আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
১৭- নামাযে কসরের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৩০
আন্তর্জাতিক নং: ১০৯১ - ১০৯২
৭০০. সফরে মাগরিবের নামায তিন রাকাআত আদায় করা।
১০৩০। আবুল ইয়ামান (রাহঃ) ......... আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখেছি, সফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের নামায বিলম্বিত করেছেন, এমন কি মাগরিব ও ইশার নামায একত্রে আদায় করেছেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) সফরের ব্যস্ততার সময় অনুরূপ করতেন।
অপর এক সূ্ত্রে সালিম (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। সালিম (রাহঃ) আরও বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রী সাফীয়্যা বিনতে আবু উবাইদ (রাযিঃ) এর দুঃসংবাদ পেয়ে মদীনা প্রত্যাবর্তনকালে মাগরিবের নামায বিলম্বিত করেন। আমি তাঁকে বললাম, নামাযের সময় হয়ে গেছে। তিনি বললেন, চলতে থাক। আমি আবার বললাম, নামায? তিনি বললেন, চলতে থাক। এমনকি (এভাবে) দু’ বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন। এরপর নেমে নামায আদায় করলেন। পরে বললেন, আমি নবী (ﷺ) কে সফরের ব্যস্ততার সময় এরূপভাবে নামায আদায় করতে দেখেছি। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আরো বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে দেখেছি, সফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের নামায (দেরী করে) আদায় করেছেন এবং তা তিন রাকআতই আদায় করেছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে কিছু বিলম্ব করেই ইশার ইকামত দেওয়া হত এবং দু’রাকআত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতেন না।
অপর এক সূ্ত্রে সালিম (রাহঃ) বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করতেন। সালিম (রাহঃ) আরও বলেন, ইবনে উমর (রাযিঃ) তাঁর স্ত্রী সাফীয়্যা বিনতে আবু উবাইদ (রাযিঃ) এর দুঃসংবাদ পেয়ে মদীনা প্রত্যাবর্তনকালে মাগরিবের নামায বিলম্বিত করেন। আমি তাঁকে বললাম, নামাযের সময় হয়ে গেছে। তিনি বললেন, চলতে থাক। আমি আবার বললাম, নামায? তিনি বললেন, চলতে থাক। এমনকি (এভাবে) দু’ বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন। এরপর নেমে নামায আদায় করলেন। পরে বললেন, আমি নবী (ﷺ) কে সফরের ব্যস্ততার সময় এরূপভাবে নামায আদায় করতে দেখেছি। আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) আরো বলেন, আমি নবী (ﷺ) কে দেখেছি, সফরে যখনই তাঁর ব্যস্ততার কারণ ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের নামায (দেরী করে) আদায় করেছেন এবং তা তিন রাকআতই আদায় করেছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে কিছু বিলম্ব করেই ইশার ইকামত দেওয়া হত এবং দু’রাকআত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত নামায আদায় করতেন না।
باب يُصَلِّي الْمَغْرِبَ ثَلاَثًا فِي السَّفَرِ
1091 - حَدَّثَنَا أَبُو اليَمَانِ، قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ: أَخْبَرَنِي سَالِمٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ فِي السَّفَرِ يُؤَخِّرُ المَغْرِبَ، حَتَّى يَجْمَعَ بَيْنَهَا وَبَيْنَ العِشَاءِ» قَالَ سَالِمٌ: وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يَفْعَلُهُ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ "
1092 - وَزَادَ اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَالِمٌ: " كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: يَجْمَعُ بَيْنَ المَغْرِبِ وَالعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ " قَالَ سَالِمٌ: وَأَخَّرَ ابْنُ عُمَرَ المَغْرِبَ، وَكَانَ اسْتُصْرِخَ عَلَى امْرَأَتِهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ، فَقُلْتُ لَهُ: الصَّلاَةَ، فَقَالَ: سِرْ، فَقُلْتُ: الصَّلاَةَ، فَقَالَ: سِرْ، حَتَّى سَارَ مِيلَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى، ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ» وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ يُؤَخِّرُ المَغْرِبَ، فَيُصَلِّيهَا ثَلاَثًا، ثُمَّ يُسَلِّمُ، ثُمَّ قَلَّمَا يَلْبَثُ حَتَّى يُقِيمَ العِشَاءَ، فَيُصَلِّيهَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يُسَلِّمُ وَلاَ يُسَبِّحُ بَعْدَ العِشَاءِ حَتَّى يَقُومَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ»
1092 - وَزَادَ اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ سَالِمٌ: " كَانَ ابْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا: يَجْمَعُ بَيْنَ المَغْرِبِ وَالعِشَاءِ بِالْمُزْدَلِفَةِ " قَالَ سَالِمٌ: وَأَخَّرَ ابْنُ عُمَرَ المَغْرِبَ، وَكَانَ اسْتُصْرِخَ عَلَى امْرَأَتِهِ صَفِيَّةَ بِنْتِ أَبِي عُبَيْدٍ، فَقُلْتُ لَهُ: الصَّلاَةَ، فَقَالَ: سِرْ، فَقُلْتُ: الصَّلاَةَ، فَقَالَ: سِرْ، حَتَّى سَارَ مِيلَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً، ثُمَّ نَزَلَ فَصَلَّى، ثُمَّ قَالَ: «هَكَذَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ» وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ: «رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَعْجَلَهُ السَّيْرُ يُؤَخِّرُ المَغْرِبَ، فَيُصَلِّيهَا ثَلاَثًا، ثُمَّ يُسَلِّمُ، ثُمَّ قَلَّمَا يَلْبَثُ حَتَّى يُقِيمَ العِشَاءَ، فَيُصَلِّيهَا رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ يُسَلِّمُ وَلاَ يُسَبِّحُ بَعْدَ العِشَاءِ حَتَّى يَقُومَ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ»
