শরহু মাআ’নিল আছার- ইমাম ত্বহাবী রহঃ
شرح معاني الآثار المختلفة المروية عن رسول الله صلى الله عليه وسلم في الأحكام
২২. ছুটে যাওয়া অতিরিক্ত মাসাঈলের অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৯ টি
অনুসন্ধান করুন...
হাদীস নং:৭৩৮৯
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৯০
যে পরিমাণ সম্পদ তার মালিকের জন্য সদকা গ্রহণ হারাম করে দেয়
৭৩৮৯-৯০। আবু বিশর আর-রকী (রাহঃ). সাহল ইবনুল হানযালীয়া (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি যাহরি গিনা (ন্যূনতম সম্পদ)-এর মালিক, সে যদি লােকজনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে, তাহলে সে যেন জাহান্নামের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ অধিকহারে সঞ্চয় করে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) ! যাহরি গিনা কি? তিনি বললেন, তা হল যদি কেউ জানে যে, তার কিংবা পরিবারের কাছে সকাল ও সন্ধ্যার খাবার রয়েছে।
রাবী ইবন সুলায়মান আল-মুরাদী (রাহঃ) ..... বিশর ইবন বাকর (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি আব্দুর রহমান ইন ইয়াযীদ ইব্ন জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যদি কেউ এ পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে তার জন্যে সদকা ভক্ষণ করা অবৈধ। তার জন্য সাহায্য প্রার্থনাও হালাল নয়। এ সম্পর্কের উপরােক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, যে ব্যক্তি চল্লিশ দিরহাম রৌপ্য কিংবা তার সম পরিমাণ সােনার অধিকারী হয়, তার জন্য সদকা ভক্ষণ করা হারাম, তার জন্য সাহায্য প্রার্থনাও অবৈধ। যে ব্যক্তি এর চেয়ে কম সম্পদের অধিকারী, তার জন্য সদকা ভক্ষণ অবৈধ নয়। নিম্নবর্ণিত হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন;
রাবী ইবন সুলায়মান আল-মুরাদী (রাহঃ) ..... বিশর ইবন বাকর (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন । তিনি আব্দুর রহমান ইন ইয়াযীদ ইব্ন জাবির (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা উল্লেখ করেন।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, একদল আলিমের মতে যদি কেউ এ পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, তাহলে তার জন্যে সদকা ভক্ষণ করা অবৈধ। তার জন্য সাহায্য প্রার্থনাও হালাল নয়। এ সম্পর্কের উপরােক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেন।
অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, যে ব্যক্তি চল্লিশ দিরহাম রৌপ্য কিংবা তার সম পরিমাণ সােনার অধিকারী হয়, তার জন্য সদকা ভক্ষণ করা হারাম, তার জন্য সাহায্য প্রার্থনাও অবৈধ। যে ব্যক্তি এর চেয়ে কম সম্পদের অধিকারী, তার জন্য সদকা ভক্ষণ অবৈধ নয়। নিম্নবর্ণিত হাদীস দ্বারা তারা দলীল পেশ করেন;
بَابُ الْمِقْدَارِ الَّذِي يُحَرِّمُ الصَّدَقَةَ عَلَى مَالِكِهِ
7389 - حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ الرَّقِّيُّ، قَالَ: ثنا أَيُّوبُ بْنُ سُوَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي رَبِيعَةُ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَهْلُ بْنُ الْحَنْظَلِيَّةِ، رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ سَأَلَ النَّاسَ عَنْ ظَهْرِ غِنًى , فَإِنَّمَا يَسْتَكْثِرُ مِنْ جَمْرِ جَهَنَّمَ.» قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَا ظَهْرُ غِنًى؟ قَالَ: «أَنْ يَعْلَمَ أَنَّ عِنْدَ أَهْلِهِ مَا يُغَدِّيهِمْ وَمَا يُعَشِّيهِمْ»
7390 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُرَادِيُّ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ، مَلَكَ هَذَا الْمِقْدَارَ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ , وَلَمْ تَحِلَّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ مَلَكَ أُوقِيَّةً مِنَ الْوَرِقِ , وَهِيَ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا , أَوْ عِدْلَهَا مِنَ الذَّهَبِ حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ , وَلَمْ تَحِلَّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ , وَمَنْ مَلَكَ مَا دُونَ ذَلِكَ , لَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
7390 - حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْمُرَادِيُّ، قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ يَزِيدَ بْنِ جَابِرٍ، ثُمَّ ذَكَرَ مِثْلَهُ بِإِسْنَادِهِ قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: فَذَهَبَ قَوْمٌ إِلَى أَنَّ مَنْ، مَلَكَ هَذَا الْمِقْدَارَ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ , وَلَمْ تَحِلَّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ , وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ , بِهَذَا الْحَدِيثِ. وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ مَلَكَ أُوقِيَّةً مِنَ الْوَرِقِ , وَهِيَ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا , أَوْ عِدْلَهَا مِنَ الذَّهَبِ حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ , وَلَمْ تَحِلَّ لَهُ الْمَسْأَلَةُ , وَمَنْ مَلَكَ مَا دُونَ ذَلِكَ , لَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯০
empty
৭৩৯০।
7390 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯১
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৯৩
যে পরিমাণ সম্পদ তার মালিকের জন্য সদকা গ্রহণ হারাম করে দেয়
৭৩৯১-৯৩। ইউনুস ইবন আব্দুল আ'লা (রাহঃ) ….. বনু আসাদের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করলাম এবং তাঁকে এক ব্যক্তির প্রশ্নের উত্তর দিতে শুনলাম। তিনি বললেন, তােমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি অন্যের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করল অথচ তার কাছে চল্লিশ দিরহাম রৌপ্য কিংবা সমপরিমাণ সােনা রয়েছে, তাহলে সে বারবার প্রার্থনাকারীদের পর্যায়ভুক্ত হল যা অত্যন্ত ঘৃণ্য বস্তু।
ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) …. মালিক ইবন আনাস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইয়াযীদ (রাহঃ) যায়দ ইবন আসলাম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ হাদীস উল্লেখ করেন।
ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ) …. মালিক ইবন আনাস (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা করেন।
ইয়াযীদ (রাহঃ) যায়দ ইবন আসলাম (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ হাদীস উল্লেখ করেন।
93 - 7391 - بِمَا حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ: أَنَّ مَالِكًا حَدَّثَهُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَسْلَمَ , عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ , عَنْ رَجُلٍ مِنْ بَنِي أَسَدٍ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ لِرَجُلٍ يَسْأَلُ: «مَنْ سَأَلَ مِنْكُمْ وَعِنْدَهُ أُوقِيَّةٌ أَوْ عِدْلُهَا , فَقَدْ سَأَلَ إِلْحَافًا وَالْأُوقِيَّةُ يَوْمَئِذٍ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا» وَبِمَا
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَبِمَا
حَدَّثَنَا يَزِيدُ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَسْلَمَ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ مَلَكَ خَمْسِينَ دِرْهَمًا أَوْ عِدْلَهَا مِنَ الذَّهَبِ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ , وَلَمْ تَحِلَّ لَهُمُ الْمَسْأَلَةُ , وَمَنْ مَلَكَ مَا دُونَ ذَلِكَ , لَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ. [ص:372] وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ قَالَ: ثنا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ , قَالَ: ثنا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَبِمَا
حَدَّثَنَا يَزِيدُ , قَالَ: ثنا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ , قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَسْلَمَ , ثُمَّ ذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ مَلَكَ خَمْسِينَ دِرْهَمًا أَوْ عِدْلَهَا مِنَ الذَّهَبِ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ , وَلَمْ تَحِلَّ لَهُمُ الْمَسْأَلَةُ , وَمَنْ مَلَكَ مَا دُونَ ذَلِكَ , لَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ. [ص:372] وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯২
empty
৭৩৯২।
7392 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯৩
empty
৭৩৯৩।
7393 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯৪
আন্তর্জাতিক নং: ৭৩৯৬
যে পরিমাণ সম্পদ তার মালিকের জন্য সদকা গ্রহণ হারাম করে দেয়
৭৩৯৪-৯৬। হুসায়ন ইবুন নসর (রাহঃ) ও ইবরাহীম ইন মারযুক (রাহঃ) ..... আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি সাহায্য প্রার্থনা করে আর তার ন্যূনতম সম্পদ থাকে, তাহলে কিয়ামতের দিন তার চেহারায় যখমী নিয়ে সে উপস্থিত হবে। বলা হল, হে আল্লাহর রাসুল
তার জন্য ন্যূনতম সম্পদ কি? তিনি বলেন, পঞ্চাশ দিরহাম কিংবা সমমূল্যের সােনা।
আহমদ ইবন খালিদ আল-বাগদাদী (রাহঃ) .... সুফইয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন, তবে তিনি বর্ণনাকালে كدوحا في وجهه বলেন আর সন্দেহের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি আরাে অতিরিক্ত বলেন, সুফইয়ান (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, বর্ণনাকারী হাকীম ব্যতীত যদি হাদীসটি বর্ণনা করা হয়, তাহলে সনদটি কিরূপ হবে? তিনি বলেন, তাকে যুবায়দ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, যে ব্যক্তি দু'শ দিরহামের মালিক হয়, তার জন্য সদকা খাওয়া হারাম ও সাহায্য চাওয়া অবৈধ। আর যে ব্যক্তি এর চেয়ে কম সম্পদের মালিক হয়, তার জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম নয় এবং সদকা গ্রহণও তার জন্য হারাম নয় । এ সম্পর্কে তারা দলীল পেশ করেন নিম্নরূপ :
তার জন্য ন্যূনতম সম্পদ কি? তিনি বলেন, পঞ্চাশ দিরহাম কিংবা সমমূল্যের সােনা।
আহমদ ইবন খালিদ আল-বাগদাদী (রাহঃ) .... সুফইয়ান আস-সাওরী (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেন। তিনি নিজ সনদে অনুরূপ বর্ণনা পেশ করেন, তবে তিনি বর্ণনাকালে كدوحا في وجهه বলেন আর সন্দেহের কথা উল্লেখ করেননি। তিনি আরাে অতিরিক্ত বলেন, সুফইয়ান (রাহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, বর্ণনাকারী হাকীম ব্যতীত যদি হাদীসটি বর্ণনা করা হয়, তাহলে সনদটি কিরূপ হবে? তিনি বলেন, তাকে যুবায়দ (রাহঃ) ও মুহাম্মাদ ইব্ন আব্দুর রহমান ইবন ইয়াযীদ (রাহঃ) হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।
অন্য একদল আলিম এ সম্পর্কে তাদের বিরােধিতা করে বলেন, যে ব্যক্তি দু'শ দিরহামের মালিক হয়, তার জন্য সদকা খাওয়া হারাম ও সাহায্য চাওয়া অবৈধ। আর যে ব্যক্তি এর চেয়ে কম সম্পদের মালিক হয়, তার জন্য সাহায্য চাওয়া হারাম নয় এবং সদকা গ্রহণও তার জন্য হারাম নয় । এ সম্পর্কে তারা দলীল পেশ করেন নিম্নরূপ :
96 - 7394 - بِمَا حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ نَصْرٍ , قَالَ: ثنا الْفِرْيَابِيُّ ح
وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَا: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَسْأَلُ عَبْدٌ مَسْأَلَةً , وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ إِلَّا جَاءَتْ شَيْنًا , أَوْ كُدُوحًا , أَوْ خُدُوشًا , فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَاذَا غِنَاهُ؟ قَالَ: «خَمْسُونَ دِرْهَمًا أَوْ حِسَابُهَا مِنَ الذَّهَبِ»
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْبَغْدَادِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ كُدُوحًا فِي وَجْهِهِ وَلَمْ يَشُكَّ , وَزَادَ فَقِيلَ لِسُفْيَانَ: وَلَوْ كَانَ عَنْ غَيْرِ حَكِيمٍ؟ فَقَالَ: حَدَّثَنَا زُبَيْدٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ مَلَكَ مِئَتَيْ دِرْهَمٍ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ وَالْمَسْأَلَةُ , وَمَنْ مَلَكَ دُونَهَا لَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةُ , وَلَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ أَيْضًا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ
وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَرْزُوقٍ , قَالَ: ثنا أَبُو عَاصِمٍ , قَالَا: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ , عَنْ حَكِيمِ بْنِ جُبَيْرٍ , عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ , عَنْ أَبِيهِ , عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَسْأَلُ عَبْدٌ مَسْأَلَةً , وَلَهُ مَا يُغْنِيهِ إِلَّا جَاءَتْ شَيْنًا , أَوْ كُدُوحًا , أَوْ خُدُوشًا , فِي وَجْهِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ» . قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ , وَمَاذَا غِنَاهُ؟ قَالَ: «خَمْسُونَ دِرْهَمًا أَوْ حِسَابُهَا مِنَ الذَّهَبِ»
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ خَالِدٍ الْبَغْدَادِيُّ، قَالَ: ثنا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ، قَالَ: ثنا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، فَذَكَرَ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ , غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ كُدُوحًا فِي وَجْهِهِ وَلَمْ يَشُكَّ , وَزَادَ فَقِيلَ لِسُفْيَانَ: وَلَوْ كَانَ عَنْ غَيْرِ حَكِيمٍ؟ فَقَالَ: حَدَّثَنَا زُبَيْدٌ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ وَخَالَفَهُمْ فِي ذَلِكَ آخَرُونَ , فَقَالُوا: مَنْ مَلَكَ مِئَتَيْ دِرْهَمٍ , حُرِّمَتْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ وَالْمَسْأَلَةُ , وَمَنْ مَلَكَ دُونَهَا لَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الْمَسْأَلَةُ , وَلَمْ تُحَرَّمْ عَلَيْهِ الصَّدَقَةُ أَيْضًا. وَاحْتَجُّوا فِي ذَلِكَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯৫
empty
৭৩৯৫।
7395 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯৬
empty
৭৩৯৬।
7396 -

তাহকীক:
তাহকীক চলমান
হাদীস নং:৭৩৯৭
যে পরিমাণ সম্পদ তার মালিকের জন্য সদকা গ্রহণ হারাম করে দেয়
৭৩৯৭। ইয়াযীদ ইবন সিনান (রাহঃ), মুযায়না গােত্রের এক ব্যক্তি হতে বর্ণনা করেন। তিনি তার মাতার কাছে আগমন করেন। তখন তার মাতা বলেন, যদি তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) -এর কাছে গমন করতে এবং তাঁকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে! বর্ণনাকারী বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) -এর কাছে আগমন করলাম। তিনি লােকদের মাঝে খুতবা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন, যে ব্যক্তি আত্মনির্ভরশীলতা অবলম্বন করতে চায়, তাকে আল্লাহ তা'আলা আত্মনির্ভরশীল করেন। যে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাকে আল্লাহ ক্ষমা করেন। যে মানুষের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে, অথচ তার কাছে রয়েছে পাঁচ আওয়াক বা দুশ দিরহাম সমতূল্য সম্পদ, সে যেন বার বার সাহায্য প্রার্থনা করল (যা নিষিদ্ধ)।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে যখন উলামায়ে কিরাম মতবিরােধ করেছেন, তখন এসব অভিমত থেকে একটি বিশুদ্ধ অভিমত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণার আশ্রয় নেয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আমরা লক্ষ্য করলাম যে সদকার দুটো অবস্থা রয়েছে। প্রথমত এটা হবে হারাম, হালাল হবে না, তবে প্রয়ােজনের সময় হারাম বস্তুসমূহ যেমন হালাল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত মানুষের জন্য এটা হালাল হবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক না হবে। আর মালিক হলে তখন তার জন্য সদকা হারাম হয়ে যায়।
আবার আমরা লক্ষ্য করছি, যে ব্যক্তি এক সন্ধ্যা কিংবা এক সকালের খাদ্য সমপরিমাণ সম্পদের মালিক নয়, তার জন্য সকলের মতে সদকা হালাল হয়ে যায়। তখন প্রয়ােজনের সময় যেমন হারাম বস্তুসমূহ হালাল হয়ে যায়, সেসব বস্তু হুকুম থেকে সদকার হুকুম বের হয়ে যায়। আমরা কি লক্ষ্য করি না, যে ব্যক্তি মৃত জন্তুর গােশত ভক্ষণে বাধ্য হয়ে পড়ে, সে প্রাণ ধারণ পরিমাণ ভক্ষণ করতে পারে, ভরপেট খাওয়ার অনুমতি নেই, কিন্তু সদকা ভক্ষণকারী সকাল কিংবা বিকালের খাদ্যের পরিমাণ ভক্ষণ করতে পারে। প্রয়ােজনের সময় মৃত যেরূপ মানুষের জন্য হালাল হয়। কিন্তু সদকা তার বিপরীতরূপে মানুষের জন্য হালাল হয়। তাতে বুঝা যায় যে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে সদকা হারাম হয়ে যায়। এখন আমাদেরকে গবেষণা করতে হবে ঐ পরিমাণটি কী? আমরা লক্ষ্য করেছি, যে ব্যক্তি এক সকাল কিংবা এক সন্ধ্যার খাদ্যের কম সম্পদের মালিক হয়, সে ধনী নয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি চল্লিশ দিরহাম কিংবা পঞ্চাশ দিরহাম কিংবা দু’শ দিরহামের কম সম্পদের মালিক হয়, সে ধনী নয় কিন্তু যখন দু’শ দিরহামের মালিক হয়ে যায়, তখন সে ধনী হয়ে যায়। কেননা রাসূলুল্লাহ্ - হযরত মুআয (রাযিঃ)-কে যাকাত আদায় সম্বন্ধে বলেছিলেন। ধনীদের থেকে তা গ্রহণ কর এবং দরিদ্রদের মধ্যে তা বিতরণ করে দাও। এতে আমরা জানতে পারলাম দু'শ দিরহামের মালিক ধনী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য। এর কম পরিমাণের মালিক ধনী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য নয়। এতে প্রমাণিত হয় যে, দু'শ দিরহাম ও তার উর্ধ্বের সম্পদের মালিকের জন্য সদকা হারাম এবং তার কম সম্পদের মালিকের জন্য হালাল। আর এটাই ইমাম আবু
হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
আবু জাফর আত-তাহাবী (রাহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে যখন উলামায়ে কিরাম মতবিরােধ করেছেন, তখন এসব অভিমত থেকে একটি বিশুদ্ধ অভিমত উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণার আশ্রয় নেয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। আমরা লক্ষ্য করলাম যে সদকার দুটো অবস্থা রয়েছে। প্রথমত এটা হবে হারাম, হালাল হবে না, তবে প্রয়ােজনের সময় হারাম বস্তুসমূহ যেমন হালাল হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত মানুষের জন্য এটা হালাল হবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক না হবে। আর মালিক হলে তখন তার জন্য সদকা হারাম হয়ে যায়।
আবার আমরা লক্ষ্য করছি, যে ব্যক্তি এক সন্ধ্যা কিংবা এক সকালের খাদ্য সমপরিমাণ সম্পদের মালিক নয়, তার জন্য সকলের মতে সদকা হালাল হয়ে যায়। তখন প্রয়ােজনের সময় যেমন হারাম বস্তুসমূহ হালাল হয়ে যায়, সেসব বস্তু হুকুম থেকে সদকার হুকুম বের হয়ে যায়। আমরা কি লক্ষ্য করি না, যে ব্যক্তি মৃত জন্তুর গােশত ভক্ষণে বাধ্য হয়ে পড়ে, সে প্রাণ ধারণ পরিমাণ ভক্ষণ করতে পারে, ভরপেট খাওয়ার অনুমতি নেই, কিন্তু সদকা ভক্ষণকারী সকাল কিংবা বিকালের খাদ্যের পরিমাণ ভক্ষণ করতে পারে। প্রয়ােজনের সময় মৃত যেরূপ মানুষের জন্য হালাল হয়। কিন্তু সদকা তার বিপরীতরূপে মানুষের জন্য হালাল হয়। তাতে বুঝা যায় যে, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে সদকা হারাম হয়ে যায়। এখন আমাদেরকে গবেষণা করতে হবে ঐ পরিমাণটি কী? আমরা লক্ষ্য করেছি, যে ব্যক্তি এক সকাল কিংবা এক সন্ধ্যার খাদ্যের কম সম্পদের মালিক হয়, সে ধনী নয়। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি চল্লিশ দিরহাম কিংবা পঞ্চাশ দিরহাম কিংবা দু’শ দিরহামের কম সম্পদের মালিক হয়, সে ধনী নয় কিন্তু যখন দু’শ দিরহামের মালিক হয়ে যায়, তখন সে ধনী হয়ে যায়। কেননা রাসূলুল্লাহ্ - হযরত মুআয (রাযিঃ)-কে যাকাত আদায় সম্বন্ধে বলেছিলেন। ধনীদের থেকে তা গ্রহণ কর এবং দরিদ্রদের মধ্যে তা বিতরণ করে দাও। এতে আমরা জানতে পারলাম দু'শ দিরহামের মালিক ধনী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য। এর কম পরিমাণের মালিক ধনী ব্যক্তি হিসেবে গণ্য নয়। এতে প্রমাণিত হয় যে, দু'শ দিরহাম ও তার উর্ধ্বের সম্পদের মালিকের জন্য সদকা হারাম এবং তার কম সম্পদের মালিকের জন্য হালাল। আর এটাই ইমাম আবু
হানীফা (রাহঃ), ইমাম আবু ইউসুফ (রাহঃ) ও ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ)-এর অভিমত।
7397 - بِمَا حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ سِنَانٍ , قَالَ: ثنا أَبُو بَكْرٍ الْحَنَفِيُّ , قَالَ: ثنا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ , قَالَ: حَدَّثَنِي أَبِي , عَنْ رَجُلٍ مِنْ مُزَيْنَةَ أَنَّهُ أَتَى أُمَّهُ فَقَالَتْ: يَا بُنَيَّ لَوْ ذَهَبْتَ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلْتُهُ، قَالَ: فَجِئْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ قَائِمٌ يَخْطُبُ النَّاسَ , وَهُوَ يَقُولُ: «مَنِ اسْتَغْنَى أَغْنَاهُ اللهُ , وَمَنِ اسْتَعَفَّ , أَعَفَّهُ اللهُ , وَمَنْ سَأَلَ النَّاسَ وَلَهُ عِدْلُ خَمْسِ أَوَاقٍ , سَأَلَ إِلْحَافًا» قَالَ أَبُو جَعْفَرٍ: وَلَمَّا اخْتَلَفُوا فِي ذَلِكَ , وَجَبَ الْكَشْفُ عَمَّا اخْتَلَفُوا فِيهِ ; لِنَسْتَخْرِجَ مِنْ هَذِهِ الْأَقْوَالِ , قَوْلًا صَحِيحًا. فَرَأَيْنَا الصَّدَقَةَ لَا تَخْلُو مِنْ أَحَدِ وَجْهَيْنِ: إِمَّا أَنْ تَكُونَ حَرَامًا لَا تَحِلُّ مِنَ الْأَشْيَاءِ الْمُحَرَّمَاتِ عِنْدَ الضَّرُورَاتِ إِلَيْهَا. أَوْ تَكُونُ تَحِلُّ لَهُ أَنْ يَمْلِكَ مِقْدَارًا مِنَ الْمَالِ , فَتَحْرُمُ عَلَى مَالِكِهِ. فَرَأَيْنَا مَنْ مَلَكَ دُونَ مَا يُغَدِّيهِ , أَوْ دُونَ مَا يُعَشِّيهِ , كَانَتِ الصَّدَقَةُ لَهُ حَلَالًا , بِاتِّفَاقِ الْفِرَقِ كُلِّهَا. فَخَرَجَ بِذَلِكَ حُكْمُهَا , مِنْ حُكْمِ الْأَشْيَاءِ الْمُحَرَّمَاتِ الَّتِي تَحِلُّ عِنْدَ الضَّرُورَةِ. أَلَا تَرَى أَنَّ مَنِ اضْطُرَّ إِلَى الْمَيْتَةِ , أَنَّ الَّذِي يَحِلُّ لَهُ مِنْهَا , هُوَ مَا يُمْسِكُ بِهِ نَفْسَهُ , لَا مَا يُشَجِّعُ , حَتَّى يَكُونَ لَهُ غَدَاءٌ , أَوْ حَتَّى يَكُونَ لَهُ عَشَاءٌ. فَلَمَّا كَانَ الَّذِي يَحِلُّ مِنَ الصَّدَقَةِ , هُوَ بِخِلَافِ مَا يَحِلُّ مِنَ الْمَيْتَةِ عِنْدَ الضَّرُورَةِ , ثَبَتَ أَنَّهَا إِنَّمَا تَحْرُمُ عَلَى مَنْ مَلَكَ مِقْدَارًا مَا. فَأَرَدْنَا أَنْ نَنْظُرَ فِي ذَلِكَ الْمِقْدَارِ مَا هُوَ؟ فَرَأَيْنَا مَنْ مَلَكَ دُونَ مَا يُغَدِّي , أَوْ دُونَ مَا يُعَشِّي , لَمْ يَكُنْ بِذَلِكَ غَنِيًّا. [ص:373] وَكَذَلِكَ مَنْ مَلَكَ أَرْبَعِينَ دِرْهَمًا , أَوْ خَمْسِينَ دِرْهَمًا , أَوْ مَا هُوَ دُونَ الْمِئَتَيْ دِرْهَمٍ , فَإِذَا مَلَكَ مِئَتَيْ دِرْهَمٍ , كَانَ بِذَلِكَ غَنِيًّا ; لِأَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِمُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ فِي الزَّكَاةِ خُذْهَا مِنْ أَغْنِيَائِهِمْ , وَاجْعَلْهَا فِي فُقَرَائِهِمْ. فَعَلِمْنَا بِذَلِكَ أَنَّ مَالِكَ الْمِئَتَيْنِ غَنِيٌّ , وَأَنَّ مَا دُونَهَا غَيْرُ غَنِيٍّ. فَثَبَتَ بِذَلِكَ أَنَّ الصَّدَقَةَ حَرَامٌ عَلَى مَالِكِ الْمِئَتَيْ دِرْهَمٍ فَصَاعِدًا , وَأَنَّهَا حَلَالٌ لِمَنْ يَمْلِكُ مَا هُوَ دُونَ ذَلِكَ , وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ , وَأَبِي يُوسُفَ , وَمُحَمَّدٍ , رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمْ أَجْمَعِينَ

তাহকীক:
তাহকীক চলমান