আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

১৭- নামাযে কসরের অধ্যায়

হাদীস নং: ১০২৯
আন্তর্জাতিক নং: ১০৯০
৬৯৯. যখন নিজ আবাসস্থল থেকে বের হবে তখন থেকে কসর করবে।
১০২৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) ......... আয়িশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় নামায দু’রাক'আত করে ফরয করা হয় তারপর সফরে নামায সে ভাবেই স্থায়ী থাকে এবং মুকীম অবস্থায় নামায পূর্ণ (চার রাকআত) করা হয়েছে।
যুহরী (রাহঃ) রলেন, আমি উরওয়া (রাহঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, (মিনায়) আয়িশা (রাযিঃ) কেন নামায পূর্ণ আদায় করতেন? তিনি বললেন, উসমান (রাযিঃ) যে ব্যাখ্যা প্রহণ করেছেন, আয়িশা (রাযিঃ) তা গ্রহণ করেছেন।
بَابُ يَقْصُرُ إِذَا خَرَجَ مِنْ مَوْضِعِهِ
1090 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «الصَّلاَةُ أَوَّلُ مَا فُرِضَتْ رَكْعَتَيْنِ، فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ، وَأُتِمَّتْ صَلاَةُ الحَضَرِ» قَالَ الزُّهْرِيُّ: فَقُلْتُ لِعُرْوَةَ: مَا بَالُ عَائِشَةَ تُتِمُّ؟ قَالَ: «تَأَوَّلَتْ مَا تَأَوَّلَ عُثْمَانُ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, সফরের হালাতে দু’রাকাতই পূর্ণ নামায। সুতরাং সফরে চার রাকাত পড়ার কোন সুযোগ নেই, বরং নামায কসর করে দু’রাকাত পড়াই আবশ্যক। কেননা, পূর্ণ হওয়ার পরে বাড়তি করার কোন সুযোগ থাকে না।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন