অনুমতির প্রয়োজন ছিল।
